ngghgngg
brokerage
প্রথম আলো
নিজস্ব প্রতিবেদক ঢাকা
https://www.prothomalo.com/business/market/offo3t07ui
শেয়ার বিক্রি কমিয়ে পতন থামানো হলো শেয়ারবাজারে। এতে গতকাল বৃহস্পতিবার দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ৩৪ পয়েন্ট বেড়েছে। তবে লেনদেন নেমেছে ৩০০ কোটি টাকার নিচে।
বাজারসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, পতন ঠেকাতে বড় বড় ব্রোকারেজ হাউস ও মার্চেন্ট ব্যাংকের সহায়তা চেয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা। সে জন্য এসব প্রতিষ্ঠান শেয়ার বিক্রি কমিয়ে দেয়। এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে অবশ্য কারসাজি হয় এমন কিছু শেয়ারের মূল্যবৃদ্ধি ঘটায় কারসাজিকারীরা। তাতে কোনো কোনো শেয়ারের সর্বোচ্চ মূল্যবৃদ্ধি ঘটে। এভাবেই গতকাল বাজারে কৃত্রিমভাবে সূচক বাড়ানো হয়েছে।
ঢাকার বাজারে গতকাল মূল্যবৃদ্ধির শীর্ষে ছিল ফু–ওয়াং ফুড। এদিন কোম্পানিটির শেয়ারের দাম ২ টাকা ৬০ পয়সা বা প্রায় ১০ শতাংশ বেড়ে দাঁড়ায় ৩০ টাকা ৩০ পয়সায়। বেশ কিছুদিন ধরে কোম্পানিটির শেয়ার নিয়ে বাজারের একটি গোষ্ঠী কারসাজি করছে বলে শোনা যায়। এ কারণে মধ্যম মানের কোম্পানিটির শেয়ারের দাম এক মাসের কম সময়ে বেড়ে দ্বিগুণ হয়েছে।
কয়েক দিনের টানা পতনের পরিস্থিতিতে করণীয় নির্ধারণে গতকাল বাজারের বিভিন্ন অংশীজনদের সঙ্গে বৈঠকে বসে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। বৈঠকের সেই খবরে গতকাল সকালে লেনদেন শুরুর কয়েক মিনিটের মধ্যেই বেশির ভাগ শেয়ারের দাম বেড়ে যায়। সেই সঙ্গে সূচকেরও উত্থান হয়। এর কারণ জানতে চারটি শীর্ষস্থানীয় ব্রোকারেজ হাউসের শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে প্রথম আলোর কথা হয়। নাম প্রকাশ না করার শর্তে তাঁরা জানান, এদিন তাঁদের প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে বিক্রির প্রবণতা ছিল তুলনামূলক খুবই কম।
গতকাল সকাল ১০টায় শেয়ারবাজারে মিউচুয়াল ফান্ড ব্যবস্থাপনার সঙ্গে যুক্ত সম্পদ ব্যবস্থাপকদের সঙ্গে বিএসইসির প্রথম বৈঠক হয়। আর দ্বিতীয় বৈঠকটি হয় বেলা ১১টায়। ওই বৈঠকে অংশ নেন ব্র্যাক ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সেলিম আর এফ হোসেনসহ একাধিক ব্যাংক, ব্রোকারেজ হাউস ও মার্চেন্ট ব্যাংকের শীর্ষ কর্মকর্তারা। প্রথম বৈঠকটিতে বিএসইসির নেতৃত্ব দেন সংস্থাটির কমিশনার মিজানুর রহমান। দ্বিতীয় বৈঠকে নেতৃত্ব দেন নিয়ন্ত্রক সংস্থার শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ।
