বিভিন্ন ধরনের সিকিউরিটিজ আইন লঙ্ঘনের দায়ে ছয় ব্যক্তি ও এক প্রতিষ্ঠানকে ২ কোটি ৫০ লাখ টাকা জরিমানা করেছে বিএসইসি। এর মধ্যে ব্যক্তি বিনিয়োগকারী, তালিকাভুক্ত কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও উদ্যোক্তা পরিচালক রয়েছেন। গত এপ্রিলে এসব সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। বিএসইসি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
তথ্যানুসারে, বীকন ফার্মাসিউটিক্যালসের শেয়ারদর প্রভাবিত করার মাধ্যমে বিনিয়োগকারী মোহাম্মদ আজাদ হোসেন পাটোয়ারীর বিরুদ্ধে সিকিউরিটিজ আইন লঙ্ঘনের প্রমাণ পেয়েছে বিএসইসি। এ কারণে তাকে ৩৫ লাখ টাকা অর্থদণ্ড দিয়েছে বিএসইসি। এ বিষয়ে ২০২১ সালের ১০ আগস্ট তদন্ত কার্যক্রম পরিচালনা এবং এ-সংক্রান্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছিল সংস্থাটি।
তালিকাভুক্ত কোম্পানি ইনডেক্স এগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের বিনিয়োগকারী মো. সাইফ উল্লাহ ও তার ভাই মো. এজি মাহমুদ কোম্পানিটির শেয়ারদর ও লেনদেন প্রভাবিত করেছেন। সিকিউরিটিজ আইন লঙ্ঘনের দায়ে মো. সাইফ উল্লাহকে ৩০ লাখ ও এজি মাহমুদকে ২৫ লাখ টাকা অর্থদণ্ড করা হয়েছে। ২০২১ সালের ৫-১৭ মে পর্যন্ত এ বিষয়ে তদন্ত কার্যক্রম পরিচালনা করেছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই)।
গ্রামীণ ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্ট লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক খালেদ সাইফুল্লাহকে সিকিউরিটিজ আইন লঙ্ঘনের দায়ে ১ কোটি টাকা অর্থদণ্ড দিয়েছে কমিশন। এছাড়া তাকে আগামী তিন বছরের জন্য পুঁজিবাজারসংশ্লিষ্ট কোনো প্রতিষ্ঠানের কাজে নিযুক্ত থাকা এবং হওয়া থেকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। গত বছরের ১৬ এপ্রিল কোম্পানিটিতে পরিদর্শন কার্যক্রম পরিচালনা করে বিএসইসির পরিদর্শন কমিটি।
এছাড়া ২০২০ সালের ১৫ জুলাই থেকে ১১ নভেম্বর পর্যন্ত নিটল ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের শেয়ার লেনদেনসংক্রান্ত তদন্ত কার্যক্রম পরিচালনা করে ডিএসই। পরের বছর এ-সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন কমিশনে দাখিল করা হয়। সিকিউরিটিজ আইন লঙ্ঘনের দায়ে কমিশন কোম্পানিটির উদ্যোক্তা পরিচালক একেএম মনিরুল হক ও তার মেয়ে সালওয়া তাবাসসুম হককে ২০ লাখ টাকা করে অর্থদণ্ড করেছে। এছাড়া মনিরুল হকের মালিকানাধীন উখটান এন্টারপ্রাইজ লিমিটেডকে ২০ লাখ টাকা অর্থদণ্ড দেয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, পুঁজিবাজারে স্বচ্ছতা ও শৃঙ্খলা ফেরাতে তদন্ত প্রতিবেদন পর্যালোচনা ও শুনানির ভিত্তিতে যথাযথ আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করে নিয়মিত শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করছে কমিশনের এনফোর্সমেন্ট বিভাগ। গত মার্চে জেনিক্স ইনফোসিসের শেয়ার লেনদেন সংক্রান্ত কারণে মো. আবুল খায়ের হিরু ও তার সহযোগীদের ২০ লাখ টাকা অর্থদণ্ডও দেয়া হয়েছিল।
সিকিউরিটিজসংক্রান্ত আইন লঙ্ঘনের কারণে গত এপ্রিলে কিছু প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তিকে সতর্ক করেছে বিএসইসি। ভবিষ্যতে এসব হাউজকে সিকিউরিটিজ আইন যথাযথভাবে মেনে চলার জন্য কঠোরভাবে বলা হয়েছে।
সতর্ক করা প্রতিষ্ঠানগুলো হলো শেলটেক ব্রোকারেজ লিমিটেড, হাবিবুর রহমান সিকিউরিটিজ লিমিটেড ও গ্রামীণ ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্ট লিমিটেড। এছাড়া মো. আকতার হোসেন, শেলটেক ব্রোকারেজ লিমিটেডের এমডি তানভীর আহমেদ, পরিচালক মঈন, সিইও মেসবাহ উদ্দীন খান, কমপ্লায়েন্স অফিসার আবু মিরাজ ও মনোনীত প্রতিনিধি আশরাফুল ইসলাম; সিমটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের এমডি, পরিচালনা পর্ষদ ও কোম্পানি সেক্রেটারি, হাবিবুর রহমান সিকিউরিটিজের কমপ্লায়েন্স অফিসার, অ্যাকাউন্ট ইনচার্জ, লংকাবাংলা সিকিউরিটিজের কমপ্লায়েন্স অথরিটি, হেড অব সেটলমেন্ট ও হেড অব কমপ্লায়েন্স এবং গ্রামীণ ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্টের পর্ষদকে সতর্ক করা হয়েছে।
source: https://bonikbarta.net/home/news_description/383316/ছয়-ব্যক্তি-ও-এক-প্রতিষ্ঠানকে-২-কোটি-৫০-লাখ-টাকা-জরিমানা
penalty 6 person one company