পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত চামড়া খাতের শীর্ষ কোম্পানিগুলোর চলতি বছরের জানুয়ারি-মার্চে আয় ও মুনাফা দুটোই বেড়েছে। কোম্পানিগুলো হলো এপেক্স ফুটওয়্যার লিমিটেড, এপেক্স ট্যানারি লিমিটেড ও বাটা সু কোম্পানি (বাংলাদেশ) লিমিটেড। এছাড়া আলোচ্য সময়ে ভালো ব্যবসা করতে পারেনি ফরচুন সুজ লিমিটেড ও লিগ্যাসি ফুটওয়্যার লিমিটেড। কোম্পানিগুলোর জানুয়ারি-মার্চের আর্থিক প্রতিবেদন বিশ্লেষণে এ তথ্য জানা গেছে।
তথ্য অনুসারে, চলতি ২০২৩-২৪ হিসাব বছরের তৃতীয় প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ) এপেক্স ফুটওয়্যারের আয় হয়েছে ৩৯৪ কোটি ৯০ লাখ টাকা, আগের বছরের একই প্রান্তিকে যা ছিল ৩৬১ কোটি ২২ লাখ টাকা। সে হিসাবে কোম্পানিটির আয় বেড়েছে ৯ দশমিক ৩২ শতাংশ। এ সময়ে কোম্পানির কর-পরবর্তী নিট মুনাফা হয়েছে ১ কোটি ৬৩ লাখ টাকা, আগের বছরের একই প্রান্তিকে যা হয়েছিল ১ কোটি ২৬ লাখ টাকা। আলোচ্য প্রান্তিকে কোম্পানিটির নিট মুনাফা বেড়েছে ২৯ দশমিক ৩৭ শতাংশ।
এপেক্স গ্রুপের এপেক্স ট্যানারির তৃতীয় প্রান্তিকে আয় হয়েছে ২২ কোটি ৪২ লাখ টাকা, আগের বছরের একই প্রান্তিকে যা ছিল ১৯ কোটি ২৭ লাখ টাকা। আলোচ্য সময়ে কোম্পানির নিট মুনাফা হয়েছে ১ কোটি ৮৯ লাখ টাকা। আগের বছরের একই সময়ে নিট লোকসান হয়েছিল ২ কোটি ৯৩ লাখ টাকা।
চামড়া খাতের বহুজাতিক কোম্পানি বাটা সু চলতি ২০২৪ হিসাব বছরের প্রথম প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ) ২৮০ কোটি ৪৯ লাখ টাকা আয় করেছে, আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ২৪৪ কোটি ৮৪ লাখ টাকা। সে হিসেবে কোম্পানির আয় বেড়েছে ১৪ দশমিক ৫৮ শতাংশ। এ সময় কোম্পানির নিট মুনাফা হয়েছে ১৮ কোটি ৩৬ লাখ টাকা, আগের বছরের একই সময়ে যা ছিল ১৩ কোটি ৬৩ লাখ টাকা। অর্থাৎ নিট মুনাফা বেড়েছে ৩৪ দশমিক ৭০ শতাংশ।
চলতি বছরের প্রথম তিন মাসে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর মধ্যে ফরচুন সুজের আয় ও মুনাফা দুটোই কমেছে। আলোচ্য সময়ে ফরচুন সুজের আয় হয়েছে ৩০ কোটি ১৬ লাখ টাকা, আগের বছরের একই সময়ে যা ছিল ৪০ কোটি ৬০ লাখ টাকা। আলোচ্য সময়ে নিট মুনাফা হয়েছে ৯৮ লাখ টাকা, আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ১ কোটি ৫৬ লাখ টাকা। অর্থাৎ বছরের ব্যবধানে কোম্পানিটির নিট মুনাফা কমেছে ৩৭ দশমিক ১৮ শতাংশ।
একই সময়ে লিগ্যাসি ফুটওয়্যারের আয় বাড়লেও লোকসানও কিছুটা বেড়েছে। আলোচ্য সময়ে বিক্রি বাবদ আয় হয়েছে ১৩ লাখ টাকা, আগের বছরের একই সময়ে যা ছিল ৪ লাখ টাকা। অর্থাৎ বছরের ব্যবধানে কোম্পানির আয় বেড়েছে ২২৫ শতাংশ। এ সময়ে নিট লোকসান হয়েছে ২৮ লাখ টাকা, আগের বছরের একই সময়ে যা ছিল ১৭ লাখ টাকা। অর্থাৎ আলোচ্য সময়ে কোম্পানির লোকসান বেড়েছে ৬৪ দশমিক ৭১ শতাংশ।
tannery industry profit gain