বৈঠক শেষে বিএসইসির পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, উভয় বৈঠকে বাজারের বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় বিনিয়োগ বাড়াতে অংশীজনদের অনুরোধ জানানো হয়েছে। ব্যাংক, মার্চেন্ট ব্যাংক ও সম্পদ ব্যবস্থাপকেরা বাজারে বিনিয়োগ বাড়ানোর বিষয়ে একমত পোষণ করেন।
গতকাল ডিএসইতে লেনদেনের পরিমাণ ছিল ২৯৯ কোটি টাকা। কৃত্রিমভাবে বাজারে শেয়ারের দাম বৃদ্ধির কারণে লেনদেন এত কম হয় বলে জানান বাজারসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। এর আগে সর্বশেষ ২৮ মার্চ ডিএসইতে ৩০০ কোটি টাকার কম লেনদেন হয়েছিল। সেদিন লেনদেনের পরিমাণ ছিল ২৭২ কোটি টাকা।
ইত্তেফাক রিপোর্ট
https://epaper.ittefaq.com.bd/edition/773/first-edition/page/13#
শেয়ার বাজারের বর্তমান পরিস্থিতির উন্নয়নে ব্যাংক ও অংশীজনদের বিনিয়োগ বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। গতকাল বৃহস্পতিবার বিএসইসিতে অনুষ্ঠিত দুটি আলাদা বৈঠকে শীর্ষস্থানীয় ব্যাংক, মার্চেন্ট ব্যাংক, অ্যাসেট ম্যানেজার ও ফান্ড ম্যানেজার প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতি বিনিয়োগ বাড়ানোর এ আহ্বান জানানো হয়। বিএসইসি এই বৈঠকের আয়োজন করে।
বিএসইসির কমিশনার ড. শেখ শামসুদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে বৈঠকে ব্র্যাক ব্যাংকের সিইও ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক সেলিম আর এফ হোসেন, শান্তা অ্যাসেট ম্যানেজমেন্টের ভাইস চেয়ারম্যান আরিফ খান, ইবিএল সিকিউরিটিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ছায়েদুর রহমান, স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মুহিত রহমান, সিটি ব্যাংকের এএমডি ও সিএফও মো মাহবুবুর রহমানসহ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
সভায় সবাইকে বিনিয়োগ বাড়ানোর আহ্বান জানিয়ে ড. শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ বলেন, বিশ্ব জুড়ে বন্ড মার্কেট দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের জোগানে গুরুত্বপূর্ণ উত্স হিসেবে প্রতিষ্ঠিত এবং বাংলাদেশের বাজারেও এর জন্য রয়েছে অনেক সুযোগ ও সম্ভাবনা। বৈঠকে বন্ড ইস্যুর প্রক্রিয়ায় বিদ্যমান নানা সমস্যা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা হয় এবং এই প্রক্রিয়ার সহজীকরণের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনা হয়। বন্ড মার্কেট জনপ্রিয় না হওয়ার পেছনের কারণ এবং বিদ্যমান সমস্যাগুলো সমাধানের বিষয়ে সভায় সবাই মতামত দেন।
আলোচকরা বলেন, দেশের পুঁজিবাজারে শক্তিশালী বন্ডের বাজার প্রতিষ্ঠার জন্য সম্ভাব্য বিনিয়োগকারীদের চিহ্নিত করে তাদের বন্ডে বিনিয়োগে আগ্রহী করতে হবে। এছাড়া বৃহত্ করপোরেট প্রতিষ্ঠানগুলোকে বন্ড ইস্যুর মাধ্যমে অর্থায়নের সুযোগ কাজে লাগাতে সচেতন ও আগ্রহী করতে কাজ করতে হবে।
