বিশ্বের দুই শীর্ষ অর্থনীতির দেশ যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে শুল্কযুদ্ধ যেন থামছেই না। প্রতিদিনই এই যুদ্ধ নতুন মোড় নিচ্ছে। কেউ কাউকে ছাড় দিচ্ছে না। ওয়াশিংটন শুল্কের পরিমাণ বৃদ্ধি করলে বেইজিংও পাল্টা শুল্ক চাপাচ্ছে।
International
মার্কিন পণ্য আমদানিতে শুল্ক বাড়িয়ে ১২৫ শতাংশ করার ঘোষণা দিয়েছে চীন। এর আগে চীনের ওপর যুক্তরাষ্ট্র সর্বশেষ ১৪৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে। চীনের অর্থমন্ত্রী আজ শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের পণ্যের ওপর শুল্ক বৃদ্ধির এ ঘোষণা দিয়েছেন।
আগামীকাল শনিবার থেকে এ শুল্ক কার্যকর হওয়ার কথা রয়েছে। এর আগে গত বুধবার মার্কিন পণ্যের ওপর ৮৪ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছিল চীন।
বেইজিং জানিয়েছে, তারা যুক্তরাষ্ট্রের আরোপিত আর কোনো শুল্কের জবাব দেবে না।
ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন আগ্রাসী শুল্কনীতি ঘোষণার পর থেকে চীনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্যযুদ্ধ চলছে। উভয় পক্ষের পাল্টাপাল্টি শুল্ক আরোপের ফলে পরিস্থিতি ক্রমাগত উত্তপ্ত হয়ে উঠছে। এর মধ্যে চীন নতুন করে মার্কিন পণ্যে শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিল।
বেইজিং বলেছে, যুক্তরাষ্ট্রের আরোপিত ‘অস্বাভাবিক উচ্চ শুল্ক’ আন্তর্জাতিক ও অর্থনৈতিক বাণিজ্যনীতি, মৌলিক অর্থনৈতিক আইন এবং সাধারণ বিচার-বিবেচনার গুরুতর লঙ্ঘন করেছে। এটি সম্পূর্ণরূপে একতরফা গুন্ডামি ও জবরদস্তি।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তিন মাসের জন্য সব দেশের ওপর আরোপিত পাল্টা শুল্ক স্থগিতের সিদ্ধান্ত নিলেও চীনের ওপর উচ্চ শুল্কহার বজায় রেখেছেন। গত বৃহস্পতিবার থেকে যুক্তরাষ্ট্রে আমদানি করা প্রায় সব চীনা পণ্যের ওপর ১৪৫ শতাংশ শুল্ক কার্যকর করেছে ট্রাম্প প্রশাসন।
বিবিসির তথ্য অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রের মন্ত্রিপরিষদের বৈঠকে চীনের সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়ে ট্রাম্প বলেন, কী হবে, সেটি ভবিষ্যতেই দেখা যাবে। চীনের সঙ্গে একটি চুক্তি করতে চায় যুক্তরাষ্ট্র। আর যুক্তরাষ্ট্রের চাওয়া অনুযায়ী বিভিন্ন দেশ যদি চুক্তি না করে, তাহলে ৯০ দিন পর পাল্টা শুল্ক ফিরিয়ে আনা হবে।
যুক্তরাষ্ট্রের হিসাবে, ২০২৪ সালে চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে ৫৮২ দশমিক ৪ বিলিয়ন ডলারের বাণিজ্য হয়েছিল। চলমান শুল্কযুদ্ধের কারণে দুই দেশের মধ্যে পণ্যবাণিজ্য ৮০ শতাংশ পর্যন্ত কমতে পারে বলে বুধবার জানিয়েছে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা (ডব্লিউটিও)।
Trum Tariff
https://www.prothomalo.com/world/t0yl5k16tw
Bangladesh’s apparel shipments to key export markets—Europe and the US—posted robust growth in the first seven months of the current fiscal year of 2024-25.
This ushered in hopes that work orders would continue to come in increasing quantities, as some orders had been diverted from China amid tariff wars between the world’s two biggest economies.
Exports to the European Union shot up 13.91 percent year-over-year to $11.81 billion in the July–January period of fiscal year 2024-25.
In the case of the US, the single biggest market for Bangladesh’s garments, clothing shipments surged 16.45 percent to $4.47 billion in the first seven months of this fiscal year.
With this growth, the share of exports to the EU increased to 50.15 percent in the July–January period of this fiscal year, up from 49.31 percent in the same period a year ago.
The share of garment exports to the US increased to 18.99 percent in the July–January period of FY25 from 18.27 percent a year ago, according to data compiled by the Bangladesh Garment Manufacturers and Exporters Association (BGMEA).
Mohiuddin Rubel, managing director of Bangladesh Apparel Exchange, which describes itself as an organization promoting Bangladesh’s apparel industry, said apparel consumption declined worldwide in the last fiscal year.
And imports by both the US and Europe fell, he said.
“Now these economies are doing better. Obviously, this is a reason. Buyers are placing more orders,” he said.
Export data showed that within the EU, Germany emerged as a key market, with Bangladesh’s exports to the biggest economy in Europe growing 13.47 percent year-on-year.
Spain, France, and the Netherlands were the other major markets in the EU, where there were substantial exports.
The growth of apparel exports to the UK, another major market accounting for 10.83 percent of total shipments, increased by 4.55 percent in the July–January period of FY25.
Shipments of garments to non-traditional markets increased by 6.42 percent during the period, thanks to higher purchases by Japan and Australia, two major markets.
Yet exports to Russia, South Korea, China, the United Arab Emirates, and Malaysia have declined.
Rubel, also a former director of the BGMEA, said exporters focused on non-traditional markets when demand for apparel slowed in the US and Europe.
But there should be a focus on non-traditional markets for product diversification and the development of new markets, he said.
He said Bangladesh had been performing well in South Korea. “We should explore the reasons,” he said.
Shams Mahmud, managing director of Shasha Denims Ltd, an apparel exporter, said, “The current growth is good. Some buyers have shifted orders from China because of the US-China tariff war.”
“Global brands that have outlets in Asia have increased sourcing from us,” he said, adding that one of the internal factors was an improvement in law and order.
Mahmud, also a former president of the Dhaka Chamber of Commerce and Industry, said the current export trend would continue if the industry can smoothly address payment issues for workers during the two upcoming Eid festivals and ensure a stable energy supply.
“If we can pass this critical period, we will be able to achieve our export projections,” he said.
Rubel said the ongoing global trade tensions were reshaping the landscape, presenting opportunities that Bangladesh could capitalise on, provided the country possesses the necessary productive capacity.
