সেবা খাতের তালিকাভুক্ত কোম্পানি সামিট অ্যালায়েন্স পোর্ট লিমিটেডের ব্যবসা ও মুনাফা চলতি ২০২৩-২৪ হিসাব বছরের প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় কমেছে। মূলত বন্দরে পণ্য হ্যান্ডলিং কমে যাওয়ার কারণে কোম্পানিটির আয় কমে গেছে। এতে কর-পরবর্তী নিট মুনাফাও কমেছে। কোম্পানিটির প্রথম প্রান্তিকের অনিরীক্ষিত আর্থিক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সামিট অ্যালায়েন্স পোর্টের প্রথম প্রান্তিকের অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনায় দেখা যায়, ২০২৩-২৪ হিসাব বছরের জুলাই-সেপ্টেম্বর সময়ে কোম্পানিটির আয় হয়েছে ৪৫ কোটি ২২ লাখ টাকা, আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ৪৭ কোটি ৫৬ লাখ টাকা। এক বছরের ব্যবধানে কোম্পানিটির আয় কমেছে প্রায় ৫ শতাংশ। আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির কর-পরবর্তী নিট মুনাফা হয়েছে ৮ কোটি ৫২ লাখ টাকা, আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ১০ কোটি ৯৬ লাখ টাকা। এ সময়ে কোম্পানিটির নিট মুনাফা কমেছে ২২ শতাংশের বেশি। চলতি হিসাব বছরের প্রথম প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৩৬ পয়সা, যা আগের হিসাব বছরের একই সময়ে ছিল ৪৬ পয়সা। গত ৩০ সেপ্টেম্বর শেষে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৩৩ টাকা ৪৭ পয়সায়।
কোম্পানিটির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, পণ্য হ্যান্ডলিংয়ের পরিমাণ কমে যাওয়ার প্রভাবে তাদের আয় কমেছে। এ কারণে কোম্পানির মুনাফাও কমে গেছে।
সর্বশেষ সমাপ্ত ২০২২-২৩ হিসাব বছরে কোম্পানিটি শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ১২ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। আলোচ্য হিসাব বছরে কোম্পানিটির সমন্বিত ইপিএস হয়েছে ১ টাকা ২২ পয়সা, আগের হিসাব বছরে যা ছিল ১ টাকা ১৯ পয়সা। গত ৩০ জুন শেষে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি সমন্বিত এনএভিপিএস হয়েছে ৩৩ টাকা ১১ পয়সা। ঘোষিত লভ্যাংশ ও অন্যান্য এজেন্ডায় বিনিয়োগকারীদের অনুমোদন নিতে আগামী ২৮ ডিসেম্বর ডিজিটাল প্লাটফর্মে দুপুর সাড়ে ১২টায় বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) আহ্বান করা হয়েছে। রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে ২৬ নভেম্বর।
৩০ জুন সমাপ্ত ২০২২ হিসাব বছরের জন্য শেয়ারহোল্ডাররেদ ১৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে কোম্পানিটি। ২০২১ বছরের জন্য উদ্যোক্তা পরিচালক বাদে বাকি শেয়ারহোল্ডারদের ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল সামিট অ্যালায়েন্স পোর্ট। ২০২০ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাব বছরের জন্য ১০ শতাংশ লভ্যাংশ দিয়েছিল কোম্পানিটি। এর মধ্যে ৮ শতাংশ নগদ ও ২ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ। ২০১৯ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাব বছরে শেয়ারহোল্ডারদের মোট ১০ শতাংশ লভ্যাংশ দিয়েছিল কোম্পানিটি। এর মধ্যে ৬ শতাংশ নগদ ও ৪ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ। আগের দুই হিসাব বছরে যথাক্রমে ১২ দশমিক ৫ শতাংশ ও ১৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ পেয়েছিলেন কোম্পানিটির শেয়ারহোল্ডাররা।
ডিএসইতে গতকাল শেয়ারটির সর্বশেষ ও সমাপনী দর ছিল ২৭ টাকা ২০ পয়সা। গত এক বছরে শেয়ারটির সর্বনিম্ন ও সর্বোচ্চ দর ছিল যথাক্রমে ২৭ টাকা ২০ ও ৩৭ টাকা ৯০ পয়সা।
সূত্রঃ বণিকবার্তা
#sharebazar #dse #cse #summitalliance #profit #munafa #port