ছয় দফা দাবিতে কর্মবিরতি পালন করছেন সোনালী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। বুধবার (১০ জুলাই) রাজধানীর মালিবাগে কোম্পানিটির প্রধান কার্যালয়ে দ্বিতীয় দিনের মতো অবস্থান নিয়ে প্রশাসক এস এম ফেরদৌস বরাবর স্মারকলিপি দেন তারা। এর আগে মঙ্গলবারও (৯ জুলাই) প্রতিষ্ঠানটির প্রধান কার্যালয়ে সকাল সাড়ে ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত তারা অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন।
প্রশাসক এস এম ফেরদৌস বরাবর দেয়া স্মারকলিপিতে বলা হয়, সব ফাইন্যান্সিয়াল অ্যাসোসিয়েট (এফএ), ইউনিট ম্যানেজার (ইউএম) ও ব্রাঞ্চ ম্যানেজারদের (বিএম) বকেয়া পাওনা দ্রুত পরিশোধ করতে হবে। নিরপেক্ষ অডিট কোম্পানি দিয়ে দ্রুত পূর্ণাঙ্গ অডিট সম্পন্ন করে রিপোর্ট প্রকাশ করতে হবে। স্যালারি পলিসি কার্যকরের ক্ষেত্রে অন্যান্য জীবন বীমা কোম্পানির প্রচলিত সুযোগ-সুবিধা বিবেচনায় রেখে বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের নিয়ম যথাযথ প্রতিপালন সাপেক্ষে দ্রুত বাস্তবায়ন করতে হবে। মিথ্যা, বানোয়াট ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত উদ্যোগ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. রফিকুল ইসলাম, উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক মুহাম্মদ আবদুল্লাহিল কাফী, উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক গোলাম মোস্তফা, সহকারী ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ মো. আজিম এবং সহকারী ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মঞ্জুর মোর্শেদকে দ্রুত পদে বহাল করতে হবে। হেড অফিসের স্বাভাবিক কর্মপরিবেশ ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে বিশেষ উদ্দেশ্য বাস্তবায়নে নিয়োগ করা অস্ত্রধারী আনসার সদস্যদের কার্যক্রম বন্ধ করতে হবে এবং আইডিআরএর প্রশাসক নিয়োগপত্রের ৯৫ (১) ধারার বাইরে স্বেচ্ছাচারী কোনো পদক্ষেপ বাস্তবায়ন করা যাবে না।
এর আগে গত ২১ এপ্রিল সোনালী লাইফের ১৮৭ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদকে বরখাস্ত করে অভিযোগটি খতিয়ে দেখতে এস এম ফেরদৌসকে দুই মাসের জন্য প্রশাসক হিসেবে নিয়োগ দেয় আইডিআরএ।
আন্দোলনকারীরা বলছেন, শুরু থেকেই এস এম ফেরদৌসের নিয়োগ ও তার সব কার্যক্রম অবৈধ ছিল। তাকে প্রশাসক করে নিয়োগ দেয়া হয়েছে সাবেক পরিচালনা পর্ষদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ খতিয়ে দেখতে। তবে তিনি তা না করে কোম্পানির নিয়মিত কাজে হস্তক্ষেপ করছেন এবং ইচ্ছেমতো কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বরখাস্ত ও বেতন-ভাতা বন্ধ করে দিয়েছেন। তাকে দুই মাসের জন্য নিয়োগ দেয়া হলেও তদন্ত কাজই শুরু করেছেন প্রায় দেড় মাস পর।
আন্দোলনকারীদের একজন প্রতিষ্ঠানটির সহকারী ব্যবস্থাপনা পরিচালক এমদাদুল হক সাহিল। তিনি জানান, তারা আজ বুধবার ১০টায় অফিসে প্রবেশ করে কর্মবিরতির অংশ হিসেবে সাড়ে ১০টায় বেরিয়ে যান। দাবি না মানা পর্যন্ত তারা এ কর্মসূচি চালিয়ে যাবেন। তিনি বলেন, কর্মবিরতির কারণে গ্রাহকের সব ভোগান্তির দায় প্রশাসককেই নিতে হবে।
Sonalilife