এমজেএল বাংলাদেশ পিএলসি পুরনো ট্যাংকার ভেসেল এমটি ওমেরা লিগ্যাসি প্রতিস্থাপন করতে একটি আফ্রাম্যাক্স অয়েল ট্যাংকার কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
এমজেএল বাংলাদেশ পিএলসি পুরনো ট্যাংকার ভেসেল এমটি ওমেরা লিগ্যাসি প্রতিস্থাপন করতে একটি আফ্রাম্যাক্স অয়েল ট্যাংকার কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। গতকাল কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদের ১৪১তম সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
তথ্য অনুসারে, আফ্রাম্যাক্স অয়েল ট্যাংকারটি এর আগে ব্যবহৃত হয়েছে অর্থাৎ সেকেন্ড হ্যান্ড। ট্যাংকারটির ধারণক্ষমতা হবে প্রায় ১ লাখ ১৫ হাজার ডেডওয়েট টন (ডিডব্লিউটি)। এটির বয়স হবে আনুমানিক ১২-১৩ বছর। এর মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৪ কোটি ৫০ লাখ থেকে ৪ কোটি ৭০ লাখ মার্কিন ডলার। গতকালের মুদ্রা বিনিময় হার অনুসারে, প্রতি ডলার ১২০ টাকা দরে যা দাঁড়ায় ৫৪০-৫৬০ কোটি টাকা।
চলতি ২০২৪-২৫ হিসাব বছরের প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) প্রতিষ্ঠানটির মুনাফা বেড়েছে ২৭ শতাংশ। আলোচ্য প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি সমন্বিত আয় (ইপিএস) হয়েছে ৩ টাকা ৪৩ পয়সা, আগের বছর একই সময়ে যা ছিল ২ টাকা ৭০ পয়সা। গত ৩০ সেপ্টেম্বর শেষে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৫১ টাকা ৪৬ পয়সায়।
কোম্পানিটির পর্ষদ ২০২৩-২৪ হিসাব বছরে বিনিয়োগকারীদের জন্য ৫২ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। আলোচ্য হিসাব বছরে এমজেএল বাংলাদেশের সমন্বিত ইপিএস হয়েছে ৮ টাকা ৭১ পয়সা, আগের হিসাব বছরে যা ছিল ৮ টাকা ৭৩ পয়সা। গত ৩০ জুন শেষে কোম্পানিটির সমন্বিত এনএভিপিএস দাঁড়িয়েছে ৪৮ টাকা ৩ পয়সায়।
এদিকে ঘোষিত লভ্যাংশ ও অন্যান্য এজেন্ডায় বিনিয়োগকারীদের অনুমোদন নিতে আগামী ১৯ ডিসেম্বর বেলা ১১টায় ডিজিটাল প্লাটফর্মে বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) আহ্বান করা হয়েছে। এ-সংক্রান্ত রেকর্ড ডেট ছিল ১৭ নভেম্বর।
সমাপ্ত ২০২২-২৩ হিসাব বছরের এমজেএল বাংলাদেশ বিনিয়োগকারীদের ৫০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। আলোচ্য হিসাব বছরে কোম্পানিটির সমন্বিত ইপিএস হয়েছে ৮ টাকা ৭৩ পয়সা, আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ৬ টাকা ৩৬ পয়সা। গত বছরের ৩০ জুন শেষে কোম্পানিটির সমন্বিত এনএভিপিএস দাঁড়িয়েছে ৪৪ টাকা ২৭ পয়সায়।
২০২১-২২ হিসাব বছরে বিনিয়োগকারীদের ৫০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে এমজেএল বাংলাদেশ। আলোচ্য হিসাব বছরে কোম্পানিটির সমন্বিত ইপিএস হয়েছে ৬ টাকা ৩৬ পয়সা, আগের হিসাব বছরে ছিল ৭ টাকা ৫৩ পয়সা। ৩০ জুন ২০২২ শেষে কোম্পানিটির সমন্বিত এনএভিপিএস দাঁড়ায় ৪০ টাকা ৫৫ পয়সায়, যা আগের বছর শেষে ছিল ৩৯ টাকা ৬৯ পয়সা।
২০১১ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত এমজেএল বাংলাদেশের অনুমোদিত মূলধন ১ হাজার কোটি ও পরিশোধিত মূলধন ৩১৬ কোটি ৭৫ লাখ ২০ হাজার টাকা। রিজার্ভে রয়েছে ৮৮৩ কোটি ৫৪ লাখ টাকা। কোম্পানির মোট শেয়ার সংখ্যা ৩১ কোটি ৬৭ লাখ ৫২ হাজার ২৭। এর ৭১ দশমিক ৫২ শতাংশ রয়েছে উদ্যোক্তা পরিচালকদের কাছে। এছাড়া প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের হাতে ২১ দশমিক ৭০ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে বাকি ৬ দশমিক ৭৮ শতাংশ শেয়ার রয়েছে। গত এক বছরে কোম্পানিটির শেয়ারের দর ৬৭ টাকা ৩০ পয়সা থেকে ১০৭ টাকার মধ্যে ওঠানামা করেছে। bonikbarta.com
MJL bangladesh