শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত মেঘনা পেট্রোলিয়ামের ভ্যাট হিসাবে গরমিল পেয়েছে নিরীক্ষক। নিরীক্ষক বলছে যে, কোম্পানিটিতে ফিন্যান্সিয়াল রিপোর্টিং কাউন্সিলের (এফআরসি) নির্দেশনা পরিপালন করা হয়নি।
নিরীক্ষক জানিয়েছেন, মেঘনা পেট্রোলিয়াম কর্তৃপক্ষ ২০২৩-২৪ অর্থবছরের আর্থিক হিসাবে সরকার ১৩৩ কোটি ৮৫ লাখ ২৭ হাজার টাকা ভ্যাট বাবদ পাওনা রয়েছে বলে উল্লেখ করেছে। তবে রাষ্ট্রায়ত্ত্ব প্রতিষ্ঠানটির ভ্যাট রিটার্নের (মূশক ৯.১)-এ সঙ্গে পাওনা হিসাবের ৭৯ হাজার টাকার গরমিল পাওয়া গেছে।
নিরীক্ষক আরও জানিয়েছে, মেঘনা পেট্রোলিয়ামে শেয়ার মানি ডিপোজিট হিসেবে ১১ কোটি ৬০ লাখ ৬২ হাজার টাকা রয়েছে। তবে ফিন্যান্সিয়াল রিপোর্টিং কাউন্সিলের (এফআরসি) নির্দেশনা অনুসারে, শেয়ার মানি ডিপোজিট হিসেবে অর্থ গ্রহণের ৬ মাসের মধ্যে সেই অর্থ শেয়ার ক্যাপিটালে রুপান্তর (কনভার্ট) করতে হয়। যা না করে এফআরসির নির্দেশনা লঙ্ঘন করা হয়েছে।
এদিকে কোম্পানিটির আগের অর্থবছরের তুলনায় ২০২৩-২৪ অর্থবছরে নগদ প্রবাহের অবস্থা খুবই খারাপ হয়েছে বলে জানিয়েছে নিরীক্ষক। আগের অর্থবছরের শেয়ারপ্রতি ১০০.০৭ টাকার পরিচালন নগদ প্রবাহ (এনওসিএফপিএস) ২০২৩-২৪ অর্থবছরে হয়েছে ঋণাত্মক (৪৬.১৭) টাকা।
তবে কোম্পানিটির ৪০.৮৬ টাকার শেয়ারপ্রতি মুনাফা বেড়ে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে হয়েছে ৫০.১১ টাকা।
উল্লেখ্য, শেয়ারবাজারে ২০০৭ সালে তালিকাভুক্ত হওয়া মেঘনা পেট্রোলিয়ামের পরিশোধিত মূলধনের পরিমাণ ১০৮ কোটি ২২ লাখ টাকা। এরমধ্যে শেয়ারবাজারের বিভিন্ন শ্রেণির (উদ্যোক্তা/পরিচালক ব্যতিত) বিনিয়োগকারীদের মালিকানা ৪১.৩৩ শতাংশ। doinik janakontho.com