বেসরকারি খাতের ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামি ব্যাংকের চলতি হিসাবে ঘাটতি দাঁড়িয়েছে ৭ হাজার ২৭০ কোটি টাকা। বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অভ্যন্তরিণ প্রতিবেদনে দেখা যায়, রোববার (২২ সেপ্টেম্বর) পর্যন্ত যেসব ব্যাংকগুলোর চলতি হিসেবে ঘাটতি রয়েছে তাদের মধ্যে সবচেয়ে খারাপ অবস্থানে রয়েছে শরীয়াহ ভিত্তিক ফাস্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক। এই ব্যাংকের ঘাটতি ৭ হাজার ২৭০ কোটি টাকা।
এর পরের অবস্থানে থাকা স্যোশাল ইসলামী ব্যাংকের ঘাটতি ৩ হাজার ৩৯৪ কোটি টাকা। তৃতীয় অবস্থানে থাকা ইউনিয়ন ব্যাংকের ঘাটতি ২ হাজার ২০৯ কোটি টাকা।
এছাড়া ইসলামী ব্যাংকের ঘাটতি ২ হাজার ২০২ কোটি, কমার্স ব্যাংকের ৩৮০ কোটি,পদ্মা ব্যাংক ২৩৪ কোটি, আইসিবি ইসলামী ব্যাংকের ৯৫ কোটি, গ্লোবাল ব্যাংকের ৩৯ কোটি টাকার চলতি হিসেবে ঘাটতি রয়েছে।
এর মধ্যে ৫ টি ব্যাংক তারল্য সংকট কাটাতে বাংলাদেশ ব্যাংকের গ্যারান্টি চুক্তি সম্পন্ন করেছে। এই ব্যাংকগুলো অন্যান্য সবল ব্যাংক থেকে সহায়তা নিতে পারবে। যেখানে গ্রান্টার থাকবে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ ব্যাংক।
এছাড়া এক্সিম ও ইসলামী ব্যাংক আবেদন করলেও এখন পর্যন্ত কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সাথে গ্যারান্টি চুক্তি হয় নি। এদিকে পদ্মা ও আইসিবি ইসলামী ব্যাংক এখন পর্যন্ত কোন আবেদন করেনি।
এর আগে গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার সরকারের পতন হলে ব্যাংকগুলোর পরিচালনা পর্ষদ ভেঙে পুনর্গঠন করা হয়। এগুলোসহ মোট ১১টি ব্যাংকের পর্ষদ পুনর্গঠন করে দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
জানা গেছে, নামে-বেনামে ব্যাংকগুলো থেকে বিপুল অঙ্কের ঋণ নিয়ে পাচারের অভিযোগ খতিয়ে দেখছে কেন্দ্রীয় ব্যাংকসহ বিভিন্ন সংস্থা। নামে-বেনামে টাকা বের করে নেয়ায় তীব্র তারল্য সংকট তৈরি হয়েছে ব্যাংকগুলোতে।