পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত এমারেল্ড অয়েল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের কারখানায় উৎপাদন কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। কোম্পানিটির উৎপাদন কার্যক্রম ৬ মাসের অধিক সময় বন্ধ থাকায় নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) নির্দেশনা মোতাবেক কোম্পানিটির শেয়ার ‘জেড’ ক্যাটাগরিতে পাঠিয়েছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই)।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, কোম্পানিটির উৎপাদন বন্ধ সংক্রান্ত বিষয় জানতে গত ২৭ নভেম্বর কোম্পানিটিকে নোটিশ পাঠায় ডিএসই। এর জবাবে কোম্পানিটি জানায়, কারখানায় অপর্যাপ্ত গ্যাস সরবরাহের কারণে গত ০১ জানুয়ারী থেকে এখন পর্যন্ত উৎপাদন বন্ধ রয়েছে। উৎপাদন বন্ধ থাকলেও কারখানা একদিনের জন্যও বন্ধ হয়নি। এর ফলে কোম্পানিটির শেয়ার ‘জেড’ ক্যাটাগরিতে পাঠিয়েছে ডিএসই।
কোম্পানিটির শেয়ার ‘এ’ ক্যাটাগরি থেকে ‘জেড’ ক্যাটাগরিতে স্থানান্তর করা হয়েছে। আগামীকাল মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) থেকে ‘জেড’ ক্যাটাগরিতে লেনদেন করবে কোম্পানিটি।
এদিকে ক্যাটাগরি পরিবর্তনের কারণে কোম্পানিটিকে ঋণ সুবিধা দিতে ব্রোকার হাউজ এবং মার্চেন্ট ব্যাংককে নিষেধ করেছে ডিএসই। যা ০৩ ডিসেম্বর থেকে কার্যকর হবে।
উল্লেখ্য, গত ২০ মে বিএসইসির জেড শ্রেণি নিয়ে জারি করা নির্দেশনায় বলা হয়- পরপর দুই বছর বিনিয়োগকারীদের কোনো লভ্যাংশ না দিলে, আইন অনুযায়ী নিয়মিত এজিএম না করলে, সুনির্দিষ্ট কোনো কারণ ছাড়া ছয় মাসের বেশি উৎপাদন বা কার্যক্রম বন্ধ থাকলে, পুঞ্জীভূত লোকসান পরিশোধিত মূলধনের বেশি হলে, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ঘোষিত লভ্যাংশের ন্যূনতম ৮০ শতাংশ বিতরণ না করলে কোনো কোম্পানিকে ‘জেড’ শ্রেণিভুক্ত করা যাবে।
EMERALDOIL