The bank approved the un-audited financial statement for the January-September period at a board meeting held today (28 October).
According to the statement, its consolidated net profit jumped by 74% during the period, compared to the same period last year.
At the end of September, its consolidated earnings per share stood at Tk4.92, which was Tk2.97 a year ago.
Pubali Bank, a private sector lender, reported an impressive 43% growth in its consolidated profit, reaching Tk877 crore in the first nine months of 2024.
This growth was largely driven by a significant rise in investment income, commissions, exchange, and brokerage, as well as an increase in interest income, according to a disclosure published on the stock exchange’s website yesterday (24 October).
The bank’s consolidated operating income surged by approximately 49.75% to Tk1,796 crore during the January-September period of 2024.
As a result of this significant profit growth, Pubali Bank’s shares increased by 9.64% to Tk27.30 apiece at the Dhaka Stock Exchange.
With this growth, Pubali Bank’s nine-month profit surpassed its total annual profit for 2023, which stood at Tk695 crore.
However, the full quarterly report for the nine-month period has yet to be published on its website.
According to its half-yearly report for 2024, the bank had total consolidated investments of Tk17,147 crore, of which Tk14,019 crore was invested in government securities and bonds, while the rest was allocated to stocks and bonds issued by private banks.
Pubali Bank’s consolidated net asset value rose to Tk5,600 crore, driven by growth in retained earnings, paid-up capital, statutory reserves, and the revaluation of government securities.
Its NAV stood at Tk4,708 crore in the first nine months of 2023, according to its financials.
Additionally, its consolidated net operating cash flow per share reached Tk7.30, a notable improvement from the negative Tk2.27 recorded during the same period in 2023. tbsnews.net
The banking sector in Bangladesh, once facing a liquidity crisis, is now seeing a surplus, holding Tk 1.90 trillion in excess liquidity, according to the Bangladesh Bank (BB).
This shift is being attributed to a rise in depositor confidence following the recent political changes in the country.
Despite the renewed trust, private credit growth has slowed to 9.46 per cent year-on-year in August 2024, contributing to the increased liquidity within the banks.
The central bank’s latest data indicates that 46 banks — comprising four Sharia-based and 42 conventional institutions — currently have excess liquidity.
Among these, Sonali Bank stands out as the top holder of surplus funds, followed by Agrani Bank, Rupali Bank, Janata Bank and the Bangladesh Development Bank (BDBL).
The BB noted that depositors are showing a marked preference for public sector banks over private institutions, as they perceive them to offer greater security for their hard-earned money.
This shift has driven a surge in deposits at public banks.
Conversely, the situation in several Sharia-based banks remains less favourable.
Following the acquisition of multiple banks by large conglomerates such as the S Alam Group, a number of depositors withdrew their funds from these institutions.
Allegations of large-scale loan defaults involving groups like S Alam, Beximco, and Sikder Group have left some Sharia-based and conventional banks struggling with liquidity shortages.
However, the broader banking sector remains stable, with most banks retaining sufficient liquidity for investment, as noted by a senior BB official.
Policy Impact on Private Credit
The vice president of the Bangladesh Association of Banks (BAB), Muhahhad Abdul Mannan, explained that the drop in private credit growth can be attributed to the BB’s contractionary monetary policy, aimed at controlling inflation.
Higher interest rates and fluctuations in the exchange rate of the local currency have also discouraged entrepreneurs from seeking new investment opportunities. This has led many banks to redirect their excess liquidity into government bonds and bills.
Mannan, who previously served as Managing Director of Islami Bank before its takeover by the S Alam Group in 2017, stressed that banks are turning to safer investments in treasury bills and bonds due to the stagnation in private sector lending.
Banking Sector Stability
Syed Mahbubur Rahman, Managing Director and Chief Executive Officer of Mutual Trust Bank PLC, reiterated that most banks in the country have ample liquidity. The reduction in private sector credit demand has led many to turn to investments in treasury instruments, as per standard banking practices.
Mahbubur Rahman also highlighted that cash in circulation outside of banks is decreasing, while deposits are increasing due to more competitive interest rates being offered.
BB’s Executive Director and spokesperson Husneara Shikha added that stronger financial institutions are supporting weaker banks with financial aid.
As a result, the central bank has ceased printing currency to provide liquidity support to struggling banks, reflecting the sector’s overall stability. thefinancial express
দেশের শরিয়াহভিত্তিক অন্যতম বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংক সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক পিএলসি (এসআইবি পিএলসি)। ১৯৯৫ সালে সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক পিএলসি বা এসআইবিএলের যাত্রা শুরু হয়। ব্যাংকটির বর্তমানে ব্যবস্থাপনা পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) মুহাম্মদ ফোরকানুল্লাহ। ব্যাংকটির বর্তমান অবস্থা, আগামীর পদক্ষেপ সম্পর্কে কথা বলেছেন তিনি। বিস্তারিত….
প্রশ্নঃ নানা প্রতিকূলতার মধ্যে আছে সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক পিএলসি। খাদের কিনারে চলে যাওয়া ইসলামী ধারার এ ব্যাংকটিকে ঘুরে দাঁড়াতে কোন কোন বিষয়গুলো গুরুত্ব দিচ্ছেন। মানসিক প্রস্তুতি নিয়েছেন কীভাবে?
মুহাম্মদ ফোরকানুল্লাহ : এ ব্যাংকে আমি দীর্ঘ ২২ বছর অতিবাহিত করেছি। ফলে দীর্ঘদিন যুক্ত থাকা আমার এ চলার পথে একটি বড় ভূমিকা রেখেছে। আমি ২০০২ সালের জানুয়ারিতে ফাস্ট অ্যাসিস্টেন্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে ব্যাংকে যুক্ত হই। ২২ বছরের পথচলায় ব্যাংকের বিভিন্ন শাখায় কাজ করার সুযোগ হয়েছে। এ ব্যাংকের সঙ্গে আমার আত্মার সম্পর্ক। ফলে শাখাগুলোতে কী ধরনের সমস্যা রয়েছে, কীভাবে গ্রাহকদের সেবা দিতে হবে- তা হাতেকলমে দেখার সুযোগ হয়েছে।
বর্তমানে ব্যাংকে একটি ক্রাইসিস মুহূর্ত চলছে। আমি মনে করি, এ সমস্যার ৫০ শতাংশের বেশি মানব সৃষ্ট এবং বাকি ৫০ শতাংশেরও কম প্রকৃতিগতভাবে তৈরি হয়েছে। সে কারণে শাখা পর্যায়ে নগদ না পাওয়ার পেছনে কী কী ধরনের সমস্যা হতে পারে, কীভাবে এর সমাধান করা যেতে পারে- এটা আমি পর্যালোচনা করেছি। পাশাপাশি আমাদের প্রধান কার্যালয়ে যারা সিনিয়র ম্যানেজার এবং মাঠের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন রয়েছেন- তাদের সঙ্গে আলোচনা করেছি। ব্যাংকের অভিজ্ঞ সব কর্মকর্তা এ ব্যাপারে আমাকে মানসিকভাবে সব ধরনের সহযোগিতা করেছেন।
প্রশ্নঃ বর্তমান সংকট কাটিয়ে উঠতে কী পরিকল্পনা হাতে নিয়েছেন?