“Concurrently, there should be a concerted focus on investments in backward linkages to support and enhance our RMG sector’s competitiveness and growth potential,” he said. https://www.thedailystar.net/business/news/apparel-exports-europe-us-post-robust-growth-3826086
আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকদের ভালো লাগুক আর মন্দ লাগুক এমনটাই কিন্তু আশঙ্কা করা হয়েছিল—ট্রাম্প মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভালো দেখতে পুরো বিশ্বব্যবস্থাকেই ওলট-পালট করে দিতে পারেন। ইতিমধ্যে জলবায়ু তহবিল আর বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থায় অর্থায়ন থেকে তিনি সরে আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
ইউএসএআইডি অর্থায়িত প্রকল্প কাটছাঁট করছেন। চীন, মেক্সিকো, কানাডার বিরুদ্ধে বিরাট শুল্ক–বাধা সৃষ্টি করতে যাচ্ছেন। এমনকি ইউরোপের ২৭টি দেশের বিরুদ্ধেও একই কাজের হুমকি দিচ্ছেন। নিদেনপক্ষে সারা বিশ্ব যেন এক বাণিজ্যযুদ্ধের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। আর এর হোতা হচ্ছেন স্বয়ং ট্রাম্প।
এভাবে বড় অর্থনীতির দেশগুলোর মধ্যে শুল্ক নিয়ে লড়াইয়ে বিশ্ববাণিজ্য কিছুটা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার শঙ্কা তৈরি হয়েছে সন্দেহ নেই। তবে এ শঙ্কা বড় ধরনের সম্ভাবনা তৈরি করেছে বাংলাদেশের সামনে বলে অনেকেই বলছেন। মনে হচ্ছে, তৈরি পোশাকসহ বিভিন্ন পণ্যের রপ্তানিতে নতুন করে বাড়তি চাহিদা তৈরি হবে। তুলনামূলক কম শুল্ক সুবিধায় চীন মেক্সিকোর পণ্যের চেয়ে বাংলাদেশের পণ্য পশ্চিমা ভোক্তাদের কাছে দামে সাশ্রয়ী হবে।
ধারণা করা হচ্ছে, কম শুল্কের সুবিধা নিতে যুক্তরাষ্ট্র, চীন, কানাডাসহ অনেক দেশই বাংলাদেশে প্রত্যক্ষ বিনিয়োগ (এফডিআই) বাড়াতে পারে। বড় অর্থনীতির দেশগুলোর পারস্পরিক শুল্ক লড়াই যত তীব্র হবে, ততই কপাল খুলতে পারে বাংলাদেশের। এসব কথা বলেছেন ব্যবসা–সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও বিশেষজ্ঞরা। তবে তাঁরা এটাও বলছেন, সঠিক কৌশল নিয়ে এগোতে না পারলে সুযোগ হাতছাড়া হবে।
আমাদের প্রতিযোগী কিছু দেশ নতুন নতুন নীতিসহায়তা নিয়ে আসছে। তাই সুযোগ আর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আমাদেরও আটঘাট বেঁধেই নামতে হবে
অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে প্রবেশের ক্ষেত্রে কানাডার পণ্যের ওপর ২৫ শতাংশ হারে শুল্ক আরোপের পাল্টা ব্যবস্থা হিসেবে একই হারে মার্কিন পণ্যেও শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিয়েছে কানাডা সরকার। ধারণা করা হচ্ছে, কানাডার অনুসরণে মেক্সিকো ও চীন একই ধরনের পাল্টা পদক্ষেপ নিতে পারে। ইউরোপও এমনটা ভাবছে। বড় অর্থনীতির দেশগুলোর মধ্যে এ শুল্ক লড়াইয়ে কিছুটা ক্ষতিগ্রস্ত হবে বিশ্ববাণিজ্য। তবে তৈরি পোশাকের মতো মৌলিক চাহিদার পণ্য ব্যবহার ব্যাপক হারে কমানোর সুযোগও তেমন নেই।
অনেকেই মনে করেন, বড় দেশগুলোর শুল্ক লড়াই বাংলাদেশের রপ্তানি এবং এফডিআইয়ের ক্ষেত্রে বড় সুবিধা তৈরি করবে এতে কোনো সন্দেহ নেই। অন্যদিকে বিপদের কথা হচ্ছে, বিশ্ব অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হলে ইউরোপেও রপ্তানি কমতে পারে। তেলসমৃদ্ধ মধ্যপ্রাচ্যে অভিবাসন বাধাগ্রস্ত হবে। রেমিট্যান্সপ্রবাহ কমতে পারে। এমনটাও আশঙ্কা করা হচ্ছে, চীন ও মেক্সিকো থেকে অনেকেই বিনিয়োগ স্থানান্তর করবেন।
তবে আরেকটি নির্মম সত্য হচ্ছে, বিনিয়োগের ক্ষেত্রে বিধিবিধানের যে পাকাপোক্ত শিকল আছে, তা মুক্ত করতে না পারলে সুযোগ কাজে লাগানো যাবে না। পাঁচটি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলকে (এসইজেড) উপযুক্ত করা এবং এক ছাদের নিচে সব সেবা নিশ্চিত করা গেলে সেই সম্ভাবনা কাজে লাগানোর সুযোগ রয়েছে। ইন্দোনেশিয়া ও ফিলিপাইনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের ভালো সম্পর্ক। এ রকম অনেক দেশই বিনিয়োগ সুবিধা দেওয়ার জন্য প্রস্তুত।
তৈরি পোশাক বাংলাদেশের প্রধান রপ্তানি পণ্য। মোট রপ্তানি আয়ের ৮০ শতাংশের ওপর আসে এ পণ্যটি থেকে। আবার একক রাষ্ট্র হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র পোশাকের প্রধান রপ্তানি বাজার। মোট রপ্তানি আয়ের ২০ থেকে ২২ শতাংশ আসে দেশটি থেকে। অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রে তৈরি পোশাক রপ্তানিতে চীনের প্রভাব বেশি। দেশটিতে পোশাক রপ্তানিতে চীনের হিস্যা ২১ শতাংশ।
বাংলাদেশের হিস্যা ৯ শতাংশের কিছু বেশি। যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি সংস্থা অফিস অব টেক্সটাইল অ্যান্ড অ্যাপারেলের (ওটেক্সা) সর্বশেষ প্রতিবেদন বিশ্লেষণে দেখা যায়, যুক্তরাষ্ট্রে শীর্ষ ১০ পোশাক রপ্তানিকারক দেশের মধ্যে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ভিয়েতনাম। বাংলাদেশের অবস্থান তৃতীয়। মেক্সিকোর অবস্থান ষষ্ঠ।
শুল্ক লড়াই কোথায় গিয়ে ঠেকে, তা নিয়ে দেশগুলোর মধ্যে একটা অস্থিরতাও তৈরি হয়েছে। এ কারণে ক্রেতারা বিকল্প দেশ হিসেবে বাংলাদেশে নজর বাড়াবে বলেই মনে হয়। কারণ, তৈরি পোশাকের দ্বিতীয় রপ্তানিকারক দেশ হিসেবে বাংলাদেশের ভিত্তি অনেক মজবুত। এটা বাংলাদেশের জন্য অবশ্যই একটা বড় সুযোগ।
