চকলেট উৎপাদনের সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং কারখানায় আধুনিক প্রযুক্তি সংযোজনের লক্ষ্যে নতুন মূলধনি যন্ত্রপাতি আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজ। গতকাল রোববার কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদের সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের ওয়েবসাইটে দেওয়া ঘোষণায় এ তথ্য জানিয়েছে অলিম্পিক। বলা হয়েছে, নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের লোলাতি কারখানায় নতুন এই আধুনিক যন্ত্রপাতি স্থাপন করা হবে। মোট ১৩ কোটি ৬৬ লাখ ৪০ হাজার টাকায় এসব যন্ত্রপাতি হংকংভিত্তিক প্রতিষ্ঠান এম/এস লিংক সোর্সিং লিমিটেড থেকে কেনা হবে। এসব যন্ত্রের বার্ষিক উৎপাদন সক্ষমতা ৩ হাজার ৩০০ মেট্রিক টন।
এসব অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি স্থাপন করে কারখানার উৎপাদন সক্ষমতা বৃদ্ধির মাধ্যমে বাজারে উচ্চমানের চকলেটপণ্যের চাহিদা পূরণ করতে চায় অলিম্পিক। এতে চকলেটের ক্রমবর্ধমান বাজারে অলিম্পিকের অবস্থান আরও শক্তিশালী হবে বলে কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদ মনে করছে।
এই কৌশলগত বিনিয়োগ কোম্পানির দীর্ঘমেয়াদি প্রবৃদ্ধি ও মুনাফা বৃদ্ধিতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। কোম্পানির পর্ষদের ধারণা, নতুন যন্ত্রপাতি শুধু উৎপাদন সক্ষমতা বৃদ্ধিই নয়, পণ্যের গুণগত মান উন্নত করতেও সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।
গত এক বছরে অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজের শেয়ারের সর্বোচ্চ দাম ছিল ২১৯ টাকা এবং সর্বনিম্ন দাম ছিল ১১৬ টাকা ৩০ পয়সা। এ ছাড়া ২০২৪ সালে কোম্পানিটি ১০ শতাংশ, ২০২৩ সালে ৬০ শতাংশ, ২০২২ সালে ৪৫ শতাংশ, ২০২১ সালে ৫৪ শতাংশ ও ২০২০ সালে ৫২ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে।
১৯৭৯ সালে যাত্রার শুরুতে কোম্পানিটির নাম ছিল বেঙ্গল কার্বাইড লিমিটেড। ১৯৯৬ সালে নাম বদল করে হয় অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড। সেই বছর থেকে বিস্কুট ও কনফেকশনারি ব্যবসায় নাম লেখায় প্রতিষ্ঠানটি। তাতে সাফল্যও আসে কয়েক বছরে। এরপর ব্যবসার পরিধি বেড়েছে। যুক্ত হয়েছে নতুন নতুন পণ্য ও উৎপাদন লাইন। এর আগে ১৯৮৭ সালে কোম্পানিটি তাদের সহযোগী প্রতিষ্ঠান বেঙ্গল ফুডসের নামে সয়াবিন তেল ও ভেজিটেবল ঘি বাজারে আনে।
বাজারে অলিম্পিকের ব্যাটারিও পাওয়া যায়। তবে এখন খাদ্যপণ্য থেকে কোম্পানিটি সিংহভাগ রাজস্ব আয় করে। https://www.prothomalo.com/business/market/w4bgdhxsar
Olympic Industries Bangladesh BD