The potential of the country’s capital market has largely been unexplored in business financing because of policies that support easy, unregulated access to loans from the banking sector.
In consequence, the equity market has remained stunted for decades while the banking sector is on the verge of collapse for a rapid growth of non-performing loans. On the other hand, neighbouring countries have used the stock markets to the advantage of long-term financing.
A comparative picture would help understand how insignificant the size of the equity market is in Bangladesh. Last year, privately-run The City Bank alone disbursed loans worth Tk 41.3 billion whereas the aggregate amount of funds raised via the equity market in the same year was Tk 5.1 billion.
The market helped generate funds in the range of Tk 2 billion to Tk 14 billion between 2016 and 2023. The contribution of the country’s capital market in financing businesses was a mere 0.5 per cent, equivalent to Tk 54 billion, against 99.5 per cent or Tk 10.08 trillion lent by the banking sector in the last nine years.
Bangladesh is 12 per cent of India in terms of population and 13 per cent when both nations’ GDPs are taken into consideration. But in terms of IPOs between 2016 and 2023, Bangladesh is about 1 per cent of India.
Here, banks face a mismatch in debt management for providing long-term financing against short-term deposits.
In the financial ecosystem of countries with functional capital markets, the markets provide long-term financing instead of banks.
Good companies’ reluctance to list
Industry insiders think the problem lies with weak corporate practices in Bangladesh. Local, successful entrepreneurs do not want to share profits with shareholders and comply with listing regulations.
That is why several groups have issued shares of their weak subsidiaries to the market while better-performing units remain non-listed.
However, listing and its associated corporate regulations, if compliance is ensured, help strengthen businesses’ fundamentals. Non-listed companies may find their existence threatened after the death of the founders, but listed companies will keep running with the support of the market, regulators and shareholders.
Square Pharmaceuticals is one of the best examples of an enterprise thriving in the absence of the original entrepreneur, Samson H Chowdhury.
Another listed company, Olympic Industries has been performing well even though its owners do not live in the country.
A listed company’s corporate governance should be better than non-listed ones for mandatory disclosures of financial statements, annual general meetings and other measures of accountability.
Long-term financing through market on the agenda
Mandatory long-term financing through the capital market received renewed attention after the broad index of the Dhaka bourse shed around 800 points in four consecutive sessions at the end of October.
At a meeting with Finance Adviser Dr Salehuddin Ahmed on October 30, officials of the Bangladesh Securities and Exchange Commission (BSEC) suggested introducing a provision for companies to get long-term financing from the market after reaching a threshold of bank borrowings.
Mohammad Rezaul Karim, a BSEC executive director and spokesperson, said they were trying to include the matter on the agenda to be set for the upcoming coordination meeting of the financial sectors under the leadership of the central bank governor.
Shrinking IPO flow
Funds collected through IPOs and qualified investors’ offers (QIOs) amounted to Tk 5.6 billion in 2016. The amount rose to Tk 13.7 billion in 2020 and then declined to Tk 5.1 billion last year.
The Covid outbreak was blamed for the submission of an insignificant number of IPO proposals. Many local companies experienced losses due to countrywide shutdowns and rise in import costs following a hike in the prices of raw materials and exchange rates.
This year, the IPO pipeline has dried up further.
An amount worth Tk 1.1 billion only was raised through IPOs and QIOs as of September.
Market operators say the IPO valuation process under the book building method discourages companies from raising funds from the market.
The BSEC currently considers a company’s net asset value, prices of similar stocks, and the average EPS (earnings per share) in the preceding five years to decide the value of IPO shares.
Previously, companies’ offer prices were fixed based on the cut-off yield of the prices offered by eligible investors at the IPO bidding. Market operators have been demanding reintroduction of the market-driven formula to attract good companies.