এ সুযোগ কতটা কাজে লাগানো যায়, সেটাই দেখার বিষয়। কারণ, হঠাৎ আবারও গ্যাসের দাম বৃদ্ধির মতো নীতি সিদ্ধান্ত উৎপাদন ব্যয় বাড়াবে। ব্র্যান্ড-ক্রেতারা এখনই এ বিষয়ে কৌশল নিচ্ছে। এ কারণে বাংলাদেশের সুযোগ হাতছাড়াও হতে পারে। সুবিধা চলে যেতে পারে প্রতিযোগী ভিয়েতনাম ও ভারতে।
অন্যদিকে কম শুল্ক–সুবিধায় বাংলাদেশি পণ্য ওই দেশগুলোতে দামে সাশ্রয়ী হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এ ছাড়া সরাসরি রপ্তানি উল্লেখযোগ্য হারে বাড়ানোর সুযোগ ছাড়াও প্রত্যক্ষ বিনিয়োগ (এফডিআই) আসবে বাংলাদেশে।
যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানিতে বাংলাদেশের পণ্যে গড়ে সাড়ে ১৫ শতাংশ শুল্কারোপ রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানিতে কম হারের এ শুল্কসুবিধা নিতে চীন ও মেক্সিকোর উদ্যোক্তারা বাংলাদেশে বিনিয়োগ বাড়াবেন।
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) হালনাগাদ প্রতিবেদন অনুযায়ী, সমাপ্ত ২০২৪ ক্যালেন্ডার বছরে বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রে ৭২০ কোটি ডলারের পোশাক রপ্তানি করেছে, যা বছরের মোট পোশাক রপ্তানির প্রায় ১৯ শতাংশ। যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে একসময় বাংলাদেশের ৯৭ শতাংশ পণ্যে শুল্কমুক্ত বা জিএসপি সুবিধা পাওয়া যেত। অবশ্য তৈরি পোশাক এ সুবিধার আওতায় ছিল না।
২০১৩ সালে রানা প্লাজা ধসের পর আন্তর্জাতিক মানের শ্রম পরিবেশ না থাকার কারণ দেখিয়ে জিএসপি স্থগিত করে যুক্তরাষ্ট্র। এর পরই আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী কর্মক্ষেত্রের নিরাপত্তা উন্নয়নে ব্যাপক বিনিয়োগ করে বাংলাদেশ। পোশাকশিল্পে নিরাপদ কর্মপরিবেশের রোল মডেল হিসেবে বাংলাদেশকে বিবেচনা করা হয় এখন। এ সুবিধায় চীনাদের জন্য বাংলাদেশে বিনিয়োগ আরও সহজ হবে বলে মনে করেন উদ্যোক্তারা।
তবে এই সম্ভাবনা কাজে লাগাতে গেলে আমাদের ভাবতে হবে, আমাদের পক্ষে উৎপাদন কতটা বাড়ানো সম্ভব, সে ক্ষেত্রে আবার কী কী নতুন উপকরণ বা যন্ত্রপাতি প্রয়োজন। আমাদের শ্রমিকদের দক্ষতা এখানে বাধা হয়ে দাঁড়াবে না তো? বর্তমান আইনশৃঙ্খলা ও জ্বালানি পরিস্থিতি কতটুকু সহায়ক হবে? নতুন উৎপাদন বা সক্ষমতা বৃদ্ধি কার্যক্রমের অর্থায়ন আসবে কোত্থেকে? অন্যদিকে আবার আমাদের প্রতিযোগী কিছু দেশ নতুন নতুন নীতিসহায়তা নিয়ে আসছে। তাই সুযোগ আর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আমাদেরও আটঘাট বেঁধেই নামতে হবে।
-
মামুন রশীদ অর্থনীতি বিশ্লেষক
USA Bangladesh Donald Trump
কানাডা, মেক্সিকো ও চীনের ওপর শুল্ক আরোপ করে ট্রাম্পের নির্বাহী আদেশ, বিশ্বজুড়ে মন্দার আশঙ্কা
যুক্তরাষ্ট্রে কানাডা ও মেক্সিকোর পণ্য আমদানিতে ২৫ শতাংশ করে ও চীনের পণ্যে বর্তমান হারের অতিরিক্ত ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করার কথা ঘোষণা করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। গতকাল শনিবার তাঁর দেওয়া এ–সংক্রান্ত নির্দেশ আগামী মঙ্গলবার থেকে কার্যকর হবে।
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের এ নির্দেশে নতুন এক বাণিজ্যযুদ্ধ শুরুর ঝুঁকি তৈরি হওয়া এবং বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধিতে মন্দাভাব ও মূল্যস্ফীতি বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন অর্থনীতিবিদেরা।
ডোনাল্ড ট্রাম্প আগেই বলেছিলেন, তিনি প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নিয়েই চীন, কানাডা ও মেক্সিকোর ওপর নতুন শুল্ক আরোপ করবেন। যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধ অভিবাসন ও মাদক পাচার ঠেকাতে এমন পদক্ষেপ নেবেন তিনি।
প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী ট্রাম্প মেক্সিকো ও কানাডা থেকে যুক্তরাষ্ট্রে আসা সব ধরনের পণ্যের ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করে পৃথক দুটি নির্বাহী আদেশে সই করলেন। পাশাপাশি চীন যতক্ষণ না ‘ফেন্টানিল’ মাদকের পাচার বন্ধ করবে, ততক্ষণ পর্যন্ত দেশটির ওপর অতিরিক্ত ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করে আরেকটি নির্বাহী আদেশে সই করেছেন।
সেই প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী ট্রাম্প মেক্সিকো ও কানাডা থেকে যুক্তরাষ্ট্রে আসা সব ধরনের পণ্যের ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করে পৃথক দুটি নির্বাহী আদেশে সই করলেন। পাশাপাশি চীন যতক্ষণ না যুক্তরাষ্ট্রে ‘ফেন্টানিল’ মাদকের পাচার বন্ধ করবে, ততক্ষণ দেশটির ওপর অতিরিক্ত ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা নিয়ে আরেকটি নির্বাহী আদেশে সই করেছেন তিনি।
কানাডা ও মেক্সিকোকে নিয়ে ইতিপূর্বে ট্রাম্প তাঁর মালিকানাধীন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে দেওয়া একই রকমের বক্তব্য–সংবলিত এক পোস্টে লিখেছেন, দেশ দুটি যতক্ষণ না মাদকের বিরুদ্ধে বিশেষ করে ফেন্টানিল ও অবৈধভাবে সীমান্ত অতিক্রমকারী অভিবাসীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়, ততক্ষণ দেশ দুটির ওপর শুল্ক বহাল থাকবে।
প্রসঙ্গত, যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ বাণিজ্য অংশীদারদের অন্যতম চীন, কানাডা ও মেক্সিকো। গত বছর যুক্তরাষ্ট্রের আমদানি পণ্যের ৪০ শতাংশ গেছে এ তিন দেশ থেকে। তিনটি দেশ থেকেই পণ্য আমদানিতে শুল্ক আরোপের ফলে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারেও পণ্যের দাম বেড়ে যেতে পারে। তা ছাড়া, ট্রাম্পের এ পদক্ষেপ বিশ্বজুড়ে অর্থনৈতিক মন্দা ও ক্রমবর্ধমান মূল্যস্ফীতির ওপরও নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।
