The loss of Sonali Paper & Board Mills escalated by 4.8 times year-on-year to Tk 118 million in January-March this year, thanks to unrealised losses from stock market investments.
As a result, the company reported a loss of Tk 3.6 per share for the third quarter through March this year, up from Tk 0.75 per share for the same quarter last year, according to its un-audited financial statements published on Wednesday.
The company’s paper sales grew 2 per cent year-on-year to Tk 700 million in the January-March quarter this year but the higher revenue could not be translated into a higher income because of heavy unpredictable equity investments.
Sonali Paper diverted a significant amount of funds to the stock market from its core business. Earlier, it witnessed higher profits from equity investments compared to its core business.
Company secretary Md Rashedul Hossain said income from stocks had fallen drastically due to the bearish market, which impacted the overall earnings.
The broad index of the Dhaka Stock Exchange (DSE) shed 414 points or 7 per cent in the January-March quarter this year, with well-performing stocks facing price erosion after the withdrawal of floor prices.
“This is an unrealised loss,” said Mr Hossain.
A decrease in the value of an investment, such as a stock or a security, which the investor has not yet sold off, is usually termed as an unrealised loss.
“We will be able to recover the losses when the stock prices go up,” said Mr Hossain , adding that their core business was doing well.
Sonali Paper is maintaining three portfolio accounts in SBL Capital Management, EBL Securities, and ABACI Investment with a total fund size of Tk 318.68 million as of March this year.
The company’s financial statement shows that unrealized losses amounted to nearly Tk 130 million in the nine months through March this year, as against a profit of more than Tk 90 million from stocks during the same time a year before.
However, the company realized gains worth Tk 50 million in the nine months through March this year, up from Tk 47 million from equity investments in the same period last year.
On the back of the negative return [unrealized] from the stock market investments, the paper manufacturer’s profit plunged 67 per cent year-on-year to Tk 59.16 million in the nine months to March this year, despite a 20 per cent higher sales revenue year-on-year to Tk 2.21 billion.
Following the earnings disclosure, Sonali Paper’s stock fell 3 per cent to Tk 183.4 per share on the DSE on Wednesday. The stock plunged 34 per cent in a month since July 29.
Sonali Paper started investing in the stock market in 2021 when educational institutions had been shut down, squeezing the paper business, due to the coronavirus pandemic.
There was no stock market investment until March 2021. Between April and December 2021, the company’s stock investments reached Tk 450 million.
Sonali Paper earned Tk 177.5 million from its core business, while making a capital gain of Tk 178.4 million in July-December 2021. Subsequently, its profit surged more than 574 per cent year-on-year to Tk 256 million in July-December 2021.
Listed companies should focus on core business rather than the risky stock market, said Prof Abu Ahmed, former chairman of the economics department of the University of Dhaka.
“Making money is not a bad thing, but the stock market is relatively a risky place to keep funds,” Prof Ahmed said, adding that, “profit may turn into losses overnight, as we can see now”.
Sonali Paper, a concern of Younus Group, produces white and printing papers, simplex papers and duplex papers. In August last year, it started producing aluminium foil paper boxes from a new product line.
Aluminium foil containers are used in family banquets and in the packaging of food items, such as airline snacks and western-style pastry baking, in shapes and sizes preferred by customers.
In January this year, the company decided to add a new product line — Aluminum House foil. A machine has already been imported and installed on the factory premises.
The company said it believes utilisation of full capacity of the new machine would have a significant impact on its competitive position in the market in addition to an increase in revenue.
In June 2022, the company raised Tk 109.82 million through issuance of rights shares to purchase brand new caterpillar gas generator sets with complete standard accessories.
Under the previous management, the company had incurred huge losses and failed to hold general meetings and make public financial statements between 1998 and 2006.
