ট্যানারি খাতে তালিকাভুক্ত বহুজাতিক কোম্পানি বাটা সু কোম্পানি (বাংলাদেশ) লিমিটেডের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত ২০২৪ হিসাব বছরে মুনাফা কমেছে ২৬ শতাংশের বেশি। আলোচ্য হিসাব বছরে কোম্পানিটি বিনিয়োগকারীদের জন্য ১০৫ শতাংশ চূড়ান্ত নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
তথ্যানুসারে, সমাপ্ত ২০২৪ হিসাব বছরে বাটা সুর শেয়ারপ্রতি সমন্বিত আয় (ইপিএস) হয়েছে ২১ টাকা ৬২ পয়সা, আগের হিসাব বছরে যা ছিল ২৯ টাকা ৩১ পয়সা। এক বছরের ব্যবধানে কোম্পানিটির মুনাফা কমেছে ২৬ দশমিক ২৪ শতাংশ। ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪ শেষে কোম্পানির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ২২০ টাকা ২২ পয়সায়।
সমাপ্ত ২০২৪ হিসাব বছরে বিনিয়োগকারীদের জন্য ১০৫ শতাংশ চূড়ান্ত নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে বাটা সুর পর্ষদ। এর আগে আলোচ্য হিসাব বছরের জন্য কোম্পানিটি বিনিয়োগকারীদের ৩৪০ শতাংশ অন্তর্বর্তী নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল। সে হিসাবে সমাপ্ত ২০২৪ হিসাব বছরে মোট ৪৪৫ শতাংশ লভ্যাংশ পাবেন বিনিয়োগকারীরা।
এদিকে ঘোষিত লভ্যাংশ ও অন্যান্য এজেন্ডায় বিনিয়োগকারীদের অনুমোদন নিতে আগামী ২৬ জুন বেলা ১১টায় ডিজিটাল প্লাটফর্মে বার্ষিক সাধারণ সভার (এজিএম) আহ্বান করেছে বাটা সুর পর্ষদ। এ-সংক্রান্ত রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে আগামী ২৬ মে।
৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত ২০২৩ হিসাব বছরে বিনিয়োগকারীদের ১০৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে কোম্পানিটি। আলোচ্য হিসাব বছরে বাটা সুর ইপিএস হয়েছে ২৯ টাকা ৩১ পয়সা, আগের হিসাব বছরে যা ছিল ২৯ টাকা ৯৮ পয়সা। ৩১ ডিসেম্বর ২০২৩ শেষে কোম্পানিটির এনএভিপিএস দাঁড়িয়েছে ২৩৭ টাকা ৯৩ পয়সায়।
৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত ২০২২ হিসাব বছরে বিনিয়োগকারীদের ৩৬৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে বাটা সুর পর্ষদ। আলোচ্য হিসাব বছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছে ২৯ টাকা ৯৮ পয়সা। আগের হিসাব বছরে শেয়ারপ্রতি লোকসান ছিল ৫ টাকা ১ পয়সা। ৩১ ডিসেম্বর ২০২২ শেষে কোম্পানিটির এনএভিপিএস দাঁড়ায় ২৫২ টাকা ১৬ পয়সায়।
১৯৮৫ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বাটা সুর অনুমোদিত মূলধন ২০ কোটি ও পরিশোধিত মূলধন ১৩ কোটি ৬৮ লাখ টাকা। রিজার্ভে রয়েছে ৩১১ কোটি ৮৭ লাখ টাকা। মোট শেয়ার সংখ্যা ১ কোটি ৩৬ লাখ ৮০ হাজার। এর মধ্যে ৭০ শতাংশ উদ্যোক্তা পরিচালক, ১৯ দশমিক ৩৮ শতাংশ প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী, ১ দশমিক ৩০ শতাংশ বিদেশী বিনিয়োগকারী ও বাকি ৯ দশমিক ৩২ শতাংশ শেয়ার সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে রয়েছে। https://www.bonikbarta.com/economy/2BsZzLLJ14t7iJTE
BATA