পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি এমারেল্ড অয়েল ইন্ডাস্ট্রিজের নানা রকম অনিয়মের তথ্য পাওয়া গেছে। কোম্পানিটির কোটি কোটি টাকার স্থায়ী সম্পদের সত্যতা নেই। মজুত পণ্যেরও প্রমাণাদি নেই। এ ছাড়া কোম্পানি কর্তৃপক্ষ হিসাবমান লঙ্ঘন করেছে। ২০২২-২৩ অর্থবছরের আর্থিক হিসাব নিরীক্ষায় এসব তথ্য তুলে ধরেছেন নিরীক্ষক।
নিরীক্ষক জানিয়েছেন, কোম্পানি কর্তৃপক্ষ চলতি বছরের ৩০ জুনে শেষ হওয়া অর্থবছরে ৪৭ কোটি ২৪ লাখ টাকার স্থায়ী সম্পদ দেখিয়েছে। যার পরিমাণ গত অর্থবছরের শুরুতে ছিল ৪৮ কোটি ৭৩ লাখ টাকা। কিন্তু এই সম্পদের সত্যতা ও অস্তিত্ব পায়নি নিরীক্ষক। কারণ, এই বিশাল সম্পদ দেখানো হলেও এর বিপরীতে কোনো রেজিস্টার নেই।
এমারেল্ড অয়েল কর্তৃপক্ষ ২০২২-২৩ অর্থবছরের শেষে ৫ কোটি ৩২ লাখ টাকার মজুত পণ্য আছে বলে আর্থিক হিসাবে উল্লেখ করেছে। কিন্তু এর সপক্ষে প্রমাণাদির স্বল্পতার কারণে নিরীক্ষক ওই মজুত পণ্যের সত্যতা পাননি।
নিরীক্ষক জানিয়েছেন, কোম্পানিটির ১৩০ কোটি ৪৪ লাখ টাকার দীর্ঘমেয়াদি ঋণ রয়েছে। কিন্তু তারা এই ঋণের বিপরীতে ২০২২-২৩ অর্থবছরে কোনো সুদজনিত ব্যয় দেখায়নি।
আন্তর্জাতিক হিসাব মান (আইএএস)-৩৬ অনুযায়ী যেকোনো প্রতিষ্ঠানের ইমপেয়ারম্যান্ট লস ব্যবহারজনিত কারণে সম্পদের মূল্য হ্রাস হওয়া স্বাভাবিক। কিন্তু কোম্পানিগুলো তা না করে সম্পদ ও মুনাফা বেশি দেখায়। এমারেল্ড অয়েলও একই কাজ করেছে। তারা স্থায়ী সম্পদে ইমপেয়ারম্যান্ট টেস্ট করেনি বলে জানিয়েছেন নিরীক্ষক।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) করপোরেট গভর্ন্যান্স বিভাগের এক কর্মকর্তা বলেন, যেকোনো কোম্পানির ক্ষেত্রে ইমপেয়ারমেন্ট লস হওয়া স্বাভাবিক। কিন্তু কোম্পানিগুলো গতানুগতিকভাবে তা না করে মুনাফা ও সম্পদ বেশি দেখিয়ে থাকে।
Source: ajkerpatrika.com
Emeraldoil Emerald Oil Industries