পুঁজিবাজার থেকে ফ্লোর প্রাইস (শেয়ারদরের নিম্নসীমা) তুলে নেয়া ২৩টি কোম্পানির শেয়ারদর ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতায় ফিরছে। এ ২৩ কোম্পানি হলো বারাকা পাওয়ার, বাংলাদেশ সাবমেরিন কেবল, বিএসআরএম স্টিল, কনফিডেন্স সিমেন্ট, ডিবিএইচ, ডরিন পাওয়ার, এনভয় টেক্সটাইল, এইচআর টেক্সটাইল, আইডিএলসি, ইনডেক্স এগ্রো, কেডিএস অ্যাকসেসরিজ, কাট্টলি টেক্সটাইল, মালেক স্পিনিং, ন্যাশনাল হাউজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্স, ন্যাশনাল পলিমার, পদ্মা অয়েল, সায়হাম কটন, শাশা ডেনিমস, সোনালী পেপার, সোনার বাংলা ইন্স্যুরেন্স, শাইনপুকুর সিরামিকস, সামিট পাওয়ার ও ইউনাইটেড পাওয়ার। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
তথ্যানুসারে, গত ১৮ জানুয়ারি ৩৫টি কোম্পানি বাদে বাকি সব সিকিউরিটিজের ওপর থেকে ফ্লোর প্রাইস তুলে নেয় বিএসইসি। এরপর গত ২২ জানুয়ারি নতুন করে আরো ২৩ কোম্পানির ওপর থেকে ফ্লোর প্রাইস তুলে নেয়া হয়। বাজার পর্যালোচনায় দেখা যায়, ফ্লোর প্রাইস তুলে নেয়ার পরপর কোম্পানিগুলোর শেয়ারদর নেমে গেলেও বর্তমানে তা ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতায় রয়েছে।
ফ্লোর প্রাইস প্রত্যাহারের আগে বারাকা পাওয়ারের শেয়ারদর ছিল ২১ টাকা ৩০ পয়সা। এরপর গত ২৯ জানুয়ারি কোম্পানিটির শেয়ারদর কমে দাঁড়ায় ১৫ টাকা ৪০ পয়সা। সবশেষ বৃহস্পতিবার এ দর বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৮ টাকা ১ পয়সায়। বাংলাদেশ সাবমেরিন কেবলের শেয়ারদর ছিল ২১৮ টাকা ৯০ পয়সা। গত ৩১ জানুয়ারি কোম্পানিটির শেয়ারদর দাঁড়ায় ১৬০ টাকা ৫০ পয়সা। বৃহস্পতিবার এ দর বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৬২ টাকা ৮০ পয়সায়। গত ২২ জানুয়ারি বিএসআরএম স্টিলের শেয়ারদর ছিল ৬৩ টাকা ৯০ পয়সা। এরপর ২৮ জানুয়ারি তা কমে দাঁড়ায় ৫৬ টাকা ৬০ পয়সা। বৃহস্পতিবার এ দর বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৩ টাকা ১০ পয়সায়। কনফিডেন্স সিমেন্টের শেয়ারদর ছিল ৮৯ টাকা। এরপর ২৮ জানুয়ারি তা কমে দাঁড়ায় ৭১ টাকা ৬০ পয়সায়। বৃহস্পতিবার এ দর বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭৯ টাকা ৫০ পয়সায়। ডিবিএইচের শেয়ারদর ছিল ৫৬ টাকা ৭০ পয়সা। এরপর তা কমে দাঁড়ায় ৪৭ টাকা ৭০ পয়সায়। সর্বশেষ এ দর দাঁড়িয়েছে ৪৯ টাকা ৯০ পয়সায়। ডরিন পাওয়ারের শেয়ারদর ছিল ৬১ টাকা। এরপর ২৮ জানুয়ারি তা কমে দাঁড়ায় ৪০ টাকা ৭০ পয়সায়। বৃহস্পতিবার কোম্পানিটির শেয়ারদর দাঁড়িয়েছে ৪৪ টাকা ৮০ পয়সায়।
