পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত তিন আর্থিক প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ ইন্ডাস্ট্রিয়াল ফাইন্যান্স কোম্পানি লিমিটেড (বিআইএফসি), ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস লিমিটেড (আইএলএফএসএল) ও পিপলস লিজিং। প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে অবৈধভাবে জামানতবিহীন ঋণের নামে লুটপাট ও আত্মসাৎ হয়েছে হাজার হাজার কোটি টাকা। জরাজীর্ণ প্রতিষ্ঠান তিনটির সম্পদের চেয়ে দায় দাঁড়িয়েছে প্রায় দ্বিগুণ। বাংলাদেশ ব্যাংকের একজন ডেপুটি গভর্নরের নেতৃত্বে উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন ফ্যাক্ট ফাইন্ডিংস কমিটির প্রতিবেদন অনুযায়ী, তিন প্রতিষ্ঠান থেকে লুটের পরিমাণ ৬ হাজার কোটি টাকা। এই লুটপাটে জড়িত রয়েছেন আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর পরিচালনা পর্ষদ ও বাংলাদেশ ব্যাংকের দায়িত্বশীল বেশ কিছু কর্মকর্তা। এ ছাড়া ঋণ প্রদানকারী বিভিন্ন ব্যাংক, রেজিস্টার অব জয়েন স্টক কোম্পানিজ, অডিট ফার্ম এবং এসইসিকে (সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন) দায়ী করা হয়। বিআইএফসির পরিচালনা পর্ষদ অপসারণের নির্দেশনা চেয়ে ২০২১ সালে বিদেশি অংশীদারি প্রতিষ্ঠান ‘টিজ মার্ট ইনকরপোরেটেড’-এর করা এক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্ট এই কমিটি গঠন করে।
কমিটি বিআইএফসি ও আইএলএফএসএলের বিষয়ে দুটি তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেছে দেড় বছরের বেশি সময় আগে। প্রতিবেদন দুটি হাইকোর্টে পাঠানো হয়েছে। এই দুটি প্রতিষ্ঠান থেকে লুটপাট হয়েছে ৩ হাজার ৭০০ কোটি টাকা। এ ছাড়া প্রায় এক বছর আগে পিপলস লিজিংয়ের ব্যাপারেও তদন্ত প্রতিবেদন বাংলাদেশ ব্যাংক গভর্নরের কাছে দাখিল করেছে ফ্যাক্ট ফাইন্ডিংস কমিটি। প্রতিবেদন অনুযায়ী, পিপলস লিজিং থেকে লুট হয়েছে ২ হাজার ৩০০ কোটি টাকা; কিন্তু এ প্রতিবেদনটি আর হাইকোর্টে পাঠানো হয়নি। এসব প্রতিবেদন দাখিলের পর আর কোনো অগ্রগতি নেই। জড়িতরা ধরাছোঁয়ার বাইরে। লুটপাটের চিত্রসংবলিত এই তদন্ত প্রতিবেদন ফাইলবদ্ধ অবস্থায় পড়ে আছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মেজবাউল হক কালবেলাকে বলেন, ‘আদালতের নির্দেশনার বাইরে বাংলাদেশ ব্যাংক এসব আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রমের ওপর কোনো হস্তক্ষেপ করছে না। এসব প্রতিষ্ঠানের ব্যাপারে তদন্ত প্রতিবেদন জমা হয়েছে। এ বিষয়ে হাইকোর্টই পরবর্তী পদক্ষেপ নেবেন।’ বাংলাদেশ ব্যাংকের এক আইনজীবী বলেন, আবেদনকারী প্রতিষ্ঠানের আইনজীবী অথবা পক্ষভুক্ত যে কারও পক্ষের আইনজীবী বিষয়টি হাইকোর্টে নজরে আনতে পারেন। তাহলেই প্রতিবেদনগুলোর ওপর শুনানি হবে এবং জড়িতদের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত আসবে। অন্যথায় এ তদন্তের উদ্দেশ্য পুরোপুরি ব্যর্থ হবে।
দুই আর্থিক প্রতিষ্ঠানে লুট ৩ হাজার ৭০০ কোটি:
