ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) প্রধান রেজাউল করিম মল্লিক গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) সদ্য সাবেক চেয়ারম্যান শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তাঁর ছোট বোন শেখ রেহানাকে অবৈধভাবে শেয়ারবাজার থেকে তিন লাখ কোটি টাকা দিয়েছেন। তিনি বাংলাদেশের আর্থিক প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করে দিয়েছেন।
গত মঙ্গলবার রাতে রাজধানীর ধানমণ্ডিতে অভিযান চালিয়ে শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলামকে গ্রেপ্তার করে ডিবি।
আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর গত ২৪ আগস্ট শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম, তাঁর ছেলে জুহায়ের সারার ইসলামসহ আট ব্যক্তির ব্যাংক হিসাব স্থগিত করা হয়।
সরকারি আর্থিক গোয়েন্দা সংস্থা বাংলাদেশ ফিন্যানশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) ব্যাংকগুলোকে এ নির্দেশ দেয়।
কাঠগড়ায় বসেই ফোনে কথা বলেন শিবলী রুবাইয়াত : বাংলাদেশ সিকিউরিটি অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলামকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। গতকাল বুধবার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মো. জাকির হোসেন গালিবের আদালত কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। এরপর বিচারক এজলাস থেকে নেমে খাসকামরায় যান।
তখন কাঠগড়ায় বসেই শিবলী রুবাইয়াত আইনজীবীর ফোনে দুই মিনিট কথা বলেন।
গতকাল বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে শিবলীকে আদালতে হাজির করা হয়। এরপর তাঁকে আদালতে তোলা হয়। এ সময় দুদক তাঁর ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করে।
দুদকের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর শুনানি করেন। তখন আসামিপক্ষে একাধিক আইনজীবী ওকালতনামায় স্বাক্ষর নিতে চান। তখন বিচারক তাঁকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। একই সঙ্গে রিমান্ডের বিষয়ে শুনানির জন্য আজ বৃহস্পতিবার দিন ধার্য করেন। তখন বিচারক এজলাস ছেড়ে খাসকামরায় যান।
আইনজীবীরা তাঁর সঙ্গে কথা বলতে থাকেন। এক পর্যায়ে বিকেল ৪টা ৫৪ মিনিটে আইনজীবী তাঁর (শিবলী) কাছে ফোন দেন। তখন তিনি কাঠগড়ায় রাখা বেঞ্চে বসে কথা বলতে থাকেন। দায়িত্বরত পুলিশ সতর্ক করলেও তিনি হাত দেখিয়ে দুই মিনিট কথা বলার আকুতি জানান। এরপর ৪টা ৫৬ মিনিটে তিনি কথা বলা শেষ করেন। আইনজীবীকে ফোন ফেরত দেন। এরপর পকেট থেকে রুমাল বের করে চোখ মুছতে থাকেন। পরে ৫টার পর তাঁকে আদালত থেকে হাজতখানায় আনা হয়। https://www.kalerkantho.com/print-edition/news/2025/02/06/1477419
sheikh hasina rehana sharebazar shibli rubayat