মুহাম্মদ ফোরকানুল্লাহ : আমি মনে করি, আমরা যদি বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে তারল্য সহায়তা নেই এবং গ্রাহকদের চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে দিতে থাকি, আগামী দুই বছরেও তাদের চাহিদা পূরণ করতে পারব না। অর্থাৎ আমার ডিপোজিট সব দিয়েও গ্রাহক সন্তুষ্টি আদায় করা যাবে না। এজন্য আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি- আমাদের প্রাথমিক যে ঘাটতি রয়েছে এটা সামাল দিতে আমাদের যত ইউটিলিটি আছে অর্থাৎ যেগুলোর মাধ্যমে নগদ টাকা জমা হয়, সেগুলোর পেছনে আমরা সময় বেশি দিব।
আমরা বেশকিছু পরিকল্পনা হাতে নিয়েছি। এর মধ্যে নগদ জমা বাড়ানোর পাশাপাশি রিকভারি অর্থাৎ মেয়াদোত্তীর্ণ ও খেলাপি বিনিয়োগ থেকে আদায় বাড়ানোর প্রতি বেশি জোর দেয়া হচ্ছে। প্রাথমিকভাবে ১৮টি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সাময়িকভাবে স্থগিত হওয়া বিভিন্ন বিল সংগ্রহের হিসাব যেমন- ডেসকো, তিতাস, পল্লী বিদ্যুৎ, ওয়াসা, বিটিসিএল, বিআরটিএ, ডিপিডিসি, বাখরাবাদ, কর্ণফুলীসহ আরো বেশকিছুর প্রতিষ্ঠানের সেবা দেয়ার মাধ্যমে নগদ আয় বাড়ানো হচ্ছে- যা আমাদের তারল্য সংকট কাটাতে সহায়তা করবে। এছাড়া আরো বেশকিছু কার্যক্রম হাতে নিয়েছি যার মাধ্যমে আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক পুরোদমে ঘুরে দাঁড়াতে সাহায্য করবে। এছাড়া কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গ্যারান্টির মাধ্যমে তারল্য সহায়তা পেয়েও গতি ফিরেছে সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকে। গ্রাহকদের পুরো টাকা না দিতে পারলেও বেসরকারি খাতের এ ব্যাংকটি এখন স্বল্প অঙ্কের চাহিদা তৎক্ষণাৎ পরিশোধ করতে পারছে। এরই মধ্যে সম্মানিত গ্রাহকদের বিভিন্ন হিসাবে (এ-সিএস) নগদ গ্রহণ বেড়েছে এবং সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৭৯৪ কোটি টাকা মেয়াদোত্তীর্ণ এবং খেলাপি বিনিয়োগ আদায় করেছে এসআইবিএল। ব্যাংকটিতে সুশাসন ফিরাতে সব ধরনের পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।
সব গ্রাহকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে। ভালো ও মন্দ সবাই আমাদের গ্রাহক। সবাইকে বলছি নিয়মিত বিনিয়োগ পরিশোধ করতে; যারা নিয়মিত দেয় না, তারাও অনেক আশ্বাস দিয়েছেন বিনিয়োগ পরিশোধ করবে। তবে যারা টাকা দিবে না- তাদের ব্যাপারেও আমরা কঠোর। তাদের ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নিতে পিছু হটব না।
প্রশ্নঃ বর্তমান পর্ষদ কীভাবে সহযোগিতা করছে?
মুহাম্মদ ফোরকানুল্লাহ : বর্তমানে ব্যাংকের ভালো ও নির্ভরযোগ্য বোর্ড অব ডিরেক্টরস রয়েছে। তাদের মধ্যে প্রত্যেকেই নিজ স্থানে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনের জন্য প্রশংসিত। বিজ্ঞ পর্ষদ তাদের সুচিন্তিত পলিসি ও দক্ষ পরিচালনার মাধ্যমে ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষকে সর্বাত্মক সহায়তা দিচ্ছেন। পরিচালনা পর্ষদ ও ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের মধ্যে শতভাগ স্বচ্ছতা রয়েছে। এ রকম বোর্ড আর্থিক খাতে সবখানে দরকার। আশা করছি, সবাই মিলে শরিয়াহভিত্তিক বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর মধ্যে আমরা অন্যতম সেরা ব্যাংক হব। একটি ভালো ব্যাংক তৈরিতে যে পরিকল্পনা দরকার, তার সব কিছুই নেয়া হয়েছে।
প্রশ্নঃ ব্যাংকটি নিয়ে আপনার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কী?