২০২২ সালে ফ্যাক্ট ফাইন্ডিংস কমিটির দেওয়া তদন্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিআইএফসি ও আইএলএফএসএলের সম্পদের চেয়ে দায় দাঁড়িয়েছে প্রায় দ্বিগুণ। আইএলএফএসএলের মোট সম্পদ ৪ হাজার ৫৯৭ দশমিক ৪৮ কোটি টাকা হলেও এখন মোট দায় ৭ হাজার ৮১০ দশমিক ৩৩ কোটি টাকা। এর মধ্যে আইএলএফএসএল থেকে বর্তমানে ভারতে কারাবন্দি আলোচিত প্রশান্ত কুমার হালদার ও তার স্বার্থ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের নামে লুট হয়েছে ৩ হাজার ১২৯ দশমিক ৬৩ কোটি টাকা। আর বিএফআইসির মোট সম্পদ ৯২৭ দশমিক ২৯ কোটি টাকা হলেও প্রতিষ্ঠানটির দায় ১ হাজার ৮৩৫ দশমিক ৯৬ কোটি টাকা। এ প্রতিষ্ঠান থেকে মেজর (অব.) আব্দুল মান্নান ও তার স্বার্থ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানে নেওয়া টাকার পরিমাণ প্রায় ৬০০ কোটি।
দেশের অর্থনীতিকে পঙ্গু করে এভাবে লুটপাট ও আত্মসাতের সময় আর্থিক প্রতিষ্ঠান দুটির পরিচালনা পর্ষদে যারা ছিলেন, তারা সবাই ছিলেন পিকে হালদার ও মেজর (অব.) মান্নানের নিজস্ব লোক। তারা বিভিন্ন ব্যাংক, অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তি পর্যায় থেকে আমানত সংগ্রহ করেছেন। এরপর এসব টাকা ঋণের নামে নিজেদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানে কোনো ধরনের জামানতবিহীনভাবেই ছাড় দিয়েছে। এমনকি নিজেদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট নামসর্বস্ব ও কাগুজে প্রতিষ্ঠানের নামেও ঋণ দিয়েছে। বছরের পর বছর এভাবে লুটপাট ও আত্মসাতের ঘটনা ঘটলেও তা তদারকি, নিয়ন্ত্রণ ও ব্যবস্থা গ্রহণের দায়িত্বে যারা ছিলেন, তারা সবাই ছিলেন নিশ্চুপ। এর ফলে দেশের জনগণের এসব টাকা আর ফেরত পাওয়ার কোনো সম্ভাবনা দেখছেন না সংশ্লিষ্টরা।
তদন্ত প্রতিবেদনে এই লুটপাটের জন্য প্রধানত নিয়ন্ত্রণকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও বাজার বিভাগ এবং ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন বিভাগকে দায়ী করা হয়েছে। এতে আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও বাজার বিভাগে ২০০৯ থেকে ২০২০ পর্যন্ত দায়িত্ব পালনকারী তিন ডেপুটি গভর্নর, ছয় নির্বাহী পরিচালক, ১১ মহাব্যবস্থাপক (জিএম) এবং ১৫ জন ডিজিএমসহ আরও ১২৪ জন কর্মকর্তাকে দায়ী করা হয়েছে। ব্যাংক পরিদর্শন বিভাগের দুজন ডেপুটি গভর্নর, নির্বাহী পরিচালকসহ মোট ৫১ জনকে দায়ী করা হয়েছে। এ ছাড়া আর্থিক প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন বিভাগের দুজন ডেপুটি গভর্নর, আট নির্বাহী পরিচালক, পাঁচ জিএমসহ মোট ২৯ জন কর্মকর্তার নাম এসেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সংঘটিত আর্থিক অনিয়ম ও অবৈধ কর্মকাণ্ড রোধ ও নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতার জন্য আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও বাজার বিভাগে এবং পরিদর্শনের দায়িত্ব সম্পাদনকারী বিভাগে সংশ্লিষ্ট সময়ে সিদ্ধান্ত প্রদানকারী পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা প্রত্যেকেই যার যার ক্ষমতা ও পদমর্যাদার ক্রমানুপাতে কর্মকালের ব্যাপ্তিভেদে দায়ী। পাশাপাশি বিভন্ন ব্যাংক যারা কোনো ধরনের জামানত ছাড়াই আর্থিক প্রতিষ্ঠান দুটিকে শত শত কোটি টাকা ঋণ দিয়েছে এবং বছরের পর বছর তা ফেলে রেখেছে, তাদেরও দায়ী করা হয়েছে প্রতিবেদনে। এ ছাড়া রেজিস্ট্রার অব জয়েন্ট স্টক কোম্পানিজ, সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (এসইসি) এবং অডিট ফার্মগুলোকেও দায়ী করা হয়েছে।
