তথ্যপ্রযুক্তি খাতের তালিকাভুক্ত কোম্পানি ড্যাফোডিল কম্পিউটার্স লিমিটেডের পর্ষদ মূল গ্রুপের কাছ থেকে নেয়া ঋণকে ইকুইটিতে রূপান্তরে নতুন শেয়ার ইস্যুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এজন্য ৪ কোটি ৬৭ লাখ শেয়ার ইস্যুর করতে চায় কোম্পানিটি। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
তথ্যানুসারে, ড্যাফোডিল কম্পিউটার্স তাদের মূল গ্রুপ ড্যাফোডিল ফ্যামিলি কনসার্নের কাছ থেকে নেয়া ঋণকে ইকুইটিতে রূপান্তরের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এজন্য ১০ টাকা অভিহিত মূল্যে কোম্পানিটি ৪ কোটি ৬৭ লাখ শেয়ার ইস্যু করা হবে। নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) অনুমোদন সাপেক্ষে এ শেয়ার ইস্যু করা হবে।
চলতি ২০২৪-২৫ হিসাব বছরের প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) ড্যাফোডিল কম্পিউটার্সের শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১৬ পয়সা, আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ২০ পয়সা। গত ৩০ সেপ্টেম্বর শেষে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ১৩ টাকা ৪০ পয়সায়।
সর্বশেষ সমাপ্ত ২০২৩-২৪ হিসাব বছরে বিনিয়োগকারীদের জন্য ৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে ড্যাফোডিল কম্পিউটার্সের পর্ষদ। আলোচ্য হিসাব বছরে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ২১ পয়সা, আগের হিসাব বছরে যা ছিল ৫৪ পয়সা। গত ৩০ জুন শেষে কোম্পানিটির এনএভিপিএস দাঁড়িয়েছে ১৩ টাকা ২৪ পয়সায়। ঘোষিত লভ্যাংশ ও অন্যান্য এজেন্ডায় বিনিয়োগকারীদের অনুমোদন নিতে ২৯ ডিসেম্বর বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) আহ্বান করা হয়েছে।
৩০ জুন সমাপ্ত ২০২৩ হিসাব বছরে বিনিয়োগকারীদের জন্য ৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে কোম্পানিটি। ২০২২ হিসাব বছরেও শেয়ারহোল্ডারদের ৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে কোম্পানিটি। ২০২১ হিসাব বছরে ৬ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ পেয়েছিলেন শেয়ারহোল্ডাররা। এছাড়া ২০২০ হিসাব বছরে ৮ শতাংশ, ২০১৯ হিসাব বছরে ১০ শতাংশ ও ২০১৮ হিসাব বছরে ১২ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল প্রতিষ্ঠানটি।
ড্যাফোডিল কম্পিউটার্স লিমিটেডের সার্ভিলেন্স রেটিং দীর্ঘমেয়াদে ‘এ প্লাস’ ও স্বল্পমেয়াদে ‘এসটি-ওয়ান’। ৩০ জুন সমাপ্ত ২০২৩ হিসাব বছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদনের ওপর ভিত্তি করে এ প্রত্যয়ন করেছে ন্যাশনাল ক্রেডিট রেটিংস লিমিটেড।
২০০৬ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানিটির অনুমোদিত মূলধন ২০০ কোটি ও পরিশোধিত মূলধন ৪৯ কোটি ৯১ লাখ ২০ হাজার টাকা। রিজার্ভে রয়েছে ১৭ কোটি ৬২ লাখ টাকা। মোট শেয়ার সংখ্যা ৪ কোটি ৯৯ লাখ ১২ হাজার ২৬২। এর মধ্যে উদ্যোক্তা পরিচালকদের কাছে ৪১ দশমিক ৪০ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ৩১ দশমিক ৫১, বিদেশীদের কাছে দশমিক ১০ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীর হাতে বাকি ২৩ দশমিক ৯৯ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।
Dafodilcom