মুহাম্মদ ফোরকানুল্লাহ : আমানত প্রবৃদ্ধির পাশাপাশি রেমিট্যান্সের পরিমাণ বাড়াতে পরিকল্পনা হাতে নিয়েছি। বর্তমানে ব্যাংকটির আমানতের পরিমাণ ৩২ হাজার ৭১৩ কোটি টাকার মতো- যা বিগত দুই মাসে নানা প্রতিকূল পরিস্থিতির কারণে গত বছরের তুলনায় কিছুটা কমেছে। বর্তমানে ফরেন ট্রেডের পরিমাণ ৩০ হাজার কোটি টাকার বেশি। আমদানি রপ্তানি মিলে ১৬ হাজার কোটি টাকা মতো। এটা বাড়ানোর চেষ্টা থাকবে। সবচেয়ে বেশি জোর দিতে চাই মেয়াদোত্তীর্ণ ও খেলাপি বিনিয়োগ কমিয়ে আনতে।
এছাড়া আগের মতো গ্রাহকের আস্থা ফিরিয়ে আনতে নানাবিধ কার্যক্রম অব্যাহত রাখব। তারল্য সংকট থাকলেও এ ব্যাংকে গ্রাহকদের আমানত সম্পূর্ণ নিরাপদ ও ঝুঁকিমুক্ত। রেমিট্যান্স গ্রাহকদের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেয়া হচ্ছে। এর আগে যেসব রেমিট্যান্স গ্রাহক তাদের কষ্টার্জিত অর্থ আমাদের মাধ্যমে পাঠাতেন তাদের সঙ্গে পুনরায় যোগাযোগ করছি, যাতে তারা আগের মতোই রেমিট্যান্স পাঠানো অব্যাহত রাখেন। আমাদের পরিকল্পনা হলো ওভারডিও, ক্লাসিফায়েড ও অবলোপনকৃত বিনিয়োগ থেকে আদায়ের কার্যক্রমকে আরো জোরদার করা, চলমান মামলাগুলো গতিশীল করা, স্থগিত হয়ে থাকা মামলাগুলোকে পুনরায় সচল করা। এছাড়া ইচ্ছাকৃত খেলাপিদের চিহ্নিত করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা এবং ক্ষেত্রভেদে তাদের নামে নতুন মামলা দেয়া।
প্রশ্নঃ এস আলম গ্রুপের নামে-বেনামে ঋণের ব্যাপারে কী পদক্ষেপ নিবেন?
মুহাম্মদ ফোরকানুল্লাহ : আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি যতই শক্তিশালী ব্যক্তি হোক, ব্যাংকের টাকা ব্যাংককে, জনগণের টাকা জনগণকে ফেরত দিতে হবে। এ মোটিভ নিয়ে আমরা নেমেছি। এস আলম গ্রুপ নামে-বেনামে এসআইবিএল থেকে যে ঋণ নিয়েছে, তার মধ্যে চলমান কিছু প্রকল্প থেকে টাকা আদায় সম্ভব এবং সেগুলো আদায়ের ব্যাপারে আমরা অত্যন্ত সচেষ্ট। এ গ্রুপের প্রায় ২৫০ কোটি টাকার এমটিডিআর (মেয়াদি আমানত) হিসাব আমরা এর মধ্যেই যাচাইয়ের মাধ্যমে স্থগিত করে রেখেছি। এলসি খোলাসহ বিভিন্ন ব্যাংকিং কার্যক্রমে বাংলাদেশ ব্যাংক আমাদের ওপর কিছু সীমাবদ্ধতা আরোপ করেছিল- যা পর্যায়ক্রমে তুলে নেয়া হচ্ছে। এতে করে আমাদের ব্যাংকিং কার্যক্রম স্বাভাবিক হতে চলেছে। এসআইবিএল জন্মগতভাবে এস আলম গ্রুপভুক্ত ব্যাংক নয়। ২০১৭ সালে জোরপূর্বক গ্রুপটি এ ব্যাংক দখল করে নেয়। ফলে এস আলম গ্রুপ পরিচালিত অন্য ব্যাংকগুলোর সঙ্গে এসআইবি পিএলসিকে মেলানো ঠিক হবে না।
প্রশ্নঃ বর্তমানে ব্যাংকে কী ধরনের সেবা দিচ্ছেন?
মুহাম্মদ ফোরকানুল্লাহ : শরিয়াহ মোতাবেক সব ধরনের ব্যাংকিংসেবা দিচ্ছি। চালু রয়েছে ১৮০টি শাখা, ২৩৬টি উপশাখা, ৩৭৪টি এজেন্ট ব্যাংকিং ও ২২৪টি এটিএম বুথ। চব্বিশ ঘণ্টা এটিএম সার্ভিস ও রিয়েল টাইম অন-লাইন ব্যাংকিং চালু রয়েছে। বৈদেশিক রেমিটেন্স সেবার জন্য বিশ্বের বিখ্যাত উল্লেখযোগ্যসংখ্যক রেমিট্যান্স কোম্পানির সঙ্গে আমাদের চুক্তি রয়েছে।
তাছাড়া আমাদের সব শাখায় রয়েছে অনলাইন ভিত্তিক ইউটিলিটি বিল পেমেন্ট করার সুবিধা। এসআইবিএলে অনেক ডিপোজিট প্রোডাক্ট ও ইনভেস্টমেন্ট প্রোডাক্ট রয়েছে। আমাদের কিছু একেবারেই ব্যতিক্রম এবং জনবান্ধব ডিপোজিট প্রডাক্ট রয়েছে। জেলা ও বিভাগীয় শহরগুলোতে ছাদ বাগানে আমরা বিনা জামানতে তিন লাখ টাকা পর্যন্ত ইনভেস্ট (ঋণ) প্রকল্প রয়েছে। এটার ভালো ফল পেয়েছি। বাংলাদেশ ব্যাংক আমাদের এ ছাদকৃষিকে কৃষিতে অন্তর্ভুক্ত করেছে। আমাদের আরেকটা প্রোডাক্ট আছে রিকন্ডিশন্ড গাড়ি ক্রয়ে বিনিয়োগ বিষয়ে। সাধারণত ব্যাংকগুলো নতুন গাড়িতে ইনভেস্ট করে বা ঋণ দেয়। আমরা রিকন্ডিশন্ড গাড়ি ক্রয়ের জন্য ইনভেস্ট করে থাকি। এটাও সাধারণ মানুষের জন্য। আমাদের অবসরপ্রাপ্তদের জন্য একটা প্রোডাক্ট রয়েছে। অনেকে অবসরের পর সঠিক সঞ্চয় প্রকাল্প না জানার কারণে বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগ করে টাকা নষ্ট করে। আমরা তাদের আমানত রাখার বিপরীতে মাসিক ভিত্তিতে লাভ বেশি দেয়ার প্রস্তাব দেই।
‘হকার, ড্রাইভারদের জন্যও আমরা প্রোডাক্ট নিয়ে এসেছি। ড্রাইভাররা যাতে গাড়ির মালিক হতে পারে সে ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। উচ্চশিক্ষার জন্য বিদেশ গমনেচ্ছু ছাত্রদের বিশেষ কর্জে-হাসানা প্রদান প্রকল্প আছে। এটা সাধারণ মানুষের জন্য খুবই উপকারী। এ ক্ষেত্রে আমরা নামমাত্র একটা ন্যূনতম সার্ভিস চার্জ নিয়ে থাকি। #ভোরের কাগজ
Summary
The country’s banking sector has squeezed lending activities as investment confidence, which remained subdued for the last two years amid the dollar crisis, deteriorated further after the formation of the interim government.