বিএসইসি জানিয়েছে, দেশের বন্ড বাজারের উন্নয়নে সরকার সহায়ক ভূমিকায় রয়েছে এবং অর্থ মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ব্যাংক, এনবিআরসহ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোকে সঙ্গে নিয়ে আইএমএফ, বিশ্বব্যাংক ও আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর সঙ্গে সমন্বিত উদ্যোগে কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
অ্যাসেট ম্যানেজার এবং ফান্ড ম্যানেজারদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত বৈঠকে বিএসইসির কমিশনার ড. মিজানুর রহমান ফান্ড ম্যানেজার ও অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানিগুলোকে বিনিয়োগকারীদের স্বার্থরক্ষা করে এবং সুষ্ঠু প্রক্রিয়া অনুসরণ করে কার্যক্রম পরিচালনার নির্দেশনা দেন। তিনি মিউচ্যুয়াল ফান্ড খাতকে জনপ্রিয় করতে ও আরো ভালো অবস্থানে নিয়ে যেতে নিজেদের সর্বাত্মক চেষ্টা ও সহযোগিতা থাকবে বলে আশ্বস্ত করেন।
‘উপায় ডিজিটাল ব্যাংক পিএলসি’ বিনিয়োগ করবে জেনেক্স, নাভানা ফার্মা ও আরামিট লিমিটেড
যাযাদি ডেস্ক
১৯ আগস্ট ২০২৩, ১২:৩৬
https://www.jaijaidinbd.com/share-/386493
‘উপায় ডিজিটাল ব্যাংক পিএলসি’ নামের একটি প্রস্তাবিত ডিজিটাল ব্যাংক স্থাপনে বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ভিন্ন ভিন্ন খাতের তিন কোম্পানির পর্ষদ। কোম্পানিগুলো হলো তথ্যপ্রযুক্তি খাতের জেনেক্স ইনফোসিস লিমিটেড, ওষুধ ও রসায়ন খাতের নাভানা ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড ও বিবিধ খাতের আরামিট লিমিটেড। গত বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত কোম্পানি তিনটির পৃথক পরিচালনা পর্ষদের সভায় এ সিদ্ধান্তে অনুমোদনও করা হয়েছে। মূল্যসংবেদনশীল তথ্যে পৃথকভাবে এ তথ্য জানিয়েছে কোম্পানি তিনটি।
তথ্যানুসারে, ‘উপায় ডিজিটাল ব্যাংক পিএলসি’ নামের প্রস্তাবিত ডিজিটাল ব্যাংকটির মোট পরিশোধিত মূলধন হবে ১২৫ কোটি টাকা। এর মধ্যে জেনেক্স ইনফোসিস ১২ কোটি ৫০ লাখ টাকা, নাভানা ফার্মাসিউটিক্যালস ৭ কোটি ৫০ লাখ টাকা ও আরামিট লিমিটেড ৬ কোটি ২৫ লাখ টাকা বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। অর্থাৎ প্রস্তাবিত ডিজিটাল ব্যাংকটির মোট পরিশোধিত মূলধনের যথাক্রমে ১০ শতাংশ, ৬ শতাংশ ও ৫ শতাংশের মালিকানায় থাকবে কোম্পানি তিনটি। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট নিয়ন্ত্রক সংস্থার অনুমোদন চাইবে কোম্পানিগুলো। তবে প্রস্তাবিত ব্যাংকটি স্থাপনে এ তিন কোম্পানির সঙ্গে কনসোর্টিয়াম বা জোটের অন্য সদস্য কারা হবে সে বিষয়ে কিছু জানা যায়নি।