Members of the task force recently formed by the securities regulator to recommend reforms said a move is underway to change the IPO valuation method.
Featured
শেয়ারবাজারে বিনিয়োগকারীদের আস্থা ও সুরক্ষায় তালিকাভুক্ত সকল প্রতিষ্ঠানকে জবাবদিহিতার আওতায় এনে সু-শাসন প্রতিষ্ঠা করাসহ ১২ দফা প্রস্তাবনা পেশ করেছে বাংলাদেশ ক্যাপিটাল মার্কেট ইনভেস্টর অ্যাসোসিয়েশন (বিসিএমআইএ)।
সোমবার (২৫ নভেম্বর) বিকাল ৩টায় আতীয় প্রেস ক্লাবে আবদুস সালাম হল তৃতীয় তলায় বিসিএমআইএ কর্তৃক আয়োজিত আলোচনা সভা এসব প্রস্তাবনা তুলে ধরা হয়।
সভায় সভাপতিত্ব করেন বিসিএমআইেএ’র কো-অর্ডিনেটর এসএম ইকবাল হোসেন। এতে আলোচক ছিলেন এবি পার্টির যুগ্ম সদস্য সচিব ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ, বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) সহ সাধারণ সম্পাদক রাজেকুজ্জামান রতন, সাংবাদিক, গবেষক, অর্থ ও পুঁজিবাজার বিশ্লেষক ফজলুল বারী এবং অর্থনৈতিক সমন্বয়ক, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন দিদারুল আলম ভূঁইয়া।
বিসিএমআইএ যে ১২ দফা প্রস্তাবনা তুলে ধরেছে সেগুলো হচ্ছে- শেয়ারবাজার সংশ্লিষ্ট সকল প্রতিষ্ঠানকে জবাবদিহিতার আওতায় এনে সু-শাসন প্রতিষ্ঠা করা খুবই জরুরী। স্বচ্ছ আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করা, শেয়ারবাজারে দেখা যায় শেয়ারের দাম বাড়ানো বা কমানোর জন্য কারসাজি করে আর্থিক প্রতিবেদন দেখায়, বিশেষ করে বিগত ১৫ বছরের তালিকাভূক্ত কোম্পানিগুলো তার মধ্যে অন্যতম। যে সকল তালিকাভুক্ত কোম্পানির শেয়ার ইস্যু মূল্যের নিচে যে সকল কোম্পানির পরিচালকগণকে ইস্যু মূল্যে বাধ্যতামূলক শেয়ার ক্রয় করতে হবে। আর প্রত্যেক কোম্পানির মালিকানা শেয়ার ধারণ ৫১ শতাংশ থাকতে হবে। ক্ষতিগ্রস্থ বিনিয়োগকারীকে লোন সুবিধা বৃদ্ধি করতে হবে। বিশেষ করে বিনিয়োগকারীকে তাহার মূলধনের সমপরিমাণ লোন প্রদান করে ৫ বছর বিনা সুদে রাখতে হবে। এছাড়াও, প্রতিমাসে ২টি করে মিউচ্যুয়াল ফান্ড বিনিয়োগে নিয়ে আসতে হবে।
এছাড়াও আইপিওতে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কোটা বাড়াতে হবে। মার্কেট মেকার লাইসেন্স প্রদানকরণ করা যেতে পারে। প্লেসমেন্ট শেয়ার পরিচালকদের ৫ বছর লক থাকতে হবে। কোম্পানি তালিকাভুক্ত হওয়ার পর প্রথম ৫ বছর নূন্যতম ১০ শতাংশ হারে ক্যাশ ডিভিডেন্ড দিতে হবে। নগদ লভ্যাংশ বিওতে পাঠানো বাধ্যতামূলক করতে হবে। এতে প্রতিবছর মার্কেটে মূলধন বাড়তে পারে ২০০০/২৫০০ হাজার কোটি টাকা। বিগত ১৫ বছর যে সফল কোম্পানি বাজারে তালিকাভুক্ত হয়েছে সে সকল কোম্পানির পরিচালকদের ব্যক্তিগত সম্পদ কোম্পানি শেয়ারবাজারে তালিকাভূক্তির আগে ও পরের আর্থিক হিসাব প্রকাশ করতে হবে। বিনিয়োগকারীদের সচেতনা বৃদ্ধির জন্য বিনিয়োগ প্রশিক্ষণ ব্যবস্থা রাখার দাবি জানানো হয়।
শেয়ারবাজার থেকে বেক্সিমকো গ্রুপের জিএমজি এয়ার লাইন্সের প্লেসমেন্ট শেয়ারবাজারে ছেড়ে প্রায় ৩৫০ কোটি টাকা উত্তোলন করেন বেক্সিমকো গ্রুপ। বিগত ১৪ বছর ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদেরকে উত্তোলনকৃত অর্থ এখনো ফেরত দেওয়া হয়নি। উল্লেখিত বিষয়ে বর্তমান কমিশনকে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য ক্ষতিগ্রন্থ বিনিয়োগকারীদের পক্ষ থেকে আহ্বান জানায় বাংলাদেশ ক্যাপিটাল মার্কেট ইনভেস্টর অ্যাসোসিয়েশন। sharenews24.com
BCMI stock market investor
শেযারবাজারে তালিকাভুক্ত দুই কোম্পানি ইপিএস ঘোষণা সংক্রান্ত বোর্ড সভার তারিখ জানিয়েছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
কোম্পানি দুইটি হলো : দুলামিয়া কটন এবং কেঅ্যান্ডকিউ।
কোম্পানি দুইটির মধ্যে দুলামিয়া কটনের ২ ডিসেম্বর বিকাল সাড়ে ৩টায় এবং কেঅ্যান্ডকিউয়ের বোর্ড সভা ১ ডিসেম্বর বিকাল সাড়ে ৩টায় অনুষ্ঠিত হবে।
কোম্পানিগুলোর বোর্ড সভায় অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে ইপিএস প্রকাশ করা হবে। sharenews24.com
EPS
শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত মেঘনা পেট্রোলিয়ামের ভ্যাট হিসাবে গরমিল পেয়েছে নিরীক্ষক। নিরীক্ষক বলছে যে, কোম্পানিটিতে ফিন্যান্সিয়াল রিপোর্টিং কাউন্সিলের (এফআরসি) নির্দেশনা পরিপালন করা হয়নি।
নিরীক্ষক জানিয়েছেন, মেঘনা পেট্রোলিয়াম কর্তৃপক্ষ ২০২৩-২৪ অর্থবছরের আর্থিক হিসাবে সরকার ১৩৩ কোটি ৮৫ লাখ ২৭ হাজার টাকা ভ্যাট বাবদ পাওনা রয়েছে বলে উল্লেখ করেছে। তবে রাষ্ট্রায়ত্ত্ব প্রতিষ্ঠানটির ভ্যাট রিটার্নের (মূশক ৯.১)-এ সঙ্গে পাওনা হিসাবের ৭৯ হাজার টাকার গরমিল পাওয়া গেছে।
নিরীক্ষক আরও জানিয়েছে, মেঘনা পেট্রোলিয়ামে শেয়ার মানি ডিপোজিট হিসেবে ১১ কোটি ৬০ লাখ ৬২ হাজার টাকা রয়েছে। তবে ফিন্যান্সিয়াল রিপোর্টিং কাউন্সিলের (এফআরসি) নির্দেশনা অনুসারে, শেয়ার মানি ডিপোজিট হিসেবে অর্থ গ্রহণের ৬ মাসের মধ্যে সেই অর্থ শেয়ার ক্যাপিটালে রুপান্তর (কনভার্ট) করতে হয়। যা না করে এফআরসির নির্দেশনা লঙ্ঘন করা হয়েছে।
এদিকে কোম্পানিটির আগের অর্থবছরের তুলনায় ২০২৩-২৪ অর্থবছরে নগদ প্রবাহের অবস্থা খুবই খারাপ হয়েছে বলে জানিয়েছে নিরীক্ষক। আগের অর্থবছরের শেয়ারপ্রতি ১০০.০৭ টাকার পরিচালন নগদ প্রবাহ (এনওসিএফপিএস) ২০২৩-২৪ অর্থবছরে হয়েছে ঋণাত্মক (৪৬.১৭) টাকা।
তবে কোম্পানিটির ৪০.৮৬ টাকার শেয়ারপ্রতি মুনাফা বেড়ে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে হয়েছে ৫০.১১ টাকা।
উল্লেখ্য, শেয়ারবাজারে ২০০৭ সালে তালিকাভুক্ত হওয়া মেঘনা পেট্রোলিয়ামের পরিশোধিত মূলধনের পরিমাণ ১০৮ কোটি ২২ লাখ টাকা। এরমধ্যে শেয়ারবাজারের বিভিন্ন শ্রেণির (উদ্যোক্তা/পরিচালক ব্যতিত) বিনিয়োগকারীদের মালিকানা ৪১.৩৩ শতাংশ। doinik janakontho.com