Investment has remained sluggish since 2022 amid the dollar crisis, high inflation, and the global economic crisis. Political uncertainty is now a new factor, adding to the situation and further leading to a deterioration of investment confidence, said industry insiders.
Banks are not receiving any new investment proposals from either foreign or local investors and consumer demand remains sluggish amid elevated inflation.
In this situation, both banks and investors are adopting a wait-and-watch policy, said bankers.
“We are now providing working capital mostly to continue existing business activities,” said Syed Mahbubur Rahman, managing director of Mutual Trust Bank.
He said no new investment proposals have been coming. The investment situation has remained sluggish since the dollar crisis started in 2022, and it worsened from July.
He said LC (Letter of Credit) openings have continued to fall, reflecting the investment scene.
Bangladesh Bank data show LC openings declining by nearly 13% in July-August of FY25, with capital machinery imports declining by 44%, indicating stagnation in business expansion.
“We think the investment scene will not improve until December as investors are waiting and watching,” he added.
Explaining why the situation will not improve before December, he said the government has still not decided on the budget size. Moreover, mega projects are being scaled down, which are major sources of investment.
Additionally, banks are facing a liquidity crisis, and foreign investments are not coming amid the uncertain situation, he said. So, the government will have to source money from the banking channel.
“In this situation, banks prefer to invest in government bonds to avoid risk instead of lending to the private sector, causing a decline in private sector credit growth,” he said.
The country’s private sector credit growth fell to 9.86% year-on-year in August from 10.13% in July, central bank data shows.
5 to 6 banks performing well
Describing the investment scene, Selim RF Hussain, managing director of BRAC Bank, said, “The overall investment situation is subdued.”
Only five to six banks are performing well, while 40 to 45 banks are operating poorly, he said. As a result, lending across the entire banking industry, except for these 5-6 banks, is quite subdued.
He added that consumer demand has become sluggish due to high inflation and high interest rates. “From a business perspective, investors are not considering new projects. On the other hand, we are not seeing any new foreign investment, which is normal in this situation.”
Hussain also mentioned that the garment sector has been facing challenges with law and order for the last one month, though the situation is gradually improving. Also, there are gas shortages and an uncertain energy situation.
Many business sponsors have fled the country. So the overall situation is subdued, and private sector credit growth will remain low, he fears.
However, the macroeconomic situation has improved to some extent due to sound policies implemented by the Bangladesh Bank. The current account balance improved, and the trade deficit narrowed, he said.
He suggested that the government should have consultations with private sector stakeholders regularly to address the challenges.
Mirza Elias Uddin Ahmed, managing director of Jamuna Bank, said both banks and borrowers are refraining from new investments due to ongoing uncertainty.
“We are not sure which sector is safe to invest in at the moment, as new policies may emerge at any time,” said Ahmed.
In this situation, banks are staying away from extending fresh financing to any new business, he said, adding that investors are also facing the same crisis when deciding on new investments.
Moreover, the lending rate has surged to nearly 15%, which is not viable for businesses, said Ahmed. “If a business takes a loan at 15%, it will need to achieve at least a 20% return just to break even, which is very difficult.”
He said very few businesses have a profit margin of 10%, making a 15% lending rate unsustainable.
Businesses feeling insecure
Syed Nasim Manzur, former president of the Metropolitan Chamber of Commerce and Industry, said, “We businessmen are feeling very insecure.
“Businessmen are worried about what will happen tomorrow and what type of phone calls they will receive. Worker discontent was not limited to Ashulia and Gazipur; there were other issues as well. The government now needs to gain the trust of businessmen to ensure it is safe to do business in Bangladesh.”
The low ADP (Annual Development Programme) implementation rate also hurt investment, as contractors are not seeking financing from banks due to the slow progress of government projects.
The July-August period – the first two months of the current fiscal year – witnessed the lowest-ever implementation of the ADP, falling below 3%.
According to data from the Implementation Monitoring and Evaluation Department (IMED) released on 2 October, Tk7,143 crore of the ADP was spent during the period, reflecting an implementation rate of 2.57%.
Data available on the IMED website, dating back to FY11, shows that no fiscal year has recorded an ADP implementation rate below 3%. In FY24, the rate was 3.84%, slightly lower than in the previous fiscal year.
bank system
একদিকে তারল্য সংকট মোকাবেলায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে লাখ লাখ কোটি টাকা ধার, অন্যদিকে রেকর্ড মুনাফা!
