December 10, 2024 8:59 am
Home Stock Market নতুন মালিকানায় ফু-ওয়াং ফুডে বাড়ছে বিদেশি বিনিয়োগ

নতুন মালিকানায় ফু-ওয়াং ফুডে বাড়ছে বিদেশি বিনিয়োগ

by fstcap

Fu-wang Foods Share holding

নিজস্ব প্রতিবেদক : গত বছর ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাতের কোম্পানি ফু-ওয়াং ফুড লিমিটেডকে অধিগ্রহণ করে জাপানি বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান মিনোরি বাংলাদেশ।

এর আগে বিনিয়োগকারীদের স্বার্থে ফু-ওয়াং ফুডকে অধিগ্রহণ করার নিমিত্তে মিনোরি বাংলাদেশকে অনুমতি দেয় নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।

অধিগ্রহণের সময়ে ফু-ওয়াং ফুডের মোট শেয়ার ছিল ১১ কোটি ৮ লাখ ৩৯ হাজার ২৮৪টি। এর মধ্যে উদ্যোক্তা-পরিচালকদের হাতে ছিল ৭.৮৫ শতাংশ। যার মধ্যে ৭.৬১ শতাংশ বা ৮৪ লাখ ৪২ হাজার ৭২৬টি শেয়ার কিনে নেয় মিনোরি বাংলাদেশ।

ফু-ওয়াং ফুড অধিগ্রহণের সময়ে মিনোরি ঘোষণা করেছিল, প্রতিষ্ঠানটিতে জাপানি বিনিয়োগ আসবে এবং জাপানের কারিগরি সহায়তায় প্রতিষ্ঠানটির উৎপাদিত পণ্যেও সংস্কার করা হবে। প্রতিষ্ঠানটির উৎপাদিত পণ্য যাতে জাপানে রপ্তানি করা যায়, সেজন্যও প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে মিনোরী।

তারই ধারাবাহিকতায় গত বছর থেকে ফু-ওয়াং ফুডে জাপানের বিনিয়োগ শুরু হয়। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে জানা যায়, গত বছর জুনে
প্রতিষ্ঠানটিতে বিদেশি বিনিয়োগ হয় ০.৩৮ শতাংশ। এরপর চলতি বছর আগস্ট মাসে নতুন করে বিদেশি বিনিয়োগ হয় ০.২৩ শতাংশ। সর্বশেষ সেপ্টেম্বর মাসে নতুন আরও বিদেশি বিনিয়োগ আসে ০.৭১ শতাংশ। এতে দেখা যায়, তিন দফায়
প্রতিষ্ঠানটিতে বিদেশিদের বিনিয়োগ দাঁড়িয়েছে ১.৩২ শতাংশে। অর্থাৎ বিদেশি বিনিয়োগকারীরা এযাবত ফু-ওয়াং ফুডের ১৪ লাখ ৬৩ হাজার শেয়ার কিনেছেন।

আলোচ্য সেপ্টেম্বর মাসে কোম্পানিটিতে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগও বেড়েছে। আগস্ট মাসে যেখানে কোম্পানিটিতে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ ছিল ৪.৯২ শতাংশ, সেপ্টেম্বর মাসে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬.২৭ শতাংশে।

মুনাফা ও ডিভিডেন্ড

ফু-ওয়াং ফুডের আর্থিক প্রতিবেদনে দেখা যায়, ২০১৬ সালের পর থেকে কোম্পানিটি লোকসানের মধ্যে পরিচালিত হয়। যে কারণে ২০১৬ সালের পর কোম্পানিটি বিনিয়োগকারীদের কোনো ডিভিডেন্ড দিতে পারেনি। গত বছর ফেব্রুয়ারি মাসে মিনোরি অধিগ্রহণ করার পর প্রতিষ্ঠানটি ঘুরে দাঁড়ায়। ওই বছর প্রতিষ্ঠানটির শেয়ার প্রতি মুনাফা (ইপিএস) আসে ১৭ পয়সা। যেখানে আগের বছর শেয়ার প্রতি লোকসান ছিল ৫৮ পয়সা। ২০২২ সালে কোম্পানিটি
বিনিয়োগকারীদের ২ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড দেয়।

সমাপ্ত অর্থবছরের প্রথম ৯ মাসে (জুলাই’২২ থেকে মার্চ’২৩ পর্যন্ত) কোম্পানির ইপিএস হয়েছে ১৭ পয়সা। সেখান থেকে বিনিয়োগকারীদের অন্তবর্তী ক্যাশ ডিভিডেন্ড দিয়েছে ০.৫০ শতাংশ। অর্থাৎ শেয়ারপ্রতি ১৭ পয়সা আয় থেকে বিনিয়োগকারীদের ৫ পয়সা করে মুনাফা দিয়েছে কোম্পানিটির নতুন পরিচালনা পর্ষদ। ফলে সমাপ্ত অর্থবছরের তিন প্রান্তিকে কোম্পানিটির হাতে ইপিএস জমা রয়েছে ১২ পয়সা।

কোম্পানি সূত্রে জানা গেছে, সমাপ্ত অর্থবছরের শেষ প্রান্তিকে বা চতুর্থ প্রান্তিকে কোম্পানিটির মুনাফা বেড়েছে। আর চলতি অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর’২৩) মুনাফা আরও ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে। যে কারণে কোম্পানিটির শেয়ার দামে ও লেনদেনে নতুন করে গতি সঞ্চার হয়েছে বলে মনে করছেন বিনিয়োগকারীরা।

আগামী ২৮ অক্টোবর কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ সভা আহ্বান করা হয়েছে। সভায় ৩০ জুন, ২০২৩ অর্থবছরের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে বিনিয়োগকারীদের জন্য চুড়ান্ত ডিভিডেন্ড ঘোষণা করা হবে।

চুড়ান্ত ডিভিডেন্ড ঘোষণাকে সামনে রেখে গত তিন মাসে কোম্পানিটির শেয়ারদর ফ্লোর প্রাইস ২৩ টাকা ৫০ পয়সা থেকে ৪৬ টাকা ৯০ পয়সায় লেনদেন হয়। এরপর সংশোধন হয়ে সর্বশেষ ২৯ টাকা ৫০ পয়সায় কেনাবেচা হয়।

প্রসঙ্গত, ফু-ওয়াং ফুডের উৎপাদিত পণ্য তালিকায় রয়েছে ব্র্রেড, বিস্কুট, কেক, টোস্ট, ওয়েফার বার, চকলেট, ইনস্ট্যান্ট নুডলস, ড্রিংকিং ওয়াটার, কার্বনেটেড ড্রিংকস এবং এনার্জি ড্রিংকস।

শেয়ারনিউজ, ২৪ অক্টোবর ২০২৩

You may also like