গাজীপুর সিটির কোনাবাড়ী জরুন এলাকার কেয়া গ্রুপের পাঁচটি কারখানা বন্ধের পর আরও দুইটি কারখানা স্থায়ী বন্ধ ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ। বর্তমান বাজার অস্থিতিশীলতা, ব্যাংকের সঙ্গে হিসাবের অমিল, কাঁচামাল ও অপর্যাপ্ততা এবং ফ্যাক্টরি উৎপাদন কার্যক্রম অপ্রতুলতার কারণ দেখিয়ে কারখানা কর্তৃপক্ষ এ ঘোষণা দেন।
কেয়া গ্রুপের একমাত্র কসমেটিক্স ইউনিট ছাড়া অন্য কারখানাগুলো বন্ধ ঘোষণা করায় আগামী মে মাসে প্রায় ১০ হাজার শ্রমিক-কর্মচারী বেকার হয়ে পড়বে।
মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) বিকেলে প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক, ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও কেয়া কসমেটিকস লিমিটেডের চেয়ারম্যানের (নিট কম্পোজিট ডিভিশন) সই করা একটি নোটিশ কারখানার প্রধান ফটকে সাঁটিয়ে দেওয়া হয়।
নোটিশে বলা হয়, কেয়া কসমেটিকস লি. (নিট কম্পোজিট ডিভিশন) ডাইং ও ইউটিলিটি বিভাগের (জরুন, কোনাবাড়ি, গাজীপুর) সব শ্রমিক কর্মকর্তা-কর্মচারীর অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, বর্তমান বাজার অস্থিতিশীলতা, ব্যাংকের সঙ্গে হিসাবের অমিল, কাঁচামাল ও অপর্যাপ্ততা, এবং ফ্যাক্টরি উৎপাদন কার্যক্রম অপ্রতুলতার কারণে আগামী ২০শে মে কারখানার সকল কার্যক্রম স্থায়ীভাবে বন্ধ ঘোষণা করা হলো। শ্রমিক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বাংলাদেশ শ্রম আইনের বিধি অনুযায়ী সব পাওনা কারখানা বন্ধের ৩০ কর্ম দিবসের মধ্যে পরিশোধ করা হবে।
কারখানা স্থায়ীভাবে বন্ধ ঘোষণার খবরে বিভিন্ন সেকশনে কর্মরত প্রায় সাত শতাধিক শ্রবণ ও বাক প্রতিবন্ধী কারখানা খোলার দাবিতে প্রধান ফটকে বিক্ষোভ করে। পরে তারা সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার সময় কেয়া গ্রুপের সামনে সাজু মার্কেটে একত্রিত হয়ে কারখানা খোলার দাবিতে গণসই নেন।
এর আগে গত ৩১ ডিসেম্বর একই কারণ দেখিয়ে কেয়া গ্রুপের নিট কম্পোজিট গার্মেন্টস ডিভিশন, নিটিং বিভাগ, স্পিনিং ডিভিশন, কটন ডিভিশন ও কেয়া ইয়ার্ন মিলস লিমিটেড কারখানা পহেলা মে থেকে স্থায়ীভাবে বন্ধ ঘোষণা করে।
এ বিষয়ে কেয়া গ্রুপের মানবসম্পদ বিভাগের ব্যবস্থাপক সাবিনা ইয়াসমিন বলেন, মূলত ব্যাংকিং সমস্যার কারণে এবং এলসি করতে না পারায় কেয়া কসমেটিকস ছাড়া কেয়া গ্রুপের সবগুলো কারখানা বন্ধ ঘোষণা করতে হয়েছে। তবে চেয়ারম্যান আব্দুল খালেক পাঠান বলেছেন, ব্যাংকের জটিলতা বা সমস্যার সমাধান হলে তিনি আবারও কারখানাগুলো খুলে দিতে চান। এই গ্রুপের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে প্রায় ১০ হাজার শ্রমিক কর্মচারীর মধ্যে এক হাজার হলেন দৃষ্টি ও শ্রবণ প্রতিবন্ধী। https://ekattor.tv
keya cosmetics ltd company bangladesh