সম্প্রতি বিভিন্ন অনলাইন পোর্টাল, সংবাদপত্র এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কেয়া কসমেটিকস লিমিটেডের কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যাওয়ার মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়িয়ে পড়েছে। এসব গুজবের মধ্যে দাবি করা হচ্ছে যে, প্রতিষ্ঠানটি তাদের কসমেটিকস কারখানা সম্পূর্ণরূপে বন্ধ করে দিচ্ছে। তবে বাস্তবতা সম্পূর্ণ ভিন্ন।
কেয়া কসমেটিকস লি. এর পক্ষ থেকে নিশ্চিত করা হয়েছে যে, তাদের মূল উৎপাদন ইউনিট, যা সাবান, ডিটারজেন্ট, এবং বিভিন্ন কসমেটিকস ও টয়লেট্রিজ পণ্য উৎপাদন এবং বিপণনের জন্য পরিচিত, তা পূর্ণাঙ্গরূপে চালু রয়েছে এবং স্বাভাবিকভাবেই কার্যক্রম পরিচালনা করছে।
বর্তমান বাজার অস্থিতিশীলতা, বিভিন্ন ব্যাংকে অর্জিত বৈদেশিক মুদ্রা জমা না হওয়ায় ব্যাংকের সাথে হিসাবের অমিল ও কাঁচামালের এলসি করতে না পারার কারণে কেবলমাত্র কেয়া কসমেটিকস লি. এর (নীট কম্পোজিট ডিভিশন, নিটিং ডিভিশন, স্পিনিং ডিভিশন, কটন ডিভিশন) ও কেয়া ইয়ার্ন মিলস লি. আগামী ১ মে ২০২৫ থেকে বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে ।
অধিকন্তু, দেশের কসমেটিকস ও টয়লেট্রিজ চাহিদা পূরণে প্রতিষ্ঠানটি নতুন নতুন পণ্য বাজারে নিয়ে আসছে এবং এর ডিস্ট্রিবিউশন নেটওয়ার্ক আরও শক্তিশালী করছে। ইতোমধ্যে প্রতিষ্ঠানটি “কেয়া সুপার বিউটি সোপ” ও “লেমন সোপ” এর নতুন ডিজাইনের কাজ সম্পন্ন করেছে এছাড়াও “লিকুইড ডিটারজেন্ট” ও “সুপ্রিম ফেব্রিক ব্রাইটেনার” কিছুদিন আগে বাজারে নিয়ে এসেছে এবং “ফ্লোর ক্লিনার” “শাওয়ার জেল” “মেডিকেটেড টুথপেস্ট” ও “জেসমিন ডিটারজেন্ট” বাজারে নিয়ে আসার প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, আমাদের মূল উৎপাদন ইউনিট কেয়া কসমেটিকস লিঃ এর কসমেটিকস ও টয়লেট্রিজ ডিভিশন সম্পূর্ণরূপে চালু রয়েছে এবং থাকবে। আমরা দেশীয় কসমেটিকস ও টয়লেট্রিজ চাহিদা পূরণে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। ভবিষ্যতে ব্যাংকের সাথে হিসাবের গরমিল সমাধান করা হলে কারখানা গুলো আবার খুলে দেওয়া হবে। কারণ এই প্রতিষ্ঠানে এক হাজার দৃষ্টি ও শ্রবণ প্রতিবন্ধীসহ প্রায় ১০ হাজার কর্মকর্তা ও কর্মচারী কাজ করে। https://www.ittefaq.com.bd
keya cosmetics ltd bangladesh