নিজস্ব প্রতিবেদক : দীর্ঘদিন পর শেয়ারবাজারের গতি ফিরতে শুরু করেছে। সূচক ও লেনদেনে দেখা যাচ্ছে বেশ চাঙ্গাভাব। প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) লেনদেন যেখানে ৩০০ কোটি টাকার ঘরে আটকে ছিল, এখন ৭০০ কোটি টাকা অতিক্রম করে লেনদেন হচ্ছে। প্রধান সূচক যেখানে ৬ হাজার ২৪০ এর আশেপাশে ঘুরাফিরা করছিল, এখন ৬ হাজার ৩০০ ঘর অতিক্রম করে সামনের দিকে অগ্রসর হচ্ছে।
এদিকে, সূচক ও লেনদেনে গতি ফিরতে শুরু করায় তালিকাভুক্ত শেয়ার দামও ইতিবাচক প্রবণতায় ফিরতে আরম্ভ করেছে। এর ধারাবাহিকতায় খাতভিত্তিক শেয়ারের দামও বাড়ছে। ইতোমধ্যে ব্যাংক, আর্থিক ও বিমার খাতের বেশ কিছু শেয়ারে চাঙ্গাভাবে ফিরেছে। অন্যান্য খাতের শেয়ারেও চাঙ্গাভাব দেখা যেতে শুরু করেছে।
বাজার বিশ্লেষণে দেখা যায়, খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাতের সিংহভাগ কোম্পানির শেয়ার এখনো ফ্লোর প্রাইসে গড়াগড়ি খাচ্ছে। তবে এখাতে যে কয়টি কোম্পানির শেয়ার বেশি ভাইভ্রেন্ট বা সক্রিয়, তারমধ্যে এমারেন্ড ওয়েল, বিচ হ্যাচারি, ফু-ওয়াং ফুড ও অলিম্পিক ইন্ডাষ্ট্রিজ অন্যতম। এসব শেয়ারে বিনিয়োগ করতে মুনাফার সম্ভাবনা অনেক বেশি।
কোম্পানিগুলোর মধ্যে এক মাস আগেও এমারেন্ড ওয়েলের শেয়ার ১৩০ টাকা, ফু-ওয়াং ফুডের শেয়ার ৩৫ টাকা, বিচ হ্যাচারির শেয়ার ৫২ টাকা, আরডি ফুডের শেয়ার ৪০ টাকা এবং অলিম্পিক ইন্ডাষ্ট্রিজের শেয়ার ১৬২ টাকার ওপরে লেনদেন হয়েছে। কোম্পানিগুলোর শেয়ার এখন ২৫ শতাংশ থেকে ৪০ শতাংশ কমে লেনদেন হচ্ছে। যদিও এই সময়ে ডিএসইর সূচক ঊর্ধ্বমুখী অনেক হয়েছে।
তবে কোম্পানিগুলোর শেয়ারদর কমলেও লেনদেন খুব একটা কমেনি। বাজার সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন বড় বিনিয়োগকারীরা শেয়ারগুলো সংগ্রহ করছেন। কোম্পানিগুলোর শেয়ার এখন ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার প্রস্তুতিতে রয়েছে।
টেকনিক্যাল অ্যানালিস্টরাও খাদ্য খাতের এসব শেয়ার নিয়ে পজিটিভ আলাপ-আলোচনা করছেন। এই বিষয়ে টেকনিক্যাল অ্যানালাইসিস চ্যানল ‘এসটিএস স্টক ট্রেড সিক্রেট’ এর আজ প্রকাশিত একটি টেকনিক্যাল অ্যানালাইসিস নিচে বিনিয়োগকারীদের জন্য তুলে ধরা হলো