The prime bourse then transferred the company to the over-the-counter (OTC) market in October 2009. Sonali Paper returned to the main market of the stock exchanges and started trading on July 1, 2020, after remaining 10 years in the OTC market. The financial express
fstcap
আর্থিক সক্ষমতা হারিয়ে ফেলেছে অনেক ব্যাংক। বিশেষ করে রাজনৈতিক বিবেচনায় লাইসেন্স পাওয়া চতুর্থ প্রজন্মের ব্যাংকগুলোর অবস্থা নাজুক। তা ছাড়া দেশের অর্থনীতির আকারের তুলনায় ব্যাংকের সংখ্যা বেশি, এমন সমালোচনা রয়েছে বিশ্লেষকদের মাঝে। সব মিলিয়ে দুর্বল ব্যাংকগুলো পুরো খাতকে ক্ষতিগ্রস্ত করার পাশাপাশি প্রভাব ফেলছে সামগ্রিক অর্থনীতিতে। তাই দুর্বল ব্যাংককে সবলের সঙ্গে একীভূত করার (মার্জ) উদ্যোগ নেওয়া হয়।
ব্যাংক কমানোর এমন উদ্যোগের উদ্দেশ্য ভালো হলেও পদ্ধতিগত ত্রুটির কারণে পুরো প্রক্রিয়াটি প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে পড়ে। সাবেক গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদারের নেওয়া অন্য সব পদক্ষেপের মতো এটিও শুরু হওয়ার আগেই মুখ থুবড়ে পড়ে। তাই নতুন গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর প্রক্রিয়াটি আপাতত বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। ব্যাংক একীভূতকরণের সিদ্ধান্ত নেবে ব্যাংকিং কমিশন। শিগগিরই গঠিত হতে যাচ্ছে বহুল কাঙ্ক্ষিত এই কমিশন।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক সূত্র জানিয়েছে, ব্যাংকিং কমিশন গঠিত হওয়ার পর সব ব্যাংকের প্রকৃত আর্থিক চিত্র পর্যালোচনার জন্য বিশেষ অডিট পরিচালিত হবে। এরপর ব্যাংকগুলোর আর্থিক সক্ষমতা ও সম্পদের পরিমাণ বিশ্লেষণ করে সিদ্ধান্ত হবে কোন কোন ব্যাংক বন্ধ করা দরকার। অপেক্ষাকৃত শক্তিশালী ব্যাংকগুলোর মধ্যে যেগুলোর সঙ্গে অন্য ব্যাংক একীভূত করার উপযোগী সেসব ব্যাংককে আলাদা শ্রেণিভুক্ত করা হবে। এরপর দেখা হবে কোন ব্যাংকের সঙ্গে কোনটি একীভূত করলে দ্রুততম সময়ে সুফল আসবে। ব্যাংক মালিকদের পারস্পরিক পছন্দে এবং বিজ্ঞানসম্মত প্রক্রিয়ায় একীভূতকরণ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে। এ ক্ষেত্রে কোনো চাপ প্রয়োগ করা হবে না বা জোর করে কোনো ব্যাংক একীভূতকরণের সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দেওয়া হবে না।
সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছে, আন্তর্জাতিক মানদণ্ডের তোয়াক্কা না করেই ব্যাংক একীভূতকরণে তড়িঘড়ি করতে গিয়ে পুরো প্রক্রিয়াই লেজেগোবরে অবস্থায় পরিণত হয়। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংক নিজের জারি করা নীতিমালাও লঙ্ঘন করেছে। এমনকি কয়েকটি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পর্ষদের উচ্চপর্যায়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের ডেকে নিয়ে অনেকটা জোরজবরদস্তির মাধ্যমে ব্যাংক একীভূতকরণের চেষ্টা চালায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
তথ্য বলছে, সর্বমোট আটটি ব্যাংক একীভূতকরার সিদ্ধান্ত হয়েছে। কোনো প্রকার প্রস্তুতি ছাড়াই কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অঘোষিত চাপে চলতি বছরের ১৪ মার্চ এক্সিম ব্যাংক ও পদ্মা ব্যাংক একীভূতকরণের ঘোষণা দেওয়া হয়। একই ধারাবাহিকতায় গত ৩ এপ্রিল রাষ্ট্রায়ত্ত সোনালী ব্যাংক ও বিডিবিএল ব্যাংক, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক ও রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকের নাম ঘোষণা করা হয়। আর ৮ এপ্রিল সিটি ব্যাংক ও বেসিক ব্যাংক এবং ৯ এপ্রিল ইউসিবি এবং ন্যাশনাল ব্যাংকের একীভূতকরণের ঘোষণা করা হয়। এ ক্ষেত্রে এসব ব্যাংকের স্বাস্থ্য যাচাই ছাড়াই একীভূতকরণের বিষয়টি জানানো হয়, যা আন্তর্জাতিক মানদণ্ডের সরাসরি লঙ্ঘন। এমনকি বাংলাদেশ ব্যাংকের জারি করা নীতিমালায় বলা হয়েছে, ২০২৪ সালের বার্ষিক প্রতিবেদনের ভিত্তিতে ব্যাংকের স্বাস্থ্য যাচাই করে ২০২৫ সালের মার্চের পর থেকে ব্যাংকগুলো নিজেদের আগ্রহের মাধ্যমে একীভূত হতে পারবে। এ ক্ষেত্রে নিজস্ব নীতিমালা লঙ্ঘন করে তড়িঘড়ির আশ্রয় নেয় বাংলাদেশ ব্যাংক।
