চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথম নয় মাসে (জুলাই-মার্চ) পর্যন্ত লক্ষ্যমাত্রার ৯২ দশমিক ২৩ শতাংশ রাজস্ব আহরণ করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। এর মধ্যে লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে কাস্টমস থেকে ৮৯ দশমিক ১১ শতাংশ, মূল্য সংযোজন কর বা ভ্যাট থেকে ৯৫ দশমিক ৮৬ শতাংশ এবং আয়কর থেকে ৯০ দশমিক ৯৫ শতাংশ আয় হয়েছে।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের মাসিক সমন্বয় সভার কার্যবিবরণী সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। সম্প্রতি অনুষ্ঠিত এ সভায় সভাপতিত্ব করেন অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের সিনিয়র সচিব ও এনবিআরের চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুমিন।
এনবিআরের দেয়া তথ্যমতে, চলতি অর্থবছরের রাজস্ব আহরণের সংশোধিত লক্ষ্যমাত্রা ৪ লাখ ১০ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে জুলাই-মার্চ পর্যন্ত লক্ষ্যমাত্রা ২ লাখ ৮১ হাজার ৭৪৫ কোটি টাকা, যার বিপরীতে আয় হয়েছে ২ লাখ ৫৯ হাজার ৮৬৬ কোটি টাকা। সে হিসাবে লক্ষ্যমাত্রা অর্জন হয়েছে ৯২ দশমিক ২৩ শতাংশ।
চলতি অর্থবছরের প্রথম নয় মাসে রাজস্ব আয় গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ১৫ দশমিক ২৩ শতাংশ বেড়েছে। এর মধ্যে কাস্টমসে ১০ দশমিক ২১ শতাংশ, ভ্যাটে ১৫ দশমিক ৮৮ শতাংশ এবং আয়করে ১৯ দশমিক ২০ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে।
এনবিআর জানায়, মার্চে আমদানি শুল্ক থেকে ৩ হাজার ৫৬৩ কোটি ৫৭ লাখ টাকা, মূল্য সংযোজন কর (আমদানি পর্যায়ে) ৩ হাজার ৯৮৩ কোটি ৩ লাখ, সম্পূরক শুল্ক (আমদানি পর্যায়ে) ১ হাজার ১৪২ কোটি ৩৭ লাখ টাকা আয় করা হয়। মার্চ মাসে রফতানি শুল্ক আয় হয়নি। মার্চে আবগারি শুল্ক ২০৪ কোটি ৭৮ লাখ, মূল্য সংযোজন কর (স্থানীয় পর্যায়ে) ৮ হাজার ১০২ কোটি ৭৭ লাখ, সম্পূরক শুল্ক (স্থানীয় পর্যায়ে) ৩ হাজার ৬৮৯ কোটি ৯১ লাখ ও অন্যান্য খাতে (স্থানীয় পর্যায়ে) ৯৫ কোটি ৩৬ লাখ টাকা আয় করা হয়। মার্চে টার্নওভার ট্যাক্স আদায় হয়নি। মার্চে আয়কর থেকে ১২ হাজার ৩৯৮ কোটি ৯ লাখ ও ভ্রমণ কর থেকে ১৯১ কোটি ৫৬ লাখ টাকার রাজস্ব আয় করা হয়।
এদিকে জুলাই থেকে মার্চ পর্যন্ত আমদানি শুল্ক থেকে ২৯ হাজার ৫৮৯ কোটি ৮১ লাখ টাকা, মূল্য সংযোজন কর (আমদানি পর্যায়ে) ৩৬ হাজার ১০৮ কোটি ৪৯ লাখ, সম্পূরক শুল্ক (আমদানি পর্যায়ে) ৮ হাজার ৫৬৪ কোটি ৪১ লাখ টাকা আয় করা হয়। মার্চ পর্যন্ত রফতানি শুল্ক আয় করা হয় মাত্র ৩ লাখ টাকা। এ নয় মাসে আবগারি শুল্ক ৪ হাজার কোটি ৫২ লাখ, মূল্য সংযোজন কর (স্থানীয় পর্যায়ে) ৬৮ হাজার ৪৭৭ কোটি ২৫ লাখ, সম্পূরক শুল্ক (স্থানীয় পর্যায়ে) ২৭ হাজার ৫৬৯ কোটি ১২ লাখ ও অন্যান্য খাতে (স্থানীয় পর্যায়ে) ৭৪৬ কোটি ৯৯ লাখ টাকা আয় করা হয়। মার্চ পর্যন্ত টার্নওভার ট্যাক্স আয় হয়েছে মাত্র ৩৮ লাখ টাকা। মার্চ পর্যন্ত আয়কর থেকে ৮৩ হাজার ২৮৪ কোটি ৪২ লাখ ও ভ্রমণ কর থেকে ১ হাজার ৬১৬ কোটি ৬৪ লাখ টাকার রাজস্ব আয় করা হয়।
source: https://bonikbarta.net/home/news_description/382615
revenue bangladesh bd growth