Home Industry News যুক্তরাষ্ট্রের ইউএসজিবির স্বীকৃতি: ‘বিশ্বে সবুজ কারখানার সর্বোচ্চ স্কোর বাংলাদেশি কোম্পানির’

যুক্তরাষ্ট্রের ইউএসজিবির স্বীকৃতি: ‘বিশ্বে সবুজ কারখানার সর্বোচ্চ স্কোর বাংলাদেশি কোম্পানির’

by fstcap

বিশ্বে সবুজ কারখানার সর্বোচ্চ স্কোর এখন বাংলাদেশের এসএম সোর্সিং নামে তৈরি পোশাক রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানের। গাজীপুরের এ কারখানার স্কোর ১০৬। যুক্তরাষ্ট্রের ইউএস গ্রিন বিল্ডিং কাউন্সিল (ইউএসজিবি) গত মঙ্গলবার সবুজ কারখানার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি লিডারশিপ ইন এনার্জি অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল ডিজাইন (লিড) স্বীকৃতির তালিকা প্রকাশ করেছে। এর আগে সর্বোচ্চ স্কোর ছিল ১০৪, যা যৌথভাবে বাংলাদেশের গ্রিন টেক্সটাইল এবং ইন্দোনেশিয়ার একটি কারখানার ছিল। স্কোরের দিক থেকে শীর্ষ ২১টি সবুজ কারখানার ১৯টিই এখন বাংলাদেশের। আর সর্বোচ্চ মানের ১০০ কারখানার মধ্যে বাংলাদেশে রয়েছে ৫৪টি। 

এই অর্জনকে বাংলাদেশ এবং পোশাক খাতের অনন্য অর্জন হিসেবে  দেখছে সংগঠন বিজিএমইএ। সংগঠনের সভাপতি ফারুকহাসান গতকাল বুধবার এক বিবৃতিতে বলেন, বাংলাদেশের পোশাক শিল্পের কর্মক্ষেত্রের নিরাপত্তা মান নিয়ে এক সময় প্রশ্ন ছিল। সময়ের ব্যবধানে সরকার এবং উদ্যোক্তাদের প্রচেষ্টায় এ শিল্প আজ কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তা মানের দিক থেকে বিশ্বের রোল মডেল হিসেবে  মর্যাদা পাচ্ছে। তিনি বলেন, বৈশ্বিক ফ্যাশন শিল্পকে ১০ শতাংশ কার্বন নিঃসরণের জন্য দায়ী করা হয়। এ কারণে এই শিল্প জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় বিশ্ববাসীর সক্রিয় মনোযোগের মধ্যে রয়েছে। শিল্পায়নে কার্বন নিঃসরণ নিয়ন্ত্রণের উদ্যোগ ব্র্যান্ড ক্রেতাদের কাছে নির্ভরযোগ্য আমদানি উৎস হিসেবে বাংলাদেশের প্রতি আস্থা আরও বাড়বে। 

 
 

বাংলাদেশে এখন লিড সনদের কারখানার সংখ্যা ২০৬টি। চলিত বছরে এ পর্যন্ত ২৪টি কারখানাকে লিড সনদ দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ১৬টি প্লাটিনাম এবং আটটি গোল্ড। সব মিলিয়ে ইউএসজিবির প্লাটিনাম মানের কারখানা রয়েছে ৭৬টি। ১১৬টি গোল্ড মানের, ১০টি সিলভার এবং বাকি  চারটি সাধারণ লিড সনদের কারখানা। বিভিন্ন সূচকে ১১০ পয়েন্টের মধ্যে ৮০ পয়েন্টের ওপরের কারখানাকে প্লাটিনাম সনদ দেয় ইউএসজিবি। রেটিং পয়েন্ট ৬০ হলে গোল্ড ক্যাটেগরির সনদ দেওয়া হয়। ৫০ থেকে ৫৯-এর মধ্যে থাকলে সিলভার ক্যাটেগরি হিসেবে বিবেচনা করা হয়। 
লিড সনদের কারখানার পরিবেশগত সুবিধা সম্পর্কে ইউএসজিবিসির ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, সাধারণ কারখানার তুলনায় লিড সনদের কারখানার জ্বালানি সাশ্রয় হয় সর্বোচ্চ ৫০ শতাংশ। পানির ব্যবহার কম হয় ৪০ শতাংশ। বর্জ্য উৎপাদন কম হয় ৭০ শতাংশ পর্যন্ত। রক্ষণাবেক্ষণ ব্যয় কম হয় ১৩ শতাংশ। 

বাণিজ্যিক ভবন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, বাড়িসহ অন্যান্য স্থাপনার ক্ষেত্রেও এই সনদ দেয় ইউএসজিবি। শিল্পকারখানার ক্ষেত্রে ভবন নির্মাণ থেকে শুরু করে পণ্য উৎপাদন পর্যন্ত ছোট-বড় সব পর্যায়ে পরিবেশ সুরক্ষার বিষয়টি কতটুকু মানা হলো, তা বিশ্নেষণ করে সনদ দেওয়া হয়। সবুজ কারখানায় উৎপাদিত পোশাকের আলাদা কদর রয়েছে ক্রেতাদের কাছে। এসব কারখানায় উৎপাদিত পণ্যের গায়ে গ্রিন ট্যাগ সংযুক্ত থাকে। সবুজ কারখানায় উৎপাদিত পণ্য নিয়ে ক্রেতাদের সঙ্গে দর কষাকষিতেও সুবিধাজনক অবস্থায় থাকা যায়। এ ছাড়া সবুজ কারখানার সনদ দেশের এবং দেশের  পোশাক খাতের ব্র্যান্ড ইমেজ বাড়াতে সহায়তা করে থাকে। 

 

বিজিএমইএ সূত্রে জানা গেছে, ইএসজিবির লিড সনদের অপেক্ষায় আছে দেশের আরও ৫০০ কারখানা। নতুন বিনিয়োগের অনেক কারখানাই এখন সবুজ প্রযুক্তিতে নির্মাণ করা হচ্ছে। সবুজ কারখানায় রূপান্তরের চেষ্টা করছে পুরোনো বেশ কিছু কারখানাও। 

source: samakal.com

 

green environment industry high score Bangladesh

 
 

আরও পড়ুন

You may also like