প্রতিযোগিতামূলক কম দামে পোশাকের সোর্সিংয়ে সেরা হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের ফ্যাশন কম্পানিগুলোর কাছে বাংলাদেশের তৈরি পোশাকের কদর বাড়ছে। সম্প্রতি এক বৈশ্বিক জরিপে এমনটাই উঠে এসেছে। জরিপে অংশ নেওয়া বেশির ভাগ ক্রেতা প্রতিষ্ঠান চীনকে পেছনে ফেলে বাংলাদেশ থেকেই পোশাক আমদানির বিষয়ে বেশি আগ্রহ দেখিয়েছে।
ইউনাইটেড স্টেটস ফ্যাশন ইন্ডাস্ট্রি অ্যাসোসিয়েশন (ইউএসএফআইএ) এবং ডেলাওয়্যার বিশ্ববিদ্যালয় যৌথভাবে এই জরিপ করে।
জরিপের দশম সংস্করণ গত সোমবার প্রকাশিত হয়েছে। বিশ্বের কয়েকটি বড় ব্র্যান্ড এবং খুচরা বিক্রেতাসহ ৩০টি শীর্ষস্থানীয় ফ্যাশন ব্র্যান্ড, খুচরা বিক্রেতা, আমদানিকারক এবং পাইকারি বিক্রেতারা এই জরিপে অংশগ্রহণ করেন। সদ্যোবিদায়ি পঞ্জিকা বর্ষের এপ্রিল থেকে জুন ২০২৩ পর্যন্ত জরিপটি পরিচালনা করা হয়। উত্তরদাতারা ৫.০-এর মধ্যে বাংলাদেশকে সর্বোচ্চ ৪.৫ পয়েন্ট দিয়েছেন।
এ সময় তাঁরা ভিয়েতনামকে ৩.৮ পয়েন্ট দিয়েছেন। জরিপে ২০২৩ সালে প্রতিযোগিতামূলক কম দামে পোশাকের সোর্সিংকে বেস হিসেবে ধরা হয়েছে। জরিপ অনুসারে চীন, ভারত ও কম্বোডিয়ার পয়েন্ট ছিল ৩.৫ এবং ইন্দোনেশিয়ার ৪.০। দেশের ইতিহাসে তৈরি পোশাক খাতের বড় দুর্ঘটনা রানা প্লাজা ধসের পর থেকে বাংলাদেশি পোশাকশিল্পে সামাজিক দায়বদ্ধতার অনুশীলনগুলো বেশ উন্নত হয়েছে বলেও জানিয়েছেন জরিপে অংশগ্রহণকারীরা।
এতে আরো বলা হয়, এশিয়ার সরবরাহকারীদের মধ্যে ভিয়েতনাম, বাংলাদেশ ও ভারত হলো সবচেয়ে জনপ্রিয় গন্তব্য। উত্তরদাতারা উৎপাদন ক্ষমতা এবং স্থিতিশীল অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে আগামী দুই বছর এই অঞ্চল থেকে সোর্সিং বাড়ানোর পরিকল্পনা করছেন।
এই প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তৈরি পোশাক প্রস্তুত ও রপ্তানিকারকদের সংগঠন বিজিএমইএ সভাপতি মো. ফারুক হাসান বলেন, বিশ্বে এখনো বাংলাদেশিরা প্রতিযোগিতামূলক দাম নিশ্চিত করে। ব্র্যান্ডিং ক্রেতার মধ্যে আস্থা এবং পরিবেশবান্ধব উন্নত কর্মসংস্থান বাংলাদেশকে বিশ্ববাজারে এগিয়ে রেখেছে। এ ছাড়া কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তাও বাংলাদেশ অগ্রাধিকারে রেখেছে।
source: https://orthosongbad.com
American brand USA garments product wiil to buy USFIA Vietnam India bangladesh