ট্রাম্পের পদক্ষেপ ‘অ্যাভোকাডো থেকে শুরু করে অটোমোবাইল পর্যন্ত’ সব কিছুর দাম বেড়ে যাওয়ার ঝুঁকি তৈরি করেছে।
জ্যাক কোলভিন, ন্যাশনাল ফরেন ট্রেড কাউন্সিলের (এনএফটিসি) সভাপতি
জ্বালানি তেল পরিশোধক প্রতিষ্ঠান ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্য–পশ্চিমাঞ্চলীয় অঙ্গরাজ্যগুলোর কর্তৃপক্ষের উদ্বেগে সাড়া দিয়ে ট্রাম্প কানাডার তেলজাত পণ্যে ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছেন। যদিও অন্যান্য পণ্যে এ হার ২৫ শতাংশ করেছেন। তবে মেক্সিকোর জ্বালানি পণ্যে পূর্ণ ২৫ শতাংশ শুল্কই বহাল থাকবে।
যুক্তরাষ্ট্রের পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালে দেশটি কানাডা থেকে প্রায় ১০০ বিলিয়ন বা ১০ হাজার কোটি ডলারের অপরিশোধিত তেল আমদানি করে। এটি ছিল কানাডা থেকে যুক্তরাষ্ট্রের আমদানি করা পণ্যের প্রায় এক–চতুর্থাংশ।
এএফপির খবরে বলা হয়, ট্রাম্পের পদক্ষেপে কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো ও মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট ক্লদিয়া শেনবাউম পাল্টা ব্যবস্থা নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। এ ছাড়া চীনের তরফেও একই ধরনের ঘোষণা এসেছে।
জাস্টিন ট্রুডো বলেছেন, ১৫৫ বিলিয়ন (১৫ হাজার ৫০০ কোটি) ডলার মূল্যের মার্কিন পণ্যের ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করবে তাঁর সরকার। মঙ্গলবার থেকে ৩০ বিলিয়ন ডলার মূল্যের মার্কিন পণ্যের ওপর এ শুল্ক কার্যকর হবে। বাকি শুল্ক আরোপ কার্যকর হবে ২১ দিনের মধ্যে।
এ ছাড়া ক্লদিয়া শেনবাউম গতকালই ঘোষণা দেন, যুক্তরাষ্ট্রের পদক্ষেপের পাল্টা ব্যবস্থা হিসেবে মার্কিন পণ্যে শুল্ক আরোপ করাসহ অন্যান্য পদক্ষেপ নেবে তাঁর সরকার।
অন্যদিকে চীনের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় বলেছে, তারা যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে অনুরূপ পাল্টা ব্যবস্থা নেবে।
জ্বালানি তেল পরিশোধক প্রতিষ্ঠান ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্য-পশ্চিমাঞ্চলীয় অঙ্গরাজ্যগুলোর কর্তৃপক্ষের উদ্বেগে সাড়া দিয়ে ট্রাম্প কানাডার তেলজাত পণ্যে ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছেন। যদিও অন্যান্য পণ্যে এ হার ২৫ শতাংশ করেছেন। তবে মেক্সিকোর জ্বালানি পণ্যে পূর্ণ ২৫ শতাংশ শুল্কই বহাল থাকবে।
ট্রাম্পের শুল্কারোপ নিয়ে হোয়াইট হাউসের নথিপত্রে বলা হয়েছে, ‘সংকট না কমা পর্যন্ত’ শুল্ক বহাল থাকবে। কিন্তু শুল্কারোপের স্থগিতাদেশ পেতে দেশ তিনটিকে কী করতে হবে সে বিষয়ে বিস্তারিত কিছু উল্লেখ করেনি হোয়াইট হাউস।
ট্রাম্পের এ পদক্ষেপ ঘোষণার আগেই খ্যাতিমান অর্থনীতিবিদেরা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দেশটির শীর্ষ বাণিজ্য অংশীদারদের নতুন বাণিজ্যযুদ্ধ শুরু হওয়ার এবং যুক্তরাষ্ট্রসহ সারা বিশ্বে প্রবৃদ্ধি কমা ও পণ্যের দাম বাড়ার সতর্কবার্তা দিয়েছিলেন।
ট্রাম্পের শুল্ক আরোপের খবরকে স্বাগত জানিয়েছেন রিপাবলিকানরা। বিপরীতে ডেমোক্র্যাটরা পণ্যমূল্যের ওপর এ পদক্ষেপের প্রভাব নিয়ে কঠোর সতর্কবাণী উচ্চারণ করেছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ফরেন ট্রেড কাউন্সিলের (এনএফটিসি) সভাপতি জ্যাক কোলভিন বলেছেন, ট্রাম্পের পদক্ষেপ ‘অ্যাভোকাডো থেকে শুরু করে অটোমোবাইল পর্যন্ত’ সব কিছুর দাম বেড়ে যাওয়ার ঝুঁকি তৈরি করেছে। উত্তেজনা এড়াতে যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও মেক্সিকোর প্রতি দ্রুত একটা সমাধানের পথ খুঁজে বের করার আহ্বান জানান তিনি। https://www.prothomalo.com
USA Tax China Canada Mexico
আওয়ামী লীগের ১৫ বছরের শাসনামলে ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের বিশেষ সখ্যের পাশাপাশি চীনের সঙ্গে সম্পর্কটাও ছিল বেশ ঘনিষ্ঠ। বিশেষ করে ২০১৬ সালে চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংয়ের ঢাকা সফরের পর বাংলাদেশ ও চীনের ঘনিষ্ঠতা ক্রমেই বেড়েছে। দুই সরকারের মধ্যে ঘনিষ্ঠতার ধারাবাহিকতায় আওয়ামী লীগ ও চীনা কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিসি) হৃদ্যতার বিষয়টিও গোপন ছিল না।
এমন পটভূমিতে জুলাই গণ–অভ্যুত্থানের পর বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কের মাত্রা নিয়ে চীনের মধ্যে একধরনের দ্বিধা ও অনিশ্চয়তা ছিল। বাংলাদেশে চলমান বৃহদায়তন প্রকল্পে যুক্ত নিজের নাগরিকদের নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছিল চীন।
অন্তর্বর্তী সরকারের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেনের চীন সফরের মধ্য দিয়ে ঢাকা–বেইজিং সম্পর্ক নিয়ে দ্বিধা, অনিশ্চয়তা আর উদ্বেগ অনেকটা কেটে যাওয়ার ইঙ্গিত স্পষ্ট। চীনের কমিউনিস্ট পার্টির নেতা ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই সরাসরি বলেছেন, তাঁদের প্রতিবেশী কূটনীতির ‘গুরুত্বপূর্ণ স্থানে’ আছে বাংলাদেশ। আর বাংলাদেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও জনগণের আকাঙ্ক্ষার প্রতি পুরোপুরি শ্রদ্ধা থাকবে বেইজিংয়ের।