এরই মধ্যে ‘ডিজি ১০ ব্যাংক পিএলসি’ নামের একটি প্রস্তাবিত ডিজিটাল ব্যাংক স্থাপনের লক্ষ্যে ১০টি বাণিজ্যিক ব্যাংকের সমন্বয়ে কনসোর্টিয়াম গঠন হয়েছে। এ জোটের সদস্য হয়ে ডিজিটাল ব্যাংকটিতে বিনিয়োগের প্রস্তাব ১০টি ব্যাংকের পর্ষদেই অনুমোদিত হয়েছে। ব্যাংকগুলো হলো দ্য সিটি ব্যাংক লিমিটেড, ইস্টার্ন ব্যাংক লিমিটেড (ইবিএল), ডাচ্-বাংলা ব্যাংক লিমিটেড, প্রাইম ব্যাংক লিমিটড, মার্কেন্টাইল ব্যাংক লিমিটেড, ন্যাশনাল ক্রেডিট অ্যান্ড কমার্স (এনসিসি) ব্যাংক লিমিটেড, পূবালী ব্যাংক লিমিটেড, মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক (এমটিবি) লিমিটেড, ট্রাস্ট ব্যাংক লিমিটেড ও মিডল্যান্ড ব্যাংক লিমিটেড। প্রস্তাবিত ডিজিটাল ব্যাংকটির মোট পরিশোধিত মূলধন হবে ১২৫ কোটি টাকা। জোটে থাকা ১০ ব্যাংকই এতে সাড়ে ১২ কোটি টাকা করে বিনিয়োগ করবে। যা প্রস্তাবিত ব্যাংকটির মোট পরিশোধিত মূলধনের ১০ শতাংশ। অর্থাৎ প্রতিটি ব্যাংক সাড়ে ১২ কোটি টাকা বিনিয়োগের মাধ্যমে প্রস্তাবিত ডিজিটাল ব্যাংকটির ১০ টাকা মূল্যের ১ কোটি ২৫ লাখ শেয়ারের মালিকানায় থাকবে। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষের অনুমোদন চাইবে ব্যাংকগুলো।
এর বাইরে স¤প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক ডিজিটাল ব্যাংক প্রতিষ্ঠায় আগ্রহীদের আবেদন আহŸান করা হলে তালিকাভুক্ত বেশ কয়েকটি ব্যাংক, বীমা কোম্পানি ও অন্যান্য খাতের কোম্পানির পর্ষদে এ ব্যাংক গঠনে বিনিয়োগের প্রস্তাব অনুমোদিত হয়েছে। তবে এসব ব্যাংক কিংবা কোম্পানি তাদের সঙ্গে জোটে কারা রয়েছে সে বিষয়টি নিশ্চিত করেনি। প্রথম ব্যাংক এশিয়া লিমিটেডের পর্ষদে ডিজিটাল ব্যাংক প্রতিষ্ঠায় বিনিয়োগের প্রস্তাব অনুমোদন হয়। ব্যাংকটির পর্ষদে একটি প্রস্তাবিত ডিজিটাল ব্যাংকে সাড়ে ১২ কোটি টাকা বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত অনুমোদন হয়েছে, যা ওই ব্যাংকের মোট পরিশোধিত মূলধনের ১০ শতাংশ। তবে তাদের সঙ্গে প্রস্তাবিত এ ডিজিটাল ব্যাংক গঠনে জোটে কারা রয়েছে, তা জানানো হয়নি। ব্র্যাক ব্যাংক লিমিটেডের পর্ষদে ‘বিকাশ ডিজিটাল ব্যাংক পিএলসি’ নামে একটি ডিজিটাল ব্যাংকে বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত অনুমোদিত হয়েছে। প্রস্তাবিত ব্যাংকটি গঠনে জোটে কারা রয়েছে তা নিশ্চিত করা হয়নি। আর এনআরবি কমার্শিয়াল (এনআরবিসি) ব্যাংক লিমিটেডের পর্ষদে অন্য একটি ডিজিটাল ব্যাংক স্থাপনে বিনিয়োগের প্রস্তাব অনুমোদিত হয়েছে। তবে এ ডিজিটাল ব্যাংকের নাম কী হবে কিংবা এতে তাদের সঙ্গে জোটে কারা রয়েছে সে বিষয়ে কিছুই জানানো হয়নি। এনআরবিসি ব্যাংক প্রস্তাবিত এ ডিজিটাল ব্যাংকের মোট পরিশোধিত মূলধনের ১০ শতাংশের বিপরীতে বিনিয়োগ করবে। এছাড়া ‘সঞ্চয় ডিজিটাল ব্যাংক পিএলসি’ নামের একটি প্রস্তাবিত ডিজিটাল ব্যাংকের মোট পরিশোধিত মূলধনের ১০ শতাংশের বিপরীতে বিনিয়োগের প্রস্তাব ঢাকা ব্যাংক লিমিটেডের পর্ষদে অনুমোদিত হয়েছে।
