July 27, 2024 2:24 pm
Home Stock Market আবেদন চলছে ভুয়া প্লেসমেন্টের অ্যাগ্রো অর্গানিকার কিআইও’র

আবেদন চলছে ভুয়া প্লেসমেন্টের অ্যাগ্রো অর্গানিকার কিআইও’র

by fstcap

নিজস্ব প্রতিবেদক : শেয়ারবাজার থেকে টাকা উত্তোলন করার আবেদনের আগে আগে অ্যাগ্রো অর্গানিকা ২৭ লাখ টাকার পরিশোধিত মূলধনের কোম্পানি রাতারাতি ৩৮ কোটি টাকা হয়ে গেছে।

অস্বাভাবিক এই মূলধন বৃদ্ধি করা হয়েছে অস্তিত্বহীন প্রতিষ্ঠানের নামে। এমন কিছু প্রতিষ্ঠানের নামে কোটি কোটি টাকার প্লেসমেন্ট শেয়ার ইস্যু দেখানো হয়েছে, যেগুলোর অস্তিত্বই নেই। যাতে ওইসব অস্তিত্বহীন প্রতিষ্ঠানের নামে ইস্যু করা শেয়ারের বিপরীতে কোম্পানিতে টাকা আসা নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। কারণ অস্তিত্বহীন প্রতিষ্ঠানের পক্ষে স্বভাবিকভাবেই কোটি কোটি টাকার প্লেসমেন্ট শেয়ার কেনার সক্ষমতা থাকে না।

এই বিষয়ে বিএসইসি কর্মকর্তারা সংবাদ মাধ্যমকে বলেছিলেন, কমিশন অভিযোগ খতিয়ে দেখে যদি প্লেসমেন্টহোল্ডারদের অস্বিত্ব না পাওয়া যায় এবং ভূয়া হিসেবে প্রমাণিত হয়, তাহলে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এক্ষেত্রে কোম্পানি যদি ভবিষ্যতে তালিকাভুক্ত হওয়ার সুযোগ পায়, তাহলে ওইসব প্লেসমেন্ট শেয়ার ক্যাপিটাল মার্কেট স্ট্যাবিলাইজেশন ফান্ডে স্থানান্তর করা হবে।

কিন্তু বাস্তবে তা আর হয়নি। এই রকম কোম্পানি অ্যাগ্রো অর্গানিকার কিআইওতে আবেদন গত ২৭ নভেম্বর থেকে শুরু হয়েছে। কোম্পানিটির বিরুদ্ধে ভয়াবহ দুর্নীতি অভিযোগ ছিল। তা সত্ত্বেও বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) কোম্পানিটির কিআইও অনুমোদন দেয়। অথচ একই অপরাধের দায়ে বিএসইসি বানকো ফাইন্যান্সের এমডিসহ তার পরিবারের লোকজনকে রেকর্ড জরিমানা করেছে।

২০১৫ সালের পাবলিক ইস্যু রুলসের ৩(২)(ডি)-তে বলা হয়, ইস্যু ম্যানেজার ইস্যুয়ারের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকতে পারবে না এবং শেয়ার ধারণ করতে পারবে না। একই কথা বলা আছে কোয়ালিফাইড ইনভেস্টর রুলসের ৮ এর ৩-এতেও। কিন্তু পাবলিক ইস্যু রুলস ওই ধারা ভঙ্গের দায়ে বানকো ফাইন্যান্সের এমডিও তার পরিবারকে করা হয়েছে রেকর্ড জরিমানা। আর অ্যাগ্রো অর্গানিকাকে করা হয়েছে পুরুস্কৃত।

২০১৫ সালের পাবলিক ইস্যু রুলসের অধীনে বিবিএস কেবলস ও নাহি অ্যালুমিনিয়াম শেয়ারবাজারে আসে। যার ইস্যু ম্যানেজার ছিল বানকো ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট। প্রতিষ্ঠানটির এমডির আত্মীয় স্বজন আইপিওকালীন বিবিএস কেবলস ও নাহি অ্যালুমিনিয়ামের শেয়ার ধারন করায়, ২০১৫ সালের পাবলিক ইস্যু রুলসের ৩(২)(ডি) ধারা ভঙ্গ হয়েছে বলে বিএসইসি সাব্যস্ত করে এবং তাকে ও তার পরিবারকে কোটি কোটি টাকা জরিমানা ও চাকরীচ্যুত করে।

কিন্তু মোহাম্মদ ইউনুসের শাহজালাল ইক্যুইটি অ্যাগ্রো অর্গানিকার ইস্যু ব্যবস্থাপনার কাজ করছে এবং ইউনুসের মালিকানাধীন ইউনুস পেপার মিলস অর্গানিকার ৩ লাখ ৬০ হাজার শেয়ার ধারণ করা সত্ত্বেও অর্থ উত্তোলনের অনুমোদন পায়। মোহাম্মদ ইউনুস শাহজালাল ইক্যুইটির প্রধান উপদেষ্টা, তার স্ত্রী চেয়ারম্যান এবং তিনি ইউনুস গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক। যে গ্রুপের কোম্পানি ইউনুস পেপার মিলস।

এমন অনিয়ম থাকা সত্ত্বেও কমিশন সভায় অর্থ উত্তোলনের অনুমোদন পেয়েছে অ্যাগ্রো অর্গানিকা। যে কোম্পানি ওই অনুমোদনের পরে ইউনুসের প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ধারণ বা মালিকানায় পরিবর্তন করে।

অ্যাগ্রো অর্গানিকায় প্রসপেক্টাসে ৪৫ পৃষ্টায় ১০৮ নম্বর সিরিয়ালের শেয়ারহোল্ডার বা মালিকানায় পরিবর্তন আনা হয়েছে। কোম্পানিটির কিউআইও অনুমোদন দেওয়ার পরে সম্প্রতি ৩ লাখ ৬০ হাজার শেয়ারধারী ইউনুস পেপার মিলসের পরিবর্তন এসেছে। তার জায়গায় নতুন শেয়ারহোল্ডার হিসেবে বেঙ্গল অ্যাসেট হোল্ডিংসকে দেখানো হচ্ছে।

Source: শেয়ারনিউজ, ২৮ নভেম্বর ২০২৩

QIO Agro Organica Placement share

You may also like