অর্ধ যুগেরও বেশি সময় ধরে প্রতিবছর লোকসান গুনছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বিবিধ খাতের কোম্পানি জিকিউ বলপেন ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড। সর্বশেষ প্রান্তিকেও যেখানে কোম্পানির লোকসানের বোঝা বেড়েছে। এমন একটি কোম্পানির শেয়ারদর ও লেনদেন হুঁহুঁ করে বাড়ছে। কিন্তু কোম্পানির পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে এমন অস্বাভাবিক বৃদ্ধির কারণ তাদের জানা নেই।
কোনো শেয়ারের দর ও লেনদেন অস্বাভাবিক হারে বাড়তে থাকলে সেটির কারণ জানতে চেয়ে কোম্পানিকে চিঠি দেয় স্টক এক্সচেঞ্জ। এরই অংশ হিসেবে জিকিউ বলপেনকে চিঠি দেয় প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই)। যার জবাবে কোম্পানিটি জানিয়েছে, সাম্প্রতিক সময়ে শেয়ারদর বৃদ্ধি ও লেনদেন বাড়ার পেছনে তাদের কাছে অপ্রকাশিত কোন মূল্য সংবেদনশীল তথ্য নেই।
বাজার বিশ্লেষণে দেখা যায়, ডিএসইতে গত ২১ নভেম্বর জিকিউ বলপেন ইন্ডাস্ট্রিজের শেয়ারদর ছিল ১১৩ টাকা ৪০ পয়সা। গতকাল লেনদেন শেষে এ দর বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৫৭ টাকা ৩০ পয়সায়। সে হিসাবে আলোচ্য সময়ের ব্যবধানে কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে ৪৩ টাকা ৯০ পয়সা বা ৩৮ দশমিক ৭১ শতাংশ। আলোচ্য সময়ের মধ্যে গত ২৬ নভেম্বর কোম্পানিটির শেয়ার সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে। এদিন কোম্পানির মোট ৪ লাখ ৯১ হাজার ৩৭৩টি শেয়ার হাতবদল হয়েছে। আর গতকাল লেনদেন হয়েছে ১ লাখ ৪৭ হাজার ৫৫৯টি শেয়ার।
সাধারণত কোম্পানি আর্থিক পারফরম্যান্স ভালো করলে কোম্পানির শেয়ারদর বাড়তে পারে। এর বাইরে ভবিষতে কোর বিজনেস বাড়তে পারে এমন মূল্য সংবেদনশীল তথ্যকে কেন্দ্র করেও শেয়ারদর বাড়তে পারে। এ ক্ষেত্রে কোম্পানি-সংশ্লিষ্ট বড় কোনো বিনিয়োগ বা এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হলে যা ভবিষৎতে কোম্পানির মুনাফা বাড়াতে ভূমিক রাখবে, তা বিনিয়োগকারীদের মধ্যে ইতিবাচক সাড়া ফেলে। যাতে বিনিয়োগকারীরা ওই শেয়ারের প্রতি আগ্রহ দেখায় এবং পুঁজিবাজারে শেয়ারদরও বৃদ্ধি পেয়ে থাকে। তবে এ ক্ষেত্রে কোনো কোম্পানির সিদ্ধান্ত মূল্য সংবেদনশীল তথ্য আকারে প্রকাশিত করার বিধান রয়েছে। কিন্তু জিকিউ বলপেন ইন্ডাস্ট্রিজের ক্ষেত্রে সাম্প্রতিক সময়ে বড় কোনো মূল্য সংবেদনশীল তথ্য প্রকাশও করা হয়নি, তা সত্ত্বেও কোম্পানির শেয়ারদর ও লেনদেন অস্বাভাবিকভাবে বাড়ছে।
কোম্পানির সর্বশেষ প্রকাশিত অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুসারে চলতি ২০২৩-২৪ হিসাব বছরের প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) জিকিউ বলপেনের শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে ১ টাকা ৯ পয়সা। এর আগের হিসাব বছরের একই সময়ে লোকসান হয়েছিল ১ টাকা ৪ পয়সা। অর্থাৎ সর্বশেষ প্রান্তিকে কোম্পানির শেয়ারপ্রতি লোকসানের বোঝা বেড়েছে ৫ পয়সা।
৩০ জুন সমাপ্ত ২০২২-২৩ হিসাব বছরেও কোম্পানিটি শেয়ারপ্রতি লোকসান করেছে। অবশ্য এ হিসাব বছরে কোম্পানির লোকসান কিছুটা কমেছে। আলোচ্য হিসাব বছরে শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে ১২ পয়সা। আগের হিসাব বছরে যেখানে এ লোকসান হয়েছিল ২ টাকা ৬৫ পয়সা হারে। লোকসান করলেও কোম্পানিটি শেয়ারহোল্ডারদের জন্য আগের বছরের ধারাবাহিকতায় মাত্র আড়াই শতাংশ নগদ লভ্যাংশের সুপারিশ করেছে। কোম্পানিটি এর আগে পাঁচ বছরেরও বেশি সময় ধরে লোকসানে রয়েছে।
Source: dainikbangla
gq ball pen gq gqballpen unusual price hike