জানা গেছে, সরকারি সিদ্ধান্তের পাশাপাশি মালিকপক্ষের সম্মতি থাকায় এক্সিম ও পদ্মা ব্যাংকের একীভূতকরণ প্রক্রিয়া সচল রয়েছে। এ ছাড়া বাকি আট ব্যাংকের মধ্যে একীভূতকরণের সব কার্যক্রম থমকে গেছে। কয়েকটি ব্যাংক একীভূত হবে না বলে কেন্দ্রীয় ব্যাংককে জানিয়েছে। সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতির মধ্যে পড়ে সরকারি খাতের বেসিক ব্যাংক। বেসরকারি সিটি ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত হওয়ার খবরে ব্যাংকটিতে ব্যাপক অসন্তোষ দেখা দেয়। বিপুল অঙ্কের আমানত উত্তোলন করে নেন গ্রাহকরা। আর প্রাতিষ্ঠানিক গ্রাহকরা আবেদন করেন আমানত উত্তোলনের জন্য। এমন প্রেক্ষাপটে সরকারের সহায়তা চেয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের কাছে চিঠি পাঠায় ব্যাংকটির পর্ষদ। এর আগে গত ১৬ এপ্রিল ‘বেসিক ব্যাংক সরকারি নয়’ বলে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুখপাত্র দাবি করেন। অথচ বাংলাদেশ ব্যাংকের কাগজপত্রে বেসিক ব্যাংক সরকারি। এরপর রাজপথে আন্দোলন করেন বেসিক, রাকাব, বিডিবিএলসহ একীভূত ঘোষিত কয়েকটি ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
একীভূত হওয়ার প্রক্রিয়ায় কিছুটা এগিয়ে থাকা এক্সিম ও পদ্মা ব্যাংকের বিষয়ে জানতে চাইলে এক্সিম ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ ফিরোজ হোসাইন প্রতিদিনের বাংলাদেশকে বলেন, ‘বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা অনুযায়ী এক্সিম ও পদ্মা ব্যাংকের অডিট সম্পন্ন হয়েছে। এখন বাংলাদেশ ব্যাংক সিদ্ধান্ত নেবে কবে কখন দুই ব্যাংক মার্জ হবে।’
অন্য ব্যাংকগুলোরও একই অবস্থা। কর্মকর্তারা বলছেন, একীভূতকরণ প্রক্রিয়াটি কার্যত কাগজে-কলমে আছে। বাস্ততে এটি নিয়ে কোনো কার্যক্রম চলমান নেই। এ প্রসঙ্গে বিডিবিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) হাবিবুর রহমান গাজী বলেন, ‘একীভূতকরণ এমওইউ পর্যায়েই রয়েছে। অডিটর এসে ঘুরে গেছেন। এর বেশি অগ্রগতি নেই।’
একীভূতকরণ প্রক্রিয়ায় ত্রুটি এবং এর গ্রহণযোগ্যতা ও ফলাফল বিষয়ে প্রতক্রিয়া জানিয়ে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘একটি দুর্বল ব্যাংক ছাড়া কোনো ব্যাংকই নিজ উদ্যোগে একীভূত হওয়ার ব্যাপারে আগ্রহ দেখায়নি, আবার এ প্রক্রিয়ায় নাম আসা সবল ব্যাংকগুলো স্বীয় উদ্যোগে স্বেচ্ছায় ও সজ্ঞানে এতে যুক্ত হতে সম্মত হয়েছে, সেটিও ঘটেনি। প্রক্রিয়াটি শুরু থেকেই স্বেচ্ছাচারিতার মাধ্যমে চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা হয়েছে।’
গত ৩১ জানুয়ারি ব্যাংকের শীর্ষ নির্বাহীদের সঙ্গে এক বৈঠকে বাংলাদেশ ব্যাংক দুর্বল ব্যাংকগুলোকে একীভূত করার পরামর্শ দেয়। এরপর গত ১৪ মার্চ এক্সিম ব্যাংক ও পদ্মা ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ একে অপরের সঙ্গে একীভূত হওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। এরপর অন্যান্য ব্যাংকের একীভূতের ঘোষণা আসে। গত ৪ এপ্রিল বাংলাদেশ ব্যাংক একীভূতকরণ নীতিমালা প্রকাশ করে। এতে বলা হয়, ২০২৪ সালের প্রতিবেদনের ভিত্তিতে একীভূত হবে। বাংলাদেশ ব্যাংকের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, আর্থিক প্রতিবেদনের ওপর পরীক্ষা-নিরীক্ষা ছাড়াই একীভূতকরণের ঘোষণা দেওয়াটা ভুল ছিল। এমন তড়িঘড়ি সিদ্ধান্তের কারণেই প্রক্রিয়াটি শুরু হওয়ার আগেই ভেস্তে গেছে।
সম্প্রতি এক সংবাদ সম্মেলনে দুর্বল ব্যাংকগুলো নিয়ে পরিকল্পনা জানতে চাইলে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন, ‘যেসব ব্যাংকের মালিকানায় সমস্যা আছে সেগুলোতে নতুন পর্ষদ দেওয়া হচ্ছে। শিগগিরই ব্যাংকিং কমিশন গঠিত হবে। তারা ব্যাংকগুলোতে অডিট করবে। এরপর ব্যাংকগুলোকে মার্জ করতে হবে কি না সেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’
দুর্বল ব্যাংকের চিকিৎসা হবে সোজা পথে
