Home Featured বীমা খাতে অরাজকতা সৃষ্টির চেষ্টা

বীমা খাতে অরাজকতা সৃষ্টির চেষ্টা

by fstcap

বীমা খাতে অরাজকতা সৃষ্টি করতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অপপ্রচার চালাচ্ছে একটি শ্রেণি। বীমা খাতে সংস্কারের নামে নিয়ন্ত্রক সংস্থাসহ এ খাতের বিভিন্ন সংগঠনের নামে নানা কুৎসা রটানো হচ্ছে, ছড়ানো হচ্ছে ভিত্তিহীন ও আপত্তিকর তথ্য।

অভিযোগ উঠেছে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ‘ব্যাংক বীমা প্রতিদিন’ নামক একটি ফেসবুক পেইজ থেকে এই অপতৎপরতা চালানো হচ্ছে। এই অপতৎপরতার অংশ হিসেবে ভিডিও বক্তব্যও প্রচার করা হচ্ছে। এমনকি রাজধানীর মতিঝিলে ইসলামী ব্যাংকের কর্মীদের চলমান আন্দোলনের ছবি ও ভিডিও ফেসবুকে শেয়ার করে আইডিআরএ এবং বিআইএফ’র বিরুদ্ধে আন্দোলনের জন্য সবাইকে জমায়েত হওয়ার আহ্বান জানানো হয়।

ব্যাংক বীমা প্রতিদিন নামক ফেসবুক পেইজটিতে গিয়ে দেখা যায়, ভিডিও বক্তব্যসহ বেশিরভাগ পোস্ট দিচ্ছেন ‘ইন্স্যুরেন্স ডেভেলপমেন্ট এ্যাসোসিয়েশান বাংলাদেশ’ নামক সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান জিএম সজল। ‘হত্যার হুমকি দেয়া হচ্ছে’ দাবি করে জিএম সজল পালটা হুমকিও দিচ্ছেন ওই ফেসবুক পেইজটিতে।

শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ জালিয়াতির অভিযোগে জিএম সজলকে ২০১৮ সালে জেনিথ ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স থেকে বরখাস্ত করা হয়। এ ছাড়াও তার বিরুদ্ধে ‘ইন্স্যুরেন্স ডেভেলপমেন্ট অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশ আইডিএবি’র নাম ভাঙ্গিয়ে চাঁদাবাজির অভিযোগও রয়েছে।
খাত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ব্যক্তিগত স্বার্থ হাসিলের জন্যই কতিপয় ব্যক্তি এ ধরনের অপতৎপরতায় লিপ্ত রয়েছে।

তাদের মতে, অরাজকতা সৃষ্টি করে কখনো সংস্কার করা যায় না। সংস্কার হতে হবে অবশ্যই গঠনমূলকভাবে। কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে বিষদাগাড় করে নয়। এটি করা হলে বীমা খাত সম্পর্কে সাধারণ মানুষের মাঝে নেতিবাচক মনোভাব তৈরির আশঙ্কা রয়েছে।
এ বিষয়ে মুখ্য নির্বাহীদের সংগঠন বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স ফোরাম (বিআইএফ)’র ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল এস এম নুরুজ্জামান বলেন, গত কয়েকদিন ধরে লক্ষ্য করা যাচ্ছে আমাদের নেতৃবৃন্দের নামে কতিপয় ব্যক্তি মিথ্যা ও ভিত্তিহীন তথ্য দিয়ে বিদ্যেষমূলক কথাবার্তা প্রচার করছে, যা খুবই দুঃখজনক।

এ ধরনের তৎপরতার কারণে কোন ক্ষতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে তার দায় যারা অপপ্রচারে লিপ্ত তাদেরকেই নিতে হবে। এ বিষয়ে সকলকে সচেতন থাকারও আহ্বান জানান তিনি।

এস এম নুরুজ্জামান আরো বলেন, বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স ফোরাম একটি পেশাদারি ও সরকার নিবন্ধিত সংগঠন। এর সঙ্গে কোন রাজনৈতিক সম্পৃক্ততা নেই। দেশের ৮৪টি লাইফ ও নন-লাইফ বীমা কোম্পানির মুখ্য নির্বাহীরা এই সংগঠনের সদস্য। পেশাজীবীদের মান উন্নয়নের মধ্য দিয়ে বীমা খাত উন্নয়নে সকল পক্ষকে সহযোগিতার উদ্দেশ্যে এই সংগঠনের সৃষ্টি। তাই অন্যকোনোভাবে এ সংগঠনটির নামে মিথ্যা প্রচার-প্রচারণা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।

অভিযোগের বক্তব্য জানতে জিএম সজলের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তার মতামত নেয়া সম্ভব হয়নি। এছাড়াও তার (ইন্স্যুরেন্স ডেভেলপমেন্ট এ্যাসোসিয়েশান বাংলাদেশ) পেইজটিতে দেয়া মোবাইল নম্বরে যোগাযোগ করেও নম্বরটি বন্ধ পাওয়া গেছে।

You may also like