118
অডিট আপত্তির মূল টাকা পরিশোধ করে বিলম্বিত ফি ৪৩০ কোটি টাকা মওকুফের আবেদন জানিয়েছে বাংলালিংক। এ নিয়ে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) সঙ্গে দেনদরবার করছে অপারেটরটি।
২০২১ সালে বেসরকারি মোবাইল অপারেটর বাংলালিংকে অডিট সম্পন্ন করে বিটিআরসি। ১৯৯৬ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত ২৩ বছরে অপারেটরটির কাছে অডিট আপত্তি দাঁড়ায় ৮২৩ কোটি ৫ লাখ টাকা। যার মধ্যে ১৬৫ কোটি ৭৪ লাখ টাকা মূল পাওনা এবং টুজির ভ্যাট ২২৫ কোটি টাকা। এ ছাড়া পাওনা দাবির ওপর ২৩ বছরে বিলম্বিত ফি দাঁড়িয়েছে প্রায় ৪৩০ কোটি টাকা।
গেল নভেম্বরে অডিট আপত্তির মূল টাকা পরিশোধের জন্য ১০ দিনের সময় দেয় বিটিআরসি। গ্রামীণফোন, রবির পথে না হেঁটে গত ১৯ নভেম্বর বাংলালিংক অডিট আপত্তির মূল পাওনা ১৬৫ কোটি টাকা পরিশোধ করেছে। পাশাপাশি টুজি ভ্যাটের ২২৫ কোটি টাকার মধ্যে কিস্তিতে দিয়েছে ১০৮ কোটি টাকা। তবে ওই দিনই তারা আপত্তি তোলে বিলম্বিত ফি-র ৪৩০ কোটি টাকা নিয়ে।
বাংলালিংক বলছে, অডিট শেষ হওয়ার পর থেকে মূল পাওনা পরিশোধে দেরি হলে সেটির বিলম্বিত ফি দেবে তারা। তবে ১৯৯৬ সাল থেকে বিলম্বিত ফি হিসাব করা যৌক্তিক নয় বলে মনে করে অপারেটরটি।
এ প্রসঙ্গে বাংলালিংকের চিফ করপোরেট অ্যান্ড রেগুলেটরি অ্যাফেয়ার্স অফিসার তাইমুর রহমান বলেন,
‘আমরা আইনি সহায়তা নিইনি। আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে আমরা সমস্যা সমাধানে বিশ্বাস করি। আমরা অডিট আপত্তির পুরো টাকাই দিয়ে দিয়েছি। টুজির ভ্যাট আমরা জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে ধাপে ধাপে দিচ্ছি।’
বিটিআরসি বলছে, তারা চাইলেই রাষ্ট্রের পাওনা মওকুফ করতে পারে না। এ ক্ষেত্রে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন প্রয়োজন হয়। তবে বাংলালিংকের আবদারের বিষয়টি নিয়ে কাজ চলছে।
এ নিয়ে বিটিআরসির কমিশনার ড. মুশফিক মান্নান চৌধুরী বলেন, ‘সম্প্রতি বাংলালিংকের একটি বড় অডিট হয়েছে। সেখানে তারা বিলম্বিত ফি নিয়ে আপিল করেছে।’
প্রসঙ্গত, বর্তমানে ৪ কোটি ৩৩ লাখ গ্রাহককে মোবাইল সেবা দিচ্ছে বাংলালিংক।
banglalink fee loan waiver moukuf