এমজেএল বাংলাদেশ পিএলসি পুরনো ট্যাংকার ভেসেল এমটি ওমেরা লিগ্যাসি প্রতিস্থাপন করতে একটি আফ্রাম্যাক্স অয়েল ট্যাংকার কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
এমজেএল বাংলাদেশ পিএলসি পুরনো ট্যাংকার ভেসেল এমটি ওমেরা লিগ্যাসি প্রতিস্থাপন করতে একটি আফ্রাম্যাক্স অয়েল ট্যাংকার কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। গতকাল কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদের ১৪১তম সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
তথ্য অনুসারে, আফ্রাম্যাক্স অয়েল ট্যাংকারটি এর আগে ব্যবহৃত হয়েছে অর্থাৎ সেকেন্ড হ্যান্ড। ট্যাংকারটির ধারণক্ষমতা হবে প্রায় ১ লাখ ১৫ হাজার ডেডওয়েট টন (ডিডব্লিউটি)। এটির বয়স হবে আনুমানিক ১২-১৩ বছর। এর মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৪ কোটি ৫০ লাখ থেকে ৪ কোটি ৭০ লাখ মার্কিন ডলার। গতকালের মুদ্রা বিনিময় হার অনুসারে, প্রতি ডলার ১২০ টাকা দরে যা দাঁড়ায় ৫৪০-৫৬০ কোটি টাকা।
চলতি ২০২৪-২৫ হিসাব বছরের প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) প্রতিষ্ঠানটির মুনাফা বেড়েছে ২৭ শতাংশ। আলোচ্য প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি সমন্বিত আয় (ইপিএস) হয়েছে ৩ টাকা ৪৩ পয়সা, আগের বছর একই সময়ে যা ছিল ২ টাকা ৭০ পয়সা। গত ৩০ সেপ্টেম্বর শেষে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৫১ টাকা ৪৬ পয়সায়।
কোম্পানিটির পর্ষদ ২০২৩-২৪ হিসাব বছরে বিনিয়োগকারীদের জন্য ৫২ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। আলোচ্য হিসাব বছরে এমজেএল বাংলাদেশের সমন্বিত ইপিএস হয়েছে ৮ টাকা ৭১ পয়সা, আগের হিসাব বছরে যা ছিল ৮ টাকা ৭৩ পয়সা। গত ৩০ জুন শেষে কোম্পানিটির সমন্বিত এনএভিপিএস দাঁড়িয়েছে ৪৮ টাকা ৩ পয়সায়।
এদিকে ঘোষিত লভ্যাংশ ও অন্যান্য এজেন্ডায় বিনিয়োগকারীদের অনুমোদন নিতে আগামী ১৯ ডিসেম্বর বেলা ১১টায় ডিজিটাল প্লাটফর্মে বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) আহ্বান করা হয়েছে। এ-সংক্রান্ত রেকর্ড ডেট ছিল ১৭ নভেম্বর।
সমাপ্ত ২০২২-২৩ হিসাব বছরের এমজেএল বাংলাদেশ বিনিয়োগকারীদের ৫০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। আলোচ্য হিসাব বছরে কোম্পানিটির সমন্বিত ইপিএস হয়েছে ৮ টাকা ৭৩ পয়সা, আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ৬ টাকা ৩৬ পয়সা। গত বছরের ৩০ জুন শেষে কোম্পানিটির সমন্বিত এনএভিপিএস দাঁড়িয়েছে ৪৪ টাকা ২৭ পয়সায়।
২০২১-২২ হিসাব বছরে বিনিয়োগকারীদের ৫০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে এমজেএল বাংলাদেশ। আলোচ্য হিসাব বছরে কোম্পানিটির সমন্বিত ইপিএস হয়েছে ৬ টাকা ৩৬ পয়সা, আগের হিসাব বছরে ছিল ৭ টাকা ৫৩ পয়সা। ৩০ জুন ২০২২ শেষে কোম্পানিটির সমন্বিত এনএভিপিএস দাঁড়ায় ৪০ টাকা ৫৫ পয়সায়, যা আগের বছর শেষে ছিল ৩৯ টাকা ৬৯ পয়সা।
২০১১ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত এমজেএল বাংলাদেশের অনুমোদিত মূলধন ১ হাজার কোটি ও পরিশোধিত মূলধন ৩১৬ কোটি ৭৫ লাখ ২০ হাজার টাকা। রিজার্ভে রয়েছে ৮৮৩ কোটি ৫৪ লাখ টাকা। কোম্পানির মোট শেয়ার সংখ্যা ৩১ কোটি ৬৭ লাখ ৫২ হাজার ২৭। এর ৭১ দশমিক ৫২ শতাংশ রয়েছে উদ্যোক্তা পরিচালকদের কাছে। এছাড়া প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের হাতে ২১ দশমিক ৭০ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে বাকি ৬ দশমিক ৭৮ শতাংশ শেয়ার রয়েছে। গত এক বছরে কোম্পানিটির শেয়ারের দর ৬৭ টাকা ৩০ পয়সা থেকে ১০৭ টাকার মধ্যে ওঠানামা করেছে। bonikbarta.com
MJL bangladesh
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত রেনাটা পিএলসির পর্ষদ অগ্রাধিকারমূলক (প্রেফারেন্স) শেয়ার ইস্যু করে ৩২৫ কোটি টাকা সংগ্রহের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত রেনাটা পিএলসির পর্ষদ অগ্রাধিকারমূলক (প্রেফারেন্স) শেয়ার ইস্যু করে ৩২৫ কোটি টাকা সংগ্রহের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সংগৃহীত অর্থ দিয়ে কোম্পানিটি বিদ্যমান ঋণ পরিশোধে ব্যবহার করবে। গতকাল অনুষ্ঠিত কোম্পানিটির ২৩১তম পর্ষদ সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
তথ্য অনুসারে, শেয়ারটির বৈশিষ্ট্য নন-কিউমুলেটিভ, নন-পার্টিসিপেটিভ ও রিডিমেবল বা পুরোপুরি রূপান্তরযোগ্য। এ শেয়ার ইস্যুর বিষয়ে শেয়ারহোল্ডারদের অনুমোদন নিতে আগামী ১২ জানুয়ারি দুপুর ১২টায় ডিজিটাল প্লাটফর্মে কোম্পানিটি বিশেষ সাধারণ সভা (ইজিএম) আহ্বান করেছে। এ-সংক্রান্ত রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে আগামী ১২ ডিসেম্বর। নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) অনুমোদন সাপেক্ষে বন্ড ইস্যুর সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে।
চলতি ২০২৪-২৫ হিসাব বছরের প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) বিক্রি বাড়লেও মুনাফা কমেছে। আলোচ্য প্রান্তিকে রেনাটার সমন্বিত মোট বিক্রি হয়েছে ১ হাজার ১৭ কোটি টাকা, আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ৯৪৪ কোটি টাকা। সে হিসাবে এক বছরের ব্যবধানে কোম্পানিটির সমন্বিত বিক্রি বেড়েছে ২৩ কোটি টাকা। আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির সমন্বিত কর-পরবর্তী নিট মুনাফা হয়েছে ৬০ কোটি টাকা, আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ১০২ কোটি টাকা।
আলোচ্য প্রান্তিকে রেনাটার শেয়ারপ্রতি সমন্বিত আয় (ইপিএস) হয়েছে ৫ টাকা ১৯ পয়সা, আগের হিসাব বছরের একই প্রান্তিকে যা ছিল ৮ টাকা ৮৯ পয়সা। গত ৩০ সেপ্টেম্বর শেষে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি সমন্বিত নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৩০০ টাকা ৯৫ পয়সায়।