দেশের ব্যাংকগুলোর তারল্য সংকট মেটাতে গত বছরজুড়ে লাখ লাখ কোটি টাকা ধার দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। বছরের শুরুতে তথা ফেব্রুয়ারিতে এ ধারের পরিমাণ ছিল ৮৪ হাজার ৪০৩ কোটি টাকা। যদিও বছর শেষে ডিসেম্বরে তা ৩ লাখ ৩২ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে যায়। রেপো, বিশেষ রেপো ও অ্যাশিউরড লিকুইডিটি সাপোর্ট (এএলএস) হিসেবে স্বল্পমেয়াদি এ ধার দেয়া হয়। দেশের ব্যাংক খাতের ইতিহাসে এর আগে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে এত পরিমাণ ধার দেয়ার নজির নেই।
দেশের ব্যাংকগুলোর তারল্য সংকট মেটাতে গত বছরজুড়ে লাখ লাখ কোটি টাকা ধার দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। বছরের শুরুতে তথা ফেব্রুয়ারিতে এ ধারের পরিমাণ ছিল ৮৪ হাজার ৪০৩ কোটি টাকা।
আবার তারল্যের ক্ষেত্রে দেউলিয়াত্বের বছরেই রেকর্ড নিট মুনাফা দেখায় দেশের ব্যাংকগুলো। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালে দেশের ব্যাংকগুলো ১৪ হাজার ৮৪০ কোটি টাকা নিট মুনাফা দেখিয়েছে। এত পরিমাণ নিট মুনাফাও দেশের ব্যাংক খাতে অতীতে কখনো দেখা যায়নি। এ নিট মুনাফার অর্থের বড় অংশই আবার ব্যাংকের শেয়ারহোল্ডারদের মধ্যে লভ্যাংশ হিসেবে বণ্টন করা হয়েছে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, দেউলিয়াত্বের হাত থেকে বাঁচাতে বাংলাদেশ ব্যাংক কিছু ব্যাংককে বাছবিচার ছাড়াই অর্থ ধার দিয়েছে। আবার কিছু ভালো ব্যাংক কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে রেপোয় ধার নিয়ে উচ্চ সুদের ট্রেজারি বিল-বন্ড কিনেছে। এ কারণে একদিকে কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে ধারের পরিমাণ বেড়েছে, আবার ব্যাংকগুলো উচ্চ সুদে সরকারকে ঋণ দিয়ে ভালো মুনাফা পেয়েছে। কিছু ব্যাংকের বিরুদ্ধে জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে নিট মুনাফা বাড়িয়ে দেখানোরও অভিযোগ আছে। সঠিকভাবে নিরীক্ষা করা হলে দেশের অর্ধেকের বেশি ব্যাংককেই লোকসানি হিসেবে গণ্য করতে হবে বলে মনে করছেন তারা।
দৈনন্দিন লেনদেনের প্রয়োজনে ব্যাংকগুলো আন্তঃব্যাংক মুদ্রাবাজার (কলমানি) থেকে অর্থ ধার করতে পারে। কলমানি বাজারে পর্যাপ্ত ধার না মিললে রেপোতেও অন্য ব্যাংক থেকে ধার নেয়ার সুযোগ আছে। বাজার থেকে কোনো মাধ্যমে টাকা ধার না পেলে এর পরই কেন্দ্রীয় ব্যাংকের দ্বারস্থ হয় ব্যাংক। এক্ষেত্রে রেপো, বিশেষ রেপো ও এএলএস হিসেবে ১ থেকে ২৮ দিন মেয়াদি ধার নেয়ার সুযোগ রয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য পর্যালোচনা করে দেখা যায়, ২০২৩ সালের শুরু থেকেই কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর ধার নেয়ার প্রবণতা বাড়তে শুরু করে। গত বছরের জানুয়ারিতে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে ধার দেয়ার পরিমাণ ছিল ১ লাখ ৬৭১ কোটি টাকা। ফেব্রুয়ারিতে এ ধারের পরিমাণ কিছুটা কমে ৮৪ হাজার ৪০৩ কোটি টাকায় নেমে আসে। কিন্তু নভেম্বরে গিয়ে এক মাসেই ধারের পরিমাণ ৩ লাখ ৪৭ হাজার ৯৩০ কোটি টাকা ছাড়ায়। এরপর ডিসেম্বরে কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে ধার দেয়া অর্থের পরিমাণ ছিল ৩ লাখ ৩২ হাজার ৩৩১ কোটি টাকা। অর্থাৎ গত বছরের জানুয়ারির তুলনায় ডিসেম্বরে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে ধার দেয়া অর্থের পরিমাণ বেড়ে দাঁড়ায় তিন গুণেরও বেশিতে।
সাধারণত রেপো, বিশেষ রেপো ও এএলএস হিসেবে দেয়া দৈনন্দিন ধার যোগ করা হয় না। কারণ একদিন মেয়াদি রেপো পরের দিনই ফেরত আসে। তবে দেশের ব্যাংকগুলোর ধার নেয়ার প্রবণতা দেখাতে ২০২৩ সালের ফাইন্যান্সিয়াল স্ট্যাবিলিটি রিপোর্টে এ-সংক্রান্ত পরিসংখ্যান তুলে ধরা হয়। এতে দেখা যায়, গত বছর বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে রেকর্ড ১৯ লাখ ২২ হাজার ৬০৪ কোটি টাকার তারল্য সহায়তা দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে ৯ লাখ ৫০ হাজার ৯৬৩ কোটি টাকা দেয়া হয় রেপো হিসেবে। আর বিশেষ রেপো হিসেবে দেয়া হয় আরো ৪০ হাজার ২৫ কোটি টাকা। অ্যাশিউরড লিকুইডিটি সাপোর্ট বা এএলএস হিসেবে ৯ লাখ ৩১ হাজার ৬১৬ কোটি টাকা ধার দেয়া হয়। গত বছরের শুরুতে বাংলাদেশ ব্যাংকের রেপো বা নীতি সুদহার ছিল ৬ শতাংশ। ডিসেম্বর নাগাদ এ সুদহার পৌনে ৮ শতাংশে উন্নীত করা হয়েছিল।
ব্যাংকগুলোর ধার নেয়ার প্রবণতা অস্বাভাবিক হারে বেড়ে যাওয়ার কারণ জানতে চাইলে পূবালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মোহাম্মদ আলী বণিক বার্তাকে বলেন, ‘দুর্বল হিসেবে পরিচিতি পাওয়া কিছু ব্যাংকে তারল্যের তীব্র সংকট ছিল। এ ব্যাংকগুলো কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে ধার করে দৈনন্দিন লেনদেন মিটিয়েছে। আবার অতিরিক্ত তারল্য থাকা ব্যাংকগুলোও উচ্চ সুদে সরকারকে ঋণ দিয়ে সুযোগের সদ্ব্যবহার করেছে। কারণ রেপো রেটের তুলনায় ট্রেজারি বিল-বন্ডের সুদহার বেশি ছিল। ভালো ব্যাংকগুলো নিজেদের সংগৃহীত আমানত দিয়ে বিল-বন্ড কিনেছে। আর সে বন্ড জামানত রেখে কম সুদের রেপো ধার করেছে। এ কারণে ব্যাংকগুলোর মুনাফা বাড়ার পাশাপাশি কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে নেয়া ধারের টার্নওভারও বেড়ে গিয়েছে।’
