January 20, 2025 5:08 pm
Home Featured পাঁচ দিন পর ঊর্ধ্বমুখী পুঁজিবাজারের সূচক

পাঁচ দিন পর ঊর্ধ্বমুখী পুঁজিবাজারের সূচক

by fstcap

দিনভর ওঠা নামা শেষে পাঁচ দিন পর ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে; লেনদেনও বেড়েছে সামান্য।

রোববার সপ্তাহের প্রথম দিন প্রথম পৌনে দুই ঘণ্টার লেনদেন শেষে ৪ পয়েন্ট হারায় প্রধান সূচক ডিএসইএক্স। এরপর শেয়ার হাতবদল বাড়তে থাকলে শেষ বেলায় ১১ পয়েন্ট যোগ হয়ে চূড়ান্ত সূচক দাঁড়ায় ৫ হাজার ১৪৫ পয়েন্টে।

আগের দিন সূচক ছিল ৫ হাজার ১৩৩ পয়েন্ট। সূচকে সবশেষ ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা দেখা যায় গত ৯ জানুয়ারি।

গত বৃহস্পতিবার সূচক পুনর্গঠন করে ডিএসই। এতে যুক্ত হয় নতুন ৮৭টি কোম্পানি; বাদ পড়ে ১৪টি। যোগ-বিয়োগের পর ডিএসইসির সূচক গণনায় কোম্পানির সংখ্যা দাঁড়ায় ৩২৬টি, আগে ছিল ২৫৩টি।

বাদ পড়ার তালিকায় উল্লেখযোগ্য কোম্পানির মধ্যে রয়েছে বেক্সিমকো লিমিটেড, ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি, হাইডেলবার্গ সিমেন্ট বাংলাদেশ, সী পার্ল, প্যারামাউন্ট টেক্সটাইল, জেনেক্স ইনফোসিস, ওরিয়ন ফার্মা, লিন্ডে বাংলাদেশ ও সামিট পাওয়ার।

তালিকায় যুক্ত হওয়া কোম্পানির মধ্যে রয়েছে এবি ব্যাংক, এসিআই, একটিভ ফাইন, ব্যাংক এশিয়া, এনভয় টেক্সটাইল, মুন্নু ফেব্রিক্স, রিং শাইন ও রানার অটো।

ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সভাপতি সাইফুল ইসলাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “সূচক পুনর্গঠন তো রুটিন কাজ। এর চেয়ে জরুরি হল বাজারে সুপারভিশনটা বাড়ানো।”

ছয় মাস পরপর সূচক পুনর্গঠন করে ডিএসই। যেসব কোম্পানির ছয় মাসের দৈনিক গড় লেনদেন ১০ লাখ টাকা এবং লেনদেনযোগ্য শেয়ারের পরিমাণ ১০ কোটি টাকা থাকে, সেগুলো নিয়ে ডিএসইএক্স সূচক নির্ধারণ করা হয়।

অন্যদিকে তালিকাভূক্ত কোম্পানি, মিউচুয়াল ফান্ড ও বন্ডের মোট বাজার মূলধন নিয়ে হিসাব করা হয় ডিএসইএর মোট মূলধন। বাজার মূলধনের বাইরে রাখা হয় লেনদেন অযোগ্য, লক ইন ও নিষেধাজ্ঞার আওতায় থাকা শেয়ার।

সবশেষ গত বৃহস্পতিবার ডিএসইর বাজার মূলধন ছিল ছয় লাখ ৫৬ হাজার ৯৪০ কোটি ৩১ লাখ টাকা।

রোববার দিন শেষে বাজার মূলধন দাঁড়ায় ছয় লাখ ৫৮ হাজার ৩৮৫ কোটি ৬৮ লাখ টাকা। একদিনের ব্যবধানে বাজার মূলধন বাড়ল এক হাজার ৪৪৫ কোটি ৩৭ লাখ টাকা।

দিন শেষে সূচক বাড়লেও লেনদেন আগের ছকেই রয়ে গেছে। এদিন ডিএসইতে মোট লেনদেন হয় ৩৬৮ কোটি টাকা । আগের দিন লেনদেন হয় ৩৬৩ কোটি ৬৮ লাখ টাকা।

ডিএসইর লেনদেন তথ্য অনুযায়ী, লেনদেনে আসা ৩৯৬টির মধ্যে দর বেড়েছে ১৭২টির, কমেছে ১৬০টির এবং আগের দরে লেনদেন হয় ৬৪টি কোম্পানির শেয়ার। ওষুধ ও রসায়ন এবং বস্ত্র ও ব্যাংক খাতের শেয়ার ডিএসইর সার্বিক লেনদেনে শীর্ষে উঠে আসে।

দিন শেষে সবচেয়ে বেশি দর বাড়ে এডিএন টেলিকম, শিকদার ইন্স্যুরেন্স ও ইসলামী কমার্শিয়াল কোম্পানির শেয়ার। অন্যদিকে দর হারানোর শীর্ষে চলে আসে পাওয়ার গ্রিড বাংলাদেশ। এদিন সার্কিট ব্রেকার না থাকায় একদিনেই ১৫ দশমিক ৯০ শতাংশ মূল্য হারায় কোম্পানিটির শেয়ার। দর হারানোতে পরের অবস্থানে রয়েছে মিডল্যান্ড ব্যাংক ও রেনউইক যজ্ঞেশ্বর।    https://bangla.bdnews24.com

 

sharebazar stockmarket

You may also like