রাজস্ব আয় ও গ্রাহকসংখ্যার দিক দিয়ে রবি আজিয়াটা বাংলাদেশের দ্বিতীয় শীর্ষ মোবাইল অপারেটর। ২০২৩ সালে রবি ভালো ব্যবসা করেছে। কীভাবে তা সম্ভব হলো, টেলিযোগাযোগ খাতের পরিস্থিতি কী ইত্যাদি নিয়ে প্রথম আলোর সঙ্গে কথা বলেছেন রবির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) রাজীব শেঠি। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন রাজীব আহমেদ
প্রথম আলো: ২০২৩ সালটি দারুণভাবে কাটিয়েছে রবি। রাজস্ব বেড়েছে রেকর্ড ১৬ শতাংশ। মুনাফা বেড়েছে ৭৪ শতাংশ। কীভাবে সেটা সম্ভব হলো?
রাজীব শেঠি: রেকর্ড বড় কথা নয়। যেসব কোম্পানির ব্যবসা বর্ধনশীল, আয়ের ক্ষেত্রে তাদের প্রতিবছরই রেকর্ড হয়। বিশেষ দিকটি হলো, ২০২৩ সালে রবির ব্যবসা বৃদ্ধির গতি বেশ ভালো ছিল। ২৭ বছরের পথচলায় ২০২৩ সালের রাজস্ব ও মুনাফার প্রবৃদ্ধি ছিল অন্যতম সর্বোচ্চ। রবি ২০২৩ সালে যে প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে, তা বাংলাদেশের টেলিযোগাযোগ খাতের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ। এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের মোবাইল অপারেটরগুলোর এখন পর্যন্ত যেসব তথ্য-উপাত্ত পাওয়া গেছে, তাতে রবির প্রবৃদ্ধিই বেশি।
প্রথম আলো: এতটা ভালো করার পেছনে কী কী বিষয় কাজ করেছে বলে আপনার মনে হয়?
রাজীব শেঠি: আসলে এটা ধারাবাহিক চেষ্টার ফল। আমরা আমাদের নেটওয়ার্ক ব্যাপকভাবে উন্নত করেছি। আমরা দাবি করতে পারি, এখন কথা বলা ও ইন্টারনেট ব্যবহার—দুই ক্ষেত্রে রবির নেটওয়ার্কই সেরা। এটাই ভালো করার বড় কারণ। আমরা ইন্টারনেট ও মিনিট প্যাকেজগুলো সহজ ও গ্রাহকের উপযোগী করেছি। গ্রাহকের পছন্দ অনুযায়ী প্যাকেজ দেওয়ার চেষ্টা করেছি। ব্র্যান্ডিংয়েও আমরা ভালো করেছি। নতুন ব্র্যান্ডিং উদ্যোগ ‘পারবে তুমিও’ নেওয়া হয়েছে। এগুলোর সম্মিলিত ফলই ভালো ব্যবসা।
প্রথম আলো: নতুন ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) হিসেবে আপনার কি কোনো জাদু ছিল?
রাজীব শেঠি: না, না। সিইও কোনো জাদু করে কিছু করতে পারে না। আমরা সবাই মিলে কাজটি করেছি।
একটা তেতো প্রশ্ন করতে চাই। ১৯৯৭ সাল থেকে রবি ব্যবসা করছে। কিন্তু সে তার প্রতিযোগীর মতো মুনাফা করতে পারে না। কেন?
রাজীব শেঠি: একাধিক কারণ আছে। এটা আসলে সংখ্যা ও বিস্তৃত ব্যবসার খেলা। আপনার যত বেশি গ্রাহক থাকবে, তত রাজস্ব আয় হবে, তত মুনাফা হবে। গ্রাহকসংখ্যা বেশি হলে পরিচালন ব্যয় গ্রাহকপ্রতি কমে যায়। টেলিযোগাযোগ খাতে বর্তমান পরিস্থিতিতে ছোট অপারেটরদের পক্ষে মুনাফা বাড়ানো কঠিন কাজ। সারা বিশ্বেই ছোটদের সুরক্ষার জন্য নানা পদক্ষেপ নেওয়া হয়। বাংলাদেশেও কয়েক বছর আগে বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা হয়েছে। কার্যকর পদক্ষেপ আসেনি। এটা শুধু কোনো অপারেটরের লাভ-লোকসানের বিষয় নয়। বাজারে কারও একচেটিয়া ব্যবসা প্রতিষ্ঠিত হলে কার্যত ক্ষতি হয় গ্রাহকের।
‘এ দেশে টেলিযোগাযোগ খাতে কর অত্যন্ত বেশি। আমরা যদি ১০০ টাকা পাই, তার ৫৬ টাকা চলে যায় সরকারের কোষাগারে। প্রতিবেশী দেশগুলোতে হারটি অর্ধেক।
রাজীব শেঠি, ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও), রবি’
প্রথম আলো: আপনি বাংলাদেশের টেলিযোগাযোগ খাতে আগেও কাজ করেছেন। এ খাতের আইনকানুন, নীতিনির্ধারণী পরিবেশ নিয়ে আপনার মূল্যায়ন কী?