সমাপ্ত ২০২৩-২৪ হিসাব বছরে কোম্পানিটির পর্ষদ বিনিয়োগকারীদের জন্য ৯২ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। ঘোষিত লভ্যাংশ ও অন্যান্য এজেন্ডায় বিনিয়োগকারীদের অনুমোদন নিতে আগামী ৫ ডিসেম্বর বেলা সাড়ে ১১টায় ডিজিটাল প্লাটফর্মে বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) আহ্বান করেছে কোম্পানিটি।
আলোচ্য হিসাব বছরে কোম্পানিটির সমন্বিত নিট মুনাফা হয়েছে ৩৬২ কোটি টাকা, আগের হিসাব বছরে যা ছিল ২৩৪ কোটি টাকা। সে হিসাবে কোম্পানিটির সমন্বিত নিট মুনাফা বেড়েছে ১২৮ কোটি টাকা বা ৫৪ দশমিক ৭০ শতাংশ। আলোচ্য হিসাব বছরে রেনাটার ইপিএস হয়েছে ৩১ টাকা ৫৩ পয়সা, আগের হিসাব বছরে যা ছিল ২০ টাকা ৪০ পয়সা। গত ৩০ জুন শেষে কোম্পানিটির এনএভিপিএস দাঁড়িয়েছে ২৯৫ টাকা ৫৬ পয়সায়।
১৯৭৯ সালে পুঁজিবাজারে আসে রেনাটা পিএলসি। কোম্পানিটির অনুমোদিত মূলধন ২৮৫ কোটি ও পরিশোধিত মূলধন ১১৪ কোটি ৬৯ লাখ ৬০ হাজার টাকা। রিজার্ভে রয়েছে ২ হাজার ৯১২ কোটি ৪৩ লাখ টাকা। কোম্পানিটির মোট শেয়ার সংখ্যা ১১ কোটি ৪৬ লাখ ৯৬ হাজার ৪৯০। এর মধ্যে ৫১ দশমিক ২৯ শতাংশ উদ্যোক্তা পরিচালক, ২০ দশমিক ৭৭ শতাংশ প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী, ২১ দশমিক ২৬ শতাংশ বিদেশী বিনিয়োগকারী ও বাকি ৬ দশমিক ৬৮ শতাংশ শেয়ার সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে রয়েছে।
ডিএসইতে বৃহস্পতিবার রেনাটা পিএলসির শেয়ার সর্বশেষ ৬৪০ টাকা ১০ পয়সায় লেনদেন হয়েছে। গত এক বছরে কোম্পানিটির শেয়ার ৬০৮ টাকা ৩০ পয়সা থেকে ১ হাজার ২১৭ টাকা ৯০ পয়সায় ওঠানামা করেছে। bonik barta
renata limited
রাজধানীর বাংলামোটরের রূপায়ণ ট্রেড সেন্টারের ১১ তলায় ৫ হাজার বর্গফুট জায়গাজুড়ে সাউথইস্ট ব্যাংক ক্যাপিটাল সার্ভিসেসের প্রধান কার্যালয়। মার্চেন্ট ব্যাংকটি ২০১৩ সালে এ জায়গা প্রতি বর্গফুট কিনেছিল ৩০ হাজার ২২৬ টাকা দরে, যখন রূপায়ণ বিক্রি করছিল ১১ থেকে ১২ হাজার টাকা দরে। ২০১৭ সালে পাশের আরও সাড়ে ৬ হাজার বর্গফুট জায়গা কিনেছিল ৪২ হাজার ২৫৯ টাকা দরে, যখন রূপায়ণই ১০ তলায় বিক্রি করে ১৭ হাজার টাকায়। সমকালের অনুসন্ধানে এ তথ্য জানা গেছে।
প্রশ্ন হচ্ছে, অবিশ্বাস্য দরে স্পেস কিনে কেন নিজের লোকসান করেছে প্রতিষ্ঠানটি। উত্তর মিলেছে কর্মকর্তাদের মুখেই। মার্চেন্ট ব্যাংকটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আবু বকরের ভাষায়, ‘এটি হয়েছে ঊর্ধ্বতনের ইচ্ছায়।’ নাম প্রকাশ না করার শর্তে কর্মকর্তারা জানান, এই ঊর্ধ্বতন হলেন সাউথইস্ট ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান আলমগীর কবির, যার ইচ্ছাই ছিল শেষ কথা।
বাংলামোটরের মতো স্থানে কর ও নিবন্ধন খরচ ছাড়াই অবিশ্বাস্য ৪২ হাজার টাকা বর্গফুট দরে স্পেস কেনার কথা অস্বীকার না করে উল্টো সেই সময়ের বাজার মূল্যের তুলনায় কমেই কিনেছেন বলে দাবি আলমগীর কবিরের। রূপায়ণ তখন ৬০ হাজার টাকা দরে বিক্রি করছিল– এমন দাবিও তাঁর। অথচ ১৭ হাজার টাকার বেশি দরে এ ভবনের কোনো স্পেস বিক্রি হয়নি– জানিয়েছেন ভবন সংশ্লিষ্টরা। বর্তমানে ভবনটির সাততলার ৪ হাজার বর্গফুটের একটি স্পেসের মালিক ১৭ হাজার টাকা বর্গফুট দরে বিক্রি করতে চাচ্ছেন।
শুধু রূপায়ণ ট্রেড সেন্টারই নয়, ঢাকার মোহাম্মদপুর ও মিরপুর এবং চট্টগ্রামের মোমিন রোডে বাজার দরের তিন থেকে চার গুণে বাণিজ্যিক স্পেস কেনা হয়েছে মার্চেন্ট ব্যাংকটির নামে। ব্যবসা কার্যক্রমের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ না হওয়ার পরও গাজীপুরে বাজারদরের তুলনায় বেশি মূল্যে ১০৯ কাঠা জমি কিনেছে, যা খালি পড়ে আছে এক দশক। ধারণা করা হয়, এসব স্পেস ও জমি কেনায় লুট হয়েছে ৫০ কোটি টাকা।
এখানেই শেষ নয়। ফ্লোর স্পেস কেনায় হরিলুটের সুযোগ নিয়েছেন মার্চেন্ট ব্যাংকটির কতিপয় অসাধু কর্মকর্তা। আলোচিত শেয়ার কারসাজির হোতা আবুল খায়ের হিরোসহ কয়েকজনের সঙ্গে পারস্পরিক যোগসাজশে গেল কয়েক বছরে মূলধনি লোকসানি (নেগেটিভ ইক্যুইটি) অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে আরও প্রায় ২০০ কোটি টাকা লুট হয়েছে। এর বেশ কিছু আলামত পেয়েছে সমকাল। প্রাপ্ত তথ্য পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, হদিস না থাকা গ্রাহকের মূলধনি লোকসানি অ্যাকাউন্টে ইচ্ছামতো ঋণ বাড়িয়ে কারসাজির শেয়ার কেনাবেচা হয়েছে। প্রথমে দর বাড়াতে শেয়ার কেনাবেচা হয়েছে। পরে কেনা হয় কারসাজি চক্রের উচ্চ দরের ‘ডাম্পিং’ করতে, যার ব্যাখ্যা নেই তাদের। অভিযোগ, কারসাজির চক্র থেকে শেয়ারপ্রতি উপরি নিয়েছেন।
আবার কর্মকর্তারা নিজেরাও আত্মীয়ের নামে অ্যাকাউন্ট খুলে শেয়ার ব্যবসা করছেন। নানা সূত্রে তাদের বেনামি বা আত্মীয়ের নামে ২০টির অধিক বিও অ্যাকাউন্টের তথ্য মিলেছে। যেখানে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের সিংহভাগের লোকসান, সেখানে তাদের সব অ্যাকাউন্টে কোটি কোটি টাকা মুনাফা হয়েছে। মুনাফা বাড়াতে যথেচ্ছ ঋণ নিয়েছেন। ঋণযোগ্য নয়, এমন অ্যাকাউন্টেও ঋণ দিয়েছেন তারা।
প্রতিষ্ঠানটির যেসব কর্মকর্তার নামে এমন গুরুতর অভিযোগ, তাদের অন্যতম ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবু বকর, চিফ অপারেটিং অফিসার (সিওও) হুমায়ূন কবির, হেড অব কমপ্লায়েন্স ইবনে রিয়াজ, পোর্টফোলিও ম্যানেজার এফএভিপি রাজীব আহমেদ। এ ছাড়া সুবিধাভোগীদের তালিকায় আলমগীর কবিরের নানা অপকর্মের অনুঘটক বে লিজিংয়ের কর্মকর্তা মফিজউদ্দিনেরও নাম মিলেছে।