এ ব্যাংক নির্বাহীর বক্তব্যের সত্যতা বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যেও উঠে এসেছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য বলছে, গত বছর রেপোর সুদহার ছিল ৬-৭ শতাংশ। আর একই সময়ে সরকারি ট্রেজারি বিল-বন্ডের গড় সুদহার ছিল প্রায় ১০ শতাংশ। অর্থাৎ কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে ধার নেয়া অর্থ সরকারকে ঋণ দিয়ে ব্যাংকগুলো বড় অংকের অর্থ আয় করেছে। ২০২৩ সালে সুদবহির্ভূত খাত তথা বিনিয়োগ, কমিশন ও ফি বাবদ ব্যাংকগুলোর আয় ছিল ৪৮ হাজার ৮৮০ কোটি টাকা। যেখানে বিতরণকৃত ঋণের সুদ বাবদ নিট ৩৩ হাজার ৯০ কোটি টাকা আয় করতে পেরেছিল ব্যাংকগুলো।
চলতি বছরের শুরুতে এসে দেশের ব্যাংক খাতে তারল্য সংকট আরো তীব্র হয়। এ সময়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে ধার নেয়ার প্রবণতা আরো বেড়ে যায়। আবার একই সময়ে সরকারের ট্রেজারি বিলের সুদহারও প্রায় ১২ শতাংশে উন্নীত হয়। সর্বশেষ গত ৯ অক্টোবর ৯১, ১৮২ ও ৩৬৪ দিন মেয়াদি ট্রেজারি বিল নিলামের মাধ্যমে ব্যাংক খাত থেকে ৭ হাজার ৪৫২ কোটি টাকা ঋণ নিয়েছে সরকার। এসব বিলের সুদহার ছিল ১১ দশমিক ৩৭ থেকে ১১ দশমিক ৮৮ শতাংশ। যদিও এ মুহূর্তে দেশের রেপো রেট ৯ দশমিক ৫০ শতাংশ।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ২০২২-২৩ অর্থবছরে সরকার ব্যাংক খাত থেকে নিট ১ লাখ ১৯ হাজার ৭৯০ কোটি টাকার ঋণ নিয়েছে। আর ২০২৩-২৪ অর্থবছরে এ খাত থেকে নিট ঋণ নিয়েছে ৮২ হাজার ৬০৯ কোটি টাকা। ব্যাংক খাত ঋণ দেয়ার সক্ষমতা হারালে বাংলাদেশ ব্যাংক নতুন টাকা ছাপিয়েও গত দুই অর্থবছর সরকারকে ঋণ দিয়েছে। চলতি বছরের জুন শেষে দেশের ব্যাংক খাত থেকে সরকারের নেয়া ঋণের স্থিতি ছিল ৪ লাখ ৬৮ হাজার ৯২২ কোটি টাকা। একই সময়ে ব্যাংকবহির্ভূত খাত থেকে আরো ৪ লাখ ৩৩ হাজার ৪৪২ কোটি টাকা ঋণ নিয়েছে সরকার। সব মিলিয়ে গত জুন শেষে দেশের অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে সরকারের নেয়া ঋণের স্থিতি ৯ লাখ ২ হাজার ৩৬৪ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে।
গত দেড় দশকের সীমাহীন অনিয়ম-দুর্নীতির ভারে দেশের বেশির ভাগ ব্যাংকই এখন বিপর্যস্ত। গত বছরের শুরুতে বিধ্বস্ত ব্যাংকগুলোকে সবল ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত করার উদ্যোগ নেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। তৎকালীন গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদারের নির্দেশনায় অন্তত পাঁচটি ব্যাংককে একীভূত করে দেয়ার ঘোষণাও দেয়া হয়। যদিও বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, বিপর্যয়কর সে বছরে দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ নিট মুনাফা করেছে দেশের ব্যাংক খাত। ২০২৩ সালে ব্যাংকগুলো নিট মুনাফা করেছে ১৪ হাজার ৮৪০ কোটি টাকা। এর আগে ২০২২ সালেও ১৪ হাজার ২৩০ কোটি টাকা নিট মুনাফা দেখিয়েছিল ব্যাংকগুলো। যদিও ২০২১ সালে ৫ হাজার ২০ কোটি ও ২০২০ সালে ৪ হাজার ৬৬০ কোটি টাকা নিট মুনাফা দেখিয়েছিল দেশের ব্যাংক খাত। ২০২০ সালের আগেও নিট মুনাফার এ পরিমাণ ৫ হাজার কোটি টাকার আশপাশে সীমাবদ্ধ ছিল।
উচ্চ মূল্যস্ফীতি, সীমাহীন তারল্য ও ডলার সংকট, ব্যবসা-বাণিজ্যের মন্দার এ সময়ে ব্যাংকের উচ্চ মুনাফা অর্জনকে মিরাকল বা অলৌকিক ঘটনা হিসেবে দেখছেন সংশ্লিষ্টরা। নাম অপ্রকাশিত রাখার শর্তে দেশের দ্বিতীয় প্রজন্মের একটি বেসরকারি ব্যাংকের শীর্ষ নির্বাহী বণিক বার্তাকে বলেন, ‘কভিড-পরবর্তী সময়ে দেশের ব্যাংক খাতে সীমাহীন লুণ্ঠন হয়েছে। ঋণের নামে সরকারি-বেসরকারি ব্যাংকগুলো থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা বের হয়ে গিয়েছে। আবার এলসি খোলার নামে দেশ থেকে সে অর্থ পাচারও হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের নিষ্ক্রিয়তা ও কিছু ক্ষেত্রে সহায়তার কারণে সেসব অপরাধ ঠেকানো সম্ভব হয়নি। আবার ব্যাংকের নিরীক্ষায় অনিয়মগুলো চিহ্নিতও করা হয়নি। এ কারণে ব্যাংক খাতের বিপর্যয় সত্ত্বেও মুনাফা বেড়েছে।’
অনিয়ম-দুর্নীতির কারণে সংকটে পড়া ব্যাংকগুলোর একটি ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি। ব্যাংকটি দুই বছর ধরেই নগদ টাকার সংকটে রয়েছে। বর্তমান পরিস্থিতির বিষয়ে জানতে চাইলে ব্যাংকটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মুহাম্মদ মুনিরুল মওলা বলেন, ‘আমরা গ্রাহকদের আতঙ্ক দূর করার চেষ্টা করছি। এক্ষেত্রে সফলও হয়েছি। এখন ব্যাংক থেকে টাকা উত্তোলনের চাপ অনেকটাই কমেছে। ইসলামী ব্যাংকের আমানত প্রবাহ দ্রুতই প্রবৃদ্ধির ধারায় ফিরবে।’
তিনি বলেন, ‘দেশে তারল্য সংকটে পড়া সাধারণ ধারার ব্যাংকগুলোর পাশে দাঁড়াতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অনেক উপকরণ রয়েছে। কিন্তু ইসলামী ধারার ব্যাংকগুলোর পাশে দাঁড়ানোর তেমন কোনো উপকরণ নেই। আমরা কেবল সুকুক জমা রেখে কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে অর্থ ধার করতে পারি। বর্তমান পরিস্থিতি থেকে শিক্ষা নিয়ে আমরা বেশকিছু প্রডাক্ট চালু করার উদ্যোগ নিয়েছি।’ বণিক বার্তা
bangladesh bank bb banking system
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গ্যারান্টির মাধ্যমে তারল্য সহায়তা পেয়ে গতি পেয়েছে সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক (এসআইবিএল)। গ্রাহকদের পুরো টাকা না দিতে পারলেও বেসরকারি খাতের এই ব্যাংকটি এখন স্বল্প অঙ্কের চাহিদা তত্ক্ষণাৎ পরিশোধ করতে পারছে। ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে শেখ হাসিনার স্বৈরশাসন অবসানের পর থেকে সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত ৭৯৪ কোটি টাকা বকেয়া এবং খেলাপি ঋণ আদায় করেছে এসআইবিএল। আগামী ১০ থেকে ১৫ দিনের মধ্যে গ্রাহকের পূর্ণ আস্থা ফিরে আসবে বলে আশা করা হচ্ছে।