রাজীব শেঠি: এই প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার একাধিক পথ আছে। একটি হলো, এ দেশের টেলিযোগাযোগ খাত বিনিয়োগের জন্য আকর্ষণীয়। কারণ, এখানে জনসংখ্যার ঘনত্ব বেশি, যা টেলিযোগাযোগ অবকাঠামো নির্মাণের জন্য উপযোগী। এ দেশের জনসংখ্যার বড় অংশ তরুণ। তারা নতুন কিছুর অভিজ্ঞতা নিতে চায়। বাসাবাড়িতে ব্রডব্যান্ড সংযোগ খুবই কম। এসব টেলিযোগাযোগ খাতের জন্য খুবই উপযোগী। কিন্তু এ দেশে টেলিযোগাযোগ খাতে কর অত্যন্ত বেশি। আমরা যদি ১০০ টাকা পাই, তার ৫৬ টাকা চলে যায় সরকারের কোষাগারে। প্রতিবেশী দেশগুলোতে হারটি অর্ধেক। টেলিযোগাযোগ সেবার বিভিন্ন পর্যায়ে সেবা দিতে একক কোনো লাইসেন্স নেই। ফলে একটি কোম্পানি চাইলেও সব সেবা নিজেরা দিতে পারে না। যেমন টাওয়ার বসানো। এর জন্য টাওয়ার কোম্পানির ওপর নির্ভর করতে হয়। এটা সমস্যা তৈরি করে। শুধু ব্যয় নয়, সেবার মানেও প্রভাব ফেলে।
প্রথম আলো: আপনি ভারতের নাগরিক। মিয়ানমারে কাজ করেছেন। বাংলাদেশে আছেন। কোন দেশের নেটওয়ার্কের মান ভালো?
রাজীব শেঠি: কী মাপকাঠিতে মাপছেন, সেটার ওপর এই প্রশ্নের উত্তর নির্ভর করে। বাংলাদেশে আমি যে মানের নেটওয়ার্ক পাই, আমি বলতে পারি দিল্লির চেয়ে সেটা অনেক ভালো।
প্রথম আলো: কিন্তু বাংলাদেশের মানুষ সেবার মান নিয়ে অভিযোগ করে। বিশেষ করে শহরের ভেতরে বাসায় নেটওয়ার্ক না পাওয়া, কলড্রপ (বিচ্ছিন্ন) হওয়া ইত্যাদি। আপনি কী বলবেন?
রাজীব শেঠি: দেখুন, যখন আপনি ভালো সেবা পাবেন, সেটা স্বাভাবিক ধরে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কিছু লেখার প্রয়োজন বোধ করবেন না। না করাটা ঠিকই আছে। কিন্তু যখন আপনি কোনো সেবা ভালো পাবেন না, তখন ফেসবুকে সেটা নিয়ে লিখবেন। এটাও স্বাভাবিক। প্রতিদিন শত শত কোটি কল করা হয়। এর মধ্যে কিছু কল ড্রপ হওয়াটা স্বাভাবিক। কারণ, এটা বেতার তরঙ্গ, যেখানে শতভাগ সফলতা পাওয়ার সুযোগ নেই। দেখতে হবে, আন্তর্জাতিক ও দেশীয়ভাবে নির্ধারিত সীমার চেয়ে বেশি কলড্রপ হচ্ছে কি না। আন্তর্জাতিক ও দেশীয় সীমা হলো ২ শতাংশ। রবির কলড্রপের হার শূন্য দশমিক ৩০ শতাংশ। এটা দেশের মধ্যে সবচেয়ে কম। তবে আমাদের সেবার মান বাড়ানোর চেষ্টায় কমতি নেই। কিছু কিছু সমস্যার জায়গায় আমরা টাওয়ার বসানোর চেষ্টা করছি। যেমন কক্সবাজারের উখিয়া। তবে টাওয়ার বসানো অনেক চ্যালেঞ্জের কাজ। আমরা চাইলেও জায়গা পাচ্ছি না।
‘ঢাকায় ৬০০টির মতো টাওয়ার বসানোর যন্ত্রপাতি আমাদের গুদামে পড়ে আছে। আমরা জায়গা পাচ্ছি না। এ নিয়ে নিয়ন্ত্রক সংস্থা ও টাওয়ার কোম্পানির সঙ্গে আমাদের আলোচনা চলছে।
রাজীব শেঠি, ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও), রবি’
ঢাকায়ও তো টাওয়ার বাড়ানোর দরকার?