জানা গেছে, অব্যবস্থাপনা দূর করার মাধ্যমে দুর্বল ব্যাংকগুলোর ভাগ্য নির্ধারণে মনোযোগী কেন্দ্রীয় ব্যাংক। যেনতেনভাবে টিকিয়ে রাখার নীতি থেকে সরে এসে সঠিক রোগ নির্ণয়ের পর চিকিৎসা শুরু করা হবে। প্রথমে লুটপাট বন্ধ, এরপর সুশাসন প্রতিষ্ঠা এবং সমস্যা চিহ্নিত করা হবে। অবস্থা বুঝে ব্যবস্থা নেওয়ার নীতিতে প্রয়োজনে বন্ধ কিংবা মার্জ করা হবে। কোনো অনৈতিক সহায়তা দেওয়া হবে না। আমানতকারীদের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টির মাধ্যমে ভুল জায়গায় টাকা ঢালার প্রবণতা বন্ধ করতেও মনোযোগ দিচ্ছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। প্রতিটি ব্যাংকের সমস্যা চিহ্নিত করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের মাধ্যমে রোগ নিরাময় করার কৌশলে হাঁটছেন নতুন গভর্নর।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, দুর্বল ব্যাংকগুলোকে টেনে তোলার প্রাথমিক পদক্ষেপ হিসেবে বড় অঙ্কের লেনদেন বন্ধ করা হয়েছে। নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে বড় বিনিয়োগে। এক কথায় ব্যাংকের তারল্য সংকট দূর করতে উভয় দিক থেকে অর্থ বেরিয়ে যাওয়া ঠেকানো হয়েছে। এতে ব্যাংকগুলোর আর্থিক সচ্ছলতা ফিরে আসবে। তবে আমানতকারীদের সাময়িক অসুবিধায় পড়তে হবে এবং ব্যাংকগুলোর লাভের পরিমাণ কমে আসবে। তবে যেসব অর্থ খেলাপি হয়ে আছে তা আদায় করতে পারলে সংকট দ্রুতই কেটে যাবে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্বব্যাংকের ঢাকা কার্যালয়ের সাবেক মুখ্য অর্তনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন প্রতিদিনের বাংলাদেশকে বলেন, ‘দুর্বল ব্যাংকগুলো নিয়ে যে আস্থার সংকট দেখা দিয়েছে সেটি নিরসনের জন্য কিছু পদক্ষেপ ইতোমধ্যে নেওয়া হয়েছে। নতুন করে লুটপাট বন্ধের পদক্ষেপ আশাবাদী হওয়ার পরিবেশ তৈরি করেছে। একই সঙ্গে সাধারণ আমানতকারীদের স্মরণ করিয়ে দেওয়া হয়েছে, তাদের আমানত রাখার জন্য সচেতনতা জরুরি। সরকার কারও আমানতের দায় নেবে না, কিন্তু অব্যবস্থাপনা এবং লুটপাট বন্ধে পদক্ষেপ নেবে। সার্বিকভাবে দুর্বল ব্যাংকগুলোকে টেনে তুলতে যেসব পদক্ষেপ নেওয়ার কথা, সেসব বিষয়ে একটা ভালো শুরু হয়েছে বলা যায়। সামনে আরও ভালো কিছু হবে এমনটাই প্রত্যাশা করতে পারি।’
The governor of Bangladesh Bank, Ahsan H Mansur, has urged the people to refrain from acquiring properties belonging to S Alam Group, as the authorities are planning to sell the group’s assets to repay the concerned depositors.
He made the call at a press conference on Wednesday, responding to a query regarding the group’s reported attempts to sell its properties.
“It needs to be carried out in compliance with legal procedures… We will request the government to take steps in this regard. Besides, no one should acquire the group’s properties, as the proceeds from their sale will be used to repay the depositors,” he explained.
The central bank governor described the group’s owner, Saiful Alam, as the first individual in history to have looted banks in a planned manner. “I have no idea if anyone else in the world has looted banks in such a well-planned way.”
Regarding reforms in the banking sector, Ahsan H Mansur said that a banking commission will be introduced within around a month, in collaboration with Bangladesh Bank and foreign specialists.
He also detailed their plans to buoy the Islami Bank, saying, “We have asked the new board of Islami Bank to submit their action plan within a week. This is not a place for sitting idle; it demands hard work. Bangladesh Bank will extend all sorts of assistance.”
He warned that the bank’s board might be changed again if it fails to fulfill its role effectively. “All are being monitored. None will be spared if they commit irregularities.”