বিশ্লেষকেরা বলছেন, ভবিষ্যৎ–মুখী দিক থেকে বিবেচনা করলে তৌহিদ হোসেনের প্রথম দ্বিপক্ষীয় সফরটিকে ঢাকা–বেজিং সম্পর্কের অনিশ্চয়তা সরিয়ে নতুন মাত্রা যোগ বলা যেতে পারে। এ সফরে বাস্তবসম্মত কিছু পদক্ষেপের সিদ্ধান্ত হয়েছে।
চীনের প্রতিবেশী কূটনীতিতে বাংলাদেশকে গুরুত্বপূর্ণ স্থানে রাখার বিষয়টি জনসমক্ষে প্রথমবারের মতো বলেছে বেইজিং। দুই দেশের মধ্যে সীমান্ত না থাকার পরও বাংলাদেশের পাশাপাশি পরিবর্তিত বৈশ্বিক পরিস্থিতি ও ভূরাজনৈতিক কারণে এ ঘোষণা তাৎপর্যপূর্ণ। সম্পর্কের পাঁচ দশকের ধারাবাহিকতায় চীন যে ভবিষ্যতে বাংলাদেশের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বজায় রাখতে চায়, এ ঘোষণায় তার প্রতিফলন আছে। আবার দুই দেশের সম্পর্কের ৫০ পেরিয়ে ৫১ বছর থেকে নতুন যাত্রা শুরুর জন্য কিছু বাস্তবসম্মত পদক্ষেপের কথা উচ্চারিত হয়েছে তৌহিদ হোসেনের চীন সফরে। বাংলাদেশের নাজুক স্বাস্থ্যসেবা খাতে সহায়তায় এগিয়ে এসে জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছানো, শিল্প স্থানান্তরের মাধ্যমে বাণিজ্য বাড়ানো এবং ঋণের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ছাড়ের নীতিগত সিদ্ধান্তের মাধ্যমে অর্থনৈতিক সহযোগিতা অব্যাহত রাখার বিষয়টিও স্পষ্ট।
বিশ্লেষকেরা বলছেন, ভবিষ্যৎ–মুখী দিক থেকে বিবেচনা করলে তৌহিদ হোসেনের প্রথম দ্বিপক্ষীয় সফরটিকে ঢাকা–বেজিং সম্পর্কের অনিশ্চয়তা সরিয়ে নতুন মাত্রা যোগ বলা যেতে পারে। এ সফরে বাস্তবসম্মত কিছু পদক্ষেপের সিদ্ধান্ত হয়েছে। বাংলাদেশের প্রতি চীনের রাজনৈতিক সমর্থনের জোরালো বার্তাও আছে। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রে ক্ষমতার পালাবদল ঘিরে বেইজিং–ওয়াশিংটন সম্পর্কের কৌশলগত পরিবর্তন আসছে। যার রেশ পড়বে বিশ্বের নানা দেশে। তাই যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মতো পরাশক্তির দ্বন্দ্ব থেকে দূরে থেকে বাংলাদেশকে একধরনের ভারসাম্য রেখে চলতে হবে।
অবশ্য চীন সফরের সময় চায়না মিডিয়া গ্রুপ বাংলাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তৌহিদ হোসেন বলেন, বাংলাদেশে প্রতিটি সরকার চীনের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখে চলেছে। তারই ধারাবাহিকতায় বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার চীনের সঙ্গে সম্পর্ককে অত্যন্ত গুরুত্ব দেয়। তিনি বলেন, ‘আমি এটুকু সফলভাবে বোঝাতে পেরেছি (চীন সরকারকে), আমাদের সরকার অন্তর্বর্তী সরকার, হয়তো দীর্ঘ সময় থাকবে না। (দুই দেশের) সম্পর্কের ধারাবাহিকতায় আমরা যেসব সিদ্ধান্ত নেব, সেগুলো পরবর্তী সরকার ঠিকমতো অনুসরণ করে যাবে। সম্পর্কের এই ধারাবাহিকতা রক্ষা করা গুরুত্বপূর্ণ। আমার মনে হয়, আমি এটা চীনা কর্তৃপক্ষকে অনুধাবন করাতে পেরেছি।’
বেইজিংয়ের কূটনৈতিক সূত্রগুলোর সঙ্গে কথা বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে যে চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই নীতিগতভাবে বাংলাদেশের জন্য ঋণ পরিশোধের সময়সীমা বাড়ানোর বিষয়ে রাজি হলেও তা সব প্রকল্পের জন্য হবে, এমনটি নয়। মূলত সুদের হার কমানো, ঋণ পরিশোধের সময়সীমা বাড়ানো এবং প্রকল্পে অর্থায়নের পরিমাণের হার বাড়ানো—সব ক্ষেত্রেই প্রকল্প অনুযায়ী চীন সিদ্ধান্ত নেবে।
নতুন মাত্রা দেবে স্বাস্থ্যসেবা
চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই, সিপিসির আন্তর্জাতিক বিভাগের মন্ত্রী লিউ জিয়ানছাও ও চীনের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সহযোগিতা সংস্থার (সিডকা) চেয়ারম্যান লুয়ো ঝাউহুইয়ের সঙ্গে তৌহিদ হোসেনের আলোচনায় স্বাস্থ্যসেবায় নতুন সহায়তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। বাংলাদেশের পক্ষ থেকে ঢাকার পূর্বাচলে এক হাজার শয্যার বাংলাদেশ–চীন মৈত্রী হাসপাতাল নির্মাণের প্রস্তাবকে চীন স্বাগত জানিয়েছে। চীনের অর্থায়নে দুই দেশের মধ্যে প্রথম মৈত্রী হাসপাতালটি পরিচালিত হবে চীনা বিশেষজ্ঞদের মাধ্যমে। যেহেতু নতুন হাসপাতাল নির্মাণে কয়েক বছর লাগবে, আগস্ট–পরবর্তী রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও লোকজনের চাহিদার বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে কুনমিংয়ের অন্তত চারটি হাসপাতাল বাংলাদেশের নাগরিকদের চিকিৎসার জন্য নির্দিষ্ট করে দিতে অনুরোধ জানায় ঢাকা। চীন এ অনুরোধ রাখার কথা এ সফরেই জানিয়েছে। প্রয়োজন হলে কুনমিংয়ের পাশাপাশি চেংদুতে বাংলাদেশের রোগীদের জন্য বিশেষায়িত কিছু হাসপাতালে সেবা দেওয়ার আশ্বাসও চীন দিয়েছে।
ঋণের ক্ষেত্রে ছাড় সামগ্রিক নয়
সিডকা চেয়ারম্যান লাও ঝাওহুইয়ের সঙ্গে বৈঠক চীনের অর্থায়নে বাংলাদেশে পরিচালিত প্রকল্প নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন। তিনি সিডকা চেয়ারম্যানকে ক্রেতার অগ্রাধিকারমূলক ঋণ (পিবিসি) ও সরকারি ছাড়কৃত (জিসিএল) ঋণের সুদের হার ২–৩ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১ শতাংশ করে ঋণ পরিশোধের মেয়াদ ২০ বছর থেকে ৩০ বছর করার বিষয় বিবেচনার জন্য অনুরোধ করেন। তিনি বাংলাদেশে চীনা ঋণের প্রতিশ্রুতি ফি এবং ব্যবস্থাপনা ফি মওকুফ করারও অনুরোধ করেন। সিডকা চেয়ারম্যান বলেছেন, তাঁরা ইতিমধ্যে ঋণ পরিশোধের মেয়াদ বাড়িয়েছেন এবং সুদের হার আরও কমানোর বিষয়ে বিবেচনা করবেন। তৌহিদ হোসেন বাংলাদেশে বাস্তবায়িত সিডকার ভবিষ্যৎ প্রকল্পগুলোয় অর্থায়নের পরিমাণের হার বাড়ানোর অনুরোধ করেন।