এনভয় টেক্সটাইলের শেয়ারদর ছিল ৪৩ টাকা ৯০ পয়সা। এরপর গত ২৯ জানুয়ারি তা কমে দাঁড়ায় ৩৩ টাকা ৮০ পয়সায়। সর্বশেষ বৃহস্পতিবার কোম্পানিটির দর দাঁড়ায় ৩৬ টাকা ৫০ পয়সায়। এইচআর টেক্সটাইলের শেয়ারদর ছিল ১১৫ টাকা ৯০ পয়সা। গত ২৮ জানুয়ারি তা কমে দাঁড়ায় ৭৬ টাকা ৪০ পয়সায়। বৃহস্পতিবার কোম্পানিটির শেয়ারদর দাঁড়িয়েছে ৮১ টাকা ৩০ পয়সা। আইডিএলসির শেয়ারদর ছিল ৪৬ টাকা ৫০ পয়সা। গত ২৯ জানুয়ারি তা কমে দাঁড়ায় ৩৮ টাকায়। বৃহস্পতিবার কোম্পানিটির শেয়ারদর বেড়ে দাঁড়ায় ৪১ টাকা ৪০ পয়সায়। ইনডেক্স এগ্রোর শেয়ারদর ছিল ১০৩ টাকা ৬০ পয়সা। এরপর তা কমে দাঁড়ায় ৭৭ টাকা ৪০ পয়সায়। বৃহস্পতিবার কোম্পানিটির শেয়ারদর দাঁড়ায় ৭৮ টাকা ৩০ পয়সায়। কেডিএসের শেয়ারদর ছিল ৭৭ টাকা। গত ২৮ জানুয়ারি তা কমে দাঁড়ায় ৫৪ টাকায়। বৃহস্পতিবার কোম্পানিটির শেয়ারদর বেড়ে দাঁড়ায় ৬২ টাকায়। কাট্টলি টেক্সটাইলের শেয়ারদর ছিল ২৩ টাকা ৭০ পয়সা। গত ২৯ জানুয়ারি তা কমে দাঁড়ায় ১৪ টাকা ২০ পয়সায়। বৃহস্পতিবার কোম্পানিটির শেয়ারদর বেড়ে দাঁড়ায় ১৬ টাকায়।
ফ্লোর প্রাইসে থাকা অবস্থায় মালেক স্পিনিংয়ের শেয়ারদর ছিল ২৭ টাকা ১০ পয়সা। গত ২৮ জানুয়ারি তা কমে দাঁড়ায় ২২ টাকা ৯০ পয়সায়। বৃহস্পতিবার কোম্পানিটির শেয়ারদর বেড়ে দাঁড়ায় ৩৩ টাকা ১০ পয়সায়। ন্যাশনাল হাউজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্স শেয়ারদর ছিল ৪১ টাকা ৮০ পয়সা। গত ২৮ জানুয়ারি তা কমে দাঁড়ায় ৩৫ টাকা ৬০ পয়সায়। বৃহস্পতিবার কোম্পানিটির শেয়ারদর বেড়ে দাঁড়ায় ৩৯ টাকা ২০ পয়সায়। ন্যাশনাল পলিমারের শেয়ারদর ছিল ৫১ টাকা। গত ২৫ জানুয়ারি তা কমে দাঁড়ায় ৪৮ টাকায়। বৃহস্পতিবার কোম্পানিটির শেয়ারদর বেড়ে দাঁড়ায় ৫১ টাকায়। পদ্মা অয়েলের শেয়ারদর ছিল ২০৯ টাকা ২০ পয়সা। গত ২৯ জানুয়ারি তা কমে দাঁড়ায় ১৯২ টাকা ৮০ পয়সায়। বৃহস্পতিবার কোম্পানিটির শেয়ারদর বেড়ে দাঁড়ায় ১৯৪ টাকা ৩০ পয়সায়। সায়হাম কটনের শেয়ারদর ছিল ১৬ টাকা ৪০ পয়সা। গত ২৮ জানুয়ারি তা কমে দাঁড়ায় ১৩ টাকায়। বৃহস্পতিবার কোম্পানিটির শেয়ারদর বেড়ে দাঁড়ায় ১৬ টাকায়। শাশা ডেনিমের শেয়ারদর ছিল ২৭ টাকা। গত ২৮ জানুয়ারি তা কমে দাঁড়ায় ২০ টাকা ১০ পয়সায়। বৃহস্পতিবার কোম্পানিটির শেয়ারদর বেড়ে দাঁড়ায় ২৪ টাকা ৯০ পয়সায়।
সোনালী পেপারের শেয়ারদর ছিল ৬১৫ টাকা ১০ পয়সা। এরপর তা কমে দাঁড়ায় ৪৮১ টাকা ৬০ পয়সায়। বৃহস্পতিবার কোম্পানিটির শেয়ারদর বেড়ে দাঁড়ায় ৫০০ টাকা ৬০ পয়সায়। সোনার বাংলা ইন্স্যুরেন্সের শেয়ারদর ছিল ৪৪ টাকা ৮০ পয়সা। গত ৩০ জানুয়ারি তা কমে দাঁড়ায় ৪১ টাকা ২০ পয়সায়। বৃহস্পতিবার কোম্পানিটির শেয়ারদর বেড়ে দাঁড়ায় ৪২ টাকা ৯০ পয়সায়। শাইনপুকুর সিরামিকসের শেয়ারদর ছিল ৪৩ টাকা। গত ২৯ জানুয়ারি তা কমে দাঁড়ায় ২৮ টাকা ৩০ পয়সায়। বৃহস্পতিবার কোম্পানিটির শেয়ারদর বেড়ে দাঁড়ায় ৩১ টাকা ৩০ পয়সায়। সামিট পাওয়ারের শেয়ারদর ছিল ৩৪ টাকা। গত ২৯ জানুয়ারি তা কমে দাঁড়ায় ২৫ টাকা ৮০ পয়সায়। বৃহস্পতিবার কোম্পানিটির শেয়ারদর বেড়ে দাঁড়ায় ২৮ টাকায়। এছাড়া ফ্লোর প্রাইস বহাল অবস্থায় সামিট পাওয়ারের শেয়ারদর ছিল ২৩৩ টাকা ৭০ পয়সা। এরপর তা কমে দাঁড়ায় ১৭৫ টাকা ৯০ পয়সায়। সর্বশেষ বৃহস্পতিবার কোম্পানিটির শেয়ারদর দাঁড়িয়েছে ১৭৮ টাকা ৬০ পয়সায়।
source: bonikbarta.net
floor price 23 company