He added that similar actions will be taken in the banks found with irregularities.
Regarding rising inflation, he said steps have been taken to control it. The dollar exchange rate has remained stable. If it continues, inflation is expected to decrease within the next six to seven months.
As the central bank is not offloading dollars, there is no risk of reserves going down. Even the government demands are being met from the interbank foreign exchange market. Therefore, the reserves are expected to rise in future, he added.
The governor urged depositors to remain patient and avoid withdrawing all their deposits at once.
“We do not want any deposits to be lost. We will not print money to help repay the deposits, as it would not be beneficial for the nation and would push inflation up to 100 per cent. Please withdraw money as much as necessary. The situation will change in five to six months,” he explained.
শিগগিরই একটি ব্যাংকিং কমিশন গঠন করা হবে,আর্থিকখাতে স্থিতিশীলতা ফিরবে: ড. আহসান এইচ মনসুর।
নিজস্ব প্রতিবেদক: শিগগিরই একটি ব্যাংকিং কমিশন গঠন করা হবে, যার ভিত্তিতে আর্থিকখাতে স্থিতিশীলতা আনায়নে প্রয়োজনীয় রোডম্যাপ প্রণয়ন করবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংক গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর।
আজ বুধবার (২৭ আগস্ট) ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই) সভাপতি আশরাফ আহমেদের নেতৃত্বে পরিচালনা পর্ষদ গভর্নরের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশ ব্যাংক গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন, বিদ্যমান মূল্যস্ফীতি আগামী ৬-৭ মাসের মধ্যে সহনীয় পর্যায়ে নামিয়ে আনা সম্ভব হলে, নীতি সুদ হার এবং ব্যাংক ঋণের সুদের হার হ্রাসসহ অন্যান্য বিষয়সমূহে ইতিবাচক প্রভাব পরিলক্ষিত হবে। ব্যাংকের আমানত সংগ্রহের প্রবৃদ্ধি ডাবল ডিজিটে উন্নয়ন একান্ত অপরিহার্য।
গভর্নর আরো বলেন, শিগগিরই একটি ব্যাংকিং কমিশন গঠন করা হবে, যার ভিত্তিতে আর্থিক খাতে স্থিতিশীলতা আনায়নে প্রয়োজনীয় রোডম্যাপ প্রণয়ন করবে। এছাড়াও তিনি নতুন বিনিয়োগকারীদের অর্থনৈতিক অঞ্চলসমূহে বিনিয়োগ করার পরামর্শ প্রদান করেন।
এসএমইদের ক্রেডিট গ্যারান্টি ফেসিলিটিগুলোকে আরো সচল করার ওপর গভর্নর জোরারোপ করেন। এক্ষেত্রে বেসরকারিখাতে ঋণ প্রবাহ বাড়াতে সরকারি ঋণ গ্রহণের হার সীমিতকরণ করা হবে।
তিনি ট্রেড ক্রেডিট পাওয়ার জন্য উদ্যেক্তাদের পেমেন্ট হিস্ট্রির উন্নয়ন এবং বিশ্বাসযোগ্যতা বাড়ানোর আহ্বান জানান।
সাক্ষাৎকালে ঢাকা চেম্বারের সভাপতি আশরাফ আহমেদ বলেন, সুদের হার বৃদ্ধি পেলে বিশেষ করে এসএমইদের জন্য ঋণ প্রবাহ বাধাগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়। এসএমইদের অর্থায়নের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংকের বেশকিছু স্কীম রয়েছে, যেগুলোর কার্যক্রম বেগবান করতে পারলে এসএমইদের অর্থায়ন প্রক্রিয়া আরো সহজতর হবে।
এছাড়াও সভায় বৈদেশিক ট্রেড ক্রেডিট প্রক্রিয়া ও বৈদেশিক ঋণ প্রক্রিয়া সহজতর করা, ব্যাংকসমূহে ঋণ প্রবাহ বাড়ানোর জন্য অনুরোধ করেন ঢাকা চেম্বার সভাপতি। সর্বোপরি এসএমইদের ঋণ প্রাপ্তিতে বিদম্যান সুদের চাপ কীভাবে আরো হ্রাস করা যায়, সে ব্যাপারে উদ্যোগী হওয়ার জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতি আহ্বান জানান ঢাকা চেম্বার সভাপতি।
নীতি সুদহার বৃদ্ধি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে নীতিসুদহার বাড়ানো একটি প্রচলিত প্রক্রিয়া, তবে এটি সাময়িক সময়ের জন্য প্রযোজ্য।