বেইজিংয়ের কূটনৈতিক সূত্রগুলোর সঙ্গে কথা বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে যে চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই নীতিগতভাবে বাংলাদেশের জন্য ঋণ পরিশোধের সময়সীমা বাড়ানোর বিষয়ে রাজি হলেও তা সব প্রকল্পের জন্য হবে, এমনটি নয়। মূলত সুদের হার কমানো, ঋণ পরিশোধের সময়সীমা বাড়ানো এবং প্রকল্পে অর্থায়নের পরিমাণের হার বাড়ানো—সব ক্ষেত্রেই প্রকল্প অনুযায়ী চীন সিদ্ধান্ত নেবে।
আমি এটুকু সফলভাবে বোঝাতে পেরেছি (চীন সরকারকে), আমাদের সরকার অন্তর্বর্তী সরকার, হয়তো দীর্ঘ সময় থাকবে না। (দুই দেশের) সম্পর্কের ধারাবাহিকতায় আমরা যেসব সিদ্ধান্ত নেব, সেগুলো পরবর্তী সরকার ঠিকমতো অনুসরণ করে যাবে।
তৌহিদ হোসেন, পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
বাংলাদেশে কারখানা স্থানান্তর
গত সেপ্টেম্বর থেকে বাংলাদেশে শিল্পকারখানা স্থানান্তরের কথা বলছে চীন। এবারের সফরেও প্রসঙ্গটি গুরুত্ব পেয়েছে। তৌহিদ হোসেন এর ধারাবাহিকতায় সাংহাইয়ে একটি বৈদ্যুতিক গাড়ি, রোবোটিকস ও কৃষি প্রক্রিয়াজাতকরণ কারখানা দেখতে যান। সাংহাইয়ের বণিক সমিতির সঙ্গেও এটা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। বেইজিংয়ে তৌহিদ হোসেনের সঙ্গে আলোচনায় সিপিসির আন্তর্জাতিক বিভাগের মন্ত্রী লিউ জিয়ানছাও বলেছেন, চীনের কারখানা স্থানান্তর করতেই হবে। এ প্রসঙ্গে চীন থেকে ভিয়েতনামে কারখানা সরিয়ে নেওয়ার প্রসঙ্গটি আলোচনায় আসে। চীনের নেতারা বাংলাদেশকে তাঁদের কারখানা স্থানান্তরের জন্য বেশ উপযুক্ত মনে করছেন। কারণ, বাংলাদেশ থেকে পণ্য উৎপাদন করে অন্য দেশে রপ্তানির সুবিধা এবং রপ্তানির ক্ষেত্রে প্রণোদনার মতো উপাদানগুলো চীনের জন্য সহায়ক হবে।
চীনের ঋণে ১০টি উড়োজাহাজ কেনা
চীনের তিনটি বড় উড়োজাহাজ পরিচালনা সংস্থার মধ্যে অন্যতম চায়না সাউদার্ন এয়ারলাইনস তাদের ১০টি উড়োজাহাজ বিক্রি করতে চায়। ব্যবহার করা এসব উড়োজাহাজ হ্রাসকৃত মূল্যে বিক্রির বিষয়ে এরই মধ্যে বাংলাদেশের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে চীন। এবার সফরে উড়োজাহাজ বিক্রির প্রসঙ্গ আলোচনায় এসেছিল। সিডকার দেওয়া ছাড়কৃত ঋণ ও অনুদানের টাকায় উড়োজাহাজগুলো বাংলাদেশের কাছে বিক্রি করবে চীন। বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে চায়না সাউদার্ন এয়ারলাইনসের আলোচনার পর বিষয়টির সুরাহা হবে।
রাজনীতি ও সংস্কারে সহায়তা
তৌহিদ হোসেন এমন এক সময়ে চীনে গেলেন, যখন সংস্কার ও গণতান্ত্রিক উত্তরণ নিয়ে বাংলাদেশ ঘিরে মনোযোগ আছে। খুব সংগত কারণেই তৌহিদ হোসেনের সঙ্গে আলোচনায় ওয়াং ই এবং লিউ জিয়ানছাও দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি সম্পর্কে জানার চেষ্টা করেছেন। অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের অন্তর্বর্তী সরকার কোন কোন খাতে কীভাবে সংস্কার করতে চায়, এ নিয়ে সবশেষ অগ্রগতি ও নির্বাচন নিয়ে কী পরিকল্পনা, তা তুলে ধরেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা।
চীনের নেতৃত্ব দ্ব্যর্থহীনভাবে জানিয়েছে, তারা বাংলাদেশের জনগণের মতকে শ্রদ্ধা করে। এ জন্য বাংলাদেশের বিষয়ে নাক গলানোর কোনো ইচ্ছে তাদের নেই। বাংলাদেশের বিগত সরকারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করেছিল চীন। এখন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গেও কাজ করছে। বিএনপি, জামায়াতে ইসলামীসহ অন্যান্য দলের সঙ্গেও যুক্ত আছে।
জানতে চাইলে নিরাপত্তাবিষয়ক গবেষণা সংস্থা বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব পিস অ্যান্ড সিকিউরিটি স্টাডিজের (বিপস) প্রেসিডেন্ট মেজর জেনারেল (অব.) আ ন ম মুনীরুজ্জামান প্রথম আলোকে বলেন, এ সফরের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়ে চীনের ইতিবাচক মনোভাবের বহিঃপ্রকাশ রয়েছে। চীনের সহায়তায় এ দেশের মুখ থুবড়ে পড়া স্বাস্থ্য খাতে বড় পরিবর্তনের সম্ভাবনা সৃষ্টি হবে। কুনমিংয়ের সঙ্গে স্বাস্থ্য পর্যটনের দ্বার উন্মোচনের মাধ্যমে স্বাস্থ্যসেবায় ভারতের ওপর নির্ভরতা কমে আসতে পারে। তবে যুক্তরাষ্ট্র–চীনের সম্পর্কের সমীকরণের কারণে বাংলাদেশ যেন পরাশক্তির দ্বন্দ্বের মধ্যে না পড়ে, সে ব্যাপারে সচেষ্ট থাকতে হবে বলে মনে করেন তিনি। https://www.prothomalo.com
bangladesh chaina relation
Prices in the food category moved to minus 1.0% after posting 0.0% in November. In the non-food category, prices changed to minus 2.9% on the month from minus 3.1% in November
Sri Lanka’s consumer price inflation dropped to minus 2% year-on-year in December after easing to minus 1.7% in November, official data showed on Tuesday, as the country posted a strong rebound from its worst financial crisis in decades.
The National Consumer Price Index captures broad retail price inflation and is released with a lag of 21 days every month.
Prices in the food category moved to minus 1.0% after posting 0.0% in November. In the non-food category, prices changed to minus 2.9% on the month from minus 3.1% in November.
Inflation is likely to remain low in the next six months after Sri Lanka reduced its household power tariffs by 20% earlier this month.
