চলতি বছর অস্বাভাবিক হারে দর বৃদ্ধি পাওয়া এমারেল্ড অয়েলের শেয়ার এখন দরপতনের ধারায়। গত সাড়ে চার মাসে শেয়ারটির দর ১০০ টাকার ওপর কমেছে। রােববার সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে শেয়ারটি দিনের সর্বোচ্চ দর হারিয়েছে। দর নেমেছে ৮৮ টাকায় এবং ডিএসইতে দরপতনের শীর্ষে।
মালিকানা বদল হচ্ছে, চালু হচ্ছে বন্ধ কোম্পানি– এমন খবরে গত এপ্রিল থেকে এমারেল্ড অয়েলের শেয়ারদর বাড়তে থাকে। দর বৃদ্ধির ধারা শুরুর আগে শেয়ারটির দর ছিল ৩২ টাকা। এর পর মাত্র তিন মাসে ছয় গুণ বেড়ে গত ১০ জুলাই সর্বোচ্চ ১৮৮ টাকা ৮০ পয়সায় ওঠে। এর পর শুরু হয় দরপতন। আগস্টজুড়ে শেয়ারটির দর স্থিতিশীল থাকলেও সেপ্টেম্বর থেকে যে দরপতন শুরু হয়, তা থামছে না। শুধু এমারেল্ড অয়েল নয়, গতকাল দরপতনের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ অবস্থানে ছিল কােহিনূর কেমিক্যাল। এক দিনে সাড়ে ৪৩ টাকা বা সাড়ে ৯ শতাংশের বেশি দর হারিয়ে ৪০৭ টাকা ৬০ পয়সায় নেমেছে। ১৬ থেকে ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত মাত্র সাত কার্যদিবসে শেয়ারটির দর ৪৪৯ টাকা থেকে ৫৬৪ টাকায় উঠেছিল। এর পর থেকে দরপতন চলছে।
প্রধান শেয়ারবাজার ডিএসইতে দরপতনের তালিকায় এর পরের অবস্থানে ছিল জিল বাংলা সুগার মিলস, খুলনা প্রিন্টিং, ফু-ওয়াং সিরামিক, ঢাকা ডাইং, ইয়াকিন পলিমার, ইভিন্স টেপটাইল, রূপালী লাইফ ইন্স্যুরেন্স ও শ্যামপুর সুগার মিলস। এসব শেয়ারের দর ৫ থেকে ৯ শতাংশ পর্যন্ত কমেছে। সব শেয়ারই রুগ্ণ কোম্পানির এবং সাম্প্রতিক সময়ে এগুলোর উল্লেখযোগ্য হারে দর বেড়েছিল। এদিকে গতকাল অন্য কয়েকটি রুগ্ণ কোম্পানির দর বেড়েছে। যেমন রুগ্ণ জিকিউ বলপেনের দর প্রায় ১০ শতাংশ বেড়ে ১৪৩ টাকা ছাড়িয়েছে। গতকাল এ শেয়ার সর্বোচ্চ যতটুকু দর বাড়তে পারত, ততটাই বেড়েছে। মাত্র তিন কার্যদিবস আগে এ শেয়ার ১১৩ টাকায় কেনাবেচা হয়।
দর বৃদ্ধির পরের অবস্থানে থাকা ডমিনেজ স্টিলের দর প্রায় ১০ শতাংশ, জেনারেশন নেক্সট ও আরএসআরএম স্টিলের দর পৌনে ১০ শতাংশ এবং সেন্ট্রাল ফার্মার দর সাড়ে ৯ শতাংশ হারে বেড়েছে। এর পরের অবস্থানে থাকা আফতাব অটোমোবাইলস এবং জেমিনি সি ফুডসের দর বেড়েছে সাড়ে ৭ শতাংশ। এ ছাড়া লিবরা ইনফিউশনস সোয়া ৬ শতাংশ এবং ইউনিয়ন ক্যাপিটাল ৫ শতাংশ দর বেড়েছে।
বিভিন্ন ব্রোকারেজ হাউসের কর্মকর্তারা জানান, কয়েক সপ্তাহ ধরে শেয়ারবাজার যে মন্দ শেয়ারে ভর করে ছিল, গতকালও তার কোনো পরিবর্তন ছিল না। সার্বিকভাবে ডিএসইতে দর হারানো শেয়ার সংখ্যা বেশি ছিল। লেনদেন হওয়া ৩২৭ কোম্পানির শেয়ারের মধ্যে ৫৩টির দর বেড়েছে, কমেছে ৯৩টির এবং অপরিবর্তিত ছিল ১৮১টির দর। ক্রেতার অভাবে ৬৫টির কোনো লেনদেন হয়নি। স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা সানলাইফ ইন্স্যুরেন্সে তাদের সব শেয়ার ব্লক মার্কেটে মোট ৬৭ কোটি টাকায় বিক্রি করেছেন। এ লেনদেনসহ দিনব্যাপী মোট ৫৪৯ কোটি টাকার শেয়ার কেনাবেচা হয়েছে।
সূত্রঃ সমকাল
emerald oil dorpatan dorpoton