এবার শুরু হয়েছে লোকসানি ও স্বল্প মূলধনি কোম্পানি জিকিউ বলপেনের দরবৃদ্ধি। গত দুই দিনে এর দর ২৭ টাকা বা ১৫ শতাংশ বেড়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবারই দর বেড়েছে ১১ টাকা ৮০ পয়সা বা প্রায় ১০ শতাংশ। সর্বশেষ কেনাবেচা হয়েছে ১৩০ টাকা ৪০ পয়সায়। গতকাল কোম্পানিটি ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে দরবৃদ্ধির শীর্ষে ছিল।
এক সময়ের জনপ্রিয় কলমের ব্র্যান্ড জিকিউ বলপেন ইন্ডাস্ট্রিজ এক যুগের বেশি সময় ধরে লোকসানে চলছে। কোম্পানিটি গত ১৫ নভেম্বর চলতি হিসাব বছরের প্রথম প্রান্তিকের (জুলাই-সেপ্টেম্বর) আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। এতে দেখা যায়, প্রতি ১০ টাকা মূল্যের শেয়ারের বিপরীতে ১ টাকা ৯ পয়সা লোকসান হয়েছে। লোকসান দিয়ে চললেও ব্যাংকে জমা আমানতের সুদের ওপর নির্ভর করে প্রতি বছরই বিনিয়োগকারীদের লভ্যাংশ দিয়ে আসছে কোম্পানিটি। ২০১৯ সাল পর্যন্ত প্রতি বছর অন্তত ১০ শতাংশ হারে লভ্যাংশ দিয়েছে। তবে ব্যাংক ঋণের সুদহার কমে যাওয়ায় এ হার আড়াই শতাংশে নেমেছে।
শেয়ারবাজারসংশ্লিষ্টরা জানান, জিকিউ বলপেনের পরিশোধিত মূলধন মাত্র ৮ কোটি ৯৩ লাখ টাকা। মোট শেয়ার ৮৯ লাখের কিছু বেশি। এর মধ্যে উদ্যোক্তাদের কাছে রয়েছে ৪২ শতাংশ শেয়ার। সম্প্রতি বিভিন্ন কারসাজি চক্র এ ধরনের বন্ধ, লোকসানি ও স্বল্প মূলধনি কোম্পানির শেয়ার নিয়ে কারসাজি করছে। জিকিউ বলপেনের দরবৃদ্ধিও তাদের কারসাজির অংশ হতে পারে।
কয়েকটি ব্রোকারেজ হাউসের কর্মকর্তারা জানান, বাজারের স্থবিরতার কারণে সাধারণ বিনিয়োগকারী অনেকের বিনিয়োগ যখন আটকে আছে, তখন এমন কারসাজি নিয়ে অনেকে ক্ষুব্ধ। কারণ কারসাজি চক্রের সদস্যরা এভাবে লাভবান হলেও মুনাফার লোভে পড়া বিনিয়োগকারীরা প্রায়ই এ ধরনের শেয়ার কিনে লোকসানে পড়ছেন।
শুধু জিকিউ বলপেন নয়, গতকাল অন্যান্য শেয়ারের মধ্যে দরবৃদ্ধির দৌড়ে এগিয়ে ছিল ন্যাশনাল ফিড, মেঘনা পেট, মিরাকল, আরএসআরএম স্টিল, খান ব্রাদার্স পিপি, সি পার্ল হোটেলসহ আরও কিছু কোম্পানি। এসব শেয়ারের দর ৮ থেকে প্রায় ১০ শতাংশ পর্যন্ত বেড়েছে। এ ছাড়া প্যাসিফিক ডেনিম, ইয়াকিন পলিমার, ঢাকা ডায়িং, খুলনা প্রিন্টিং এবং ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপইয়ার্ডের শেয়ারদরও ৫ থেকে সাড়ে ৫ শতাংশ বেড়েছে। এর মধ্যে বেশ কয়েকটি কোম্পানি বন্ধ বা লোকসানে চলছে।
সার্বিক হিসাবে গতকাল ডিএসইতে ২৯৭ কোম্পানির শেয়ার কেনাবেচা হয়েছে। ৭১টির দর বেড়েছে, কমেছে ৫৫টির এবং অপরিবর্তিত ছিল ১৭১টির। ক্রেতার অভাবে ৯৫ কোম্পানির শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের কোনো লেনদেন হয়নি। কেনাবেচা হয়েছে ৩৭০ কোটি টাকার শেয়ার।
gq gqballpen price unusual hike