দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) রেকর্ড ডেটে শেয়ার লেনদেন স্থগিত রাখার পুরোনো নিয়মটি বাতিল করতে চাইছে। এর মূল লক্ষ্য হলো বাজারের দক্ষতা বাড়ানো, লেনদেনে সৃষ্ট বাধা দূর করা এবং শেয়ারবাজারকে আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে নিয়ে আসা।
এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য ডিএসই গত আগস্টে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)-কে একটি চিঠি পাঠিয়েছে। চিঠিতে ডিপোজিটরি (ইউজার) রেগুলেশনস ২০০৩ এবং সেটেলমেন্ট অব ট্রানজেকশনস রেগুলেশনস ২০১৩ সংশোধনের অনুরোধ করা হয়েছে, যাতে রেকর্ড ডেটেও স্পট ট্রেডিং চালু করা যায়।
নতুন পরিকল্পনা অনুযায়ী, রেকর্ড ডেটে শেয়ার লেনদেন চালু থাকলে বিক্রেতা কর্পোরেট সুবিধা পাবেন, কিন্তু ক্রেতা কোনো সুবিধা পাবেন না। ডিএসই মনে করে, এই সংস্কার শেয়ারবাজারে বড় ধরনের ইতিবাচক পরিবর্তন আনবে।
ডিএসইর শেয়ারহোল্ডার পরিচালক মিনহাজ মান্নান ইমন বলেন, “এই উদ্যোগ শেয়ারবাজারকে আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করবে। অন্যান্য দেশে রেকর্ড ডেটে শেয়ার লেনদেন বন্ধ থাকে না, এটি কেবল একটি প্রযুক্তিগত বিষয়।” তিনি আরও বলেন, লেনদেন বন্ধ না থাকলে বাজারের তারল্য এবং লেনদেনের পরিমাণ বাড়বে।
DSE
https://sharenews24.com/article/108730/index.html
বর্তমানে ৩৬৫টি তালিকাভুক্ত কোম্পানির জন্য বছরে ৩৬৫ দিন লেনদেন বন্ধ থাকার প্রয়োজন হয়। কিন্তু বছরে মাত্র ২২০-২২৫ দিন লেনদেন হয়। ফলে একই দিনে একাধিক কোম্পানির শেয়ার লেনদেন বন্ধ থাকে, যা টার্নওভার কমিয়ে দেয় এবং বিনিয়োগকারীদের লেনদেনের সুযোগ থেকে বঞ্চিত করে।