কারসাজি চক্রের সঙ্গে যোগসাজশে শেয়ার কেনাবেচার কারণে প্রতিষ্ঠানটির মূলধনি লোকসানি অ্যাকাউন্টগুলোর লোকসান আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে। ২০১৮ সালের শেষে যেখানে অনধিক ২০০ অ্যাকাউন্টে মূলধনি লোকসানি ছিল ২০০ কোটি টাকার কম, ২০২৩ সালের ডিসেম্বর শেষে তা বেড়ে ৩৯৪ কোটি টাকা দাঁড়ায়। এখন পাঁচ শতাধিক অ্যাকাউন্টে মূলধনি লোকসান ৪৫০ কোটি টাকার বেশি।
এমন হরিলুটের পরও চেয়ারম্যান (সাবেক) সবকিছু জানেন বিধায় সাউথইস্ট ব্যাংকের পর্ষদ বা ব্যবস্থাপনা বিভাগ কখনও এ নিয়ে প্রশ্ন তোলেনি। প্রতিষ্ঠার পর ২০১০ সাল থেকে নিরীক্ষক হিসেবে কাজ করা পিনাকী অ্যান্ড কোং কোনো পর্যবেক্ষণ দেয়নি। এমনকি দুই নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ ব্যাংক এবং বিএসইসিও চুপ ছিল।
অনুসন্ধানে তথ্য মিলেছে, বিএসইসির সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলামও কারসাজির হোতা আবুল খায়ের হিরোর মাধ্যমে বেনামে (জাবেদ এ মতিন নামে একটি অ্যাকাউন্ট খুলে) এই প্রতিষ্ঠানে শেয়ার ব্যবসা করে বড় অঙ্কের মুনাফা নিয়েছেন, বিনিময়ে প্রতিষ্ঠানটির অপকর্ম ধামাচাপা দিতে সহায়তা করেন। তবে আলমগীর কবির চেয়ারম্যান পদ ছাড়ার পর সাউথইস্ট ব্যাংক এখন তদন্তে নেমেছে। বিএসইসিও তদন্ত করেছে।
গত ৬ নভেম্বর মার্চেন্ট ব্যাংকটির এমডি আবু বকর এবং সিওও হুমায়ূন কবিরের কাছে সুনির্দিষ্ট অনিয়মের বিষয়ে জানতে চাইলে তারা কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি। এমডি আবু বকর সমকালকে বলেন, ‘লোকসানি অ্যাকাউন্টের লোকসান কমাতে গিয়ে উল্টো ফল হয়েছে।’ উল্টো ফল হচ্ছে দেখে, তা কেন থামাননি– এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘প্রতিদিন কী হয়, তা তাঁর পক্ষে দেখা সম্ভব নয়।’ মাসে বা বছরেও কী দেখা সম্ভব হয়নি– এমন প্রশ্নের উত্তর দেননি। অনিয়মের দায় কী এড়াতে পারেন– এমন প্রশ্নে বলেন, ‘অনিয়ম কিছু হলে দায় তো নিতে হবে।’
জানা গেছে, নানামুখী তদন্ত শুরুর পর সম্প্রতি এমডি আবু বকর এখন চাকরি ছাড়ার আবেদন করেছেন।
গ্রাহকের খবর নেই, শতকোটি টাকার লেনদেন
১৬০৫৫৩০০৪৭৪৩৬৬১৩ নম্বরের বিও অ্যাকাউন্টটি আজাদুর রহমান নামের এক বিনিয়োগকারীর। ২০১০ সালে মার্জিন ঋণ সুবিধা নিয়ে খোলা এ অ্যাকাউন্টে তিনি ২ কোটি ২৯ লাখ ৭০ হাজার টাকা জমা দিয়ে ১ কোটি ৪৭ লাখ টাকা তুলেছিলেন। ওই বছর শেষে শেয়ারবাজারে ধস নামলে আসল ফিরে পাওয়ার আশা ছেড়ে দেন। কারণ, দর পতনে শেয়ারের দর এতটাই কমেছিল, সব শেয়ার বিক্রি করেও সুদসমেত মার্জিন ঋণই শোধ করা সম্ভব ছিল না। ফলে ২০১৩ সালের পর আজাদুর রহমান কখনোই এ অ্যাকাউন্টির আর খোঁজ রাখেননি। তবে অ্যাকাউন্টি অদ্যাবধি বন্ধ হয়নি। গ্রাহকের অনুমতি ছাড়াই গত এক যুগ ধরে এ অ্যাকাউন্টে শেয়ার কেনাবেচা চলছে। কাজটি নিজ দায়িত্বে করছেন মার্চেন্ট ব্যাংকের কর্মকর্তারা। গ্রাহকের বিনিয়োগ বা মার্চেন্ট ব্যাংকের ঋণের টাকা ফিরে পেতে নয়, স্রেফ শেয়ার কারসাজির চক্রকে সুবিধা দিতে অ্যাকাউন্টি ব্যবহার হয়েছে।
২০১৮ সালের শেষের তথ্য সংগ্রহ করে দেখা গেছে, ওই সময় এ অ্যাকাউন্টে থাকা সব শেয়ারের ক্রয়মূল্য ছিল ১ কোটি ৭০ লাখ টাকা, যার বাজার মূল্য ১ কোটি ৩৫ লাখ টাকা। তখন পর্যন্ত সাকল্যে মূলধনি লোকসান ছিল ৩ কোটি ১৯ লাখ টাকা। গত ছয় বছরে একটি টাকাও জমা বা উত্তোলন হয়নি। তবু গত আগস্ট শেষে মূলধনি লোকসান বেড়ে সাড়ে ১৩ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে।
গত ছয় বছরে শেয়ার কেনাবেচার সব তথ্য সংগ্রহ করে দেখা গেছে, গ্রাহককে অন্ধকারে রেখে ২০১৯ সাল থেকে তালিকাভুক্ত ৫৫টি কোম্পানির ১৫৩ কোটি টাকার শেয়ার কিনে ১৩৭ কোটি টাকায় বিক্রি করেছেন কর্মকর্তারা। ২০২২ সালের নভেম্বর থেকে এখন পর্যন্ত আজাদুর রহমানের অ্যাকাউন্টে শুধু প্রগতি লাইফেরই শেয়ার কেনাবেচা হচ্ছে। এ সময়ে সর্বাধিক প্রায় ৩৬ কোটি টাকায় প্রগতি লাইফের শেয়ার কিনে ২৮ কোটি টাকায় বিক্রি করা হয়েছে। এই শেয়ার কেনাবেচায় এখন পর্যন্ত লোকসান অন্তত ৫ কোটি টাকা।
আজাদুর রহমানের অ্যাকাউন্টে প্রগতি লাইফের শেয়ার কেনাবেচায় যেখানে বড় লোকসান হয়েছে, সেখানে দুই দফায় এ শেয়ারের দর নিয়ে ব্যাপক উল্লম্ফন হয়েছে। ২০২২ সালের অক্টোবর শেষে প্রগতি লাইফের শেয়ার দর ৬৬ টাকা থেকে পরের তিন মাসে বেড়ে ১৬১ টাকা এবং চলতি বছরের এপ্রিলের ১০০ টাকা থেকে গত অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহে ২৩৯ টাকায় উঠেছিল।
আবার শুধু প্রগতি লাইফ নয়, ২০২০ থেকে ২০২২ সালের অক্টোবর পর্যন্ত ফরচুন সুজের ৩২ কোটি টাকার শেয়ার কিনে পৌনে ২৯ কোটিতে বিক্রি করায় ৩ কোটি টাকা লোকসান হয়েছে। এশিয়া ইন্স্যুরেন্সের সোয়া ২২ কোটি টাকার শেয়ার কিনে ২০ কোটিতে বিক্রি করায় লোকসান সোয়া ২ কোটি টাকা। আইপিডিসির সাড়ে ৩ কোটি টাকায় কেনা অর্ধেক মূল্যে বিক্রি হয়েছে।
মূলধনি লোকসানে পড়ায় ২০১১ সাল থেকে আজাদুর রহমানের অ্যাকাউন্টে শেয়ার কিনতে নতুন করে ঋণ দেওয়ার কোনো সুযোগই ছিল না। কিন্তু বছরের পর বছর কোটি কোটি টাকার ঋণ দিয়ে শেয়ার কেনাবেচা করা হয়েছে। এতে গ্রাহকের মাধ্যমে লোকসানের বোঝা বেড়েছে খোদ প্রতিষ্ঠানটির।
মার্চেন্ট ব্যাংকটির সবচেয়ে বেশি মূলধনি লোকসানি অ্যাকাউন্টধারী আজাদুর রহমান সমকালকে জানান, ২০১০ সালের শেয়ারবাজার ধসের পর বড় লোকসান হলে তিনি এ অ্যাকাউন্টটির আর কোনো খোঁজখবর রাখেননি। এ অ্যাকাউন্টের শেয়ার কেনাবেচার কোনোটি তাঁর নির্দেশে হয়নি।
এক আজাদুর রহমানের অ্যাকাউন্ট নয়, এমন শত শত মার্জিন অ্যাকাউন্ট সাউথইস্ট ক্যাপিটাল সার্ভিসেস নামক মার্চেন্ট ব্যাংকের কর্মকর্তারা শেয়ার কারসাজির চক্র ও নিজের স্বার্থে ব্যবহার করছেন।
