গত আগস্টের সূচনা হয়েছিল ব্যাপক উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠার মধ্য দিয়ে। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে রাজনৈতিক বাঁকবদলের এ মাসে দেশের পুঁজিবাজারে ইতিবাচক প্রবণতা লক্ষ করা গেছে। গত মাসে প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) দৈনিক গড় লেনদেন বেড়েছে প্রায় ৪০ শতাংশ। পাশাপাশি এক মাসের ব্যবধানে ডিএসইর সার্বিক সূচক ডিএসইএক্স ৫২৪ পয়েন্ট বা ৯ দশমিক ৯২ শতাংশ বেড়েছে।
পুঁজিবাজার পর্যালোচনায় দেখা যায়, গত আগস্ট শেষে ডিএসইএক্স সূচক ৫২৪ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ৮০৪ পয়েন্টে। গত জুলাই শেষে সূচকটি ছিল ৫ হাজার ২৮০ পয়েন্ট। এছাড়া গত আগস্ট শেষে নির্বাচিত কোম্পানির সূচক ডিএস-৩০ সপ্তাহের ব্যবধানে প্রায় ২৩৯ পয়েন্ট বেড়ে ২ হাজার ১২৫ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে, জুলাই শেষে যা ছিল ১ হাজার ৮৮৬ পয়েন্ট। শরিয়াহ সূচক ডিএসইএস গত মাসে প্রায় ৮৭ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ২৪১ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে, গত জুলাই শেষে যা ছিল ১ হাজার ১৫৪ পয়েন্ট।
গত আগস্টে ডিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে ১৬ হাজার ৩৭১ কোটি টাকা, আগের মাসে যা ছিল ১১ হাজার ৯০ কোটি টাকা। এক্সচেঞ্জটিতে গত মাসে দৈনিক গড় লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৮৬২ কোটি টাকায়, আগের মাসে যা ছিল ৬১৬ কোটি টাকা। সে হিসাবে দৈনিক গড় লেনদেনের পরিমাণ বেড়েছে ৩৯ দশমিক ৯৪ শতাংশ।
গত আগস্টে পুঁজিবাজারের বাজার মূলধন বেড়েছে প্রায় ৫১ হাজার কোটি টাকা। গত জুলাইয়ে বাজার মূলধন ছিল ৬ লাখ ৪৯ হাজার কোটি টাকা, যা আগস্ট শেষে প্রায় ৭ লাখ কোটি টাকায় দাঁড়িয়েছে। বর্তমানে দেশের পুঁজিবাজারের মূল্য-আয় অনুপাত (পিই রেশিও) ১৬ দশমিক ১।
খাতভিত্তিক লেনদেন চিত্রে দেখা যায়, গত আগস্টে ডিএসইর মোট লেনদেনের মধ্যে ব্যাংক খাতে ৩ হাজার ৭৮২ কোটি টাকা, ওষুধ ও রসায়ন খাতে ২ হাজার ৬৫৫ কোটি এবং খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাতে ১ হাজার ৬৪৭ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে। এছাড়া টেলিযোগাযোগ খাতে ১ হাজার ৪২৭ কোটি ও বস্ত্র খাতে ১ হাজার ৩১৬ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে।
গত মাসে সূচকের উত্থানে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রেখেছে গ্রামীণফোন, স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস, ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো বাংলাদেশ কোম্পানি, ব্র্যাক ব্যাংক, ইসলামী ব্যাংক ও ইউসিবির শেয়ার।
stock market transaction