পুঁজিবাজারে আস্থার উন্নয়নে শেয়ারদরের বেঁধে দেওয়া সর্বনিম্ন সীমা-ফ্লোর প্রাইস স্থায়ী সমাধান নয় বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ব্যবস্থাপনা পরিচালক এটিএম তারিকুজ্জামান।
তিনি বলেন, ‘‘এটা শেয়ার প্রাইস নির্ধারণে সরাসরি ইন্টারভেনশন। রেগুলেটর বা স্টক এক্সচেঞ্জের প্রাইস ফিক্সড করা ঠিক না। এটা বিশ্বের কোথাও নেই।’’
শেয়ারদর নির্ধারণ যদি স্বচ্ছ, ন্যায্য ও যৌক্তিক না হয় সেক্ষেত্রেও সংকট তৈরি হতে পারে জানিয়ে তিনি বলেন, বিদেশি বিনিয়োগকারীরা তখন হতাশ হবেন।
মঙ্গলবার পুঁজিবাজারভিত্তিক রিপোর্টারদের সংগঠন ক্যাপিটাল মার্কেট জার্নালিস্টস ফোরাম (সিএমজেএফ) আয়োজিত সিএমজেএফ টক অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ঢাকার পুরানা পল্টনে সংগঠনের নিজস্ব কার্যালয়ে এ আলোচনায় তিনি শেয়ার দরে কারসাজি বন্ধ, ডি-মিউচ্যুয়ালাইজেন, কৌশলগত বিনিয়োগ ও কারিগরি সহায়তা, ভালো কোম্পানির সংখ্যা বাড়ানো, বিনিয়োগকারীর সুরক্ষা ও তালিকাভুক্ত কোম্পানীতে সুশাসন প্রতিষ্ঠাসহ নানা প্রসঙ্গে কথা বলেন।
গত সেপ্টেম্বরে ডিএসইর ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে নিয়োগ পাওয়া তারিকুজ্জামান এর আগে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) নির্বাহী পরিচালক ছিলেন।
কোভিড মহামারী শুরুর আগে আগে অর্থনীতিতে অস্থিরতাকে ঘিরে পুঁজিবাজারে পতন হতে থাকলে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি ২০২০ সালে প্রথমবার বাজারে ‘ফ্লোর প্রাইস’ আরোপ করে। দ্বিতীয় দফায় ২০২২ সালের মাঝামাঝি সময়ে দ্বিতীয়বার এ পদক্ষেপে দরপতন ঠেকানোর চেষ্টা চলে।
কিন্তু ফ্লোর প্রাইস দেওয়ার কারনে ক্রেতাশূন্য হয়ে পড়েছে পুঁজিবাজারে। চাইলেও শেয়ার বিক্রি করতে পারছেন না অনেকে। এতে অনেকের মার্জিন ঋণের সুদ বেড়ে যাওয়ায় ঋণাত্বক হয়ে গেছে বিনিয়োগ। ফলে আটকে গেছে হাজার হাজার কোটি টাকা।
বাজার ব্যবস্থাপকদের একটি অংশ ফ্লোর প্রাইস তুলে দেওয়ার দাবি জানালেও বিএসইসি এখনই তা তোলা হবে না বলে জানিয়েছে। এটি পুঁজিবাজারে ‘উভয় সংকট’ তৈরি করেছে বলে মনে করছেন অনেকে। ধীরে তা তুলে দেওয়ার পক্ষে প্রায় সব অর্থনীতিবিদ ও বিনিয়োগকারীরা।
আলোচনায় স্বাগত বক্তব্য দেন সিএমজেএফ এর সভাপতি জিয়াউর রহমান এবং সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক আবু আলী।
source: bdnews24.com