এমনই আরেক অ্যাকাউন্ট শেখ মো. নাজমুল হোসেনের (বিও ১৬০৫৫৩০০৪৭৪৩৪৩৫১)। এই মার্জিন অ্যাকাউন্টে ১৬ লাখ টাকা জমা করে এখনও এক টাকাও তোলেননি তিনি। ২০১৮ সালের শেষে এ অ্যাকাউন্টে যেখানে মূলধনি লোকসান ছিল ৮১ লাখ টাকা, গত সেপ্টেম্বর শেষে বেড়ে ২ কোটি ৬৭ লাখ টাকা ছাড়িয়েছে। এ অ্যাকাউন্টে ৬১ টাকা দরে আরএসআরএম স্টিলের শেয়ার কিনে ৪৮ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। গত সেপ্টেম্বর শেষে প্রগতি লাইফ ও ক্রিস্টাল ইন্স্যুরেন্সের পৌনে ৫ কোটি টাকার শেয়ার এখন ৩ কোটি ৯০ লাখে নেমেছে। অ্যাকাউন্টটিতে বিডিকম, আইপিডিসি, ফরচুন সুজ, জেনেক্স ইনফোসিস, সোনালি পেপার, প্রগতি লাইফ এবং ক্রিস্টাল ইন্স্যুরেন্সের শেয়ার ক্রমাগত কেনাবেচা করা হয়েছে, যার সবকটি নিয়ে কারসাজি করেন আবুল খায়ের হিরো।
একই তথ্য মিলেছে হেলাল উদ্দিন তালুকদারের (বিও নং- ১৬০৫৫৩০০৪৭৪৩৬৯৭১) অ্যাকাউন্টে। ২০১৮ সালের শেষে তাঁর পোর্টফোলিওতে থাকা মাত্র ৪৩ হাজার টাকার শেয়ার এবং ৪৭ লাখ টাকার মূলধনি লোকসান ছয় বছর পর প্রায় ৭ কোটি টাকায় উন্নীত হয়। সীমান্ত বিশ্বাস নামে এক অ্যাকাউন্টের ২০১৮ সালের শেষে পোর্টফোলিওতে মাত্র ১৬ লাখ টাকার শেয়ারের বিপরীতে ২১ লাখ টাকার মূলধনি লোকসান ছিল। ছয় বছর পর প্রগতি লাইফ এবং ক্রিস্টাল ইন্স্যুরেন্সের সাড়ে ৫ কোটি টাকার শেয়ার থাকার পরও মূলধনি লোকসান সাড়ে ৩ কোটি ৪২ লাখ টাকায় উন্নীত হয়েছে।
আলোচিত-সমালোচিত ক্রিকেটার সাকিব আল হাসানের নামে এই মার্চেন্ট ব্যাংকেও একটি অ্যাকাউন্ট আছে। গত বছরের শেষে এ অ্যাকাউন্টে মূলধনি লোকসান ছিল ৬০ লাখ টাকা, যা এখন ২ কোটি টাকা। তালিকাভুক্ত কোম্পানি জেনেক্স ইনফোসিসেরও একটি বিও অ্যাকাউন্ট আছে। কোম্পানিটি ১১ কোটি ১০ লাখ টাকা জমা করে এখন পর্যন্ত এক টাকাও তোলেনি। তার পরও গত বছরের শেষে নিজস্ব মূলধন কমে ৭ কোটি ৪১ লাখ টাকা নেমেছিল। এখন অ্যাকাউন্টটির মূলধনি লোকসান সাড়ে ৫ কোটি টাকা। অর্থাৎ গত ১০ মাসেই প্রায় ১৩ কোটি টাকা লোকসান হয়েছে।
গ্রাহক হেলাল উদ্দিন জানান, গত ১০ বছরের বেশি সময় এ অ্যাকাউন্টে নিজে কেনাবেচা করেননি। রাজীব নামে এক অফিসার আবুল খায়ের হিরোর সঙ্গে মিলে কারসাজির শেয়ার কেনাবেচা করেন বলে শুনেছেন।
বিএসইসিকে মিথ্যা তথ্য
অনুসন্ধানে জানা গেছে, ২০২৩ সালের ডিসেম্বর শেষে মার্চেন্ট ব্যাংকটির মার্জিন ঋণ গ্রহণকারী পাঁচ শতাধিক গ্রাহকের অ্যাকাউন্টে মূলধনি লোকসান ছিল ৩৯৫ কোটি টাকা। যদিও সম্প্রতি বিএসইসিকে লিখিতভাবে মার্চেন্ট ব্যাংকটি জানিয়েছে, ২৭২ গ্রাহক অ্যাকাউন্টে মূলধনি লোকসান ছিল মাত্র ৭৯ কোটি টাকা।
অথচ সাউথইস্ট ব্যাংকের ২০২৩ সালের বার্ষিক প্রতিবেদনেই উল্লেখ আছে, ওই বছরের শেষে মার্চেন্ট ব্যাংকটি বহু মার্জিন ঋণ গ্রাহক অ্যাকাউন্টে মূলধনি লোকসানের বিপরীতে ৬ কোটি ৯০ লাখ টাকা প্রভিশন করেছে, যা মূলধনি লোকসানের ৫ শতাংশ। এ হিসাবে মূলধনি লোকসান ছিল ১৩৮ কোটি টাকা। আবার ২০২২ সালের ১৫ শতাংশ হিসাবে ১৮ কোটি টাকা প্রভিশন করায়, ওই বছর মূলধনি লোকসান ছিল ১২১ কোটি টাকা।
মূলধনি লোকসান বিষয়ে বিএসইসিকে কেন মিথ্যা তথ্য দেওয়া হয়েছে– জানতে চাইলে মার্চেন্ট ব্যাংকটির এমডি এবং সিওও কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি। তাদের দাবি, মিথ্যা নয়, গ্রাহকদের দেওয়া ঋণের বিপরীতে অর্জিত সুদ বাদে তথ্য দেওয়া হয়েছে। তবে সমকালের অনুসন্ধানে জানা গেছে, সুদ ছাড়াই গ্রাহকদের অ্যাকাউন্টে মূলধনি লোকসানের পরিমাণ ১৬০ কোটি টাক
লোকসানি অ্যাকাউন্ট হিরোর ডাম্পিং গ্রাউন্ড
গ্রাহক আজাদুর রহমানের অ্যাকাউন্ট পর্যালোচনায় দেখা গেছে, ২০২২ সালের ৩০ জুন ৯৩ টাকা দরে ফরচুন শুজের ৬ লাখ ৩৩ হাজার শেয়ার ব্লক মার্কেট থেকে কেনা হয়, যার দাম ছিল ৫ কোটি ৯১ লাখ টাকা। শেয়ারগুলোর বিক্রেতা ছিলেন কাজী সাদিয়া হাসান, যিনি সমবায় অধিদপ্তরের কর্মকর্তা এবং শেয়ারবাজারে কারসাজির অন্যতম হোতা আবুল খায়ের হিরোর স্ত্রী। এর তিন-চার দিন পরই ফরচুন শুজের শেয়ারই একাধিক দিনে শেয়ারপ্রতি ৫ থেকে ৭ টাকা কমে পাবলিক মার্কেটে বিক্রি করা হয়েছে। অর্থাৎ এক লেনদেনেই লোকসান ৩০ লাখ টাকার বেশি। একই বছরের ২৯ মার্চে হিরোর অ্যাকাউন্ট থেকে ফরচুন শুজের সাড়ে তিন লাখ শেয়ার ১৩৬ টাকা দরে মোট পৌনে ৫ কোটি টাকায় কেনা হয়। ওই দিন ৩ লাখ ৬৬ হাজার ৫০০ শেয়ার বিক্রি করা হয় ১৩১ টাকা দরে। এভাবে অ্যাকাউন্টগুলোর লোকসানের পরিমাণ অস্বাভাবিক হারে বেড়েছে। মূলধনি লোকসানি অ্যাকাউন্টগুলোর বেশির ভাগ লেনদেনে ‘কাউন্টার পার্ট’ কারসাজির চক্রের কেউ।
নিজেকে ঋণ দিয়েছে, তাও লোকসানে
রাষ্ট্রীয় বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান আইসিবি থেকে ৩৬ কোটি টাকা ঋণ নিয়ে একটি অ্যাকাউন্ট খুলেছে মার্চেন্ট ব্যাংকটি, যার বিও নম্বর ১৬০৫৫৩০০৬৮৭০৯০৪১। এ ঋণের টাকায় খোলা এ অ্যাকাউন্টে ১৭ কোটি টাকার মার্জিন ঋণ নিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। অর্থাৎ নিজেকেই নিজে ঋণ দিয়েছে। কারসাজির চক্রের সুবিধায় ব্যবহার হওয়ায় এ অ্যাকাউন্টটিও এখন মূলধনি লোকসানি অ্যাকাউন্টের খাতায়। গত আগস্ট শেষে এ অ্যাকাউন্টে মূলধনি লোকসান ছিল আড়াই কোটি টাকা।
মুনাফা দেখাতে বেআইনি লেনদেন
মুনাফা দেখাতে ২০২১ সালের ডিসেম্বরে মার্চেন্ট ব্যাংকটি নিজস্ব পোর্টফোলিও অ্যাকাউন্ট থেকে এশিয়া ইন্স্যুরেন্সের ৩০ লাখ শেয়ার ৮১ টাকা দরে বিক্রি করে প্রায় ১৫ কোটি টাকা মুনাফা দেখায়। ক্রেতা মার্চেন্ট ব্যাংকটির নিজস্ব মার্জিন অ্যাকাউন্টটি। আইন অনুযায়ী, মালিকানা বদল না হওয়ায় এটি লেনদেনযোগ্য নয়। বিষয়টি নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসিও জানত। তবে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।
আত্মীয়ের নামে শেয়ার ব্যবসা