বিআইএফসির ব্যাপারে দেওয়া প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০০৫ সালের পর থেকে মেজর (অব.) মান্নান ও তার স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান ও আত্মীয়স্বজনের নামে-বেনামে ২০১৪ পর্যন্ত ৫১৭ কোটি টাকার ঋণ নেওয়া হয়েছে। এরপর অদৃশ্য কারণে বিআইএফসিতে ২০১৫ সালে বিশেষ পরিদর্শন করে বাংলাদেশ ব্যাংক। ২০১৫ সালের পূর্বে বিআইএফসিতে পরিচালনা পর্ষরদ দায়িত্ব পালনকারী সবাইকেই দায়ী করা হয়েছে প্রতিবেদনে।
আইএলএফএসএলের ব্যাপারে বলা হয়েছে, ব্যাপক অনিয়ম, দুর্নীতি ও অবৈধ কর্মকাণ্ড সংঘটন করে ২০১৫ সাল হতে ২০১৯ সালের মধ্যে পিকে হালদার গংয়ের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট অস্তিত্ববিহীন কাগুজে প্রতিষ্ঠানগুলো উপযুক্ত জামানত ছাড়াই মোট ৩ হাজার ১২৯ দশমিক ৬৩ কোটি টাকা আইএলএফএসএল থেকে স্থানান্তরের মাধ্যমে আত্মসাৎ হয়েছে। এক প্রতিষ্ঠানের নামে ঋণ মঞ্জুর দেখিয়ে ভিন্ন প্রতিষ্ঠানে বিতরণের মাধ্যমে এসব টাকা নেওয়া হয়েছে। এ সব আর্থিক অনিয়ম, জাল-জালিয়াতি ও মানি লন্ডারিং অপরাধে ‘ইন্টারন্যাশনাল লিজিংয়ের ক্রেডিট কমিটি, এক্সিকিউটিভ কমিটিসহ পরিচালনা পর্ষদের সংশ্লিষ্ট সদস্য এবং ব্যবস্থাপনার সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা যার যার ক্ষমতা ও পদমর্যাদার ক্রমানুযায়ী দায়ী।
তদন্ত প্রতিবেদন দুটিতে প্রতিষ্ঠান দুটি লুটপাটের ব্যাপারে প্রায় একই ধরনের চিত্র এসেছে। দায়ীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণসহ একই ধরনের ১৩ দফা সুপারিশও তুলে ধরে কমিটি।
পিপলস লিজিং থেকে ২৩০০ কোটি লুট:
২০১৫ সালের শেষদিকে পিপলস লিজিংয়ের দায়িত্ব নেয় নতুন পরিচালনা পর্ষদ। ওই বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর পিপলস লিজিংয়ের মোট সম্পদ ছিল ২ হাজার ২৯২ কোটি টাকা। আর দায়-দেনা ছিল ১ হাজার ৮৩৫ কোটি টাকা। অর্থাৎ ওই সময় দায়-দেনার চেয়ে সম্পদের পরিমাণ ৪৫৬ কোটি টাকা বেশি ছিল। এর তিন বছর পর ২০১৮ সালের ৩১ ডিসেম্বর প্রতিষ্ঠানটির সম্পদের পরিমাণ ১ হাজার ৫০৬ কোটি টাকায় নেমে আসে। বিপরীতে দায়-দেনা দাঁড়ায় ৩ হাজার ৩৬৮ কোটি টাকায়। মাত্র তিন বছরে পিপলস লিজিংয়ের ২ হাজার ৩০০ কোটি টাকার বেশি স্রেফ হাওয়া হয়ে গেছে। সর্বশেষ ২০২০ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত হিসাব অনুযায়ী, প্রতিষ্ঠানটির মোট সম্পদের মূল্য ছিল ১ হাজার ২৯০ কোটি টাকা। এর বিপরীতে দায়-দেনা ছিল ৩ হাজার ৮৭৫ কোটি টাকা। অর্থাৎ প্রতিষ্ঠানটি থেকে লুট হয়ে গেছে প্রায় ২ হাজার ৬শ কোটি টাকা।
পিপলস লিজিংয়ের তদন্তেও বিআইএফসি ও আইএলএফএসএলের মতো বাংলাদেশ ব্যাংকের একই ব্যক্তিদের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে। এতে পিপলস লিজিংয়ে ২০১৪ সালের বিশেষ পরিদর্শনের আগ পর্যন্ত সংঘটিত আর্থিক অনিয়ম এবং অবৈধ কর্মকাণ্ড রোধ ও নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতা এবং পি কে হালদারের সহযোগী উজ্জ্বল কুমার নন্দী ও তার অনুসারীদের হাতে প্রতিষ্ঠানের নিয়ন্ত্রণ তুলে দেওয়ার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও বাজার বিভাগ, পরিদর্শন বিভাগসহ তৎকালীন জিএম ও তদূর্ধ্ব কর্মকর্তাদের যার যার ক্ষমতা ও পদমর্যাদার ক্রমানুপাতে কর্মকালের ব্যাপ্তিভেদে দায়ী করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘২০১৪ সালে বাংলাদেশ ব্যাংকের একটি বিশেষ পরিদর্শনের পর আগের পরিচালনা পর্ষদকে বাদ দেওয়ার ক্ষেত্র তৈরি হয়। এরপর ২০১৫ সালের নভেম্বরে উজ্জ্বল কুমার নন্দী ও তার অনুসারীরা পিপলস লিজিংয়ের নিয়ন্ত্রণ নেয়। আর এরপর থেকে প্রতিষ্ঠানটি ক্রমাগত সম্পদ হারাতে থাকে। বাড়তে থাকে দায়-দেনা। চলতে থাকে লুটপাট।’ উজ্জ্বল কুমার নন্দী জালিয়াত চক্রের হোতা ও বর্তমানে ভারতের কারাগারে আটক পি কে হালদারের সহযোগী।
তদন্ত শুরুর প্রেক্ষাপট: বিএফআইসির শেয়ার হোল্ডার বিদেশি অংশীদারী প্রতিষ্ঠান ‘টিজমার্ট ইনকরপোরেটেড’ রুহুল আমিনের নেতৃত্বাধীন তৎকালীন পরিচালনা পরিষদের বিরুদ্ধে আইন পরিপন্থি কর্মকাণ্ড ও ফান্ড আত্মসাতের অভিযোগে পরিচালনা পর্ষদ অপসারণের দাবিতে হাইকোর্টের কোম্পানি কোর্টের কাছে আবেদন করেন। শুনানি নিয়ে ২০২০ সালের ১৭ হাইকোর্টের বিচারপতি খুরশীদ আলম সরকারের একক বেঞ্চ তার পর্যবেক্ষণে দেশের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান তদারকির দায়িত্বে থাকা বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তাদের কাজে উষ্মা প্রকাশ করেন।
হাইকোর্টের আদেশে বলা হয়, এই কোর্টের পর্যবেক্ষণ হচ্ছে যখন মেজর মান্নানের গ্রুপ সব আইন ও বিধিবিধান লঙ্ঘন করে বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের ম্যানেজ ও সন্তুষ্টি সাপেক্ষে ২০১৫ সাল পর্যন্ত প্রতিষ্ঠানটি পরিচালনা করছিল, তখন পেছনের দরজা দিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বী গ্রুপ বিএফআইসির পরিচালনা পর্ষদে ঢুকে পড়ে এবং কোনো নিয়মকানুনের তোয়াক্কা না করেই এর নিয়ন্ত্রণ নেয়; স্পষ্টতই আমানতকারীদের অর্থ লুটপাট করার উদ্দেশ্যে। এটা এদেশের মানুষের দুর্ভাগ্য যে, যখন দেশের সরকার প্রধান শতভাগ সততা নিয়ে ক্লান্তিহীনভাবে দেশের উন্ননয়নে কাজ করে যাচ্ছে, সেখানে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান দেখভালের দায়িত্বে থাকা বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা বিশেষ করে ডিজিএম, জিএম, নির্বাহী পরিচালক ও ডেপুটি গভর্নররা ঠগবাজ, প্রতারক ও অর্থনৈতিক দুর্বৃত্তদের প্রশ্রয় দিয়ে মাতৃভূমির অর্থনীতিকে ধ্বংস করেছে শুধু ব্যক্তিস্বার্থে। এক্ষেত্রে ২০০২ সাল থেকে এ পর্যন্ত যেসব মহাবব্যবস্থাপক (জিএমস) দেখাশোনার দায়িত্বে ছিলেন আর্থিক প্রতিষ্ঠানে এই বিপর্যয়ের জন্য তাদের জবাবদিহির আওতায় আনতে হবে।
হাইকোর্ট প্রত্যাশা ব্যক্ত করে বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের অসৎ কর্মকর্তাদের সহযোগিতায় অসৎ ব্যবসায়ীদের দ্বারা আর যেন পাবলিকের অর্থ তসরুফ না হয়, সে জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক জাতির বৃহত্তর স্বার্থে বিষয়টি খতিয়ে দেখবে। কমিটিকে ২০০২ সাল থেকে এই তিনটি আর্থিক প্রতিষ্ঠান দেখভালের দায়িত্বে থাকা বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তাদের দায় নিরূপণ করতে বলা হয়। এরপর দায় নিরূপণ হয়েছে, কিন্তু কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হেয়নি—এখন পর্যন্ত।
source: kalbela news
file bondi 6 hazar koti taka BIFC ILFSL peoples leasing