Under the latest revision, industries will get a reduction of 30% while businesses in the tourism sector, a key foreign exchange earner for the island nation, will see their power prices slump by 31%.
“We are likely to see inflation reach positive territory of about 2%-3% by mid-year,” said Shehan Cooray, head of research at Acuity Stockbrokers.
Sri Lanka’s central bank also expects inflation to reach their target of 5% by mid-2025.
Sri Lanka suffered record inflation after its worst financial crisis in decades triggered by a record fall in dollar reserves pummeled the economy in 2022.
Helped by a $2.9 billion International Monetary Fund (IMF) program the island nation has posted a rebound and is estimated to have grown by 5% last year, latest central bank data showed. https://www.tbsnews.net
This is part of the company’s strategy to explore new sourcing destinations while scaling down local garment production in Russia
This is part of the company’s strategy to explore new sourcing destinations while scaling down local garment production in Russia.
In an interview with The Business Standard, Moyeen Ahmed, Gloria Jeans’ regional general manager for Bangladesh, India, and Pakistan, said, “Last year, we experienced significant growth in sourcing from Bangladesh. In 2025, we plan to expand our business by up to 30% compared to the outgoing year.”
He noted the company’s decision to exit Uzbekistan a year ago and hinted at plans to shut down 6-7 production units in Russia, with some of those orders expected to be redirected to Bangladesh, alongside major suppliers China and Vietnam.
Bangladesh’s local office has developed a substantial volume of denim fabric, boosting its competitiveness. However, high duties on apparel exports to Russia remain a significant challenge, making Bangladeshi products less price-competitive compared to Vietnam.
Moyeen highlighted the brand’s consistent growth in Bangladesh over the past three years, despite the duty-related obstacles.
“We have implemented innovative approaches to navigate these challenges, which have proved effective. However, government support in addressing high duties is crucial to unlocking further potential,” he said.
Efforts to initiate government-to-government negotiations to reduce duties have seen little progress.
“If Bangladesh successfully negotiates the removal of these duties, it could emerge as the largest supplier to Russia, which has immense potential for apparel exports,” he added.
Strengths of sourcing from Bangladesh
Moyeen credited strategic shifts in research and development (R&D) for the brand’s success in Bangladesh.
Local millers have supported these efforts by providing high-quality fabric, enabling Gloria Jeans to use over 90% locally sourced materials for denim production.
This has allowed the company to rebound in Bangladesh, which once exported significant volumes of shirts and chinos to Russia.
“In 2025, we aim to reach $70 million in business, with denim as a major contributor. Bangladeshi suppliers have the capacity for diverse washes and developments, positioning them strongly in the market,” he said.
Six Bangladeshi suppliers currently provide about one-third of Russia’s denim imports, with ABA Group and Square Group leading as top exporters.
Besides denim, Gloria Jeans sources jersey knitwear and sweaters from Bangladesh. The company is also developing outerwear with Text Town Group, aiming to bring in new orders next season.
“High duties on Bangladeshi exports to Russia are a major barrier to growth. Despite offering prices 30 to 40 cents lower, Bangladesh cannot compete with Vietnam due to high landed costs.”
Moyeen Ahmed, Gloria Jeans’ Regional General Manager for Bangladesh
Currently, 26 garment factories in Bangladesh produce apparel for Gloria Jeans. When Moyeen joined the company in 2015, its annual sourcing from Bangladesh was valued at $5 million. By 2018, it grew to $80 million.
In 2023, the company sourced 13 million pieces from Bangladesh, with a 15% increase projected for this year – a figure that could rise further with a duty waiver.
How do high duties affect Bangladesh’s exports?
Moyeen Ahmed said Bangladesh has the potential to become one of the top sourcing hubs for this billion-dollar company, alongside China and Vietnam.
“High duties on Bangladeshi exports to Russia are a major barrier to growth. Duties are calculated based on the weight of apparel products, significantly increasing landed costs.
