শেয়ারবাজারে এসএমই মার্কেটে তালিকাভুক্ত হিমাদ্রির পরিশোধিত মূলধন মাত্র ২ কোটি ৬৩ লাখ টাকা। ওভার দ্যা কাউন্টার মার্কেট (ওটিসি) থেকে এসএমইতে তালিকাভুক্ত হওয়ার পর থেকেই শেয়ারটি নিয়ে চলছে কারসাজি।
ধারাবাহিক কারসাজির ছোঁয়ায় ৩৫ টাকার শেয়ারটি ৮ হাজার ৯৪১ টাকায় উঠে যায়। অথচ কোম্পানিটিতে পরিশোধিত মূলধনের কয়েকগুণ সম্পদের অস্তিত্ব খুঁজে পায়নি নিরীক্ষক। আর্থিক প্রতিবেদনে রয়েছে আরও অনেক অভিযোগ।
নিরীক্ষক জানিয়েছেন, হিমাদ্রির আর্থিক হিসাবে ৯ কোটি ৮০ লাখ টাকার অস্পর্শনীয় সম্পদ দেখানো হয়েছে। তবে নিরীক্ষক এই সম্পদের বাস্তবতা খুঁজে পায়নি।
নিরীক্ষক বলেছেন, কোম্পানিটি কর্তৃপক্ষ বিতর্কিত ওই সম্পদ দেখালেও তার উপর অবচয় চার্জের পলিসি গ্রহণ করেনি।
এদিকে কোম্পানি কর্তৃপক্ষ আর্থিক হিসাবে ৪৭ লাখ টাকার ক্যাপিটাল রিজার্ভ দেখিয়েছে। এই সম্পদের সত্যতাও পায়নি নিরীক্ষক। যে সম্পদ নিয়ে কোন বিস্তারিত তথ্য নেই বলে জানিয়েছেন নিরীক্ষক।
অন্যদিকে, শ্রম আইনকে তোয়াক্কা করছে না হিমাদ্রি কর্তৃপক্ষ। কোম্পানিটিতে ওয়ার্কার্স প্রফিট পার্টিসিপেশন ফান্ডে (ডব্লিউপিপিএফ) ৭৭ লাখ টাকা থাকলেও তা বিতরণ করেনি।
অথচ ২০০৬ সালের শ্রম আইনের ২৩২ ধারা অনুযায়ি, ওয়ার্কার্স প্রফিট পার্টিসিপেশন ফান্ড (ডব্লিউপিপিএফ) গঠন করা এবং তা পরবর্তী ৯ মাসের কর্মীদের মধ্যে বিতরন করা বাধ্যতামূলক।
কিন্তু হিমাদ্রি কর্তৃপক্ষ ২০২২-২৩ অর্থবছরের ব্যবসায় তা না করে কর্মীদেরকে ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত করেছেন।
উল্লেখ্য, ২০২১ সালে ওটিসি থেকে এসএমই মার্কেটে তালিকাভুক্ত হওয়া হিমাদ্রির পরিশোধিত মূলধনের পরিমাণ ২ কোটি ৬৩ লাখ টাকা। এরমধ্যে ৩৪.২৮ শতাংশ মালিকানা রয়েছে শেয়ারবাজারের বিভিন্ন শ্রেণীর (উদ্যোক্তা/পরিচালক ছাড়া) বিনিয়োগকারীদের হাতে। কোম্পানিটির মঙ্গলবার (০২ জুলাই) শেয়ার দর দাঁড়িয়েছে ২৩৮৭.৯০ টাকায়।
Himadri Speciality Chemical Limited bangladesh bd