গতকাল সোমবার সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ব্যাংকটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. ফোরকানউল্লাহ।
তিনি বলেন, ‘আমরা একটি দুর্যোগপূর্ণ অবস্থা থেকে বের হয়ে এসেছি। এটি চলার পথে হোঁচট খাওয়ার মতো। তবে আমাদের সৌভাগ্য যে ব্যাংকের পর্ষদ পুনর্গঠন করে দেওয়া হয়েছে।
আমরা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গ্যারান্টির বিপরীতে তারল্য সহায়তাও পেয়েছি। আবার আদায়ও হচ্ছে ভালো। ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানের পর ব্যাংকের কার্যক্রম শুরু হয়েছে গত ৮ আগস্ট। সে সময় থেকে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বকেয়া এবং খেলাপি ঋণ আদায় আশাব্যঞ্জক।
ব্যাংকটির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো. সাদিক ইসলাম বলেন, ‘১৯৯৫ সালে যাত্রা শুরু করা সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক দেশের প্রথম সারির ব্যাংকে পরিণত হয়েছে। কিন্তু ব্যাংকটি যখন দ্রুতগতিতে সাফল্যের চূড়া অভিমুখে এগিয়ে চলছিল, ঠিক তখনই দুঃশাসন ও দুর্বৃত্তায়নের কবলে পড়ে। ২০১৭ সালে এস আলম গ্রুপ জোরপূর্বক দখল করে নেয় ব্যাংকটিকে। এস আলমের কবলে পড়ে ব্যাংকের আর্থিক ভিত্তি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। গত আট বছরে ব্যাংকটির মজবুত অর্থনৈতিক ভিত্তি যেমন দুর্বল হয়েছে, তেমনি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ব্যাংকের গ্রাহক, কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ সংশ্লিষ্ট সবাই।
ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানে দেশ যখন স্বৈরাচারী শাসনমুক্ত হয়ে পুনরায় স্বাধীনতার স্বাদ পেল, তখন দুর্বৃত্তের কালো থাবামুক্ত হলো আমাদের প্রাণপ্রিয় প্রতিষ্ঠান সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে ব্যাংকিং খাত পড়ে যায় সাময়িক সংকটে। যেহেতু পতিত সরকারের সরাসরি দোসর সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংককে দখল করে রেখেছিল, তাই এই ব্যাংকেরও ক্ষতি হয়েছে। সে কারণে এসআইবিএল বর্তমানে কিছুটা ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে। এর মধ্যে তারল্য সংকট অন্যতম।’
চেয়ারম্যান বলেন, ‘বাংলাদেশের ৯টি ব্যাংক তারল্য সমস্যায় ভুগছে। বাংলাদেশ ব্যাংক এ ক্ষেত্রে কোনো রকম টাকা না ছাপিয়ে ভিন্ন পদ্ধতিতে গ্যারান্টির মাধ্যমে তারল্য সংকটের সমাধান করেছে, যা নিঃসন্দেহে প্রশংসার দাবি রাখে। এরই মধ্যে আমরা বাংলাদেশ ব্যাংকের গ্যারান্টির বিপরীতে চারটি ব্যাংক থেকে ৯০০ কোটি টাকার তারল্যের প্রতিশ্রুতি পেয়েছি এবং তার মধ্যে ৪৫০ কোটি টাকা তারল্য-ডিপোজিট পেয়েছি। এ ছাড়া আরো কয়েকটি ব্যাংক এরই মধ্যে আমাদের তারল্য-ডিপোজিট প্রদানের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক বিভিন্ন ব্যাংক থেকে পাওয়া তারল্য ব্যবস্থাপনায় স্ট্র্যাটেজিক পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। প্রাথমিকভাবে ১৮টি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সাময়িকভাবে স্থগিত হওয়া বিভিন্ন বিল সংগ্রহের হিসাবগুলো, যেমন—ডেসকো, তিতাস, পল্লী বিদ্যুৎ, ওয়াসা, বিটিসিএল, বিআরটিএ, ডিপিডিসি, বাখরাবাদ, কর্ণফুলী ইত্যাদি হিসাব চালু করা হয়েছে।
SIBL
Anxiety of liquidity-strapped banks has started easing as five cash-surplus banks finally made available funds amounting to Tk 9.45 billion to four struggling peers under the central bank’s guarantee programme.
Under the bailout arrangement, according to officials and bankers, more liquidity support by lender banks are in the pipeline to revitalise the badly crisis-ridden banks.
As banks’ liquidity depleted fast following loan-related irregularities and panic withdrawal, five cash-hungry commercial lenders approached the regulator later last month to obtain its nod to play guarantor for banks in failure of repaying credit borrowed from cash-surplus banks.
The struggling five were National Bank Limited (NBL), First Security Islami Bank Limited (FSIBL), Global Islami Bank (GIB), Social Islami Bank Limited (SIBL) and Union Bank.
Despite the sovereign guarantee, the problem banks failed to get cash from interbank sources.
Later, the Bangladesh Bank (BB) stepped up with its intervention and convinced the compliant banks to come forward in feeding their weaker counterparts.
According to the BB, five banks — City Bank, Mutual Trust Bank, Dutch-Bangla Bank, Eastern Bank and Bengal Commercial Bank — under the guarantee-backed liquidity support scheme gave Tk 9.45 billion to four liquidity-starving banks.
Of the amount, SIBL received Tk 3.5 billion, FSIBL Tk 3.0 billion, NBL Tk 2.70 billion and GIB Tk 250 million.