“Since 2018, knitwear exports from Bangladesh have faced a 12–13% duty, denim products a 30% duty, and jackets a 35% duty. In contrast, Vietnam enjoys duty-free market access to Russia, giving it a competitive edge,” he added.
Before the imposition of duties, Bangladesh’s exports to Russia reached $80 million annually, surpassing Vietnam’s. However, exports have since dropped to $30 million, while Vietnam thrives due to its duty-free status.
“Despite offering prices 30 to 40 cents lower, Bangladesh cannot compete with Vietnam due to high landed costs,” said Moyeen.
He emphasised the need for Bangladesh to leverage its diplomatic relationship with Russia to negotiate a free trade agreement (FTA) or duty exemptions.
“If the country secures an FTA or removes duties, orders will increase significantly,” he said.
Moyeen also pointed out that Gloria Jeans is not deterred by local challenges in Bangladesh, such as political or labour unrest, as the company trusts the country’s ability to adapt and meet shipping deadlines.
“Our confidence in Bangladeshi suppliers and the local office remains strong,” he added.
Gloria Jeans’ strong presence across Russia
Gloria Jeans, Russia’s largest vertically integrated fashion retailer, operates over 700 stores in more than 300 cities, offering apparel, footwear and accessories for adults and children.
The company’s design and production centres are located in the Asia-Pacific region.
Plans to expand into the Middle East are underway, while earlier ambitions to open stores in the EU were shelved due to the COVID-19 pandemic.
Despite the ongoing Russia-Ukraine war, Gloria Jeans has capitalised on opportunities created by the exit of competitors such as Gap, Zara and H&M, which primarily produced fast fashion apparel.
The brand acquired its signage and retail spaces, boosting its market presence.
Gloria Jeans’ global apparel sourcing Free On Board (FOB) value stands at approximately $150 million, with retail values significantly higher.
According to WTO data, Russia imported $7.83 billion worth of apparel in 2023, while Bangladesh’s exports to Russia amounted to $322.24 million in FY24, as per Bangladesh Bank data.
The Ukrainian news outlet Ukrainska Pravda, citing the Russian media source Kommersant, reported closures of Gloria Jeans production facilities in Russia’s Rostov region.
A sewing factory in Salsk has already been shut, with employees offered positions at other sites.
The company operates 18 factories in Russia and is exploring production options in Vietnam and China. tbsnews.net
রাশিয়ার সবচেয়ে বড় পোশাক প্রস্তুতকারী কোম্পানি তাদের কিছু উৎপাদন সক্ষমতা দেশের বাইরে সরিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা করছে। গ্লোরিয়া জিনস নামের এ কোম্পানি মূলত পোশাক ও জুতা তৈরি করে। শ্রমিক–সংকটের কারণে কিছু কারখানা বন্ধ করে দিয়ে কোম্পানিটি যেসব দেশে উৎপাদন সরিয়ে নেওয়ার চিন্তা করছে, তার অন্যতম বাংলাদেশ।
রুশ গণমাধ্যম কমারসান্তকে উদ্ধৃত করে ইউক্রেনের অনলাইন সংবাদপত্র ইউক্রেইনস্কা প্রাভদা জানিয়েছে, রাশিয়ার রস্তভ এলাকায় অবস্থিত কারখানাগুলো মূলত এ পদক্ষেপের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। সালস্কের একটি সেলাই কারখানা ইতিমধ্যে বন্ধ করা হয়েছে এবং সেখানকার কর্মীদের অন্য কারখানায় চলে যাওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
রাশিয়াজুড়ে গ্লোরিয়া জিনসের ১৮টি কারখানা রয়েছে। বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে কোম্পানিটির সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও তারা কোনো মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানায়।
সংবাদে বলা হয়েছে, কোম্পানিটি তাদের উৎপাদনব্যবস্থা ভিয়েতনাম, বাংলাদেশ বা উজবেকিস্তানে সরিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা করছে। উজবেকিস্তানে তুলার উৎপাদন হয়, সে কারণে কাঁচামালের স্থিতিশীল সরবরাহ রয়েছে। এসব দেশে ভালো মানের শিল্পসুবিধা বিদ্যমান। ফলে কাঁচামালের সববরাহ কিংবা উৎপাদন খরচ নিয়ে কোনো ঝামেলা পোহাতে হয় না।
একসময় চীন ছিল রাশিয়ার পোশাক প্রস্তুতকারকদের আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে। কিন্তু রুশ ব্র্যান্ডগুলো এখন আর চীনে যেতে খুব একটা আগ্রহী নয়। ফ্যাশনশিল্পের সঙ্গে জড়িত এক প্রতিনিধি বিষয়টি ব্যাখ্যা করে বলেন, বর্তমানে চীনে শ্রমিক মজুরি বাংলাদেশ কিংবা উজবেকিস্তানের তুলনায় অনেক বেশি।
রাশিয়ার পোশাকশিল্পে দক্ষ কর্মীর সংকট দিনে দিনে গভীর হচ্ছে। ২০২৪ সালের তৃতীয় প্রান্তিকে দেশটিতে শ্রমিক–ঘাটতি আগের তুলনায় বেড়েছে। শ্রমিক–সংকটের পাশাপাশি রাশিয়ায় তৈরি কাঁচামাল ও আনুষঙ্গিক উপকরণের মানও খারাপ। ফলে পোশাক খাতের ব্যবসায়ীদের অন্য দেশ থেকে পণ্য জোগাড় করতে হয়।
পশ্চিমা দেশগুলো রাশিয়ার ওপর অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা দিয়ে রেখেছে। এর ফলে বিদেশ থেকে সেলাই করার যন্ত্রপাতি আমদানি করা রুশ ব্যবসায়ীদের জন্য কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। কারণ, নিষেধাজ্ঞার মধ্যে এসব আমদানির বিপরীতে দাম পরিশোধ করা যাচ্ছে না। prothomalo.com
russia bangladesh garments sector
যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে জিএসপি সুবিধা পেতে সরকার কাজ করছে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা সেখ বশিরউদ্দীন।
আজ রোববার বাণিজ্য উপদেষ্টার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি দলের সাক্ষাৎ শেষে এ কথা জানান তিনি।
বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, শ্রম আইন যুগোপযোগী করা, সব শ্রমিকের ইউনিয়ন করার সুযোগ দেওয়া, ন্যুনতম মজুরি নিশ্চিত এবং কর্ম পরিবেশ যথাযথ করাসহ ১১ দফা বাস্তবায়ন করার তাগিদ দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
এ সময় বাণিজ্য সচিব বলেন, ‘ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ অন্যান্য দেশের মত যুক্তরাষ্ট্রের বাজারেও শুল্কমুক্ত সুবিধা পেতে চাই। জিএসপি সুবিধা পেতে চাই।’