পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত রানার অটোমোবাইলস লিমিটেড ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ব্রামার্স অ্যান্ড পার্টনার্স। ছাড়ার বিষয়টি পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনও (বিএসইসি) অনুমোদন দিয়েছে। ফলে বাজারে প্রায় ৩ কোটি শেয়ার আসছে রানার অটোমোবাইলস লিমিটেডের।
সূত্র মতে, পাবলিক ইস্যু আইন অনুযায়ী প্লেসমেন্ট শেয়ারের ৩ বছর লক ইন থাকে। এই আইন অনুযায়ী আগামী মে মাসে লক ইন ফ্রি হওয়ার কথা ছিলো। এই আইন থেকে অব্যহতি চেয়ে গত ২৭ জুন এক বছর কমিয়ে আনার জন্য নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) কাছে আবেদন করে ব্রামার্স অ্যান্ড পার্টনার্স। বিষয়টি অনুমোদন দিয়ে গত ১ ডিসেম্বর ব্রামার্স অ্যান্ড পার্টনার্স আ্যাসেট ম্যানেজমেন্টকে (বাংলাদেশ) চিঠি দিয়েছে বিএসইসি।
এদিকে বাজার সংশ্লিষ্টরা মনে করেন এই মহুর্তে রানার অটোমোবাইলসের এতো শেয়ার বাজারে আসলে চাপ নিতে পারবে কী না? সেই বিষয়ে খেয়াল রাখা প্রয়োজন।
কোম্পানির সর্ব শেষ আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী বর্তমানে ব্রামার্স অ্যান্ড পার্টনার্স পিই ফান্ডের রানার অটোমোবাইলসের ২৪ দশমিক ৯৩ শতাংশ শেয়ার রয়েছে। শেয়ারের সংখ্যা অনুযায়ী এর পরিমাণ হলো ২ কোটি ৮৩ লাখ ৪ হাজার ৩৪৭টি। ৫ ডিসেম্বর,২০২১ (রোববার) এর ডিএসইতে সর্বশেষ ৫৩ টাকা ৭০ পয়সায় লেনদেন শেষ হয়েছে। সেই হিসেবে ২৪ দশমিক ৯৩ শতাংশ শেয়ারের বাজার মূল্য হলো প্রায় ১৫১ কোটি ৯৯ লাখ ৪৩ হাজার ৪৩৩ টাকা।
প্রকৌশল খাতের কোম্পানি রানার অটোমোবাইলস লিমিটেডের ২০১৯-২০ অর্থবছরে শেয়ারহোল্ডারদের ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। ২০১৯ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়েছে। বর্তমানে কোম্পানিটি এ ক্যাটাগড়িতে লেনদেন হচ্ছে। কোম্পানিটির অনুমোধিত মুলধন ২০০ কোটি টাকা এবং পরিশোধিত মূলধন ১১৩ কোটি ৫৪ লাখ টাকা। মোট শেয়ারের ৫০ দশমিক ০৪ শতাংশ রয়েছে উদ্যোক্তা পরিচালকদের কাছে। বাকী শেয়ারের মধ্যে ২৬ দশমিক ৩৮ শতাংশ প্রতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী এবং ২৩ দশমিক ৫৮ শতাংশ রয়েছে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে।
কোম্পানিটি ২০১৯ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়েছে। ব্যবসা সম্প্রসারণের জন্য বাজার থেকে ১ কোটি ৩৯ লাখ ৩০ হাজার ৩৪৮টি শেয়ার ছেড়ে পুঁজিবাজার থেকে প্রায় ১০০ কোটি টাকা সংগ্রহ করে। এর মধ্যে ৮৩ লাখ ৩৩ হাজার ৩৩৩টি শেয়ার ৭৫টাকা করে যোগ্য বিনিয়োগকারীদের কাছে ইস্যু করা হয়। বাকী ৫৫ লাখ ৯৭ হাজার ১৫টি শেয়ার ৬৭ টাকা করে (৭৫ টাকা থেকে ১০ শতাংশ কমে) সাধারণ বিনিয়োগকারীদের বরাদ্দ দেওয়া হয়। এর আগে বিএসইসির ৬৫০তম সভায় রানার অটোমোবাইলকে প্রাথমিক গণ প্রস্তাব (আইপিও) অনুমোদন দেওয়া হয়।
নরডিক দেশগুলোর ব্যবসায়ীদের সমন্বিত বিনিয়োগ কোম্পানি ব্রামার্স অ্যান্ড পার্টনার্স। ২০০৮ সালে ইউরোপভিত্তিক অল্টারনেটিভ ইনভেস্টমেন্ট ম্যানেজার ব্রামার্স অ্যান্ড পার্টনার্স বাংলাদেশে প্রাইভেট ইকুইটিকেন্দ্রিক ১০ কোটি ডলারের দ্য ফ্রন্টিয়ার ফান্ড গঠন করে। তাদের সঙ্গে ইন্টারন্যাশনাল ফিন্যান্স করপোরেশন (আইএফসি), ডিইজি, নরফান্ট ও অন্যান্য বিদেশী বিনিয়োগরীও ছিল। বিশ্বব্যাপী ব্রামার্স অ্যান্ড পার্টনার্সের আওতায় হাজার কোটি ডলারের বেশি বিনিয়োগ রয়েছে। স্টকহোম, লন্ডন, সিঙ্গাপুর, নিউইয়র্ক, ম্যানিলা ও ঢাকায় তাদের কার্যালয় রয়েছে।
source: sunbd24.com
runner bramers company share coming