Seeking anonymity, a BB official said the board of the state-owned Sonali Bank approved liquidity support amounting to Tk 30 billion at the eleventh hour on Wednesday.
Financially robust banks like Eastern Bank, Shahjalal Islami Bank, BRAC Bank and Dhaka Bank will soon approve more cash support for troubled banks.
“So, it will be a comprehensive cash-support programme backed by the central bank guarantee, and we’ll gradually release funds observing the state of the weaker banks,” the central banker told the FE.
MTB managing director and CEO Syed Mahbubur Rahman says their board has approved the cash-support scheme to help their counterparts overcome crises.
If any bank falls into a tight spot because of liquidity dearth, it will have a spillover impact to the whole industry, according to him.
“So, cash support is very timely and it (our participation) is a reflection to support the central bank’s ongoing strategy to revitalise problem banks,” said the experienced banker.
He said the central bank assured bankers of repaying funds within three days under the guarantee policy if cash-hungry banks fail to pay back within the stipulated timeframe.
“It gives us a comfortable space,” cited Mr Rahman.
According to the guarantee scheme, the BB imposed nine conditions stipulating that liquidity support would be maximum for one year on a three-month basis, interest rate be fixed at 11 per cent equivalent to the existing level of the special liquidity facility (SLF) rate in its agreements with five banks.
In case of a failure to repay by crisis-hit banks, liquidity providers can create 90-day-tenure forced loans in the names of borrowing banks.
The central bank will be empowered to deduct funds from those banks’ current accounts with the BB in case of their failure to repay the loans on time as per the agreement.
An additional 2.0-per cent interest or profit will be imposed on the SLF rate if the loans are not repaid on time.
If the BB fails to recover funds from borrowers’ current accounts, it will recover cash by selling the banks’ permanent assets, bonds and other securities.
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত মিডল্যান্ড ব্যাংক তার সাবসিডিয়ারি প্রতিষ্ঠান ‘মিডল্যান্ড ব্যাংক অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি লিমিটেড’ এর পরিশোধিত মূলধন বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সাবসিডিয়ারি প্রতিষ্ঠানের পরিশোধিত মূলধন বাড়ানোর পাশাপাশি ব্যাংকটি দুটি মিউচ্যুয়াল ফান্ড আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
জানা গেছে, মিডল্যান্ড ব্যাংকের অধীনস্থ কোম্পানি ‘মিডল্যান্ড ব্যাংক অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি লিমিটেড (এমডিবিএএমসিএল)’ এর ৫ কোটি টাকার পরিশোধিত মূলধনকে ১২ কোটি টাকা করা হবে।
এছাড়া ওই অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানিটির অধীনে ‘মিডল্যান্ড ব্যাংক ফিক্সড ইনকাম ফান্ড ও মিডল্যান্ড ব্যাংক গ্রোথ ফান্ড’ নামের দুটি মিউচ্যুয়াল ফান্ড আনা হবে।
ফান্ড দুটিতে উদ্যোক্তা হিসেবে মিডল্যান্ড ব্যাংক থেকে আড়াই কোটি টাকা করে বিনিয়োগ করা হবে। ফান্ড দুটির আকার হবে ২৫ কোটি টাকা করে।
midland bank mutual fund
The City Bank will provide Tk100 crore in liquidity support to First Security Islami Bank (FSIB), which is currently facing a liquidity crisis.
The FSIB applied to the Bangladesh Bank for a guarantee of liquidity support today. In the application, it mentions that the liquidity support would be provided by the City Bank.
Mohammad Shahriar Siddiqui, assistant spokesperson of the Bangladesh Bank and director of the Banking Regulation and Policy Department, while talking to TBS, confirmed the receipt of the application.
She added that the central bank will review the application, and if deemed appropriate, it will promptly issue the guarantee.
“If the Bangladesh Bank grants approval for the liquidity support tomorrow [Monday], First Security Islami Bank will start receiving the support from that very day,” a senior official of the central bank said.
He also mentioned that City Bank’s liquidity situation is strong, and due to its sufficient liquidity, it has agreed to provide the support.
Last week, the managing directors of 10 banks agreed to provide support to weaker banks. The City Bank’s move comes after that.
Many customers have complained that FSIB has been unable to meet their withdrawal demands due to insufficient liquidity.
Abdul Mannan, chairman of FSIB, yesterday told TBS that he is hopeful about receiving approval from the central bank. “If we get the approval, we will receive the funds from City Bank by tomorrow,” he said.
Ahsan H Mansur, governor of the Bangladesh Bank, suggested the arrangement as a solution for a dozen commercial banks that have been struggling with liquidity issues for a long time. His proposal aimed to resolve the crisis without resorting to printing money.
The central bank has paved the way for coordination between strong and weak banks willing to participate in the process, where strong banks act as guarantors or sureties for weak banks seeking liquidity support.
Prior to the latest development, seven struggling banks had applied to the Bangladesh Bank to act as guarantors for liquidity support. These seven banks collectively requested more than Tk25,000 crore in cash assistance.
Among the seven banks that applied, FSIB requested the highest assistance of Tk7,900 crore. Additionally, Islami Bank Bangladesh and National Bank sought Tk5,000 crore each, EXIM Bank requested Tk4,000 crore, Global Islami Bank sought Tk3,500 crore, Social Islami Bank asked for Tk2,000 crore, and Union Bank requested Tk1,500 crore in liquidity support.
However, so far, the central bank has signed agreements to act as a guarantor for five banks. The exact amount of assistance they will receive has not yet been determined. It will be decided by the central bank, which is currently in the process of evaluation, according to officials.
The banks that have signed agreements will now raise funds from the interbank market and submit requests for guarantees to the Bangladesh Bank with board approval. After that, the central bank will consider how much money each bank can draw under the provided guarantee and grant the necessary permissions.
After the downfall of the government in the student-led mass upsurge on 5 August, the boards of the struggling banks were dissolved and restructured. Most of these banks were under the control of the controversial S Alam Group. In total, the central bank has restructured the boards of 11 banks.
Allegations have been raised that various individuals and entities, including S Alam Group, have embezzled large sums of money through loans from these banks, both in their own names and under the names of shell companies. The central bank and various investigative agencies are currently looking into these claims.
The banks faced severe liquidity crises due to the “illegitimate” withdrawal of funds under the guise of loans, a situation that banking sector experts have been discussing for a long time.
