বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে আজ রোববার একটি সমঝোতা স্মারক (MoU) সই হয়েছে, যার মূল লক্ষ্য হলো দুই দেশের মধ্যকার বাণিজ্য ব্যবধান কমিয়ে আনা এবং দ্বিপক্ষীয় অর্থনৈতিক সম্পর্ক জোরদার করা।
এই সমঝোতা স্মারকের আওতায় বাংলাদেশ প্রথমবারের মতো যুক্তরাষ্ট্র থেকে সরকারি পর্যায়ে গম আমদানি করতে যাচ্ছে। এত দিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে গম আসত শুধু সাহায্য হিসেবে। এবার বাংলাদেশ সরকার নিজ উদ্যোগে প্রাথমিকভাবে ২ লাখ ২০ হাজার টন গম কিনবে, যা দুই কনসাইনমেন্টে দেশে আসবে।
রবিবার (২০ জুলাই) বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন সূত্রের বরাতে সংবাদ মাধ্যমে এ তথ্য উঠে এসেছে।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের রপ্তানি প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে ধারাবাহিক বৈঠকের মাধ্যমে এমন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এর অংশ হিসেবে শেভরন, ইউএস হুইট অ্যাসোসিয়েটস, ইউএস সয়াবিন এক্সপোর্ট কাউন্সিল ও কটন অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গে আলোচনায় বসেছে বাংলাদেশ।
চুক্তি সই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন খাদ্য অধিদপ্তরের প্রতিনিধি ও যুক্তরাষ্ট্রের কৃষি বিভাগের (USDA) সংশ্লিষ্ট সংস্থার উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা।
বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন জানিয়েছেন, এই উদ্যোগের তিনটি লক্ষ্য রয়েছে—বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র বাণিজ্য সম্প্রসারণ, বাংলাদেশের স্বার্থে আন্তর্জাতিক জনমত তৈরি এবং যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য ঘাটতি কমানো।
তিনি আরও জানান, ভবিষ্যতে যুক্তরাষ্ট্র থেকে তুলা, ভোজ্যতেল, এলএনজি এবং উড়োজাহাজের যন্ত্রাংশ আমদানির পরিকল্পনা রয়েছে।
তবে অর্থনীতিবিদরা বলছেন, ডলার সংকটের সময়ে উচ্চ দামে গম আমদানির সিদ্ধান্ত ও অতিরিক্ত পণ্যে আগ্রহ দেখানোর আগে প্রয়োজন গভীর বিশ্লেষণ ও কৌশলগত চিন্তা। চুক্তির মেয়াদ ও শর্তাবলী বাংলাদেশের জন্য দীর্ঘমেয়াদে কতটা লাভজনক হবে, সেটিও বিবেচনায় আনা জরুরি।
এই চুক্তিকে দুই দেশের অর্থনৈতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হলেও, বিশেষজ্ঞরা বলছেন—এ ধরনের উদ্যোগ যেন একক দিকনির্দেশনায় না গিয়ে বহুপাক্ষিক বাণিজ্যের ভারসাম্য বজায় রাখে।
বাণিজ্যঘাটতি কমাতে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশের সমঝোতা স্মারক সই আজ