অন্যদিকে বীমা কোম্পানি প্রগতি ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড ও প্রগতি লাইফ ইন্স্যুরেন্স লিমিটেডের পর্ষদে ‘প্রগতি ডিজিটাল ব্যাংক পিএলসি’ একটি ডিজিটাল ব্যাংকে বিনিয়োগের প্রস্তাব অনুমোদিত হয়েছে। কোম্পানি দুটির সঙ্গে জোটে কারা রয়েছে, তা জানা যায়নি। ওষুধ ও রসায়ন খাতের কোম্পানি এসিআই লিমিটেডের পর্ষদে ‘কোরি ডিজিটাল পিএলসি’ নামের একটি ডিজিটাল ব্যাংকে বিনিয়োগের প্রস্তাব অনুমোদিত হয়েছে। কোম্পানিটির সঙ্গে সমন্বিত জোটে কারা রয়েছে, তাও নিশ্চিত করা হয়নি। এর বাইরে ভ্রমণ ও অবকাশ খাতের কোম্পানি ইউনিক হোটেল অ্যান্ড রিসোর্টস পিএলসির পর্ষদে ‘আমার ডিজি ব্যাংক পিএলসি’ নামের একটি প্রস্তাবিত ডিজিটাল ব্যাংকে বিনিয়োগের প্রস্তাব অনুমোদিত হয়েছে। এ কোম্পানিও তাদের সঙ্গে জোটে কারা রয়েছে, তা জানায়নি।
উল্লেখ্য, দেশের প্রচলিত ব্যাংকগুলোর পাশাপাশি আর্থিক সেবা দিতে ডিজিটাল ব্যাংক প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। ডিজিটাল ব্যাংক প্রতিষ্ঠায় আগ্রহী উদ্যোক্তাদের অবশ্যই পাবলিক লিমিটেড কোম্পানি হতে হবে। এ ব্যাংক প্রতিষ্ঠায় আগ্রহীদের কাছ থেকে আবেদন গ্রহণের শেষ দিন ছিল ১৭ আগস্ট। এ আবেদনের সময় আর বাড়ানো হবে কিনা, সে বিষয়ে এখনো কোনো নির্দেশনা জারি করেনি কেন্দ্রীয় ব্যাংকটি।
জানা গেছে, ডিজিটাল ব্যাংক প্রতিষ্ঠায় আগ্রহীদের আবেদনের প্রসেসিং ফি বাবদ অনলাইনের মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংকে ৫ লাখ টাকা জমা দিতে হবে। বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে লাইসেন্স পাওয়ার পাঁচ বছরের মধ্যে ডিজিটাল ব্যাংকগুলোকে জনসমক্ষে আসতে হবে। ডিজিটাল ব্যাংকগুলো কাউন্টারের মাধ্যমে সরাসরি গ্রাহকদের কোনো সেবা দিতে পারবে না এবং কোনো ফিজিক্যাল ইনস্ট্রমেন্টও ইস্যু করতে পারবে না। কেন্দ্রীয় ব্যাংকটির বিধিমালা অনুসারে, ডিজিটাল ব্যাংক প্রতিষ্ঠায় আগ্রহী বিনিয়োগকারীদের ন্যূনতম ১২৫ কোটি টাকা পরিশোধিত মূলধন দেখাতে হবে। প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের মাধ্যমে অর্থাৎ আগ্রহী বিনিয়োগকারীদের মাধ্যমে উত্থাপিত মূলধনের পরিমাণ পরিশোধিত মূলধনের চেয়ে কম হলে এ ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব হবে না। আর মূলধন আসতে হবে অবশ্যই উদ্যোক্তাদের থেকে। এক্ষেত্রে প্রতি উদ্যোক্তাদের ন্যূনতম ৫০ লাখ টাকার শেয়ার মালিকানা নিতে হবে।
যাযাদি/ এসএম