আশরাফ আহমেদ বলেন, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রিত থাকুক এটা আমাদেরও প্রত্যাশা, কারণ মূল্যস্ফীতির ফলে সাধারণ জনগণের জীবনযাত্রার ব্যয় বৃদ্ধির পাশাপাশি ব্যবসায়িদের কর্মকাণ্ড পরিচালন ব্যয়ও বৃদ্ধি পায়।
এছাড়া ব্যাংকের মন্দঋণের পরিমাণ হ্রাস করা সম্ভব হলে নীতিসুদ হারও হ্রাস পাবে বলে মন্তব্য করে ডিসিসিআই সভাপতি বলেন, এসএমই খাতের বিকাশের লক্ষ্যে সুদের হার বৃদ্ধির চাপ মোকাবেলা এবং ঋণের প্রবাহ বজায়ে রাখায় সহায়তা প্রয়োজন।
এ সময়ে ঢাকা চেম্বারের ঊর্ধ্বতন সহ-সভাপতি মালিক তালহা ইসমাইল বারী, সহ-সভাপতি মো. জুনায়েদ ইবনে আলী, পরিচালনা পর্ষদের সদস্যবৃন্দসহ বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর নূরুন নাহার এবং ড. মো. হাবিবুর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
পুঁজিবাজারে শেয়ার কেনাবেচা আবার পুরনো সার্কিটব্রেকারে ফিরছে। থাকছে না শেয়ারের মূল্যহ্রাসে ৩ শতাংশ সর্বোচ্চ সীমা। শেয়ারের বাজারমূল্য ভেদে প্রতিদিন সর্বোচ্চ ১০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়তে পারবে। আবার একইভাবে ১০ শতাংশ পর্যন্ত কমতে পারবে। আগামীকাল বৃহস্পতিবার থেকে এই নিয়মে চলবে লেনদেন।
বাজারকে লেনদেনের স্বাভাবিক ধারায় ফেরাতে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
আজ বুধবার (২৮ আগস্ট) অনুষ্ঠিত বিএসইসির ৯১৬তম কমিশন সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
বিএসইসি সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
পুঁজিবাজারে টানা দর পতন ঠেকাতে গত ২৪ এপ্রিল শেয়ারের মূল্য হ্রাসের সর্বোচ্চ সীমা ৩ শতাংশ বেঁধে দিয়েছিল অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলামের নেতৃত্বাধীন বিএসইসির কমিশন। তবে মূল্য বৃদ্ধির ক্ষেত্রে ১০ শতাংশ সীমা রাখা হয়েছিল অপরিবর্তিত। তখন থেকে বাজার সংশ্লিষ্টরা কেনাবেচা ক্ষেত্রে সমতার দাবি জানিয়ে আসছিলেন। গত ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর ওই দাবি আরও জোরালো হয়।
আজ বিএসইসির নতুন চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত প্রথম কমিশন সভায় গত ২৪ এপ্রিলের নির্দেশনাটি বাতিল করা হয়। একইসঙ্গে পুনর্বহাল করা হয় ২০২১ সালের ১৭ জুন তারিখে জারি করা সার্কিটব্রেকার সংক্রান্ত নির্দেশনাটি।

ওই নির্দেশনা অনুসারে, শেয়ারের মূল্যভেদে দাম সর্বোচ্চ ১০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়তে বা কমতে পারবে। আর এই পরিবর্তনের সর্বনিম্ন সীমা হচ্ছে ৩ দশমিক ৭৫ শতাংশ। কোনো শেয়ারের দাম ২০০ টাকার মধ্যে থাকলে এর মূল্য ১০ শতাংশ বাড়তে বা কমতে পারবে। শেয়ারের দাম ২০০ টাকা থেকে ৫০০ টাকার মধ্যে হলে এর দর পরিবর্তনের সর্বোচ্চ সীমা হবে ৮ দশমিক ৭৫ শতাংশ।
শেয়ারের দাম ৫০০ টাকা থেকে ১০০০ টাকার মধ্যে হলে সর্বোচ্চ ৭ দশমিক ৫০ শতাংশ হবে এর মূল্য পরিবর্তনের সীমা। অন্যদিকে শেয়ারের দাম ১০০০ টাকা থেকে ২০০০ টাকার মধ্যে হলে এর দর পরিবর্তনের সর্বোচ্চ সীমা হবে ৬ দশমিক ২৫ শতাংশ। শেয়ারের দাম ২০০০ টাকা থেকে ৫০০০ টাকার মধ্যে হলে এর দর পরিবর্তনের সর্বোচ্চ সীমা হবে ৫ শতাংশ। আর শেয়ারের দাম ৫০০০ টাকার উপরে হলে ওই শেয়ারের মূল্য পরিবর্তন হতে পারবে সর্বোচ্চ ৩ দশমিক ৭৫ শতাংশ
শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত আরও ৪ কোম্পানির ফ্লোর প্রাইস প্রত্যাহার করেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। বুধবার (২৮ আগস্ট) অনুষ্ঠিত বিএসইসি’র এর ৯১৬ তম কমিশন সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
কোম্পানি চারটি হলো, খুলনা পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড (কেপিসিএল), শাহজিবাজার পাওয়ার কোম্পানি, বিএসআরএম লিমিটেড এবং মেঘনা পেট্রোলিয়াম লিমিটেড।
বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) থেকে কোম্পানি চারটির উপর ফ্লোরপ্রাইস থাকবে না।
সভা সূত্রে জানা গেছে, বাকী দুই কোম্পানি বেক্সিমকো লিমিটেড ও ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি’র বিষয়ে আজ কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। তাই এই দুই কোম্পানির উপর ফ্লোরপ্রাইস বহাল থাকবে।
এর আগে, বিএসইসির সাবেক চেয়ারম্যান শিবলী রুবাইয়াত উল ইসলাম গত ১১ আগস্ট বেক্সিমকো, খুলনা পাওয়ার ও শাহজিবাজার পাওয়ারের উপর থেকে ফ্লোর প্রাইস প্রত্যাহার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলো।
একইসঙ্গে গত ১৪ আগস্ট বিএসআরএম লিমিটেড, ইসলামী ব্যাংক ও মেঘনা পেট্রোলিয়ামে ফ্লোর প্রাইস উঠানোর সিদ্ধান্ত হয়েছিলো।
তবে দেশজুড়ে রাজনৈতিক অস্থিরতার কারনে সেই সিদ্ধান্ত আর বাস্তবায়ন করা হয় নি।
এরপর বিএসইসির চেয়ারম্যান নিয়োগ সহ বেশ কয়েকটি পদে রদবদল আসে। তখন থেকে শেয়ারবাজারের বিভিন্ন সংস্কারের বিষয়ে কাজ শুরু হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় চার কোম্পানির শেয়ারের ফ্লোর তুলে নেওয়া হলো।
শেয়ারবাজারে পতন ঠেকাতে না পেরে, গত চার বছরে কয়েক দফায় শেয়ারে ফ্লোর প্রাইস আরোপ করে বিএসইসি। প্রথমবার ২০২০ সালে মার্চে ফ্লোর প্রাইস আরোপ করলেও তুলে নেওয়া হয় ২০২১ সালের জুলাইয়ে।
সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবসে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সূচকের উর্ধ্বমূখী প্রবণতায় চলছে লেনদেন। এদিন লেনদেন শুরুর প্রথম দেড় ঘণ্টায় তিন শতাধিক কোম্পানির শেয়ারদর বৃদ্ধি পেয়েছে। সেই সঙ্গে এই সময়ের মধ্যে ডিএসইর প্রধান সূচক বেড়েছে ৫৬ পয়েন্ট।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, বুধবার (২৮ আগস্ট) ডিএসইর লেনদেন শুরুর দেড় ঘণ্টা পর অর্থাৎ বেলা ১১টা ৩০মিনিট পর্যন্ত ডিএসইর প্রধান সূচক বা ‘ডিএসইএক্স’ ৫৬ দশমিক ৬২ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৫ হাজার ৭৪২ পয়েন্টে।
প্রধান সূচকের সঙ্গে শরিয়াহ সূচক বা ‘ডিএসইএস’ ১০ দশমিক ১৩ পয়েন্ট বেড়ে আর ‘ডিএস-৩০’ সূচক ২৩ দশমিক ০৫ পয়েন্ট বেড়ে যথাক্রমে ১২২৭ ও ২১১০ পয়েন্টে অবস্থান করছে।
আলোচ্য সময়ে ডিএসইতে মোট ২৬০ কোটি ৫৭ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
লেনদেন হওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে দাম বেড়েছে ৩০৫টির, কমেছে ৫০টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৩১ কোম্পানির শেয়ারদর।
sharebazar lenden dse cse
যুক্তরাজ্য ব্যাংকিং খাত, রাজস্ব খাত, পুঁজিবাজার এ সহায়তার আশ্বাসঃ অর্থ উপদেষ্টা
যুক্তরাজ্য দেশের ব্যাংকিং খাতের সংস্কার, রাজস্ব সংস্কার এবং পুঁজিবাজার সংস্কারে বাংলাদেশকে সাহায্য করতে ইচ্ছুক বলে জানিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন- ব্যাংকিং, রাজস্ব ও পুঁজিবাজার আমাদের জন্যও খুব তাৎক্ষণিক উদ্বেগ। কারণ, আমরা যদি দ্রুত এর সংস্কার না করি তাহলে পরে এটা আমাদের জন্য কঠিন হবে।
মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুক অন্তর্বর্তী সরকারের অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদের সঙ্গে তার অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) কার্যালয়ে সাক্ষাৎ করেন। সাক্ষাৎ শেষে অর্থ উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।
এদিকে যুক্তরাজ্য ব্যাংকিং খাতের সংস্কার, রাজস্ব সংস্কার এবং পুঁজিবাজার সংস্কারের মতো সংস্কারে বাংলাদেশকে সাহায্য করতে ইচ্ছুক। এগুলো তারা দুই দেশের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য বৃদ্ধির বিষয়ে আলোচনা করেছেন।
ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, আমরা চাই ব্যবসা-বাণিজ্যের উন্নতি হোক। যুক্তরাজ্য সরকার অতীতে খুব সহায়ক ছিল এবং আমি আশা করি আগামী দিনেও তারা সহায়ক হবে। আমরা তাদের সাহায্য এবং সহযোগিতার জন্য উন্মুখ জানিয়ে তিনি বলেন, বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যের মধ্যে সহযোগিতা নিয়েও আলোচনা হয়েছে।
economic sector in bangladesh bd
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত প্রতিষ্ঠান ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশের (আইসিবি) পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন সুবর্ণ বড়ুয়া।
মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) ব্যক্তিগত কারণে দায়িত্ব পালনে অপারগতা প্রকাশ করে পদত্যাগপত্র দিয়েছেন তিনি।
এফআইডি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক বাণিজ্য বিভাগের অধ্যাপক।
২০২৩ সালের নভেম্বরে তিন বছরের জন্য আইসিবির চেয়ারম্যান পদে নিয়োগ পেয়েছিলেন সুবর্ণ বড়ুয়া। তিনি আগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো. কিসমাতুল আহসানের স্থলাভিষিক্ত হন।
কর্মজীবনে ড. সুবর্ণ বড়ুয়া দেশীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বিভিন্ন স্বনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্থনীতি ও ফাইন্যান্স বিষয়ে শিক্ষাদানের পাশাপাশি ফাইন্যান্সিয়াল মডেলিং, ফাইন্যান্সিয়াল মার্কেট, ফাইন্যান্সিয়াল ম্যানেজমেন্ট ও প্রজেক্ট ম্যানেজমেন্টের ওপর প্রশিক্ষণ প্রদান; বিশ্বব্যাংক, ইউএনডিপি ও ডিএফআইডির অর্থায়নে বিভিন্ন আন্তঃসীমান্ত গবেষণা প্রকল্প পরিচালনা এবং দেশীয় ও বহুজাতিক কোম্পানির পরামর্শক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
icb director chairman
নিষেধাজ্ঞা আরোপের এক দশক পেরোলেও এখনও যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বাংলাদেশি পণ্যের অবাধ বাজার সুবিধা (জিএসপি) ফিরিয়ে আনতে পারেনি বাংলাদেশ। তবে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সহায়তায় তার ইমেজ কাজে লাগিয়ে জিএসপি ফিরে পেতে চান ব্যবসায়ীরা।
মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) রাজধানীর শেরে বাংলা নগরে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগে (ইআরডি) অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদের সঙ্গে বৈঠকে এ বিষয়ে আলোচনা করেন ব্যবসায়ী সংগঠনের শীর্ষ নেতারা।
যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে নতুন করে জিএসপি সুবিধা ফিরে পাওয়া প্রসেঙ্গ পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বিকেএমইএর সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বলেন, এটা নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে আমরা কথা বলেছি। তিনি সারাবিশ্বে অত্যন্ত জনপ্রিয় একজন ব্যক্তি। ড. ইউনূসের ব্র্যান্ড ইমেজ কাজে লাগায়ি আমরা যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে জিএসপি সুবিধা পেতে চায়।
তিনি বলেন, এলসি খুলতে ছয়টা ব্যাংক মার্জিন চাচ্ছে এ বিষয়ে কথা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে উপদেষ্টা গভর্নরের সঙ্গে কথা বলবেন। নিরাপত্তার বিষয়ে আমরা কথা বলেছি। কারখানার নিরাপত্তা জরুরি। তবে এটা সমাধান হয়ে যাবে। এখন কোনো ঝামেলা নেই। বায়ারদের একটা আস্থার অভাব ছিল এটাও কেটে যাচ্ছে। প্রধান উপদেষ্টা নিজেও বায়ারদের সঙ্গে কথা বলবেন এটা বড় পাওয়া।
বর্তমানে ব্যবসার হালচাল প্রসঙ্গে মোহাম্মদ হাতেম বলেন, দেশ আকস্মিক বন্যার কবলে পড়েছে। আমাদের শত শত ট্র্যাক মিরসরাই এলাকা পড়ে আছে। এগুলোতে নিরাপত্তার সমস্যা আছে। সাপ্লাই চেইনে সমস্যা হচ্ছে। বন্যার কারণে ঢাকা-চট্টগ্রামে সমস্যা হচ্ছে। তাই নারায়ণগঞ্জের পানগাও পোর্ট দ্রুত উন্নয়ন বা চালু করা দরকার।