রাজীব শেঠি: ঠিক। ঢাকায় ৬০০টির মতো টাওয়ার বসানোর যন্ত্রপাতি আমাদের গুদামে পড়ে আছে। আমরা জায়গা পাচ্ছি না। এ নিয়ে নিয়ন্ত্রক সংস্থা ও টাওয়ার কোম্পানির সঙ্গে আমাদের আলোচনা চলছে। টাওয়ার ভাগাভাগি হলে সবচেয়ে বেশি সুবিধা হতো। আমরা সে দিকে তাকিয়ে আছি।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) জনশুমারি ও গৃহগণনা-২০২২-এর প্রাথমিক প্রতিবেদন বলছে, জনসংখ্যার ৩১ শতাংশ ইন্টারনেট ব্যবহার করে। এটা বাড়াতে করণীয় কী?
রাজীব শেঠি: বাংলাদেশে বেশির ভাগ মানুষ স্মার্টফোনে ইন্টারনেট ব্যবহার করে। ইন্টারনেট ব্যবহার বাড়াতে স্মার্টফোন সহজলভ্য করতে হবে। এ দেশে স্মার্টফোনের দাম বেশি। এখন দেশীয় কোম্পানিগুলো স্মার্টফোন উৎপাদন করছে। দেখতে হবে স্মার্টফোনের দাম কীভাবে কমানো যায়।
সরকার উচ্চগতির ইন্টারনেট সেবা ফাইভ-জি চালুর কথা বলছে। অপারেটরগুলো কি তৈরি, বাজারে কি ফাইভ-জির চাহিদা আছে?
রাজীব শেঠি: আপনি যদি অপারেটরের কথা বলেন, আমি বলব আমরা ফাইভ-জি চালুর জন্য তৈরি। বাজারের কথা বললে, উত্তরটি কিছুটা ভিন্ন হবে। ফাইভ-জি সাধারণ গ্রাহককে তেমন ভিন্ন কোনো অভিজ্ঞতা দেবে না। এখন গ্রাহকেরা ইন্টারনেটে যেভাবে সিনেমা দেখেন, ফাইভ-জিতেও মোটামুটি তেমন অভিজ্ঞতা হবে। ফাইভ-জি দরকার শিল্প ও সেবা খাতের জন্য। সেখানে কি অটোমেশন (স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থা) ততটা হয়েছে, সেটা দেখা দরকার।
রবি সম্প্রতি দুটি ‘সাবসিডিয়ারি’ কোম্পানি খুলেছে। অ্যাক্সেনটেক ও আর-ভেঞ্চারস। কারণ কী?
রাজীব শেঠি: এগুলো মূলত ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানকে সেবা দেওয়ার জন্য। এ খাত থেকে রাজস্ব আয় এখনো কম। তবে ভবিষ্যতে সেবা বাড়বে, রাজস্বও বাড়বে। ভবিষ্যতের কথা মাথায় রেখেই আলাদা সিইও নিয়োগ দিয়ে আলাদা কোম্পানি খোলা হয়েছে। আশপাশের দেশগুলোতে এ ধরনের ব্যবসার রাজস্ব কয়েক গুণ করে বাড়ছে।
রবির কি বাংলাদেশের শেয়ারবাজারে আরও শেয়ার ছাড়ার কোনো পরিকল্পনা আছে?
রাজীব শেঠি: বিষয়টি পরিচালনা পর্ষদের এখতিয়ার। তবে আমি যত দূর জানি, এমন কোনো আলোচনা নেই।
আপনাকে যদি নতুন একটি কোম্পানি খোলার দায়িত্ব দেওয়া হয়, তাহলে আপনি কোন দেশে বিনিয়োগ করতে আগ্রহী হবেন? আমি এই প্রশ্নের উত্তর চাইছি বাংলাদেশ, ভারত, মিয়ানমার ও আফ্রিকাকে মাথায় রেখে, কারণ ওই সব দেশ ও অঞ্চলে আপনি কাজ করেছেন।
রাজীব শেঠি: সব দেশেই ভিন্ন ভিন্ন সুযোগ ও সুবিধা রয়েছে। তবে আমি বর্তমান অবস্থা বিবেচনায় নিশ্চয়ই মিয়ানমার যাব না।
‘ব্যবসাসংক্রান্ত বিরোধ নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে তৃতীয় পক্ষের ভূমিকা থাকা দরকার। সাধারণত এই ভূমিকা পালন করেন আদালত। নিরপেক্ষ বিচারব্যবস্থা বিনিয়োগ পরিবেশের জন্য জরুরি।
রাজীব শেঠি, ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও), রবি’
বাংলাদেশে বিনিয়োগের বাধা ও সম্ভাবনা সম্পর্কে জানতে চাইলে কী কী বিষয় সামনে আনবেন?
