নিজস্ব প্রতিবেদক : শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানির শেয়ারের দাম কমে যাওয়ায় শেয়ার কিনছেন কোম্পানির উদ্যোক্তা পরিচালকরা। তারা মনে করছেন, শেয়ারবাজারে তাদের কোম্পানির শেয়ারের দাম অবমূল্যায়িত। বিনিয়োগকারীদের কোম্পানিগুলোর শেয়ারে অনাগ্রহের কারণেই ওইসব কোম্পানির শেয়ারের দাম অবমূল্যায়িত রয়েছে।
চলতি ডিসেম্বর মাসে স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস-এর তিনজন পরিচালক৩০ লাখ শেয়ার কেনার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছেন। যার বাজার মূল্য হবে ৬২ কোটি ৫০ লাখ টাকার বেশি। কোম্পানিটির শেয়ার বর্তমানে লেনদেন হচ্ছে ২০৯ টাকা ৮০ পয়সায়। ফ্লোর প্রাইসে।
অন্যদিকে, অ্যাপেক্স ফুটওয়্যারের একজন উদ্যোক্তা পরিচালক, ব্র্যাক ব্যাংকের একজন পরিচালক এবং অ্যাকমি ল্যাবরেটরিজ, এসিআই, পূবালী ব্যাংক এবং ইস্টার্ন হাউজিংয়ের উদ্যোক্তা পরিচালক পরিচালক সাম্প্রতিক তাদের মালিকানাধীন কোম্পানির শেয়ার কিনেছেন।
বাজার সংশ্লিষ্টরা এটিকে ইতিবাচক সংকেত হিসাবে দেখছেন। এই কোম্পানিগুলির বেশিরভাগই অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও শেয়ারহোল্ডারদের ভালো ডিভিডেন্ড দিয়েছে।
তাঁরা বলছেন, শেয়ারবাজার এক বছরেরও বেশি সময় ধরে ভালুকের কবলে রয়েছে। কারণ মৌলভিত্তির দেশি ও বহুজাতিক কোম্পানিগুলোর শেয়ার দাম ফ্লোর প্রাইসে বন্দী রয়েছে। যা শেয়ারবাজারের জন্য এক ধরণের চ্যালেঞ্জ বলা যায়।
বাজার বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ফ্লোর প্রাইসে থাকার সুবাধে কোম্পানির উদ্যোক্তা পরিচালকরা তাদের শেয়ার কম দামে বাজার থেকে তুলে নিচ্ছেন। এটি এক স্পষ্ঠ ইঙ্গিত দিচ্ছে, উদ্যোক্তা পরিচালকদের আস্থা রয়েছে তারদে কোম্পানিগুলোর পারফরমেন্স ভবিষ্যতে আরও ভালো হবে। যে কারণে তাঁরা বাজার থেকে শেয়ার কিনে নিচ্ছেন।
বাজার বিশ্লেষণে দেখা যায়, চলতি মাসে শেয়ারবাজার থেকে বিভিন্ন কোম্পানির উদ্যোক্তা পরিচালকরা অন্তত ১০০ কোটি টাকার শেয়ার কিনেছেন।
শেয়ারনিউজ, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৩