গ্রাহক কোড এস১১৩২৫ অ্যাকাউন্টটি রেশমা খাতুনের। ২০২১ সালের অক্টোবরে চালুর পর অ্যাকাউন্টটিতে নগদ জমা ও চেকের মাধ্যমে ৬ লাখ ৬৬ হাজার টাকা জমা হয়েছে। এ সময় শেয়ার কেনাবেচায় মুনাফা থেকে ২৪ লাখ ৪০ হাজার টাকা তুলে নেওয়া হয়েছে। জানা গেছে, রেশমা খাতুন মার্চেন্ট ব্যাংকটির সিওও হুমায়ূন কবিরের আত্মীয়। গ্রাহক কোড এস৩০০০৫ হলো আবু সায়েম নামের ব্যক্তির, যিনি সম্পর্কে হুমায়ূন কবিরের ভাগনে। এ অ্যাকাউন্টটি মার্জিন কোড না হওয়ার পরও মার্জিন ঋণ দেওয়া হয়েছে। বড় অঙ্কের ঋণ দিয়ে গত বছর এ অ্যাকাউন্টে ইস্টার্ন হাউজিংয়ের শেয়ার কিনে প্রায় ১৯ লাখ টাকা এবং এ বছর প্রগতি লাইফের শেয়ার কিনে ২১ লাখ টাকা মুনাফা হয়। সম্প্রতি এ অ্যাকাউন্টটি বন্ধ করে নতুন করে আরেকটি বিও অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছে। ক্যাশ অ্যাকাউন্ট হওয়ার পরও ঋণ দিয়ে প্রগতি লাইফের শেয়ার কেনা হয়েছে। তাতে মুনাফা হয়েছে অন্তত ১৫ লাখ টাকা।
জানা গেছে, কর্মকর্তা রাজীব আহমেদ শেয়ার ব্যবসা করেন নিকটাত্মীয় তাহমিনা বেগম ও রফিকুল কামাল চৌধুরীর মাধ্যমে। তাহমিনার অ্যাকাউন্টে ৯০ লাখ টাকা জমা দিয়ে মুনাফাসহ তুলে নেওয়া হয়েছে ১ কোটি ৪৭ লাখ টাকা। রফিকুল কামাল চৌধুরীর অ্যাকাউন্টে ৩০ লাখ টাকা জমা দিয়ে তুলে নেওয়া হয়েছে প্রায় ৭৮ লাখ টাকা।
বে লিজিংয়ের কর্মকর্তা মফিজউদ্দিন এ মার্চেন্ট ব্যাংকটিতে বিলকিস বেগম এবং ছেলে ইব্রাহিম খলিলের নামে দুটি বিও অ্যাকাউন্ট খুলে শেয়ার ব্যবসা করেন। বিলকিস বেগমের অ্যাকাউন্টে সাড়ে ৪৪ লাখ টাকা জমা করে এখন পর্যন্ত মুনাফাসহ সাড়ে ৮৪ লাখ টাকা তুলে নিয়েছেন। ইব্রাহিম খলিলের একটি অ্যাকাউন্টে সোয়া ৬ লাখ টাকা জমা করে প্রায় ৩৫ লাখ টাকা এবং অন্য অ্যাকাউন্টে সোয়া ১০ লাখ টাকা জমা করে সাড়ে ১৬ লাখ টাকা তুলে নিয়েছেন। এর বাইরে বহু অ্যাকাউন্ট কর্মকর্তাদের আত্মীয়দের নামে বলে জানা গেছে। এসব অ্যাকাউন্টে ইচ্ছামতো মার্জিন ঋণ দেওয়া হয়েছে।
গ্রাহকের অ্যাকাউন্টে বিশাল অঙ্কের লোকসানের বিপরীতে নিকটাত্মীয়দের নামে অ্যাকাউন্ট খুলে শেয়ার কেনাবেচায় বিপুল মুনাফার বিষয়ে জানতে চাইলে মার্চেন্ট ব্যাংকটির কর্মকর্তারা জানান, তারা কেউ নামে-বেনামে শেয়ার কেনাবেচা করেন না। তবে হুমায়ূন কবির জানান, গ্রাহক বাড়াতে তারা প্রথমে নিজের আত্মীয়কে শেয়ারে বিনিয়োগে অনুরোধ করেন। এমন কিছু অ্যাকাউন্ট থাকতে পারে, যা বেআইনি নয়।
আত্মপক্ষ সমর্থনে দায়িত্বশীলদের ভাষ্য
জানতে চাইলে সাউথইস্ট ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান আলমগীর কবির বলেন, বাংলামটরের রূপায়ণ ট্রেড সেন্টারের ফ্লোর স্পেস কেনায় অনিয়ম হয়নি। তিনি বলেন, রূপায়ণে স্পেস যখন কেনা হয়, তখন এর দাম ৬০ হাজার টাকা (প্রতি বর্গফুট) উঠেছিল বলে শুনেছি। রূপায়ণের মালিক মুকুল সাহেব সম্পর্কের কারণে দাম কিছুটা কম রেখেছেন। রূপায়ণই ৪৪ হাজার টাকার বেশি দরে বিক্রির প্রস্তাব করে চিঠি দেয়, যা দরাদরি কমানো হয়।
গ্রাহকের মূলধনি লোকসানি অ্যাকাউন্টের লোকসান এবং কারসাজি চক্রের সহায়তায় ব্যবহার বিষয়ে আলমগীর কবির বলেন, ব্যবস্থাপনা বিভাগ যে তথ্য দিয়েছে, তার বাইরে জানার কিছু ছিল না। যদি কিছু হয়ে থাকে, তার দায় ব্যবস্থাপনা বিভাগের। তবে শুনেছি, এ প্রতিষ্ঠানের রাজীব নামের ছেলেটি বেশ ‘বদমাইশ’। সে কিছু ‘আকাম-কুকাম’ করেছে বলে কেউ কেউ অভিযোগ করেছে।
তবে পোর্টফোলিও ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে থাকা রাজীব আহমেদ দাবি করেন, তিনি কোনো অনিয়ম করেননি। মূলধনি লোকসানি অ্যাকাউন্টে কেনাবেচা হয়েছে ইনভেস্টমেন্ট কমিটির পরামর্শে, যেখানে এমডি আবু বকর, সিওও হুমায়ূন কবিরসহ আরও অনেকে আছেন। শেয়ার কারসাজি চক্রের হোতা আবুল খায়ের হিরোর সঙ্গে যোগসাজশে নিজে শেয়ার কেনাবেচার অভিযোগও অস্বীকার করেন।
এদিকে, মূলধনি লোকসানি অ্যাকাউন্টে শেয়ার কেনাবেচা হয়ে থাকলে এর দায় হেড অব কমপ্লায়েন্স অফিসার ইবনে রিয়াজের বলে এমডি আবু বকর এবং সিওও হুয়ায়ূন কবির যে দাবি করেন, সে বিষয়ে তাঁর মতামত জানতে মোবাইল নম্বরে ফোন করা হলে প্রথমে রিং হলেও রিসিভ করেননি। পরে ফোন বন্ধ করে দেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন বিভাগের অধ্যাপক ড. আল-আমীন বলেন, মূলধনি লোকসানি গ্রাহকদের অ্যাকাউন্টে শেয়ার কারসাজির জন্য ব্যবহার করার অভিযোগ বহু পুরোনো। তদন্ত হলে থলের বেড়াল বের হয়ে আসবে। শুধু সাউথইস্ট ব্যাংক ক্যাপিটাল সার্ভিসেস নয়, যেসব ব্রোকারেজ হাউস নেগেটিভ ইক্যুয়িটি অ্যাকাউন্ট পুষছে, তাদের বিষয়ে তদন্ত হওয়া প্রয়োজন। samakal.com
southeast bank
যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে জিএসপি সুবিধা পেতে সরকার কাজ করছে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা সেখ বশিরউদ্দীন।
আজ রোববার বাণিজ্য উপদেষ্টার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি দলের সাক্ষাৎ শেষে এ কথা জানান তিনি।
বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, শ্রম আইন যুগোপযোগী করা, সব শ্রমিকের ইউনিয়ন করার সুযোগ দেওয়া, ন্যুনতম মজুরি নিশ্চিত এবং কর্ম পরিবেশ যথাযথ করাসহ ১১ দফা বাস্তবায়ন করার তাগিদ দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
এ সময় বাণিজ্য সচিব বলেন, ‘ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ অন্যান্য দেশের মত যুক্তরাষ্ট্রের বাজারেও শুল্কমুক্ত সুবিধা পেতে চাই। জিএসপি সুবিধা পেতে চাই।’
Amid a severe liquidity crisis and unpaid labour dues, troubled Beximco Group’s Shinepukur Ceramics recently halted operations, bringing the total number of closed ventures of the group to 24.
