বিনিয়োগকারীদের সুরক্ষায় গত বছরের জুলাইয়ে শেয়ারের সর্বনিম্ন মূল্য স্তর নির্ধারণ করে দেয় বাংলাদেশ সিকিউরিটি এক্সচেঞ্জ কমিশন বিএসইসি। এতে দৈনিক লেনদেন কমতে থাকে শেয়ারবাজারে। বিদেশি বিনিয়োগেও ফ্লোর প্রাইসকে বড় বাধা হিসাবে দেখেছেন অর্থনীতিবিদরা। এমন বাস্তবতায় ফ্লোর প্রাইস তুলে নেওয়া হবে, বলছেন বিএসইসি চেয়ারম্যান।
শেয়ারবাজারে লাগাতার পতন ঠেকাতে না পেরে, গত চার বছরে তিন দফা শেয়ারে ফ্লোর প্রাইস আরোপ করে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি।
প্রথমবার ২০২০ সালে মার্চে ফ্লোর প্রাইস আরোপ করলেও তুলে নেওয়া হয় ২০২১ সালের জুলাইয়ে। এরপর রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে গত বছরের জুলাইয়ে আবারও ফ্লোর প্রাইস আরোপ করে বিএসইসি। এ পর্যায়ে শেয়ার লেনদেন ব্যাপক কমে গেলে সমালোচনায় পড়ে নিয়ন্ত্রক সংস্থা।
ইবিএল সিকিউরিটিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সায়াদুল রহমান বলেন, ‘ফ্লোর প্রাইস বেঁধে দেওয়ায় বন্ধ কোম্পানির শেয়ারে উলম্ফন দেখা যায়, সাথে ভালো মানের কোম্পানি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।’
পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের পরিচালক আহসান এইচ মনসুর বলেন, ‘বিদেশি বিনিয়োগে বড় বাধা ফ্লোর প্রাইস। এ কারণে শেয়ারবাজারে লেনদেন কমছে। ফ্লোর প্রাইসে দাম আটকে থাকায় ভালো শেয়ারে আগ্রহ কমে থাকে বিনিয়োগকারীদের। এতে নিম্নমানের খারাপ শেয়ারের দাম বাড়ে, বাজারে তৈরি হয় ভারসাম্যহীনতা।’
বিএসইসি চেয়ারম্যান শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম বলেন, ‘শেয়ারবাজারকে গতিশীল করতে এবং বিনিয়োগ সুরক্ষায় শিগগিরই ফ্লোর প্রাইস তুলে নেওয়া হবে।’
সবশেষ ৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত ফ্লোর প্রাইসে আটকে আছে ১৯৩ কোম্পানির শেয়ার।
source: itvbd.com
sharebazar transaction floor price withdrawal