October 16, 2024 2:06 pm
Home Featured PTL এর ডিজেলচালিত পাওয়ার প্লান্টের মেয়াদ শেষ হয়েছে। সামনের মাসে নতুন সোলার পাওয়া প্লান্ট উৎপাদন শুরু করবে

PTL এর ডিজেলচালিত পাওয়ার প্লান্টের মেয়াদ শেষ হয়েছে। সামনের মাসে নতুন সোলার পাওয়া প্লান্ট উৎপাদন শুরু করবে

by fstcap

ডিজেলচালিত ছয় বিদ্যুৎকেন্দ্রের মধ্যে সবচেয়ে কম ব্যবহার হয়েছে প্যারামাউন্ট বিট্র্যাক এনার্জি। সিরাজগঞ্জের বাঘাবাড়ীতে স্থাপিত এ কেন্দ্রটির উৎপাদন ক্ষমতা ২০০ মেগাওয়াট। তবে এর মাত্র চার শতাংশ ব্যবহার হয়েছে নির্ধারিত মেয়াদে। এতে পাঁচ বছরে কেন্দ্রটিতে উৎপাদন করা হয়েছে মাত্র ৩১ কোটি ৩৯ লাখ কিলোওয়াট ঘণ্টা বিদ্যুৎ। যদিও কেন্দ্রটির সক্ষমতার পুরোটা ব্যবহার করলে উৎপাদন করা যেত ৫৮০ কোটি কিলোওয়াট ঘণ্টা বিদ্যুৎ। নামমাত্র ব্যবহার করলেও পাঁচ বছর বসিয়ে রেখে এ কেন্দ্রটির জন্য পিডিবিকে ক্যাপাসিটি চার্জ দিতে হয়েছে সর্বোচ্চ এক হাজার ৯৩৯ কোটি টাকা।

মূলত প্যারামাউন্ট গ্রুপ এককভাবে লাইসেন্স নিলেও তারা কেন্দ্রটি নির্মাণে ব্যর্থ হয়। এতে বাংলা ট্রাককে যুক্ত করে ২০১৮-১৯ অর্থবছর উৎপাদন শুরু করে। ২০০ মেগাওয়াট সক্ষমতার বিদ্যুৎকেন্দ্রটির ওই অর্থবছর মাত্র এক শতাংশ ব্যবহার করা হয়। পরের বছরগুলোয় এ হার অনেক কমই ছিল। এর মধ্যে ২০১৯-২০ অর্থবছর এক শতাংশেরও কম এবং ২০২০-২১ অর্থবছর এক শতাংশ ব্যবহার হয়। তবে ২০২১-২২ অর্থবছর সক্ষমতা ছয় শতাংশ, ২০২৩-২৪ অর্থবছর আট শতাংশ ও বিদায়ী ২০২৩-২৪ অর্থবছর এক শতাংশ ব্যবহার হয়েছে।

সব মিলিয়ে পাঁচ বছর তথা ৬০ মাস করে চলে ছয়টি ডিজেলচালিত বিদ্যুৎকেন্দ্র। তবে এ পাঁচ বছর সবগুলো কেন্দ্র মিলিয়ে সক্ষমতার মাত্র ১১ শতাংশ ব্যবহার করা হয়েছে। যদিও ক্যাপাসিটি চার্জ দিতে হয়েছে পুরো সক্ষমতার জন্যই। এতে পিডিবির গচ্চা গেছে ৯ হাজার ৪০৭ কোটি ৩৪ লাখ টাকা। জানতে চাইলে পিডিবির তৎকালীন সচিব আহমদ কায়কাউসের কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি। পিডিবির ওই সময়ের চেয়ারম্যান ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। তবে নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা শেয়ার বিজকে বলেন, ২০১৭ সালে সেচ মৌসুম ও রোজা একই সময়ে পড়েছিল। এতে হঠাৎ বিদ্যুতের সংকট তৈরি হয়।

সে সংকটের সুযোগকে কাজে লাগিয়ে দায়মুক্তি আইনের আওতায় তড়িঘড়ি করে এ ছয় ডিজেলচালিত বিদ্যুৎকেন্দ্রের অনুমোদন দেয়া হয়েছিল।তারা আরও জানান, এ বিষয়ে পিডিবির কোনো মতামতই নেয়া হয়নি। তৎকালীন সচিবের উদ্যোগে এ লাইসেন্সগুলো দেয়া হয়েছিল। অথচ এগুলোর কোনো প্রয়োজন ছিল না। তা স্পষ্টই বোঝা যাচ্ছে এগুলোর ব্যবহারের হার দেখে। এছাড়া ডিজেলে বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যয় অনেক বেশি। প্রতি ইউনিটে ৩৫-৪০ টাকা পর্যন্ত ব্যয় হয়, যেখানে ফার্নেস অয়েলে প্রতি ইউনিটে ব্যয় হয় ১৫-১৮ টাকা। তাই খুব জরুরি না হলে এসব কেন্দ্র বসিয়েই রাখা হতো। যদিও এ কারণে ক্যাপাসিটি চার্জ গচ্চা গেছে।

PTL power plant

You may also like