দেশের পুঁজিবাজারের সার্ভিলেন্স সিস্টেমের উন্নয়নে বিশ্বব্যাংকের কাছে সহযোগিতা চেয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। গতকাল রাজধানীর আগারগাঁওয়ে সিকিউরিটিজ কমিশন ভবনে বিশ্বব্যাংকের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন বিএসইসি চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদ।
বিশ্বব্যাংক গ্রুপের দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়ন বিভাগের প্র্যাকটিস ম্যানেজার নীরাজ ভার্মার নেতৃত্বে সংস্থাটির সিনিয়র ফাইন্যান্সিয়াল সেক্টর স্পেশালিস্ট সোল্ট ব্যাঙ্গো, ফাইন্যান্সিয়াল সেক্টর কনসালট্যান্ট (ভার্চুয়ালি) সাদিয়া আফরিন, ফাইন্যান্সিয়াল সেক্টর স্পেশালিস্ট সোফি ডং ও আইএফসির সিনিয়র অপারেশনস অফিসার সোলায়মান বিএসইসির সঙ্গে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠক শেষে বিএসইসির পক্ষ থেকে এ বিষয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফ করা হয়। এ সময় বিএসইসির চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদ বলেন, ‘আমরা সুনির্দিষ্ট কিছু বিষয়ে আলোচনা করেছি। বিশ্বব্যাংকের কাছ থেকে কোন কোন জায়গায় কারিগরি সহায়তা পেতে পারি তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আমরা প্রথমত, সার্ভিলেন্সের ওপর জোর দিয়েছি। বিশেষ করে আমাদের সার্ভিলেন্স টিম রয়েছে সেটাকে আমরা আরো কীভাবে উন্নত করতে পারি সে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। এছাড়া আমরা গভর্ন্যান্স নিয়ে আলোচনা করেছি।’
সংবাদ সম্মেলনে বিএসইসি কমিশনার ফারজানা লালারুখ বলেন, ‘আমরা সার্ভিলেন্স ও গভর্ন্যান্সের ওপর জোর দিয়েছি। আমরা খুব দুর্বল সার্ভিলেন্স নিয়ে কাজ করছি, যা ২০১২ সালে ইনস্টল করা একটা সফটওয়্যার। আমাদের দ্রুত এটিকে আপডেট করতে কাজ করতে হবে। এটা ইনস্টলমেন্টের পরে আপডেটও হয়নি। এটিকে খুব দ্রুত বিশ্বমানে নেয়ার চেষ্টা করছি। এর জন্য আমরা বিশ্বব্যাংকের সহায়তা চেয়েছি। গভর্ন্যান্স আমরা আমাদের থেকে শুরু করতে চাই। আমরা জবাবদিহি সবার আগে নিশ্চিত করব।’
এ সময় অন্যদের মধ্যে বিএসইসির কমিশনার মো. মহসিন চৌধুরী ও মো. আলী আকবর উপস্থিত ছিলেন।
পুঁজিবাজার পরিস্থিতি: গতকাল ডিএসইর সার্বিক সূচক ডিএসইএক্স সামান্য কমে দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ৭৩৫ পয়েন্ট। নির্বাচিত কোম্পানির সূচক ডিএস-৩০ দিনের ব্যবধানে ১২ পয়েন্ট কমে ২ হাজার ৯৪ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। এদিন ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৬৭৮ কোটি টাকা, যা আগের কার্যদিবসে ছিল ৫৯৫ কোটি টাকা। এদিন ডিএসইতে লেনদেন হওয়া সিকিউরিটিজের মধ্যে দর বেড়েছে ১০৯টির, কমেছে ২৩৩টির আর অপরিবর্তিত ছিল ৫৮টির বাজারদর।
খাতভিত্তিক লেনদেনচিত্রে দেখা যায়, গতকাল ডিএসইর মোট লেনদেনের ১৪ দশমিক ৩ শতাংশ দখলে নিয়ে শীর্ষে অবস্থান করছে ব্যাংক খাত। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৩ শতাংশ দখলে নিয়েছে ওষুধ ও রসায়ন খাত। ১১ দশমিক ৬ শতাংশ লেনদেনের ভিত্তিতে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাত।
গতকাল ডিএসইতে ইতিবাচক রিটার্ন এসেছে ব্যাংক, বস্ত্র, মিউচুয়াল ফান্ড ও তথ্যপ্রযুক্তি খাত। অন্যদিকে নেতিবাচক রিটার্নে শীর্ষে ছিল পাট, কাগজ ও জীবন বীমা খাত।
surveillance system bsec