ক্যাপিটাল গেইনের উপর কর আরোপ করলে তা বিনিয়োগকারীদের জন্য বোঝা হয়ে দাঁড়াবে বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এর চেয়ারম্যান ড. হাফিজ মুহম্মদ হাসান বাবু।
মঙ্গলবার (২৮ মে) রাজধানীর ঢাকা ক্লাবে অনুষ্ঠিত ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের আয়োজিত প্রি-বাজেট সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
ডিএসইর চেয়ারম্যান বলেন, বর্তমানে বাজার পরিস্থিতি এবং করোনা মহামারির প্রভাব বিবেচনা করে এবং বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সংকটে কারণে এ ধরণের করের হার বর্তমানে ০.০৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে পুনঃনির্ধারণ করা প্রয়োজন। উৎসে লভ্যাংশ আয়ের উপর কর সম্পূর্ণ এবং চূড়ান্ত নিষ্পত্তি হিসাবে বিবেচনা করা এবং লভ্যাংশ প্রাপ্তির প্রথম পঞ্চাশ হাজার টাকা পর্যন্ত কর ছাড়ের প্রস্তাব করছি।
হাসান বাবু বলেন, লভ্যাংশ আয়ের উপর উৎস করকে, সঞ্চয় পত্রের মুনাফার উপর কর উৎসে কর্তনকৃত করের ন্যায় চূড়ান্ত করাদায় হিসেবে বিবেচনা করা প্রয়োজন। তালিকাভুক্ত কোম্পানির কর্পোরেট কর হার হ্রাস। এই হারের পার্থক্য ৭.৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১০-১২.৫ শতাংশ করার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি।
তিনি বলেন, তালিকাভুক্ত বন্ড থেকে অর্জিত আয় বা সুদের উপর কর অব্যাহতি। জিরো কুপন বন্ডের মতো, স্টক এক্সচেঞ্জের যেকোন বোর্ডের তালিকাভুক্ত যেকোন কর্পোরেট বন্ড থেকে উদ্ভুদ্ধ সুদ/আয় ইস্যুকারি এবং বিনিয়োগকারী নির্বিশেষে কর অব্যাহত বিবেচনা করা যেতে পারে বা সুকুকসহ সব ধরনের বন্ড এবং অ্যাসেট ব্যাকড সিকিউরিটিজ আয়কর আইন, ২০২৩ এর সেকশন ১০৬ থেকে বাদ দেয়া যেতে পারে।
তিনি বলেন, পুঁজিবাজার তথা দেশের সামগ্রিক অর্থনৈতিক উন্নয়নের কথা বিবেচনায় রেখে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের স্টক এক্সচেঞ্জের তালিকাভুক্ত কোম্পানির সিকিউরিটিজ লেনদেন হতে অর্জিত মূলধনী মুনাফার উপর নতুন করে করারোপ না করার এবং হ্রাসের জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি।
source: https://www.arthosuchak.com/archives/844743/
capital gain tax bd bangladesh investor