রাজীব শেঠি: বিনিয়োগকারীরা নীতির ধারাবাহিকতা চায়, যাতে পরিকল্পনা করা সহজ হয়। চটজলদি বিনিয়োগ-সংশ্লিষ্ট সরকারি নীতি পরিবর্তন হোক, সেটা তারা চায় না। এক রাতের মধ্যে যদি কোনো কিছু বদলে যায়, তাহলে তা বিনিয়োগকারীদের শঙ্কিত করে তোলে। ব্যবসাসংক্রান্ত বিরোধ নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে তৃতীয় পক্ষের ভূমিকা থাকা দরকার। সাধারণত এই ভূমিকা পালন করেন আদালত। নিরপেক্ষ বিচারব্যবস্থা বিনিয়োগ পরিবেশের জন্য জরুরি। আপনি যদি টেলিযোগাযোগ খাতে বিনিয়োগের জন্য একটি দেশকে বেছে নিতে বলেন, সেটা বাংলাদেশ। এ খাতে বিনিয়োগের জন্য এই দেশে অনেক সুবিধা রয়েছে।
বাংলাদেশের মানুষ সম্পর্কে আপনি কী বলবেন?
রাজীব শেঠি: আমি বাংলাদেশকে ভালোবাসি। এ দেশের মানুষ বন্ধুবৎসল। তারা জানতে আগ্রহী, শিখতে আগ্রহী। ক্রিকেট ভালোবাসে। এ দেশে প্রচুর মেধাবী রয়েছে, যা বিশ্ববাসী এখনো জানে না। আমরা ডিজিটাল ক্ষেত্রে মেধাবীদের খোঁজ করছিলাম, দেখলাম দারুণ সব মেধাবী তরুণ এসেছেন। তাঁদের বয়স আমার মতো ৪০, ৫০ বছর নয়। তাঁরা ২৫, ৩০ বছর বয়সী তরুণ। তাঁদের প্রকাশের জন্য দরকার সঠিক মঞ্চ।
রাজীব শেঠি
২০২২ সালের অক্টোবরে রাজীব শেঠি রবি আজিয়াটার ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) হিসেবে যোগ দেন। রবিতে যোগ দেওয়ার আগে তিনি মিয়ানমারের মোবাইল অপারেটর ওরেডুতে কর্মরত ছিলেন। এর আগে ছিলেন এয়ারটেল আফ্রিকার প্রধান বাণিজ্যিক কর্মকর্তা (সিসিও)। তিনি ভোডাফোন, এইচপি, হাচিসন টেলিকম এবং এশিয়ান পেইন্টসের মতো কোম্পানিতে শীর্ষস্থানীয় পদে দায়িত্ব পালন করেছেন।
রাজীব শেঠি ভারতের লক্ষ্ণৌয়ের ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব ম্যানেজমেন্ট থেকে মার্কেটিং, ফিন্যান্স ও অপারেশনে এমবিএ ডিগ্রিধারী। তিনি বাংলাদেশে নতুন নন, এর আগে তিনি গ্রামীণফোনের সিইও হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
রবির ৬১.৮২ শতাংশ শেয়ারের মালিক মালয়েশিয়াভিত্তিক আজিয়াটা গ্রুপ বারহাদ। এ ছাড়া ভারতের ভারতী এয়ারটেলের হাতে ২৮.১৮ শতাংশ ও বাংলাদেশের সাধারণ িবনিয়োগকারীর হাতে ১০ শতাংশ শেয়ার রয়েছে
১৯৯৭ সালে টেলিকম মালয়েশিয়া ও বাংলাদেশের এ কে খান অ্যান্ড কোম্পানির যৌথ উদ্যোগে ‘একটেল’ ব্র্যান্ড নামে এটি কার্যক্রম শুরু করে
২০০৮ সালে এ কে খান অ্যান্ড কোম্পানি তাদের শেয়ার বিক্রি করে দেয়। ২০১০ সালে একটেল থেকে রবি নামে যাত্রা শুরু করে