শেয়ারবাজার সংশ্লিষ্টদের কিছু অংশ বেশ কিছু দিন ধরে ফ্লোর প্রাইস প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) শেয়ারবাজারে বিদ্যমান ফ্লোর প্রাইসের বিষয়ে পরবর্তী করণীয় নির্ধারণে শেয়ারবাজার সংশ্লিষ্টদের নিয়ে মতবিনিময় সভা করেছে।
বৃহস্পতিবার (০৪ জানুয়ারি) বিকেলে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে সিকিউরিটিজ কমিশন ভবনের মাল্টিপারপাস হলে ডিএসই ব্রোকাস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ডিবিএ) এবং বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমবিএ) পরিচালনা পর্ষদ সদস্যদের সঙ্গে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় সভাপতিত্ব করেন বিএসএস’র চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিএসইসি’র কমিশনার অধ্যাপক শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ। গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও দায়িত্বপ্রাপ্ত মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম।
জানা গেছে, সংশ্লিষ্টরা সবাই ফ্লোর প্রাইস প্রত্যাহারের বিষয়ে নিজেদের মতামত দিয়েছে। তবে ঠিক কোন পদ্ধতিতে ফ্লোর প্রাইস প্রত্যাহার হবে সে বিষয়ে কমিশন চূড়ান্ত কোনো দিকনির্দেশনা দেয়নি। তবে, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর দ্রুত সময়ের মধ্যে শেয়ারবাজার পরিস্থিতি বুঝে ফ্লোর প্রাইস প্রত্যাহার করে নেওয়া হবে।
এ প্রসঙ্গে মোহাম্মদ রেজাউল করিম বলেন, ফ্লোর প্রাইসের বিষয়ে বিএমবিএ ও ডিবিএ তাদের মতামত দিয়েছে। তারা জানিয়েছেন, বিদ্যমান ফ্লোর প্রাইসের কারণে স্বাভাবিক লেনদেন হচ্ছে না। ফলে শেয়ারবাজারে লেনদেনের পরিমাণ অনেক কমেছে। দুই পক্ষই জানিয়েছে ফ্লোর প্রাইস প্রত্যাহার করা হলে লেনদেনের পরিমাণ বাড়বে। বর্তমান প্রেক্ষাপটে তাদের সমস্যা ও সুবিধা-অসুবিধা বিষয়ে কমিশনকে অবহিত করা হয়েছে।
বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও দায়িত্বপ্রাপ্ত মুখপাত্র জানান, বিএসইসির চেয়ারম্যান দুই পক্ষের বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে জানিয়েছে, শেয়ারবাজার পরিস্থিতি স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনার জন্য ফ্লোর প্রাইস প্রত্যাহার করা একমাত্র সমাধান নয়। তাই নির্বাচন পরবর্তী শেয়ারবাজার পরিস্থিতি বিবেচনা করে দ্রুত বিএসইসি ফ্লোর প্রাইস প্রত্যাহারের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে। তবে সেটা একবারে হবে না ধাপে ধাপে হবে সেটা শেয়ারবাজার পরিস্থিতির উপর নির্ভর করবে।
ডিবিএ সভাপতি সাইফুল ইসলাম বলেন, কমিশন বিদ্যমান ফ্লোর প্রাইসের বিষয়ে শেয়ারবাজার সংশ্লিষ্টদের মতামত নিয়েছে। বাজার পরিস্থিতিতে প্রায় সবাই ফ্লোর প্রাইস প্রত্যাহারের বিষয়ে মতামত দিয়েছে। তবে নিদিষ্ট কোন সময় এখনও চূড়ান্ত হয়নি। আমরা বলেছি, যত দ্রুত সময়ে সম্ভব, ফ্লোর প্রাইস প্রত্যাহার করা প্রয়োজন। নির্বাচনের পর কমিশন এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানাবে বলে আমরা প্রাথমিক ধারণা পেয়েছি। বিষয়টি কমিশনের এখতিয়ারে রয়েছে।
সভায় যে যার অবস্থান থেকে আন্তর্জাতিক ও অভ্যন্তরীণ প্রেক্ষাপটে শেয়ারবাজার পরিস্থিতির বিষয়ে মতামত তুলে ধরেন জানিয়ে বিএমবিএ সভাপতি মাজেদা খাতুন বলেন, বিএমবিএ মনে করে, বিদ্যমান ফ্লোর প্রাইস যৌক্তিকভাবে প্রত্যাহার হওয়া উচিৎ। তবে কখন কীভাবে প্রত্যাহার হবে সে বিষয়ে চূড়ান্ত কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি। সব পক্ষ মনে করছে, বাজারকে তার নিজস্ব গতিতে চলতে দেওয়া প্রয়োজন।
source: sharenews24.com
bsec chairman floor price stock market withdrawal