নিজস্ব অর্থায়নে দুটি আধুনিক বাল্ক ক্যারিয়ার জাহাজ কিনছে বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন (বিএসসি)। এ লক্ষ্যে শিপিং করপোরেশন ও সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান হেলেনিক ড্রাই বাল্ক ভেঞ্চারস এলএলসির মধ্যে জাহাজ সরবরাহ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। নতুন এ দুই জাহাজ বিএসসিতে যুক্ত হলে বছরে ১৫০ কোটি টাকা আয় বাড়বে বলে জানিয়েছেন নৌপরিবহন উপদেষ্টা বিগ্রেডিয়ার জেনারেল (অব:) ড. এম. সাখাওয়াত হোসেন।
রোববার সন্ধ্যায় রাজধানীর একটি হোটেল আয়োজিত চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
BSC
https://bonikbarta.com/bangladesh/Q2z0hdthLMdEVdo9?fbclid=IwVERTSAM9AaJleHRuA2FlbQIxMAABHnObh4jQZNWDA2MBQ013-IiLCYjyp1HLGmNEtZ7gpIDP1bRUR9q9fzHqc_Nm_aem_O0YTeEW60z6E-q8JEQ3p6w&sfnsn=wa
উপদেষ্টা বলেন, দেশের ইতিহাসে এবারই প্রথম বিএসসির নিজস্ব অর্থায়নে জাহাজ কেনা হচ্ছে। নিঃসন্দেহে দেশের শিপিং ইন্ডাস্ট্রি জন্য এটি যুগান্তকারী মাইলফলক। নতুন দুই জাহাজ শিপিং করপোরেশনে যুক্ত হলে বছরে ১৫০ কোটি টাকা আয় বাড়বে। বিএসসির নিজস্ব পরিবহন সক্ষমতা প্রায় ১ লাখ ২০ হাজার ডিডব্লিউটি বৃদ্ধি পাবে, যা দেশের সমুদ্র বাণিজ্যে একটি উল্লেখযোগ্য সংযোজন হবে। বিশ্বদরবারে বাংলাদেশ পরিবেশবান্ধব গ্রিন শিপিংয়ের সম্মান অর্জন করবে।
জানা যায়, শিপিং করপোরেশনে যুক্ত হতে যাওয়া জাহাজগুলো প্রধান ইঞ্জিন থেকে নাইট্রোজেন অক্সাইড নির্গমন কার্যকরভাবে নিয়ন্ত্রণ করে। এ প্রক্রিয়া পরিবেশ দূষণ উল্লেখযোগ্যভাবে কমায়। জাহাজ দুটির নকশা ও প্রযুক্তিগত সমাধানগুলো জ্বালানি সাশ্রয়ী, পরিবেশবান্ধব এবং আন্তর্জাতিক পরিবেশগত মানদণ্ডসম্মত এবং আন্তর্জাতিক মেরিটাইম সংস্থার নির্ধারিত সর্বশেষ পরিবেশগত মানদণ্ড পূরণ করে। জাহাজ দুটিতে উচ্চমানের ইউরোপীয় ও জাপানি যন্ত্রপাতি ব্যবহার করা হয়েছে। জার্মান লাইসেন্সে জাহাজগুলো চীনে উৎপাদন করা হয়েছে। এ ছাড়া স্পেনের পাম্প ও নরওয়ের কম্প্রেসার ব্যবহার করা হয়েছে। চুক্তি স্বাক্ষরের পর প্রথম জাহাজ চলতি বছরের অক্টোবরে এবং দ্বিতীয়টি ডিসেম্বরে বিএসসির কাছে হস্তান্তর করা হবে।
এদিকে চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে আরো তিনটি জাহাজ কেনার কথা জানিয়েছে বিএসসি। সব মিলিয়ে বর্তমান সরকারের সময়ে শিপিং করপোরেশনের জন্য পাঁচটি জাহাজ কেনার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। নতুন জাহাজগুলো যুক্ত হলে বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন কেবল আয়ের দিক থেকেই লাভবান হবে না, বরং আন্তর্জাতিক মেরিটাইম বাজারে ‘গ্রিন শিপিং নেশন’ হিসেবে বাংলাদেশের অবস্থান আরো মজবুত হবে।