পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত এক্সপোর্ট ইমপোর্ট (এক্সিম) ব্যাংক অব বাংলাদেশ পিএলসির উদ্যোক্তা জুবায়ের কবির তার কাছে থাকা ব্যাংকটির ৫৫ লাখ ৩২ হাজার ৪০০ শেয়ারের মধ্যে পাঁচ লাখ শেয়ার বিক্রির ঘোষণা দিয়েছেন। ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে ডিএসইর পাবলিক ও ব্লক মার্কেটে বিদ্যমান বাজারদরে এ শেয়ার বিক্রি করবেন তিনি। গতকাল ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
২০০৪ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত এক্সিম ব্যাংকের অনুমোদিত মূলধন ২ হাজার কোটি ও পরিশোধিত মূলধন ১ হাজার ৪৪৭ কোটি ৫৫ লাখ ৭০ হাজার টাকা। রিজার্ভে রয়েছে ১ হাজার ৮৮১ কোটি ৫৬ লাখ টাকা। ব্যাংকটির মোট শেয়ার সংখ্যা ১৪৪ কোটি ৭৫ লাখ ৫৭ হাজার ৩৪৪। এর মধ্যে উদ্যোক্তা পরিচালকদের কাছে রয়েছে ৩২ দশমিক ৪৭ শতাংশ শেয়ার। এছাড়া প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ২৮ দশমিক ৯৬, বিদেশী বিনিয়োগকারীদের কাছে দশমিক ৭৭ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে বাকি ৩৭ দশমিক ৮০ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।
গতকাল ব্যাংকটির শেয়ারের সর্বশেষ ও সমাপনী দর ছিল ৯ টাকা ৭০ পয়সা। গত এক বছরে শেয়ারটির দর ৭ টাকা ৬০ থেকে ১১ টাকা ৩০ পয়সার মধ্যে ওঠানামা করেছে।
সমাপ্ত ২০২৩ হিসাব বছরের জন্য ঘোষিত ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ বিনিয়োগকারীদের কাছে পাঠিয়েছে ব্যাংকটি। আর্থিক প্রতিবেদন অনুসারে, চলতি ২০২৪ হিসাব বছরের প্রথম প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ) মুনাফা বেড়েছে ৭১ দশমিক ৪৩ শতাংশ। আলোচ্য প্রান্তিকে ব্যাংকটির শেয়ারপ্রতি সমন্বিত আয় (ইপিএস) হয়েছে ২৪ পয়সা, আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ১৪ পয়সা। গত ৩১ মার্চ শেষে ব্যাংকটির শেয়ারপ্রতি সমন্বিত নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ২৩ টাকা ২৪ পয়সায়।
সমাপ্ত ২০২৩ হিসাব বছরে এক্সিম ব্যাংকের ইপিএস হয়েছে ২ টাকা ৩৩ পয়সা, আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ২ টাকা ৫৭ পয়সা।
গত ৩১ ডিসেম্বর শেষে কোম্পানিটির এনএভিপিএস দাঁড়িয়েছে ২৩ টাকায়, আগের হিসাব বছরের একই সময় শেষে যা ছিল ২২ টাকা ২ পয়সা।
২০২২ হিসাব বছরের জন্য শেয়ারহোল্ডারদের ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে এক্সিম ব্যাংক। আলোচ্য হিসাব বছরে ব্যাংকটির সমন্বিত ইপিএস হয়েছে ২ টাকা ৫৭ পয়সা, আগের হিসাব বছরে যা ছিল ১ টাকা ৪৯ পয়সা। ৩১ ডিসেম্বর ২০২২ শেষে ব্যাংকটির সমন্বিত এনভিপিএস দাঁড়িয়েছে ২২ টাকা ২ পয়সায়, আগের হিসাব বছর শেষে যা ছিল ২১ টাকা ৭২ পয়সা।
২০২১ হিসাব বছরের জন্য শেয়ারহোল্ডারদের ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল এক্সিম ব্যাংক। আলোচ্য হিসাব বছরে ব্যাংকটির সমন্বিত ইপিএস হয়েছে ১ টাকা ৪৯ পয়সা, আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ১ টাকা ৯৪ পয়সা (পুনর্মূল্যায়িত)।
৩১ ডিসেম্বর ২০২১ শেষে ব্যাংকটির সমন্বিত এনএভিপিএস দাঁড়ায় ২১ টাকা ৭২ পয়সায়, আগের হিসাব বছর শেষে যা ছিল ২১ টাকা ১৩ পয়সা (পুনর্মূল্যায়িত)।
২০২০ হিসাব বছরে শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ১০ শতাংশ লভ্যাংশ দিয়েছে ব্যাংকটি। এর মধ্যে ৭ দশমিক ৫০ শতাংশ নগদ ও ২ দশমকি ৫০ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ। এছাড়া ২০১৮ ও ২০১৯ হিসাব বছরে শেয়ারহোল্ডারদের ১০ শতাংশ করে নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল এক্সিম ব্যাংক। ২০১৭ হিসাব বছরে ১২ দশমিক ৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ পেয়েছিলেন ব্যাংকটির শেয়ারহোল্ডাররা।
ব্যাংকটির ঋণমান দীর্ঘমেয়াদে ‘ডাবল এ’ ও স্বল্পমেয়াদে ‘এসটি-টু’। ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত ২০২৩ হিসাব বছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন, চলতি ২০২৪ হিসাব বছরের প্রথম প্রান্তিকের (জানুয়ারি-মার্চ) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন ও রেটিং ঘোষণার দিন পর্যন্ত প্রাসঙ্গিক অন্যান্য গুণগত ও পরিমাণগত তথ্যের ওপর ভিত্তি করে এ প্রত্যয়ন করেছে ক্রেডিট রেটিং ইনফরমেশন অ্যান্ড সার্ভিসেস লিমিটেড (সিআরআইএসএল)।