The group’s inability to open new letters of credit (LCs) for raw material imports has forced its factories to halt production since August this year following the political changeover.
The factory closure issue came to the spotlight as workers of the Beximco Industrial Park, which houses numerous factories, took to the streets in Gazipur yesterday for the fifth day in a row, causing long traffic congestion along the Chandra-Nabinagar Highway.
“Banks are unable to solve the LC problem,” said Osman Kaiser Chowdhury, director (finance and corporate affairs) at Beximco Group. “Now the government needs to intervene to resolve the liquidity crisis and resume production.”
However, Md Ruhul Amin, a central bank executive director recently appointed as the group’s custodian, told The Daily Star yesterday evening that he had not been approached regarding these issues.
He also claimed that Beximco Group does not have any banking problems.
Beximco Group landed in hot water following the arrest of its vice-chairman Salman F Rahman, who served as private sector adviser to ousted Prime Minister Sheikh Hasina. He was also an influential figure in Bangladesh’s financial sector.
Over the past four months since the political changeover in August, 23 ready-made garment (RMG) and textile production units at the Beximco Industrial Park in Gazipur have shut down due to an inability to open LCs for raw material imports.
As a result of the four-month operational suspension, the conglomerate is facing a liquidity crunch and has been unable to pay October salaries to its workers, according to Chowdhury.
He said the 23 RMG and textile factories employ around 40,000 workers, with a monthly salary bill of around Tk 80 crore. During normal operations, Beximco’s textile exports were valued at $30 million per month.
While Beximco was able to pay wages for July, August and September, it currently does not have adequate liquidity to cover October salaries, he said, urging the protesting workers to wait until November 20 for the October payment.
“The total salary amount is huge. It is not possible to abruptly transfer funds from other ventures to clear these dues,” he told The Daily Star.
Chowdhury said they previously considered declaring layoffs but were not allowed to do so by the government due to the large number of employees.
Beximco Group has Tk 23,000 crore in loans with Janata Bank, of which Tk 19,000 crore turned non-performing during the July-September quarter, according to senior bank officials.
The Bank Company Act restricts banks from lending more than 25 percent (10 percent funded and 15 percent non-funded) of their paid-up capital to a single entity.
While Beximco seeks government intervention, Md Anwar Hossain, administrator of the Bangladesh Garment Manufacturers and Exporters Association (BGMEA) and vice-chairman of the Export Promotion Bureau (EPB), believes that the large group should not rely on the government to pay worker salaries.
“If Beximco cannot pay salaries, management should talk to workers to find a mutually agreeable solution,” Hossain said.
He urged the company to clarify its intentions first.
He suggested the company sell its assets to generate liquidity and pay workers’ salaries.
The BGMEA administrator said the government would not assume responsibility for the company. Instead, Beximco management must find a solution to resolve the labour unrest over wages.
Speaking on condition of anonymity, a top official from another venture of the group said their recent situation and the recent appointment of a receiver by the central bank sent negative signals to foreign buyers.
The official said buyers have already inquired about the reasons for the receiver’s appointment.
This could affect the export performance of other Beximco ventures in the near future.
The official commented that the appointment of a receiver usually signals financial insolvency and erodes buyer confidence in the company.
Meanwhile, Beximco receiver Md Ruhul Amin said: “The liquidity crisis has emerged recently, but what about the money the group earned over the years?
“Did they actually loot the money,” he questioned.
The government-appointed custodian of the troubled group said that he would soon visit the factories and meet with management to explore solutions.
Despite a significant year-on-year jump in revenue, Olympic Industries’ profit grew less than 1 per cent to Tk 565 million in the first quarter of FY25 amid much higher operating expenses.
The country’s leading biscuit manufacturer’s earnings per share (EPS) stood at Tk 2.83 for July-September this year from Tk 2.81 for the same quarter a year earlier, according to price-sensitive information published on Tuesday.
The company maintained a gross profit margin of 25.14 per cent during the period under review, compared to 25.76 per cent in the corresponding period of the preceding year.
Sales shot up almost 19 per cent year-on-year to 7.53 billion in the quarter but a big chunk of the revenue earned was wiped out as selling expenditures.
Revenue increased due to effective measures taken to boost sales, said the company in its earnings note.
However, operating expenses escalated 43 per cent year-on-year to Tk 1.22 billion in the quarter through September as selling expenses alone soared 33 per cent year-on-year to Tk 1.05 billion during the time.
The net operating cash flow per share, which indicates a company’s ability to generate cash from its operations, stood at Tk 3.08 per share for July-September this year, down from Tk 4.42 in the same quarter last year.
The cash flow declined due to higher payments to suppliers of materials and higher advance income tax payments, said the company.
Company secretary Mintu Kumar Das could not be reached for comments.
ANNUAL FINANCIAL PERFORMANCE
Olympic Industries secured an 18 per cent growth in profit to Tk 1.83 billion in FY24 over the previous year, riding on higher sales and efficient cost management.
The company’s annual sales rose slightly by 0.54 per cent year-on-year to Tk 25.93 billion in FY24, despite persisting macroeconomic challenges and high inflationary pressure.
Higher sales and significantly lower finance costs, largely due to lower impact from currency devaluation, helped the company secure a profit growth.
The board of directors recommended a 10 percent cash dividend for FY24, whereas the company paid a record 60 per cent cash dividend for the year before.
That means the company will pay Tk 1 for each share from a profit of Tk 9.17 per share in the year. It, however, did not say why such a low dividend was recommended.
EBL Securities, in its equity note on Olympic, stated that the company had made significant investments to enter major segments such as instant noodles, dry cakes, soft cakes, chocolate-enrobed wafers, filled candies, toffees, toasts, and savory snacks.
These investments clearly point to the company’s expansion strategy, EBL noted.
Meanwhile, the stock rose 1.67 per cent to close at Tk 152.5 per share on the Dhaka bourse on Tuesday. thefinancialexpress.com.bd