Home Featured ই-ইঞ্জিনিয়ারিং / পুঁজিবাজার থেকে সংগ্রহ করবে ১২০ কোটি টাকা

ই-ইঞ্জিনিয়ারিং / পুঁজিবাজার থেকে সংগ্রহ করবে ১২০ কোটি টাকা

by fstcap

প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) মাধ্যমে পুঁজিবাজারে আসতে চায় প্রকৌশল খাতের কোম্পানি ই-ইঞ্জিনিয়ারিং পিএলসি। সংগ্রহ করা অর্থ দিয়ে বিনিয়োগ করবে নতুন খাতে। এখানে উৎপাদন হবে অটোক্লেভ প্যানেলস, কনক্রিট ব্লক, ইট এবং টাইলস। নতুন বিনিয়োগের মাধ্যমে কয়েক হাজার মানুষের কর্মসংস্থান হবে বলে প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে নতুন বিনিয়োগের অংশ হিসেবে একটি নতুন কারাখানা স্থাপন করবে কোম্পানিটি। সম্প্রতি কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে তারা জানান। আইপিওর মাধ্যমে ই-ইঞ্জিনিয়ারিং পিএলসি বাজার থেকে সংগ্রহ করবে ১২০ কোটি টাকা।
 
ই-ইঞ্জিনিয়ারিং পিএলসি হচ্ছে সাইফ পাওয়ারটেক পরিবারের একটি কোম্পানি। পুঁজিবাজারে এলে এটি হবে এই গ্রুপের দ্বিতীয় কোম্পানি। গ্রুপের ফ্ল্যাগশিপ কোম্পানি সাইফ পাওয়ারটেক লিমিটেড ২০১৪ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়েছে। কোম্পানিটি মূলত সমুদ্রবন্দর পরিচালনা-সংক্রান্ত সেবা দিয়ে থাকে। এর পাশাপাশি বাংলাদেশ-দুবাই রুটে জাহাজ পরিচালনার ব্যবসায়ও যুক্ত হয়েছে কোম্পানিটি।

ই-ইঞ্জিনিয়ারিং পিএলসি মূলত একটি ইপিসি (ইঞ্জিনিয়ারিং, প্রকিউরমেন্ট এবং কনস্ট্রাকশন) কোম্পানি। এই কোম্পানি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের চাহিদা অনুসারে, তাদের জন্য অবকাঠামোর ডিজাইন, পণ্য ক্রয়, অবকাঠামো তৈরি ও সংস্থাপন করে থাকে। এর পাশাপাশি ই-ইঞ্জিনিয়ারিং পিএলসি নিরাপত্তা ও আইটি সংশ্লিষ্ট ইক্যুইপমেন্ট, ড্রেজার, ক্রেন, ভারী মেশিনারিজ সরবরাহ ও সংস্থাপন-সংক্রান্ত সেবা দিয়ে থাকে। কোম্পানিটির ব্যবসার পরিধির মধ্যে আরও রয়েছে নদী খনন, ভূমি উন্নয়ন, বহুতল ভবন নির্মাণ, সড়ক, সেতু, ফ্লাইওভার নির্মাণ ইত্যাদি ।

ই-ইঞ্জিনিয়ারিং পিএলসি বেশ কয়েকটি বিদেশি কোম্পানির সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করে। এর মধ্যে কয়েকটি কোম্পানির পণ্য ও সেবার পরিবেশক তারা। কোম্পানিগুলোর মধ্যে রয়েছে- যুক্তরাষ্ট্রের এস্ট্রোফিজিকস, স্ক্যানস্ক্যান, আমেরিকান সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং, তুরস্কের রিডোম্যাক টার্কি, সিঙ্গাপুরের এমটি কমিউনিকেশন, নেদারল্যান্ডসের ইউভি স্ক্যান।

ই-ইঞ্জিনিয়ারিং পিএলসি সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে কোম্পানিটির ১২ কোটি শেয়ার রয়েছে। তারা নতুন করে আরও ৩ কোটি শেয়ার ইস্যু করার পরিকল্পনা করছে। কোম্পানির একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা খবরের কাগজকে বলেন, ‘তাদের নতুন প্ল্যানটি হবে গ্রিন ফ্যাক্টরি তথা পরিবেশবান্ধব। পাশাপাশি এই প্ল্যান্ট পরিবেশবান্ধব নির্মাণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। তাদের কারখানায় পরিবেশবান্ধব নির্মাণ উপকরণ উৎপাদন করা হবে। এর মধ্যে কিছু উপকরণ বাংলাদেশে তারাই প্রথম নিয়ে আসবেন। এর মধ্যে রয়েছে- অটোক্লেভ প্যানেলস। আগুনে না পুড়িয়ে তাপ ও চাপের মাধ্যমে মেশিনে এই প্যানেল উৎপাদন করা হবে। এই প্যানেল ব্যবহারে নির্মাণ ব্যয় এবং সময়ও সাশ্রয় হবে। যেমন কেউ চাইলে তারা ২০ ফুট বাই ২০ ফুট আকারের প্যানেল তৈরি করে দেবেন। সংশ্লিষ্ট ক্রেতা এটি নিয়ে শুধু সংস্থাপন করে দেবেন।

প্রতিষ্ঠানটি খুব দ্রুত আইপিওর প্রক্রিয়া শুরু করবে বলে জানানো হয়েছে। পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) অনুমোদন সাপেক্ষে আইপিওর এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে।

ই-ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেড নির্ধারিত সময় গ্রাহকদের প্রয়োজনীয়তা এবং বাজেটের মধ্যে ব্যাপক এবং বৈচিত্র্যময় পরিসরের পরিষেবা প্রদান করে থাকে। সাইফ পাওয়ারের অন্যান্য প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে রয়েছে সাইফ পাওয়ার ব্যাটারি, সাইফ পাওয়ার এলইডি, সাইফ পাওয়ারটেক ডেভেলপড বার্নার, সাইফ সোলার পাওয়ার সিস্টেম, সাইফ প্লাস্টিক অ্যান্ড পলিমার ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড, ম্যাক্সন পাওয়ার লিমিটেড, ব্লু লাইন কমিউনিকেশন লিমিটেড, সাইফ স্পোর্টিং ক্লাব, সাইফ গ্লোবাল স্পোর্টস লিমিটেড, ইপিসি মানে ইঞ্জিনিয়ারিং, প্রকিউরমেন্ট এবং কনস্ট্রাকশন এবং এটি নির্মাণ শিল্পের পাশাপাশি অন্যান্য সেক্টরে চুক্তির একটি বিশিষ্ট রূপ। আমরা বিস্তারিত ইঞ্জিনিয়ারিং ডিজাইনের অঙ্কন অনুযায়ী প্রকল্পটি পরিচালনা করি, প্রয়োজনীয় সমস্ত সরঞ্জাম এবং উপকরণ সংগ্রহ করি এবং তারপরে আমাদের ক্লায়েন্টদের কাছে কার্যকরী সুবিধা বা সম্পদ সরবরাহ করার জন্য কার্যকর, ইনস্টল এবং কমিশনিং করি।

source: https://www.khaborerkagoj.com/economics-business/818894

engineering Bangladesh bd

You may also like